
নৌ-পর্যটনকে উৎসাহিত করতে গত শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম নদী-ভিত্তিক নৌবিহারের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলাসবহুল প্রমোদতরী নাম এমভি গঙ্গা বিলাস। ভারত-বাংলাদেশের ২৭টি নদী দিয়ে যাবে এই প্রমোদতরীটি। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে গঙ্গা নদীতে যাত্রা শুরু করে–বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নৌপথ পাড়ি দিয়ে–আবার ভারতের আসামে ডিব্রুগড়ে গিয়ে শেষ হবে এই নৌবিহার। এই যাত্রাপথের মোট দৈর্ঘ্য তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার। সময় লাগবে মোট ৫১ দিন।
নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
গাঙ্গেয় ডলফিন এদেশে স্থানীয়ভাবে ‘শুশুক’ নামে পরিচিত। দেশের প্রধান নদীগুলোতে এখন তাদের দেখা যায় কালেভদ্রে। চট্টগ্রামের হালদা নদী এবং পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীগুলোতে বিশ্বের মহাবিপন্ন প্রাণী মিঠাপানির গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক) ও ইরাবতি ডলফিনের আবাসস্থল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে গাঙ্গেয় ডলফিন বিলুপ্তির পথে। সে তুলনায় ভারতে এদের সংরক্ষণের উদ্যোগ বেশ জোরালো। রয়েছে ডলফিনের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল। বারাণসী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা ও গোমতি নদীর সঙ্গমস্থল। এখানে গভীর পানি ও শান্ত স্রোত বিপন্ন ডলফিন প্রজাতিটির জন্য নিরাপদ আবাস তৈরি করেছে। গত অক্টোবরে ভারতের বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এখানে বাচ্চসহ ডলফিনের একটি বড় ঝাঁক প্রত্যক্ষ করেন। তাদের ধারণা, দুই নদীর সঙ্গমস্থলে ৩৫-৫৯টি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে। অথচ যাত্রাপথে এদিক দিয়েই যাবে এমভি গঙ্গাবিলাস।
নৌবিহারের যাত্রাপথে মিঠাপানির স্তন্যপ্রায়ী এ প্রজাতিটির এধরনের একাধিক সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাস রয়েছে। এমন আরেকটি বিচরণক্ষেত্র হলো বিহারের ‘বিক্রমশীলা গাঙ্গেয় ডলফিন অভয়ারণ্য’।
দক্ষিণ এশিয়ায় মিঠা পানির ডলফিনের মাত্র দুটি প্রজাতি রয়েছে। এরই একটি হলো গাঙ্গেয় ডলফিন, প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম প্লাটানিস্টা গ্যাঞ্জেটিকা (Platanista gangetica)। আরেকটি প্রজাতি হলো সিন্ধু নদীর-প্লাটানিস্টা মাইনর (Platanista minor), এদের প্রাকৃতিক নিবাস পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের বিয়াস নদী। এরমধ্যে পানিদূষণ, অতিরিক্ত পানি উত্তোলন ও চোরাশিকারের মতো নানান হুমকির মুখে রয়েছে গাঙ্গেয় ডলফিন। জেলেদের জালে জড়িয়েও অনেক সময় তাদের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে তাদের স্থানীয়রা অহেতুক হত্যা করে।
একারণে পরিবেশবাদীরা মনে করেন, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাসগুলোকে রক্ষা করা এই প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য।
পরিবেশবিদ রবীন্দ্র কুমার সিনহা জানান, তার প্রচেষ্টায় নব্বইয়ের দশকে ভারত সরকার এ প্রজাতির ডলফিনকে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করে। সম্প্রতি নদীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যাও বাড়ছিল। গঙ্গায় ৩ হাজারের বেশি এবং ব্রহ্মপুত্রে অন্তত ৫০০ ডলফিন থাকার কথা।
রবীন্দ্র কুমার বলছেন, বর্তমানে একাধিক হুমকির মুখে রয়েছে এ ডলফিন। তার ওপর নৌবিহারের এ আয়োজন হবে আরো বিপজ্জনক।
রবীন্দ্র কুমার আরও জানান, সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতে সংখ্যায় বেড়েছিল গাঙ্গেয় ডলফিনেরা। পাশাপাশি পানি দূষণ কমানোর প্রচেষ্টাও এর পেছনে অবদান রাখে। বর্তমানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রে তাদের জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজার ২০০ এবং ৫০০টি। কিন্তু, নৌবিহার পর্যটন এই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
জানা যায়, পানিতে শব্দকম্পন ব্যবহার করে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ, মাছ শিকার ইত্যাদি করে ডলফিন। ফলে তাদের জীবনপ্রক্রিয়া খুবই শব্দ-সংবেদনশীল।
এ বিষয়ে রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, ‘প্রমোদতরী চলাচলের ফলে উৎপন্ন শব্দে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের ওপর। কারণ, তারা খুবই শব্দ-সংবেদনশীল প্রাণী।’
‘অন্তরা ক্রুজ’ নামক প্রতিষ্ঠান এমভি গঙ্গাবিলাস প্রমোদতরীর পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ডিরেক্টর কাশিফ সিদ্দিকী জানান, এমভি গঙ্গাবিলাস এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, আগামী দুই বছরের জন্য সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
কাশিফ সিদ্দিকী দাবি করে বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধিমালা মেনে সব ধরনের পরিবেশত সতর্কতা পালন করছি।’
গঙ্গার ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১ এবং ব্রহ্মপুত্রে ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-২ নদীপথে প্রায় ১০০টি প্রমোদতরী সেবা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে ভারত সরকার।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, এই হারে নৌপর্যটন বাড়লে, নদীর প্রাকৃতিক বাস্তসংস্থানের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

নৌ-পর্যটনকে উৎসাহিত করতে গত শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম নদী-ভিত্তিক নৌবিহারের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলাসবহুল প্রমোদতরী নাম এমভি গঙ্গা বিলাস। ভারত-বাংলাদেশের ২৭টি নদী দিয়ে যাবে এই প্রমোদতরীটি। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে গঙ্গা নদীতে যাত্রা শুরু করে–বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নৌপথ পাড়ি দিয়ে–আবার ভারতের আসামে ডিব্রুগড়ে গিয়ে শেষ হবে এই নৌবিহার। এই যাত্রাপথের মোট দৈর্ঘ্য তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার। সময় লাগবে মোট ৫১ দিন।
নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
গাঙ্গেয় ডলফিন এদেশে স্থানীয়ভাবে ‘শুশুক’ নামে পরিচিত। দেশের প্রধান নদীগুলোতে এখন তাদের দেখা যায় কালেভদ্রে। চট্টগ্রামের হালদা নদী এবং পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীগুলোতে বিশ্বের মহাবিপন্ন প্রাণী মিঠাপানির গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক) ও ইরাবতি ডলফিনের আবাসস্থল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে গাঙ্গেয় ডলফিন বিলুপ্তির পথে। সে তুলনায় ভারতে এদের সংরক্ষণের উদ্যোগ বেশ জোরালো। রয়েছে ডলফিনের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল। বারাণসী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা ও গোমতি নদীর সঙ্গমস্থল। এখানে গভীর পানি ও শান্ত স্রোত বিপন্ন ডলফিন প্রজাতিটির জন্য নিরাপদ আবাস তৈরি করেছে। গত অক্টোবরে ভারতের বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এখানে বাচ্চসহ ডলফিনের একটি বড় ঝাঁক প্রত্যক্ষ করেন। তাদের ধারণা, দুই নদীর সঙ্গমস্থলে ৩৫-৫৯টি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে। অথচ যাত্রাপথে এদিক দিয়েই যাবে এমভি গঙ্গাবিলাস।
নৌবিহারের যাত্রাপথে মিঠাপানির স্তন্যপ্রায়ী এ প্রজাতিটির এধরনের একাধিক সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাস রয়েছে। এমন আরেকটি বিচরণক্ষেত্র হলো বিহারের ‘বিক্রমশীলা গাঙ্গেয় ডলফিন অভয়ারণ্য’।
দক্ষিণ এশিয়ায় মিঠা পানির ডলফিনের মাত্র দুটি প্রজাতি রয়েছে। এরই একটি হলো গাঙ্গেয় ডলফিন, প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম প্লাটানিস্টা গ্যাঞ্জেটিকা (Platanista gangetica)। আরেকটি প্রজাতি হলো সিন্ধু নদীর-প্লাটানিস্টা মাইনর (Platanista minor), এদের প্রাকৃতিক নিবাস পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের বিয়াস নদী। এরমধ্যে পানিদূষণ, অতিরিক্ত পানি উত্তোলন ও চোরাশিকারের মতো নানান হুমকির মুখে রয়েছে গাঙ্গেয় ডলফিন। জেলেদের জালে জড়িয়েও অনেক সময় তাদের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে তাদের স্থানীয়রা অহেতুক হত্যা করে।
একারণে পরিবেশবাদীরা মনে করেন, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাসগুলোকে রক্ষা করা এই প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য।
পরিবেশবিদ রবীন্দ্র কুমার সিনহা জানান, তার প্রচেষ্টায় নব্বইয়ের দশকে ভারত সরকার এ প্রজাতির ডলফিনকে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করে। সম্প্রতি নদীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যাও বাড়ছিল। গঙ্গায় ৩ হাজারের বেশি এবং ব্রহ্মপুত্রে অন্তত ৫০০ ডলফিন থাকার কথা।
রবীন্দ্র কুমার বলছেন, বর্তমানে একাধিক হুমকির মুখে রয়েছে এ ডলফিন। তার ওপর নৌবিহারের এ আয়োজন হবে আরো বিপজ্জনক।
রবীন্দ্র কুমার আরও জানান, সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতে সংখ্যায় বেড়েছিল গাঙ্গেয় ডলফিনেরা। পাশাপাশি পানি দূষণ কমানোর প্রচেষ্টাও এর পেছনে অবদান রাখে। বর্তমানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রে তাদের জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজার ২০০ এবং ৫০০টি। কিন্তু, নৌবিহার পর্যটন এই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
জানা যায়, পানিতে শব্দকম্পন ব্যবহার করে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ, মাছ শিকার ইত্যাদি করে ডলফিন। ফলে তাদের জীবনপ্রক্রিয়া খুবই শব্দ-সংবেদনশীল।
এ বিষয়ে রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, ‘প্রমোদতরী চলাচলের ফলে উৎপন্ন শব্দে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের ওপর। কারণ, তারা খুবই শব্দ-সংবেদনশীল প্রাণী।’
‘অন্তরা ক্রুজ’ নামক প্রতিষ্ঠান এমভি গঙ্গাবিলাস প্রমোদতরীর পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ডিরেক্টর কাশিফ সিদ্দিকী জানান, এমভি গঙ্গাবিলাস এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, আগামী দুই বছরের জন্য সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
কাশিফ সিদ্দিকী দাবি করে বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধিমালা মেনে সব ধরনের পরিবেশত সতর্কতা পালন করছি।’
গঙ্গার ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১ এবং ব্রহ্মপুত্রে ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-২ নদীপথে প্রায় ১০০টি প্রমোদতরী সেবা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে ভারত সরকার।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, এই হারে নৌপর্যটন বাড়লে, নদীর প্রাকৃতিক বাস্তসংস্থানের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

নৌ-পর্যটনকে উৎসাহিত করতে গত শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম নদী-ভিত্তিক নৌবিহারের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলাসবহুল প্রমোদতরী নাম এমভি গঙ্গা বিলাস। ভারত-বাংলাদেশের ২৭টি নদী দিয়ে যাবে এই প্রমোদতরীটি। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে গঙ্গা নদীতে যাত্রা শুরু করে–বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নৌপথ পাড়ি দিয়ে–আবার ভারতের আসামে ডিব্রুগড়ে গিয়ে শেষ হবে এই নৌবিহার। এই যাত্রাপথের মোট দৈর্ঘ্য তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার। সময় লাগবে মোট ৫১ দিন।
নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
গাঙ্গেয় ডলফিন এদেশে স্থানীয়ভাবে ‘শুশুক’ নামে পরিচিত। দেশের প্রধান নদীগুলোতে এখন তাদের দেখা যায় কালেভদ্রে। চট্টগ্রামের হালদা নদী এবং পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীগুলোতে বিশ্বের মহাবিপন্ন প্রাণী মিঠাপানির গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক) ও ইরাবতি ডলফিনের আবাসস্থল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে গাঙ্গেয় ডলফিন বিলুপ্তির পথে। সে তুলনায় ভারতে এদের সংরক্ষণের উদ্যোগ বেশ জোরালো। রয়েছে ডলফিনের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল। বারাণসী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা ও গোমতি নদীর সঙ্গমস্থল। এখানে গভীর পানি ও শান্ত স্রোত বিপন্ন ডলফিন প্রজাতিটির জন্য নিরাপদ আবাস তৈরি করেছে। গত অক্টোবরে ভারতের বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এখানে বাচ্চসহ ডলফিনের একটি বড় ঝাঁক প্রত্যক্ষ করেন। তাদের ধারণা, দুই নদীর সঙ্গমস্থলে ৩৫-৫৯টি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে। অথচ যাত্রাপথে এদিক দিয়েই যাবে এমভি গঙ্গাবিলাস।
নৌবিহারের যাত্রাপথে মিঠাপানির স্তন্যপ্রায়ী এ প্রজাতিটির এধরনের একাধিক সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাস রয়েছে। এমন আরেকটি বিচরণক্ষেত্র হলো বিহারের ‘বিক্রমশীলা গাঙ্গেয় ডলফিন অভয়ারণ্য’।
দক্ষিণ এশিয়ায় মিঠা পানির ডলফিনের মাত্র দুটি প্রজাতি রয়েছে। এরই একটি হলো গাঙ্গেয় ডলফিন, প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম প্লাটানিস্টা গ্যাঞ্জেটিকা (Platanista gangetica)। আরেকটি প্রজাতি হলো সিন্ধু নদীর-প্লাটানিস্টা মাইনর (Platanista minor), এদের প্রাকৃতিক নিবাস পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের বিয়াস নদী। এরমধ্যে পানিদূষণ, অতিরিক্ত পানি উত্তোলন ও চোরাশিকারের মতো নানান হুমকির মুখে রয়েছে গাঙ্গেয় ডলফিন। জেলেদের জালে জড়িয়েও অনেক সময় তাদের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে তাদের স্থানীয়রা অহেতুক হত্যা করে।
একারণে পরিবেশবাদীরা মনে করেন, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাসগুলোকে রক্ষা করা এই প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য।
পরিবেশবিদ রবীন্দ্র কুমার সিনহা জানান, তার প্রচেষ্টায় নব্বইয়ের দশকে ভারত সরকার এ প্রজাতির ডলফিনকে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করে। সম্প্রতি নদীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যাও বাড়ছিল। গঙ্গায় ৩ হাজারের বেশি এবং ব্রহ্মপুত্রে অন্তত ৫০০ ডলফিন থাকার কথা।
রবীন্দ্র কুমার বলছেন, বর্তমানে একাধিক হুমকির মুখে রয়েছে এ ডলফিন। তার ওপর নৌবিহারের এ আয়োজন হবে আরো বিপজ্জনক।
রবীন্দ্র কুমার আরও জানান, সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতে সংখ্যায় বেড়েছিল গাঙ্গেয় ডলফিনেরা। পাশাপাশি পানি দূষণ কমানোর প্রচেষ্টাও এর পেছনে অবদান রাখে। বর্তমানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রে তাদের জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজার ২০০ এবং ৫০০টি। কিন্তু, নৌবিহার পর্যটন এই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
জানা যায়, পানিতে শব্দকম্পন ব্যবহার করে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ, মাছ শিকার ইত্যাদি করে ডলফিন। ফলে তাদের জীবনপ্রক্রিয়া খুবই শব্দ-সংবেদনশীল।
এ বিষয়ে রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, ‘প্রমোদতরী চলাচলের ফলে উৎপন্ন শব্দে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের ওপর। কারণ, তারা খুবই শব্দ-সংবেদনশীল প্রাণী।’
‘অন্তরা ক্রুজ’ নামক প্রতিষ্ঠান এমভি গঙ্গাবিলাস প্রমোদতরীর পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ডিরেক্টর কাশিফ সিদ্দিকী জানান, এমভি গঙ্গাবিলাস এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, আগামী দুই বছরের জন্য সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
কাশিফ সিদ্দিকী দাবি করে বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধিমালা মেনে সব ধরনের পরিবেশত সতর্কতা পালন করছি।’
গঙ্গার ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১ এবং ব্রহ্মপুত্রে ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-২ নদীপথে প্রায় ১০০টি প্রমোদতরী সেবা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে ভারত সরকার।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, এই হারে নৌপর্যটন বাড়লে, নদীর প্রাকৃতিক বাস্তসংস্থানের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

নৌ-পর্যটনকে উৎসাহিত করতে গত শুক্রবার বিশ্বের দীর্ঘতম নদী-ভিত্তিক নৌবিহারের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলাসবহুল প্রমোদতরী নাম এমভি গঙ্গা বিলাস। ভারত-বাংলাদেশের ২৭টি নদী দিয়ে যাবে এই প্রমোদতরীটি। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে গঙ্গা নদীতে যাত্রা শুরু করে–বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নৌপথ পাড়ি দিয়ে–আবার ভারতের আসামে ডিব্রুগড়ে গিয়ে শেষ হবে এই নৌবিহার। এই যাত্রাপথের মোট দৈর্ঘ্য তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার। সময় লাগবে মোট ৫১ দিন।
নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
গাঙ্গেয় ডলফিন এদেশে স্থানীয়ভাবে ‘শুশুক’ নামে পরিচিত। দেশের প্রধান নদীগুলোতে এখন তাদের দেখা যায় কালেভদ্রে। চট্টগ্রামের হালদা নদী এবং পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীগুলোতে বিশ্বের মহাবিপন্ন প্রাণী মিঠাপানির গাঙ্গেয় ডলফিন (শুশুক) ও ইরাবতি ডলফিনের আবাসস্থল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে গাঙ্গেয় ডলফিন বিলুপ্তির পথে। সে তুলনায় ভারতে এদের সংরক্ষণের উদ্যোগ বেশ জোরালো। রয়েছে ডলফিনের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল। বারাণসী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা ও গোমতি নদীর সঙ্গমস্থল। এখানে গভীর পানি ও শান্ত স্রোত বিপন্ন ডলফিন প্রজাতিটির জন্য নিরাপদ আবাস তৈরি করেছে। গত অক্টোবরে ভারতের বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এখানে বাচ্চসহ ডলফিনের একটি বড় ঝাঁক প্রত্যক্ষ করেন। তাদের ধারণা, দুই নদীর সঙ্গমস্থলে ৩৫-৫৯টি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে। অথচ যাত্রাপথে এদিক দিয়েই যাবে এমভি গঙ্গাবিলাস।
নৌবিহারের যাত্রাপথে মিঠাপানির স্তন্যপ্রায়ী এ প্রজাতিটির এধরনের একাধিক সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাস রয়েছে। এমন আরেকটি বিচরণক্ষেত্র হলো বিহারের ‘বিক্রমশীলা গাঙ্গেয় ডলফিন অভয়ারণ্য’।
দক্ষিণ এশিয়ায় মিঠা পানির ডলফিনের মাত্র দুটি প্রজাতি রয়েছে। এরই একটি হলো গাঙ্গেয় ডলফিন, প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম প্লাটানিস্টা গ্যাঞ্জেটিকা (Platanista gangetica)। আরেকটি প্রজাতি হলো সিন্ধু নদীর-প্লাটানিস্টা মাইনর (Platanista minor), এদের প্রাকৃতিক নিবাস পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের বিয়াস নদী। এরমধ্যে পানিদূষণ, অতিরিক্ত পানি উত্তোলন ও চোরাশিকারের মতো নানান হুমকির মুখে রয়েছে গাঙ্গেয় ডলফিন। জেলেদের জালে জড়িয়েও অনেক সময় তাদের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে তাদের স্থানীয়রা অহেতুক হত্যা করে।
একারণে পরিবেশবাদীরা মনে করেন, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক আবাসগুলোকে রক্ষা করা এই প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য।
পরিবেশবিদ রবীন্দ্র কুমার সিনহা জানান, তার প্রচেষ্টায় নব্বইয়ের দশকে ভারত সরকার এ প্রজাতির ডলফিনকে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করে। সম্প্রতি নদীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যাও বাড়ছিল। গঙ্গায় ৩ হাজারের বেশি এবং ব্রহ্মপুত্রে অন্তত ৫০০ ডলফিন থাকার কথা।
রবীন্দ্র কুমার বলছেন, বর্তমানে একাধিক হুমকির মুখে রয়েছে এ ডলফিন। তার ওপর নৌবিহারের এ আয়োজন হবে আরো বিপজ্জনক।
রবীন্দ্র কুমার আরও জানান, সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতে সংখ্যায় বেড়েছিল গাঙ্গেয় ডলফিনেরা। পাশাপাশি পানি দূষণ কমানোর প্রচেষ্টাও এর পেছনে অবদান রাখে। বর্তমানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রে তাদের জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজার ২০০ এবং ৫০০টি। কিন্তু, নৌবিহার পর্যটন এই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
জানা যায়, পানিতে শব্দকম্পন ব্যবহার করে একে-অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ, মাছ শিকার ইত্যাদি করে ডলফিন। ফলে তাদের জীবনপ্রক্রিয়া খুবই শব্দ-সংবেদনশীল।
এ বিষয়ে রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, ‘প্রমোদতরী চলাচলের ফলে উৎপন্ন শব্দে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের ওপর। কারণ, তারা খুবই শব্দ-সংবেদনশীল প্রাণী।’
‘অন্তরা ক্রুজ’ নামক প্রতিষ্ঠান এমভি গঙ্গাবিলাস প্রমোদতরীর পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ডিরেক্টর কাশিফ সিদ্দিকী জানান, এমভি গঙ্গাবিলাস এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, আগামী দুই বছরের জন্য সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
কাশিফ সিদ্দিকী দাবি করে বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধিমালা মেনে সব ধরনের পরিবেশত সতর্কতা পালন করছি।’
গঙ্গার ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১ এবং ব্রহ্মপুত্রে ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-২ নদীপথে প্রায় ১০০টি প্রমোদতরী সেবা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে ভারত সরকার।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, এই হারে নৌপর্যটন বাড়লে, নদীর প্রাকৃতিক বাস্তসংস্থানের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
৩ মিনিট আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
৩ মিনিট আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
৩ মিনিট আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

নরেন্দ্র মোদি এমভি গঙ্গা বিলাসকে ভারতের পর্যটন খাতের মাইলফলক বললেও পরিবেশবিদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদেরা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নদী-ভিত্তিক এই পর্যটনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপন্ন গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রাকৃতিক আবাস।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
৩ মিনিট আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে