মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আরে মিয়া সাহেবেরা, বহু দেখেছি, ঠাকুরগাঁওয়ের চখা রাজাকারের পুত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঙ্কার দিচ্ছে। ডান্ডা মারা তো শুরুই হয় নাই। এখনই হাসপাতালে ভর্তি হন। আর বাকি দিন তো পড়েই রয়েছে।’
আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মৃণাল কান্তি দাস এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যাঁর হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন, তাঁকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এক কাতারে হয়ে লড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির সমালোচনা করে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘২০০৮ সালে পারেনি। মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া এক শ দিন রাস্তায় বসে ভিক্ষা করেছিল আমাদের হটাতে, কিন্তু পারেননি। শেষে আপনাআপনি লেজ গুটিয়ে লেংটি কুকুরদের মতো ঘরে ফিরে গেছেন। এইবারও স্পর্ধা দেখাচ্ছে। মাঝে মাঝে হুংকার দিচ্ছে, ধমক দিচ্ছে, দেখিয়ে দেবে, বিচার করবে, ফাঁসি দেবে।’
নিজ নির্বাচনী এলাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন থেকে অনেকটাই বঞ্চিত বলে সংসদে দাবি করেন সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, গোমতী, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের এই এলাকায় রয়েছে অনেক চর, হাওর-বাঁওড়। সেখানকার মানুষ অনেক কষ্টে আছে বন্যা, নদীভাঙনে। ভূমিদস্যুতা, বালুদস্যুতা রয়েছে। বালুদস্যুরা মানুষের ভূমি কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
‘প্রধানমন্ত্রী চান, এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে। আর বালুদস্যুরা দিনদুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভেপু দিয়ে চার-পাঁচ ফুট মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা চাষ করতে পারেন না। জেলা প্রশাসককে জানাই, পুলিশকে জানাই। কোথাও সহযোগিতা পাই না।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে