ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘যুদ্ধাপরাধ’ বন্ধে ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দিতে সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ মঙ্গলবার সি-পুতিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর এটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি পুতিনকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সির প্রতি ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারে পুতিনকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
কিরবি বলেন, ‘কেবল যুদ্ধবিরতিই যথেষ্ট নয়। যুদ্ধাপরাধ বন্ধে চীনের প্রেসিডেন্ট সি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউক্রেনের শহর, হাসপাতাল ও স্কুলে বোমা হামলা বন্ধে এবং সেনা প্রত্যাহারে চাপ দেবেন বলে আশা করি।’
এর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে চীনকে প্রভাব খাটানোর আহ্বান জানিয়েছিল ইউক্রেন। গতকাল সোমবার তিন দিনের সফরে মস্কোয় যান চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এরপর ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সি তাঁর মস্কো সফরে যুদ্ধ থামানোর জন্য প্রভাব খাটাবেন এমন প্রত্যাশা করা যায়।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ১২ দফা পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। এই সফরের সময়েই পুতিন তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে এতে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।
সি চিন পিংকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে পুতিন বলেন, ‘আলোচনার জন্য আমরা উন্মুক্ত। সি চিন পিংও পুতিনকে প্রিয় বন্ধু বলেই সম্বোধন করেন।’
বর্তমানে রাশিয়ার বড় মিত্র চীন। বেইজিং গত মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে একটি ‘নিরপেক্ষ এবং ন্যায্য’ অবস্থান নেবে বেইজিং। ওই প্রস্তাবে শান্তি আলোচনা এবং পরস্পরের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা উল্লেখ আছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে