Ajker Patrika

বাংলাদেশের এলএনজির চালান ‘মাঝপথে ঘুরে যাচ্ছে’ ইউরোপে

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১৮: ০৪
বাংলাদেশের এলএনজির চালান ‘মাঝপথে ঘুরে যাচ্ছে’ ইউরোপে

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।

এর ফলে স্পট মার্কেটে এলএনজির চালান কেনায় ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশ্ব পণ্যবাজার নিয়ে বুধবার প্রকাশিত ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক’ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে বিশ্বের অন্য সব মুদ্রার রেকর্ড দরপতনের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সরকারের হিসাবে বাংলাদেশের মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৬২ শতাংশই প্রাকৃতিক গ্যাস, যার মধ্যে ৮ শতাংশ চাহিদা আমদানি করা এলপিজি দিয়ে মেটানো হয়। বাকি ৩৮ শতাংশ জ্বালানি চাহিদার বেশির ভাগটা আমদানি করা তেল দিয়ে মেটানো হয়।

এর বাইরে জ্বালানির উৎস হিসেবে দেশে কয়লার বড় মজুত থাকলেও তার উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কম। অন্যদিকে তরল গ্যাসের মজুত খুব বেশি না হলেও প্রাপ্ত উৎসের মধ্যে এর উৎপাদন ও ব্যবহারই বেশি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের মতো অন্যান্য বিকল্পের ব্যবহার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তবে জাপান ও কোরিয়ার মতো বড় এলএনজি আমদানিকারকেরা তাদের বেশির ভাগ এলএনজি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কিনে থাকে। এর ফলে স্পট মার্কেটে দাম বাড়লে এরা বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

তবে এ দুটি দেশই প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সরে গিয়ে জ্বালানি ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে চায়। এজন্য তারা পরমাণু শক্তি পুনর্ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করছে। মেরিন ট্রাফিকের হিসাবে, এখন ৬০টি ট্যাংকার বা বিশ্বের এলএনজি নৌযানের ১০ শতাংশ এখন উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ, ভূমধ্যসাগর, ইবেরিয়ান উপদ্বীপ এলাকায় চলাচল করছে বা নোঙর করে আছে।

 ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় শীতের আগে ইউরোপের জ্বালানির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। সে কারণে এলএনজি ট্যাংকারগুলো সেদিকে ছুটছে। চাহিদার চেয়ে সংরক্ষণক্ষমতা কম থাকায় সেগুলোকে জলরাশিতেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে।

বৈশ্বিক পণ্যবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম এমনভাবে হুহু করে বাড়ছে যে এসব দেশের চলমান খাদ্য ও জ্বালানির সংকটকে তা তীব্রতর করতে পারে।

আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির হিসাবে, ঘনিয়ে আসা মন্দার শঙ্কার মধ্যে ডলারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম চূড়ায় উঠেও সম্প্রতি কিছুটা কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডলারে অপরিশোধিত তেল ব্রেন্টের দর প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। তবু আমদানিকারক ও উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় মুদ্রায় তেলের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। একইভাবে গমের দামেও ব্যাপক উচ্চমূল্যের মুখোমুখি হয়েছে এসব দেশের ৯০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যের উচ্চমূল্য বাড়িয়েছে খাদ্যের দাম। ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ২০ শতাংশের বেশি, যা বিশ্বে অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপ, মধ্য এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরই একমাত্র অঞ্চল, যেখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কম ছিল। এর জন্য চালের দামের স্থিতিশীলতাকে মূল অবদান হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

বিশ্বব্যাংকের সুষম প্রবৃদ্ধি, অর্থ ও প্রতিষ্ঠান বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলো সাভেদ্রা এক বিবৃতিতে বলেন, পণ্যের দাম যতটুকু কমেছে, তা হিসাবে ধরেও গত পাঁচ বছরে গড় মূল্য স্তরের চেয়ে অনেক বেশি। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্যের সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।

‘আর তাই অবাধ খাদ্য সরবরাহ ও সুষম বিতরণ এবং মানুষের প্রকৃত আয়ে সহায়তা বা ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য একগুচ্ছ নীতিমালার জরুরি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানির দামে বেশ অস্থিরতা ছিল। তবে ধীরে ধীরে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরে জ্বালানির দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে তা প্রায় ১১ শতাংশ কমবে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে এই কমার পরও জ্বালানির দাম গত পাঁচ বছরের চেয়ে গড়ে ৭৫ শতাংশ বেশি থাকবে।

২০২৩ সালে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৯২ ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা পাঁচ বছরের গড় দামের চেয়েও বেশি। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার দামও কমার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে অস্ট্রেলীয় কয়লা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বিগত পাঁচ বছরের গড় দামের দ্বিগুণ হবে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় চার গুণ বেশি হতে পারে।

কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক তৈরির দায়িত্বে থাকা বিশ্বব্যাংকের প্রসপেক্ট গ্রুপ ডিরেক্টর আয়হান কোস বলেন, পণ্যের উচ্চমূল্য এবং ক্রমাগত মুদ্রার অবমূল্যায়ন অনেক দেশকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তবে কয়েক দশকের সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির এই চক্রের লাগাম হাতে রাখতে নতুন বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের খুব বেশি কিছু করার নেই বলে তিনি মনে করেন।

আয়হান কোস বলেন, ‘খুব সর্তকতার সঙ্গে মুদ্রা ও আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করে পরিকল্পনাগুলো সুস্পষ্টভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হাবে তাঁদের। পাশাপাশি বৈশ্বিক আর্থিক ও পণ্য বাজারে আরও উচ্চ অস্থির সময় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’

কৃষিপণ্যের দাম আগামী বছর ৫ শতাংশ কমার আশা করা হচ্ছে। আর গমের দাম এ বছর তৃতীয় প্রান্তিকে ২০ শতাংশ কমেও এক বছর আগের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট জন ব্যাফেস বলেন, কৃষিপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস কতগুলো ঝুঁকি ওপর নির্ভর করবে। প্রথমত, ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে রপ্তানিতে ব্যাঘাত আবারও বিশ্বব্যাপী শস্য সরবরাহে বাধা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, জ্বালানির দামের চরম বৃদ্ধি শস্য ও ভোজ্যতেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয়ত, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কমতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিষয়:

দামসোনা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেভরনের সহায়তায় সিলেটে ৬০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শেভরন-এসএমআইএল প্রকল্পে ৬০ প্রতিবন্ধীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
শেভরন-এসএমআইএল প্রকল্পে ৬০ প্রতিবন্ধীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’

শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’

সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’

করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।

গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

‘নিরাপত্তার’ কারণে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীর

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ধানমন্ডি ৩২-এ ভাসানী, সিরাজ সিকদার, হাদির ছবি টানালেন জুলাই যোদ্ধারা

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত