ইউক্রেনে সংকট নিরসনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ১২ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোয় সফররত ‘বন্ধু’কে এই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার সি চিন পিং তিন দিনের সফরে মস্কোয় যান। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়া সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সফরের প্রথম দিনই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর এই বৈঠকজুড়ে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার সি চিন পিংকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে সংকট নিরসনে বেইজিংয়ের দেওয়া প্রস্তাবগুলো তিনি পড়ে দেখেছেন এবং এ নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। সি চিন পিংও পুতিনকে প্রিয় বন্ধু বলেই সম্বোধন করেন।
গত মাসে ১২ দফার একটি শান্তি প্রস্তাব দেয় চীন। এতে বলা হয়, ‘হামলা বন্ধ’ করে যেন শান্তি আলোচনায় বসে সব পক্ষ। তবে এতে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।
এদিকে পুতিনকে এ বছর চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সি চিন পিং। মস্কোতে গতকাল মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে আলোচনার আগে পুতিনকে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।
অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘যুদ্ধাপরাধ’ বন্ধে ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দিতে সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সি এই আহ্বান জানান।
কিরবি বলেন, ‘কেবল যুদ্ধবিরতিই যথেষ্ট নয়। যুদ্ধাপরাধ বন্ধে চীনের প্রেসিডেন্ট সি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউক্রেনের শহর, হাসপাতাল ও স্কুলে বোমা হামলা বন্ধে এবং সেনা প্রত্যাহারে চাপ দেবেন বলে আশা করি।’
এর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে চীনকে প্রভাব খাটানোর আহ্বান জানিয়েছিল ইউক্রেন। গত সোমবার সি চিন পিং মস্কোয় যাওয়ার পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সি তাঁর মস্কো সফরে যুদ্ধ থামানোর জন্য প্রভাব খাটাবেন, এমন প্রত্যাশা করা যায়।
সি মস্কোয় থাকাকালে আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে যাওয়ার কথা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার। কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার ভারতে ছিলেন কিশিদার। দিল্লি থেকে টোকিও ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আকস্মিকভাবে তিনি গন্তব্য বদলে ফেলেন। টোকিওয় না ফিরে তাঁর উড়োজাহাজ পোল্যান্ডে অবতরণ করে। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে রওনা দেন তিনি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে