রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
যে কারণে জীবন-মৃত্যুর সৃষ্টি
সুরা মুলক মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩০। কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা এটি। এ সুরা পাঠে আছে অনেক ফজিলত। নবী (সা.) প্রতি রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করতেন। সুরাটি তার পাঠকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারও পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এ সুরাটি হলো—তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক।’ (আবু দাউদ: ১৪০০)
সুরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য যে—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ মানুষের এই জীবন, এই দুনিয়া—আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার হলে শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন দিয়ে লেখার অবারিত সুযোগ দিয়ে দেন। তার লেখাতে কোনো বাধার সৃষ্টি করেন না। তেমনি আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে সঠিক ও ভুল পথের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে দিয়েছেন—এটা এক পরীক্ষা। যে সঠিক পথে চলে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করবে, সে থাকবে জান্নাতে। ভুল পথে চললে কিংবা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে থাকতে হবে জাহান্নামে। আল্লাহ প্রায়ই মানুষকে বিভিন্ন বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দিয়ে পরীক্ষা করেন। ইমান যাচাই করেন। যারা পরীক্ষায় ধৈর্য ধরে আল্লাহর পথে অবিচল থাকতে পারেন, তারা মুমিন। তারা সফলকাম।
যাদের অনুসরণ করা নিষেধ
আল্লাহ নবী (সা.)-কে সুরা কলমের ১০ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে কিছু মানুষকে অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। যথা—১. অযথা কসমকারী ২. নীচু স্বভাবের লোক ৩. পেছনে দুর্নামকারী ৪. পরচর্চাকারী ৫. নেক কাজে বাধাদানকারী ৬. সীমালঙ্ঘনকারী ৭. মহাপাপী ৮. কঠোর স্বভাবের—তার ওপরে আবার পিতৃপরিচয়হীন ৯. কোরআন অস্বীকারকারী।
অসহায়কে ঠকালে আল্লাহ শাস্তি দেন
সুরা কলমের ১৭ থেকে ৩৩ নম্বর আয়াতে দুজন বাগানওয়ালার কাহিনি রয়েছে, অসহায়দের ঠকানোর পরিকল্পনা করায় আল্লাহ তাদের বাগান ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাফসিরে ফতহুল কাদিরে আছে, ইয়ামেনের সানা থেকে ৬ মাইল দূরে একটি বিশাল বাগান ছিল। আরবদের মাঝে বাগানটির বেশ খ্যাতি ছিল। বাগানের মালিক এর থেকে উৎপন্ন ফলমূল গরিব-অসহায়দের দিত। তার মৃত্যুর পর সন্তানেরা বলল, বাগানের আয়ে নিজেদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। গরিব-অসহায়দের দেব কোত্থেকে! আমরা ভোরেই ফল আহরণ করব—তারা ইনশাআল্লাহও বলেনি—যেন গরিবেরা আমাদের নাগাল না পায়। অসহায়দের ঠকানো ও ‘ইনশাআল্লাহ’ না বলার ব্যাপারটি আল্লাহর পছন্দ করেননি। আল্লাহ বাগানে বিপর্যয় দিলেন। বাগানটি শস্য-কাটা খেতের মতো কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেল। পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ ও সুরা নুহের বিষয়বস্তু
এ তিন সুরায় কিয়ামতের ভয়াবহতা, পূর্ববর্তী জাতির পরিণতি, কিয়ামতপূর্ব অবস্থা, নেককারদের ডান হাতে ও হতভাগাদের বাম হাতে আমলনামা প্রদান, জাহান্নামে কাফেরদের টেনে-হিঁচড়ে নেওয়া, মহানবীর নবুওয়ত, মানুষের স্বভাব ও প্রকৃতি, মানুষ সৃষ্টি, নুহ (আ.)-এর দাওয়াত, তাদের অবাধ্যতা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ফজিলত ও উপকারিতা, আল্লাহর নেয়ামত, মূর্তির প্রতি কাফেরদের প্রীতি, তাদের ধ্বংস এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমার বর্ণনা রয়েছে।
সুরা জিনে বিশ্বাসী জিনদের কথা
মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জিনের আয়াত সংখ্যা ২৮। এ সুরায় জিনদের আলোচনা থাকায় সে দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম রাখা হয় ‘জিন’। সুরার ১ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে নবীজির কণ্ঠে জিনদের কোরআন শোনার আলাপ রয়েছে। রাসুল (সা.) তখন কয়েকজন সাহাবিকে নিয়ে উকাজের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নাখলা নামক স্থানে তিনি ফজরের নামাজে ইমামতি করেন। সে সময় একদল জিন ওই স্থান অতিক্রম করছিল। কোরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনে তারা সেখানে থেমে গিয়ে শুনতে থাকে। জিনরা নবীজির প্রতি ইমান এনে ইসলাম গ্রহণ করে।
তাহাজ্জুদে আল্লাহকে পাওয়া যায়
সুরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহ তাআলা নবীজিকে রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আদেশ দেন। কারণ আল্লাহ তখন নবীজিকে নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন। তাহাজ্জুদ আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর ও কোরআন তিলাওয়াতের সেরা সময়। সন্ধ্যারাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর শয্যাত্যাগ করাকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় হলো, রাত ২টার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তাহাজ্জুদের সময় শেষ হয়। রাতের এই তাহাজ্জুদে প্রভুর যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাঁকে পাওয়ার জন্য মন যতটা উতলা ব্যাকুল হয়ে ওঠে, চোখ যেভাবে অশ্রুর আয়োজন করে, অন্য সময়ের নামাজে এমনটা খুব বেশি হয় না। মুমিনের মনে হয়, পৃথিবীতে আর কিছু নেই, আমার কেউ নেই, শুধু আল্লাহ ছাড়া। তখন তো শুধু মুমিন বান্দা আর আল্লাহ। সেখানে অন্য আয়োজন নেই। কোলাহল নেই। ব্যস্ততা নেই। তাড়া নেই।
সুরা মুদ্দাসসির ও সুরা কিয়ামার বিষয়বস্তু
এ সুরা দুটিতে দীনের দাওয়াত, কাফেরদের পরিণাম, কিয়ামতের দিন জান্নাতি ও জাহান্নামিদের অবস্থা, নসিহত, মৃত্যু পরবর্তী জীবন, শাস্তি, মৃত্যুর সময় মানুষের অবস্থা ও কিয়ামতের পর পুনরুত্থানের বর্ণনা রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশের সুরা দাহর ও মুরসালাতে জান্নাতের নেয়ামত, জাহান্নামের শাস্তি, দুনিয়াতে আল্লাহর নেয়ামত, মানুষের কৃতজ্ঞতা ও অকৃতজ্ঞতা, ধৈর্য, আল্লাহর গুণ, মুমিন ও কাফেরদের পরিণতি, কিয়ামতের অবস্থা, অবিশ্বাসীদের ধ্বংস ইত্যাদির আলাপ রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
যে কারণে জীবন-মৃত্যুর সৃষ্টি
সুরা মুলক মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩০। কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা এটি। এ সুরা পাঠে আছে অনেক ফজিলত। নবী (সা.) প্রতি রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করতেন। সুরাটি তার পাঠকারীকে ক্ষমা করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারও পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এ সুরাটি হলো—তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক।’ (আবু দাউদ: ১৪০০)
সুরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য যে—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ মানুষের এই জীবন, এই দুনিয়া—আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার হলে শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন দিয়ে লেখার অবারিত সুযোগ দিয়ে দেন। তার লেখাতে কোনো বাধার সৃষ্টি করেন না। তেমনি আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে সঠিক ও ভুল পথের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে দিয়েছেন—এটা এক পরীক্ষা। যে সঠিক পথে চলে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করবে, সে থাকবে জান্নাতে। ভুল পথে চললে কিংবা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে থাকতে হবে জাহান্নামে। আল্লাহ প্রায়ই মানুষকে বিভিন্ন বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দিয়ে পরীক্ষা করেন। ইমান যাচাই করেন। যারা পরীক্ষায় ধৈর্য ধরে আল্লাহর পথে অবিচল থাকতে পারেন, তারা মুমিন। তারা সফলকাম।
যাদের অনুসরণ করা নিষেধ
আল্লাহ নবী (সা.)-কে সুরা কলমের ১০ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে কিছু মানুষকে অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। যথা—১. অযথা কসমকারী ২. নীচু স্বভাবের লোক ৩. পেছনে দুর্নামকারী ৪. পরচর্চাকারী ৫. নেক কাজে বাধাদানকারী ৬. সীমালঙ্ঘনকারী ৭. মহাপাপী ৮. কঠোর স্বভাবের—তার ওপরে আবার পিতৃপরিচয়হীন ৯. কোরআন অস্বীকারকারী।
অসহায়কে ঠকালে আল্লাহ শাস্তি দেন
সুরা কলমের ১৭ থেকে ৩৩ নম্বর আয়াতে দুজন বাগানওয়ালার কাহিনি রয়েছে, অসহায়দের ঠকানোর পরিকল্পনা করায় আল্লাহ তাদের বাগান ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাফসিরে ফতহুল কাদিরে আছে, ইয়ামেনের সানা থেকে ৬ মাইল দূরে একটি বিশাল বাগান ছিল। আরবদের মাঝে বাগানটির বেশ খ্যাতি ছিল। বাগানের মালিক এর থেকে উৎপন্ন ফলমূল গরিব-অসহায়দের দিত। তার মৃত্যুর পর সন্তানেরা বলল, বাগানের আয়ে নিজেদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। গরিব-অসহায়দের দেব কোত্থেকে! আমরা ভোরেই ফল আহরণ করব—তারা ইনশাআল্লাহও বলেনি—যেন গরিবেরা আমাদের নাগাল না পায়। অসহায়দের ঠকানো ও ‘ইনশাআল্লাহ’ না বলার ব্যাপারটি আল্লাহর পছন্দ করেননি। আল্লাহ বাগানে বিপর্যয় দিলেন। বাগানটি শস্য-কাটা খেতের মতো কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেল। পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ ও সুরা নুহের বিষয়বস্তু
এ তিন সুরায় কিয়ামতের ভয়াবহতা, পূর্ববর্তী জাতির পরিণতি, কিয়ামতপূর্ব অবস্থা, নেককারদের ডান হাতে ও হতভাগাদের বাম হাতে আমলনামা প্রদান, জাহান্নামে কাফেরদের টেনে-হিঁচড়ে নেওয়া, মহানবীর নবুওয়ত, মানুষের স্বভাব ও প্রকৃতি, মানুষ সৃষ্টি, নুহ (আ.)-এর দাওয়াত, তাদের অবাধ্যতা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ফজিলত ও উপকারিতা, আল্লাহর নেয়ামত, মূর্তির প্রতি কাফেরদের প্রীতি, তাদের ধ্বংস এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমার বর্ণনা রয়েছে।
সুরা জিনে বিশ্বাসী জিনদের কথা
মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জিনের আয়াত সংখ্যা ২৮। এ সুরায় জিনদের আলোচনা থাকায় সে দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম রাখা হয় ‘জিন’। সুরার ১ থেকে ১৫ নম্বর আয়াতে নবীজির কণ্ঠে জিনদের কোরআন শোনার আলাপ রয়েছে। রাসুল (সা.) তখন কয়েকজন সাহাবিকে নিয়ে উকাজের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নাখলা নামক স্থানে তিনি ফজরের নামাজে ইমামতি করেন। সে সময় একদল জিন ওই স্থান অতিক্রম করছিল। কোরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনে তারা সেখানে থেমে গিয়ে শুনতে থাকে। জিনরা নবীজির প্রতি ইমান এনে ইসলাম গ্রহণ করে।
তাহাজ্জুদে আল্লাহকে পাওয়া যায়
সুরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহ তাআলা নবীজিকে রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আদেশ দেন। কারণ আল্লাহ তখন নবীজিকে নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করতে চাচ্ছেন। তাহাজ্জুদ আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর ও কোরআন তিলাওয়াতের সেরা সময়। সন্ধ্যারাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর শয্যাত্যাগ করাকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় হলো, রাত ২টার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তাহাজ্জুদের সময় শেষ হয়। রাতের এই তাহাজ্জুদে প্রভুর যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাঁকে পাওয়ার জন্য মন যতটা উতলা ব্যাকুল হয়ে ওঠে, চোখ যেভাবে অশ্রুর আয়োজন করে, অন্য সময়ের নামাজে এমনটা খুব বেশি হয় না। মুমিনের মনে হয়, পৃথিবীতে আর কিছু নেই, আমার কেউ নেই, শুধু আল্লাহ ছাড়া। তখন তো শুধু মুমিন বান্দা আর আল্লাহ। সেখানে অন্য আয়োজন নেই। কোলাহল নেই। ব্যস্ততা নেই। তাড়া নেই।
সুরা মুদ্দাসসির ও সুরা কিয়ামার বিষয়বস্তু
এ সুরা দুটিতে দীনের দাওয়াত, কাফেরদের পরিণাম, কিয়ামতের দিন জান্নাতি ও জাহান্নামিদের অবস্থা, নসিহত, মৃত্যু পরবর্তী জীবন, শাস্তি, মৃত্যুর সময় মানুষের অবস্থা ও কিয়ামতের পর পুনরুত্থানের বর্ণনা রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশের সুরা দাহর ও মুরসালাতে জান্নাতের নেয়ামত, জাহান্নামের শাস্তি, দুনিয়াতে আল্লাহর নেয়ামত, মানুষের কৃতজ্ঞতা ও অকৃতজ্ঞতা, ধৈর্য, আল্লাহর গুণ, মুমিন ও কাফেরদের পরিণতি, কিয়ামতের অবস্থা, অবিশ্বাসীদের ধ্বংস ইত্যাদির আলাপ রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
১৭ এপ্রিল ২০২৩
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
১৭ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
১৭ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৯ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর ও সুরা মুরসালাত পড়া হবে। এখানে এসব সুরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
১৭ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে