নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাজার মানুষের উৎসুক চোখ বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত দুটি ভবনের দিকে। কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। ক্রাইম সিনের ঘিরে রাখা সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এসব মানুষের পুরো মনোযোগ ভবন দুটির ভেতরে। এত মানুষের ভেতরে আলাদাভাবে নজর কাড়ে ৯ বছরের এক ফুটফুটে শিশু। সবাই যখন হতবিহ্বল দাঁড়িয়ে তখন এই শিশু দুই হাত তুলে মোনাজাত করছে। মুখে কোনো কথা নেই, যত কথা সব তার মায়াভরা চোখ জোড়ায়। মোনাজাতে কী চাইছে সে? তৎক্ষণাৎ জানা না গেলেও বোঝা গেল, তার ছলছল চোখ দেখে। হয়তো এই ভবনের বিস্ফোরণে সে হারিয়েছে আপনজন। ততক্ষণে তাকে ঘিরে সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষের হুল্লোড় শুরু হয়ে গেছে। এতে নিবিষ্ট মোনাজাতে ছেদ পড়ে। অনেকেই জানতে চায় কে এই শিশু? কান্না চাপা কণ্ঠে নিজের নাম জানায়, সামিত।
বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারের অন্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় তার বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয় ভবনের বেসমেন্ট থেকে। সঙ্গে উদ্ধার হয় তাঁর কর্মচারী রবিনের মরদেহও।
শোকাবহ এই পরিবেশে সামিতসহ তার পরিবারের আর কারও সঙ্গেই কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না। তবে তার বাবার বাল্যবন্ধু মঞ্জুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত সুমন আনিকা স্যানিটারির স্বত্বাধিকারী। তিন ভাই, বাবা-মা, স্ত্রী আর দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। ব্যবসা আর পুরো পরিবার দুই হাতে সামলাত সে। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ শোকে পাথর হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের কুইন টাওয়ার ও পাশের ভবনে। সেই বিস্ফোরণে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন সুমন। গতকাল বুধবার সকালে ভবন দুটিতে ফায়ার সার্ভিস দ্বিতীয় দফা উদ্ধার কাজ শুরু করে। তার আগে থেকেই আরও তিনটি পরিবারকে তাদের স্বজনদের সন্ধানে অপেক্ষা করতে দেখা যায় সেখানে। তাদের মধ্যে রবিন হোসেন শান্তর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক সুমনের সঙ্গে।
রবিনের ভাই শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লাশ পেয়েছি। সেটা বুঝিয়ে নিতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি।’
নিখোঁজদের মধ্যে মেহেদি হাসান স্বপন ও আব্দুল মালেকের সন্ধান মেলেনি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, বারডেমসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে অপেক্ষা করছিল স্বজনরা। স্বপনের বোন জামাই গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবিত আর পাওয়া যাবে না জানি। হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে আমরা হতাশ হয়ে ভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। নিখোঁজ থাকা দুজনের মরদেহ যখন এখান থেকে পাওয়া গেছে। আশা করছি স্বপনকেও এখান থেকে পাওয়া যাবে।’
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেডিকেল সূত্রে। বেশির ভাগই প্রাণ হারিয়েছেন আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে। কারও মুখ, মাথা, বুক ও হাত-পা থেঁতলানো। কারও আবার বিস্ফোরণে ভেঙে আসা কাচ ঢুকেছে গলা দিয়ে। কুইন টাওয়ারের পাশের ভবনে ইউসুফ স্যানিটারির মালিক নুরুল ইসলাম ভূঁইয়াও (৫৫) বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। তার মরদেহ দেখে এসে ছোট ভাই তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫৩) স্বজনদের বলেন, ‘ভাইয়েরেতো চেনা যায় না। মুখ পুইড়া ছাই। একটা দাড়িও নাই!’
মঙ্গলার বিকেলে বাবার ফোন পেয়ে তার পান-সিগারেটের দোকানে সহায়তা করতে গুলিস্থান যাচ্ছিলেন হৃদয় মিয়া। পথেই বিস্ফোরণের মাঝে পড়েন এবং সেখানেই প্রাণ হারান। মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেই মরদেহের বর্ণনা দিয়ে আজকের পত্রিকাকে তার খালু জয়নাল মিয়া বলেন, ‘হৃদয়ের মুখের এক পাশ পুইড়া গেছে। দেখলে ডর লাগে। পুইরা যাওয়া মুখ দেখলে চেনার উপায় নাই।’
নিহত অন্যরা হলেন—মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকৃতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস মীর (৬০) এবং আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫)। সবগুলো মরদেহই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহতদের আহাজারি ও চিৎকারে ঢাকা মেডিকেলের পরিবেশ ভারী ছিল ঘটনার দিন রাতে। সেই রাতেই জরুরি বিভাগের বাইরে স্ট্রেচারে গুরুতর আহত জামাল শিকদারকে (৩৫) কাতরাতে দেখা যায়। তার মাথা ও পায়ে থেঁতলে যাওয়া ভয়ানক জখম। জখমে জড়ানো সাদা ব্যান্ডেজ রক্তে লাল। মাথার সিটি স্ক্যান ও পায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। তার স্ত্রী মুন্নি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটু পর পর ব্যথায় তিনি (তার স্বামী) চিৎকার করে উঠছে। আর বাকি সময় দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে ২০ জন দগ্ধ ও আঘাতের রোগী। তাদের মধ্যে ছয়জন দগ্ধ রোগী আছেন বার্ন ইউনিটে। সংকটাপন্ন ১০ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি আছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সব মিলিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সাধারণ বিভাগ, বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ৩০ জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯৮ ভাগ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মো. মুসা নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া ৫৫,৮০, ৪০ ও ৫৫ ভাগ দগ্ধ হয়েও অনেকেই ভর্তি আছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এসব রোগীদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যারা চিকিৎসাধীন আছে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, যেহেতু সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না।’
এ ছাড়া রাজধানী ও সাভারের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার হালকা জখম বা আঘাত পেয়ে ঘটনার দিনই ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

হাজার মানুষের উৎসুক চোখ বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত দুটি ভবনের দিকে। কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। ক্রাইম সিনের ঘিরে রাখা সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এসব মানুষের পুরো মনোযোগ ভবন দুটির ভেতরে। এত মানুষের ভেতরে আলাদাভাবে নজর কাড়ে ৯ বছরের এক ফুটফুটে শিশু। সবাই যখন হতবিহ্বল দাঁড়িয়ে তখন এই শিশু দুই হাত তুলে মোনাজাত করছে। মুখে কোনো কথা নেই, যত কথা সব তার মায়াভরা চোখ জোড়ায়। মোনাজাতে কী চাইছে সে? তৎক্ষণাৎ জানা না গেলেও বোঝা গেল, তার ছলছল চোখ দেখে। হয়তো এই ভবনের বিস্ফোরণে সে হারিয়েছে আপনজন। ততক্ষণে তাকে ঘিরে সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষের হুল্লোড় শুরু হয়ে গেছে। এতে নিবিষ্ট মোনাজাতে ছেদ পড়ে। অনেকেই জানতে চায় কে এই শিশু? কান্না চাপা কণ্ঠে নিজের নাম জানায়, সামিত।
বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারের অন্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় তার বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয় ভবনের বেসমেন্ট থেকে। সঙ্গে উদ্ধার হয় তাঁর কর্মচারী রবিনের মরদেহও।
শোকাবহ এই পরিবেশে সামিতসহ তার পরিবারের আর কারও সঙ্গেই কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না। তবে তার বাবার বাল্যবন্ধু মঞ্জুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত সুমন আনিকা স্যানিটারির স্বত্বাধিকারী। তিন ভাই, বাবা-মা, স্ত্রী আর দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। ব্যবসা আর পুরো পরিবার দুই হাতে সামলাত সে। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ শোকে পাথর হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের কুইন টাওয়ার ও পাশের ভবনে। সেই বিস্ফোরণে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন সুমন। গতকাল বুধবার সকালে ভবন দুটিতে ফায়ার সার্ভিস দ্বিতীয় দফা উদ্ধার কাজ শুরু করে। তার আগে থেকেই আরও তিনটি পরিবারকে তাদের স্বজনদের সন্ধানে অপেক্ষা করতে দেখা যায় সেখানে। তাদের মধ্যে রবিন হোসেন শান্তর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক সুমনের সঙ্গে।
রবিনের ভাই শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লাশ পেয়েছি। সেটা বুঝিয়ে নিতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি।’
নিখোঁজদের মধ্যে মেহেদি হাসান স্বপন ও আব্দুল মালেকের সন্ধান মেলেনি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, বারডেমসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে অপেক্ষা করছিল স্বজনরা। স্বপনের বোন জামাই গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবিত আর পাওয়া যাবে না জানি। হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে আমরা হতাশ হয়ে ভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। নিখোঁজ থাকা দুজনের মরদেহ যখন এখান থেকে পাওয়া গেছে। আশা করছি স্বপনকেও এখান থেকে পাওয়া যাবে।’
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেডিকেল সূত্রে। বেশির ভাগই প্রাণ হারিয়েছেন আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে। কারও মুখ, মাথা, বুক ও হাত-পা থেঁতলানো। কারও আবার বিস্ফোরণে ভেঙে আসা কাচ ঢুকেছে গলা দিয়ে। কুইন টাওয়ারের পাশের ভবনে ইউসুফ স্যানিটারির মালিক নুরুল ইসলাম ভূঁইয়াও (৫৫) বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। তার মরদেহ দেখে এসে ছোট ভাই তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫৩) স্বজনদের বলেন, ‘ভাইয়েরেতো চেনা যায় না। মুখ পুইড়া ছাই। একটা দাড়িও নাই!’
মঙ্গলার বিকেলে বাবার ফোন পেয়ে তার পান-সিগারেটের দোকানে সহায়তা করতে গুলিস্থান যাচ্ছিলেন হৃদয় মিয়া। পথেই বিস্ফোরণের মাঝে পড়েন এবং সেখানেই প্রাণ হারান। মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেই মরদেহের বর্ণনা দিয়ে আজকের পত্রিকাকে তার খালু জয়নাল মিয়া বলেন, ‘হৃদয়ের মুখের এক পাশ পুইড়া গেছে। দেখলে ডর লাগে। পুইরা যাওয়া মুখ দেখলে চেনার উপায় নাই।’
নিহত অন্যরা হলেন—মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকৃতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস মীর (৬০) এবং আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫)। সবগুলো মরদেহই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহতদের আহাজারি ও চিৎকারে ঢাকা মেডিকেলের পরিবেশ ভারী ছিল ঘটনার দিন রাতে। সেই রাতেই জরুরি বিভাগের বাইরে স্ট্রেচারে গুরুতর আহত জামাল শিকদারকে (৩৫) কাতরাতে দেখা যায়। তার মাথা ও পায়ে থেঁতলে যাওয়া ভয়ানক জখম। জখমে জড়ানো সাদা ব্যান্ডেজ রক্তে লাল। মাথার সিটি স্ক্যান ও পায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। তার স্ত্রী মুন্নি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটু পর পর ব্যথায় তিনি (তার স্বামী) চিৎকার করে উঠছে। আর বাকি সময় দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে ২০ জন দগ্ধ ও আঘাতের রোগী। তাদের মধ্যে ছয়জন দগ্ধ রোগী আছেন বার্ন ইউনিটে। সংকটাপন্ন ১০ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি আছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সব মিলিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সাধারণ বিভাগ, বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ৩০ জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯৮ ভাগ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মো. মুসা নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া ৫৫,৮০, ৪০ ও ৫৫ ভাগ দগ্ধ হয়েও অনেকেই ভর্তি আছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এসব রোগীদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যারা চিকিৎসাধীন আছে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, যেহেতু সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না।’
এ ছাড়া রাজধানী ও সাভারের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার হালকা জখম বা আঘাত পেয়ে ঘটনার দিনই ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৯ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৪০ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪৩ মিনিট আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারে
০৯ মার্চ ২০২৩
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৪০ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারে
০৯ মার্চ ২০২৩
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৯ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৪০ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪৩ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারে
০৯ মার্চ ২০২৩
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৯ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪৩ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারে
০৯ মার্চ ২০২৩
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৯ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৪০ মিনিট আগে