নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা ইসলামের মরণোত্তর দানে কিডনি ও কর্নিয়া নেওয়া চার রোগী ভালো আছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কর্নিয়ার রোগীদের কোনো ধরনের জটিলতা না থাকলেও কিডনি রোগীদের একজনের সামান্য সমস্যা রয়েছে। তবে তা মারাত্মক পর্যায়ে নয়। চিকিৎসকেরা জানান, মরণোত্তর অঙ্গ নেওয়া চার রোগীকেই বাড়ি ফেরার আগে অন্তত মাসখানেক হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
আজ শুক্রবার সরেজমিন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খোঁজ নিয়ে চিকিৎসকদের থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
কিডনি নেওয়া দুজনের একজন শামীমা আক্তার (৩৭) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এবং অন্যজন মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কর্নিয়া নেওয়া দুজনের একজন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে; অন্যজন সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিএসএমএমইউয়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবিত মানুষের থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপনে সাধারণত এক থেকে দেড় মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রেও প্রায় তা-ই। বর্তমানে দুই রোগীই ভালো আছেন। তবে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে যিনি ভর্তি আছেন, তাঁর ইউরিন প্রোডাকশন কিছুটা কম। তবে সেটি শঙ্কার কিছু নেই। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে উন্নতি হবে।’
ডা. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বেশ কিছু জটিলতা থাকে। ইনজেকশন দিয়ে সেগুলো ইম্প্রুভ করতে হয়। আমরাও একই পথে এগোচ্ছি। সব মিলিয়ে অন্তত মাসখানেক হাসপাতালে থাকতেই হবে।’
কর্নিয়া নেওয়া রোগীদের ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) দুজনেরই ফাইনাল ড্রেসিং হয়েছে। এখন বিভিন্ন ড্রপ দেওয়া হবে। এই ধরনের রোগীদের পূর্ণ সুস্থ হতে অন্তত চার সপ্তাহ বা তারও কিছু বেশি সময় লাগে। সে অনুযায়ী তাঁদেরও মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।’
বিএসএমএমইউ হাসপাতালে কিডনি আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন শামীমা আক্তার। আজ বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে তাঁকে। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা থাকায় খুব একটা নড়াচড়া করতে পারছেন না তিনি। নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে।
বাইরে অপেক্ষা করছেন শামীমার ছোট ভাই শাহজাদা আহমেদ। চোখেমুখে কষ্টের ছাপ থাকলেও আছে আনন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীমার চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রিসহ বসতভিটাও বন্দক রাখতে হয়েছে পরিবারটিকে। দুটি কিডনি বিকল হলেও পরিবারের কারও সঙ্গে না মেলায় ডায়ালাইসিসেই একমাত্র ভরসা ছিল শামীমার। যার পেছনে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাগত।
শাহজাদা আহমেদ জানান, পাঁচ বছর আগে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দেখা দেয় শামীমার। পরীক্ষায় দুটি কিডনি নষ্ট পাওয়া যায়। পরে ছয় মাস ডায়ালাইসিস করে ভারতের চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় তাঁকে। পরিবারের কারও সঙ্গে কিডনির মিল না থাকায় মেডিসিনের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব কি না, সে জন্য নেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান রোগীর যে অবস্থা তাতে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিকল্প নেই। পরে তাঁকে পুনরায় দেশে আনা হয়। এর পর থেকে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিয়ে আসছিলেন শামীমা।
শাহজাদা বলেন, ‘সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস ও ওষুধের খরচ মিলে প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা লাগছে। এতে নিজেদের জমি বিক্রি করার পাশাপাশি বসতভিটা পর্যন্ত বন্দক রাখতে হয়েছে। শুকরিয়া সারা ইসলামের কল্যাণে আমার বোন বেঁচে থাকার আশা পাচ্ছে।’
শাহজাদা আরও বলেন, ‘কিডনি না পাওয়ায় বোনকে বাঁচানোর আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম আমরা। গত বছর কিডনি ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে মরণোত্তর কিডনি দান নিয়ে আলোচনা হয়। তখনই আমাদের এ সম্পর্কে ধারণা হয়। জানানো হয় এমন কিডনি পেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
‘গত বুধবার বিকেলে আমার বোনসহ চারজনের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আমার বোন ও আরেকজনের মিলে যায়। সেদিনই প্রতিস্থাপনের কথা জানানো হয়। যিনি দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা তাঁকে ভালো রাখুন।’
অন্যদিকে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন অপর কিডনি রোগী হাসিনা আক্তার। আজ রাতে সরেজমিন হাসপাতালে কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি ৷ কর্তব্য চিকিৎসকেরাও এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। তাঁরা আগামীকাল শনিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে তথ্য নিতে বলেন। এমনকি কিডনি রোগী হাসিনা আক্তারের স্বজনের কারও নম্বর চাইলেও দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে দায়িত্বরত নার্সদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগী খাবার খাচ্ছে, কিন্তু ইউরিন এখনো তেমন আসছে না। মূলত কিডনি প্রতিস্থাপন রোগীদের কিছুটা জটিলতা থাকে। আর যেহেতু এটা মরণোত্তর রোগীর কাছ থেকে এবং পরিবারের নয়—তাই কিছুটা জটিলতা থাকবেই। একটু সময় লাগবে ঠিক হতে।’
এর আগে দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নানা জটিলতা কাটিয়ে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারে কিডনি ও কর্নিয়া সংগ্রহসহ প্রতিস্থাপন করা হয়।
২০১৮ সালের মরণোত্তর অঙ্গ সংযোজন আইনে কিডনি, লিভার, কর্নিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ দানে বৈধতা দেওয়া হলেও কর্নিয়া ছাড়া আর কিছু দেওয়ার ইতিহাস ছিল না।
তবে সেই বাধা কাটে ২০ বছরের তরুণী সারা ইসলামের হাত ধরে। যিনি কি না মাত্র ১০ মাস বয়সে মস্তিষ্কে টিউমার বহন করছিলেন। সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হলে সারাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় সারাকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর আগেই দান করে যান দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি ও কর্নিয়া। এ কাজে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন সারার মা।

সারা ইসলামের মরণোত্তর দানে কিডনি ও কর্নিয়া নেওয়া চার রোগী ভালো আছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কর্নিয়ার রোগীদের কোনো ধরনের জটিলতা না থাকলেও কিডনি রোগীদের একজনের সামান্য সমস্যা রয়েছে। তবে তা মারাত্মক পর্যায়ে নয়। চিকিৎসকেরা জানান, মরণোত্তর অঙ্গ নেওয়া চার রোগীকেই বাড়ি ফেরার আগে অন্তত মাসখানেক হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
আজ শুক্রবার সরেজমিন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খোঁজ নিয়ে চিকিৎসকদের থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
কিডনি নেওয়া দুজনের একজন শামীমা আক্তার (৩৭) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এবং অন্যজন মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কর্নিয়া নেওয়া দুজনের একজন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে; অন্যজন সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিএসএমএমইউয়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবিত মানুষের থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপনে সাধারণত এক থেকে দেড় মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রেও প্রায় তা-ই। বর্তমানে দুই রোগীই ভালো আছেন। তবে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে যিনি ভর্তি আছেন, তাঁর ইউরিন প্রোডাকশন কিছুটা কম। তবে সেটি শঙ্কার কিছু নেই। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে উন্নতি হবে।’
ডা. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বেশ কিছু জটিলতা থাকে। ইনজেকশন দিয়ে সেগুলো ইম্প্রুভ করতে হয়। আমরাও একই পথে এগোচ্ছি। সব মিলিয়ে অন্তত মাসখানেক হাসপাতালে থাকতেই হবে।’
কর্নিয়া নেওয়া রোগীদের ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) দুজনেরই ফাইনাল ড্রেসিং হয়েছে। এখন বিভিন্ন ড্রপ দেওয়া হবে। এই ধরনের রোগীদের পূর্ণ সুস্থ হতে অন্তত চার সপ্তাহ বা তারও কিছু বেশি সময় লাগে। সে অনুযায়ী তাঁদেরও মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।’
বিএসএমএমইউ হাসপাতালে কিডনি আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন শামীমা আক্তার। আজ বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে তাঁকে। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা থাকায় খুব একটা নড়াচড়া করতে পারছেন না তিনি। নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে।
বাইরে অপেক্ষা করছেন শামীমার ছোট ভাই শাহজাদা আহমেদ। চোখেমুখে কষ্টের ছাপ থাকলেও আছে আনন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীমার চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রিসহ বসতভিটাও বন্দক রাখতে হয়েছে পরিবারটিকে। দুটি কিডনি বিকল হলেও পরিবারের কারও সঙ্গে না মেলায় ডায়ালাইসিসেই একমাত্র ভরসা ছিল শামীমার। যার পেছনে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাগত।
শাহজাদা আহমেদ জানান, পাঁচ বছর আগে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দেখা দেয় শামীমার। পরীক্ষায় দুটি কিডনি নষ্ট পাওয়া যায়। পরে ছয় মাস ডায়ালাইসিস করে ভারতের চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় তাঁকে। পরিবারের কারও সঙ্গে কিডনির মিল না থাকায় মেডিসিনের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব কি না, সে জন্য নেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান রোগীর যে অবস্থা তাতে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিকল্প নেই। পরে তাঁকে পুনরায় দেশে আনা হয়। এর পর থেকে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিয়ে আসছিলেন শামীমা।
শাহজাদা বলেন, ‘সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস ও ওষুধের খরচ মিলে প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা লাগছে। এতে নিজেদের জমি বিক্রি করার পাশাপাশি বসতভিটা পর্যন্ত বন্দক রাখতে হয়েছে। শুকরিয়া সারা ইসলামের কল্যাণে আমার বোন বেঁচে থাকার আশা পাচ্ছে।’
শাহজাদা আরও বলেন, ‘কিডনি না পাওয়ায় বোনকে বাঁচানোর আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম আমরা। গত বছর কিডনি ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে মরণোত্তর কিডনি দান নিয়ে আলোচনা হয়। তখনই আমাদের এ সম্পর্কে ধারণা হয়। জানানো হয় এমন কিডনি পেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
‘গত বুধবার বিকেলে আমার বোনসহ চারজনের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আমার বোন ও আরেকজনের মিলে যায়। সেদিনই প্রতিস্থাপনের কথা জানানো হয়। যিনি দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা তাঁকে ভালো রাখুন।’
অন্যদিকে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন অপর কিডনি রোগী হাসিনা আক্তার। আজ রাতে সরেজমিন হাসপাতালে কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি ৷ কর্তব্য চিকিৎসকেরাও এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। তাঁরা আগামীকাল শনিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে তথ্য নিতে বলেন। এমনকি কিডনি রোগী হাসিনা আক্তারের স্বজনের কারও নম্বর চাইলেও দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে দায়িত্বরত নার্সদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগী খাবার খাচ্ছে, কিন্তু ইউরিন এখনো তেমন আসছে না। মূলত কিডনি প্রতিস্থাপন রোগীদের কিছুটা জটিলতা থাকে। আর যেহেতু এটা মরণোত্তর রোগীর কাছ থেকে এবং পরিবারের নয়—তাই কিছুটা জটিলতা থাকবেই। একটু সময় লাগবে ঠিক হতে।’
এর আগে দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নানা জটিলতা কাটিয়ে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারে কিডনি ও কর্নিয়া সংগ্রহসহ প্রতিস্থাপন করা হয়।
২০১৮ সালের মরণোত্তর অঙ্গ সংযোজন আইনে কিডনি, লিভার, কর্নিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ দানে বৈধতা দেওয়া হলেও কর্নিয়া ছাড়া আর কিছু দেওয়ার ইতিহাস ছিল না।
তবে সেই বাধা কাটে ২০ বছরের তরুণী সারা ইসলামের হাত ধরে। যিনি কি না মাত্র ১০ মাস বয়সে মস্তিষ্কে টিউমার বহন করছিলেন। সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হলে সারাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় সারাকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর আগেই দান করে যান দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি ও কর্নিয়া। এ কাজে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন সারার মা।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
৪১ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য-সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
৩ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি বলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে নিজে ও নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৩ কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত পরিচালক, ছয়জন যুগ্ম পরিচালক এবং চারজন উপপরিচালক রয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর আর্থিক কর্মকাণ্ডও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন অতিরিক্ত পরিচালক হলেন মো. আজিজুর রহমান, মো. এম এস এক শাহীন ও মোহাম্মদ জহীর উদ্দিন।
অভিযুক্ত যুগ্ম পরিচালকেরা হলেন মো. ইসমাইল হোসেন, জি এম রাসেল রানা, এফ এম আকবর হোসেন, মো. নাজমুল হক, বদরুর আহমেদ ও শেখ শাফিনুল হক।
এ ছাড়া উপপরিচালক পর্যায়ের চার কর্মকর্তা হলেন কামরুল হাসান, আমিনুল হক, শেখ খাইরুল বাসার ও জহরলাল জয়ধর।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব, ব্যাংক লেনদেন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি বলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে নিজে ও নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৩ কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত পরিচালক, ছয়জন যুগ্ম পরিচালক এবং চারজন উপপরিচালক রয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর আর্থিক কর্মকাণ্ডও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন অতিরিক্ত পরিচালক হলেন মো. আজিজুর রহমান, মো. এম এস এক শাহীন ও মোহাম্মদ জহীর উদ্দিন।
অভিযুক্ত যুগ্ম পরিচালকেরা হলেন মো. ইসমাইল হোসেন, জি এম রাসেল রানা, এফ এম আকবর হোসেন, মো. নাজমুল হক, বদরুর আহমেদ ও শেখ শাফিনুল হক।
এ ছাড়া উপপরিচালক পর্যায়ের চার কর্মকর্তা হলেন কামরুল হাসান, আমিনুল হক, শেখ খাইরুল বাসার ও জহরলাল জয়ধর।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব, ব্যাংক লেনদেন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।

কিডনি নেওয়া দুজনের একজন শামীমা আক্তার (৩৭) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এবং অন্যজন মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কর্নিয়া নেওয়া দুজনের একজন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে, অন্যজন সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
৪১ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য-সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের ওই প্রেস নোটের বিষয়টি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন এটি খুবই সাধারণ ঘটনা; অথচ বাস্তবে তা নয়। আমাদের মিশন কূটনৈতিক এলাকার একেবারে ভেতরে অবস্থিত, কোনোভাবেই প্রান্তিক এলাকায় নয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের প্রেস নোটের বিষয়টি অতি সরলীকরণ করা হয়েছে, অথচ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কূটনৈতিক অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল, যাদের একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, এমন সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হওয়ার কথা নয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত বলছে, ২০-২৫ জন হতে পারে, কিন্তু সেটাই মূল বিষয় নয়। প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের ২৫ বা ৩০ জন সদস্য একটি সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এলাকার এত ভেতরে প্রবেশ করতে পারল। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের সেখানে পৌঁছানোরই কথা নয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিক্ষোভকারীরা কেবল বাংলাদেশে একজন হিন্দু নাগরিক হত্যার ঘটনায় স্লোগান দেয়নি, বরং অন্যান্য বক্তব্যও দিয়েছে। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো মূলত সঠিক এবং বিভ্রান্তিকর নয়, যেমনটি দাবি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে—এমন কথা শোনা গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে আমরা এটাও শুনেছি যে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেটি হয়তো বিক্ষোভকারীদের কেউ বলেছিল। কিন্তু আমার মূল প্রশ্ন হলো, প্রথমত তারা কীভাবে এত দূর আসতে পারল এবং কীভাবে সেখানে হুমকি দিতে পারল?’
আন্তর্জাতিক রীতিনীতির কথা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, সাধারণত বিক্ষোভকারীদের আগেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় এবং পুলিশ তাদের দূরে আটকে দেয়। কখনো কখনো কেবল একজন বা দুজন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে, আমরা তা মানতে পারছি না।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ মনে করে, এ ঘটনায় স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিধি ও প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে অবহিত করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার প্রতিবাদের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, উভয় পক্ষ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে এবং নিজ নিজ অবস্থান জানাচ্ছে। তবে ভারতের প্রেস নোট প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ঢাকা এখনো ভারতের ওপর আস্থা রাখে যে, তারা যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে উপস্থিতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি শুধু স্লোগানের বিষয় নয়। তিনি উল্লেখ করেন, হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার মিশন প্রাঙ্গণেই বসবাস করে এবং সে সময় সেখানে মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী থাকায় তাঁরা হুমকির মুখে পড়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এসব বক্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানই প্রতিফলিত করে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে একজন নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের ঘটনা পুরো অঞ্চলেই ঘটে এবং প্রতিটি দেশেরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ সে দায়িত্ব পালন করছে এবং অন্যদেরও একইভাবে কাজ করা উচিত।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ‘অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র সেনা’র ব্যানারে একদল উগ্র হিন্দু কর্মী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাউসের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের ওই প্রেস নোটের বিষয়টি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন এটি খুবই সাধারণ ঘটনা; অথচ বাস্তবে তা নয়। আমাদের মিশন কূটনৈতিক এলাকার একেবারে ভেতরে অবস্থিত, কোনোভাবেই প্রান্তিক এলাকায় নয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের প্রেস নোটের বিষয়টি অতি সরলীকরণ করা হয়েছে, অথচ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কূটনৈতিক অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল, যাদের একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, এমন সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হওয়ার কথা নয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত বলছে, ২০-২৫ জন হতে পারে, কিন্তু সেটাই মূল বিষয় নয়। প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের ২৫ বা ৩০ জন সদস্য একটি সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এলাকার এত ভেতরে প্রবেশ করতে পারল। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের সেখানে পৌঁছানোরই কথা নয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিক্ষোভকারীরা কেবল বাংলাদেশে একজন হিন্দু নাগরিক হত্যার ঘটনায় স্লোগান দেয়নি, বরং অন্যান্য বক্তব্যও দিয়েছে। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো মূলত সঠিক এবং বিভ্রান্তিকর নয়, যেমনটি দাবি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে—এমন কথা শোনা গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাছে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে আমরা এটাও শুনেছি যে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেটি হয়তো বিক্ষোভকারীদের কেউ বলেছিল। কিন্তু আমার মূল প্রশ্ন হলো, প্রথমত তারা কীভাবে এত দূর আসতে পারল এবং কীভাবে সেখানে হুমকি দিতে পারল?’
আন্তর্জাতিক রীতিনীতির কথা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, সাধারণত বিক্ষোভকারীদের আগেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় এবং পুলিশ তাদের দূরে আটকে দেয়। কখনো কখনো কেবল একজন বা দুজন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে, আমরা তা মানতে পারছি না।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ মনে করে, এ ঘটনায় স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিধি ও প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে অবহিত করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার প্রতিবাদের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, উভয় পক্ষ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে এবং নিজ নিজ অবস্থান জানাচ্ছে। তবে ভারতের প্রেস নোট প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ঢাকা এখনো ভারতের ওপর আস্থা রাখে যে, তারা যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে উপস্থিতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি শুধু স্লোগানের বিষয় নয়। তিনি উল্লেখ করেন, হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার মিশন প্রাঙ্গণেই বসবাস করে এবং সে সময় সেখানে মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী থাকায় তাঁরা হুমকির মুখে পড়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এসব বক্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানই প্রতিফলিত করে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে একজন নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের ঘটনা পুরো অঞ্চলেই ঘটে এবং প্রতিটি দেশেরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ সে দায়িত্ব পালন করছে এবং অন্যদেরও একইভাবে কাজ করা উচিত।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ‘অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র সেনা’র ব্যানারে একদল উগ্র হিন্দু কর্মী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাউসের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে।

কিডনি নেওয়া দুজনের একজন শামীমা আক্তার (৩৭) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এবং অন্যজন মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কর্নিয়া নেওয়া দুজনের একজন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে, অন্যজন সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য-সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ ও ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকারের আমলেই সংবাদপত্রশিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫-১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ ও ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’
বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনো আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহত রেখেছি। তাতে কোনো প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকদ্দমার ভয়—এমন ঘটনা ঘটেনি।’
মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্কবিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিল। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না—সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামী দিনে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরও অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’
দেশে একটা রাজনৈতিকশূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সব সময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এ ক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি ও দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মতিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না—আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে মতিউর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত-নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের ও গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এ জন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সব সময় এটা বলে এসেছি। আমি সব সময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে—সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েক দিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’
আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরও কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারা দেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনো রকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন—এটাই একমাত্র সমাধান।’
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য-সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ ও ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকারের আমলেই সংবাদপত্রশিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫-১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ ও ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’
বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনো আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহত রেখেছি। তাতে কোনো প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকদ্দমার ভয়—এমন ঘটনা ঘটেনি।’
মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্কবিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিল। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না—সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামী দিনে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরও অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’
দেশে একটা রাজনৈতিকশূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সব সময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এ ক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি ও দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মতিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না—আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে মতিউর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত-নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের ও গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এ জন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সব সময় এটা বলে এসেছি। আমি সব সময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে—সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েক দিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’
আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরও কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারা দেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনো রকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন—এটাই একমাত্র সমাধান।’
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য-সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

কিডনি নেওয়া দুজনের একজন শামীমা আক্তার (৩৭) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এবং অন্যজন মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কর্নিয়া নেওয়া দুজনের একজন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে, অন্যজন সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
৪১ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’
মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’
সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’
মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’
সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

কিডনি নেওয়া দুজনের একজন শামীমা আক্তার (৩৭) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এবং অন্যজন মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে কর্নিয়া নেওয়া দুজনের একজন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে, অন্যজন সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
৪১ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য-সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগোতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১ ঘণ্টা আগে