সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রায় সময়ই সেঞ্চুরি উদ্যাপন করেন বাবর আজম। তবে টেস্টে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে গিয়েই যেন একটু স্নায়ুচাপে ভোগেন তিনি। সাদা পোশাকে তিন অঙ্কের কাছাকাছি গিয়ে প্রায়ই হতাশ হতে হয় তাঁকে। কিংবদন্তি হতে পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ককে এই স্নায়ুচাপ উতড়ে ওঠারই যেন পরামর্শ দিলেন মুদাসসর নজর।
টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণেই বাবরের গড় ৪০-এর ওপরে। টেস্টে ৪৮.৬৩, ওয়ানডেতে ৫৯.৪১ ও টি-টোয়েন্টিতে ৪১.৪১ গড় পাকিস্তানি অধিনায়কের। ওয়ানডেতে ১৭ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ২৬ ফিফটি আর টেস্টে করেছেন ৯ সেঞ্চুরি ও ২৬ ফিফটি। ওয়ানডের মতো টেস্টেও যেন ফিফটিকে বেশি করে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার তাগিদ বাবরকে দিলেন মুদাসসর। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটার বলেন, ‘ওয়ানডের মতো টেস্টেও যদি ধারাবাহিকভাবে বাবর রান করতে পারে, তাহলে সে অন্যতম সেরা কিংবদন্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রায়ই দেখা যায় যে, টেস্টে ফিফটি করার পর তা সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারছে না।’
তিন সংস্করণের গড়ই বলে দেয়, ব্যাটার বাবর কতটা ছন্দে আছেন। পাল্লা দিয়ে রান করা বাবর প্রায়ই ভেঙেচূড়ে দিচ্ছেন একের পর এক রেকর্ড। নজরের মতে, পাকিস্তানের সেরা ব্যাটারদের একজন হওয়ার সম্ভাবনা বাবরের রয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘বাবরের বয়স মাত্র ২৮। যেভাবে সে এগোচ্ছে, তাতে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার সে হবে। কিন্তু তার জন্য তাকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। পিসিবিরও তাকে যথেষ্ট সমর্থন দেওয়া উচিত।’
২০২২ সাল স্বপ্নের মতো কাটিয়েছিলেন বাবর, যার সুফল হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার, ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন তিনি। আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হয়েছেন পাকিস্তানের এই টপ অর্ডার ব্যাটার। বর্ষসেরা টেস্ট দলেও জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে