মহিউদ্দিন খান মোহন

ফোনকলটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন শুনতে পেলাম, দাদা, যত গর্জে তত বর্ষে কি? বললাম, প্রবাদে তো আছে, যত গর্জে, তত বর্ষে না’। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্নের কারণ? ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন, আজকের খবরের কাগজ পড়েন নাই? দ্যাখেন নাই বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস কী বলেছেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ দেখেছি।’ তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমরা ঢাকার অলিতে-গলিতে মিছিল-মিটিং করব। আপনাদের ঠেকানোর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। দেখব আপনাদের পুলিশ কজন আছে আর আমাদের কর্মী কজন আছে।’ আমি ভদ্রলোকের উষ্মা উপশম করার জন্য বললাম, ‘ঠিকই তো বলেছেন মির্জা আব্বাস। তাঁরা যদি ঢাকার অলিগলিতে মিছিল করেন, তাহলে পুলিশ তা ঠেকাবে কেমন করে?’ ওপাশের ভদ্রলোক বিএনপির সমর্থক এবং আমার পরিচিত। তিনি এবার আমার ওপর খেপে গিয়ে বললেন, ‘আপনি দেখছি আসল বিষয়টার ধারেকাছেও যেতে পারেননি। আরে ভাই, ওনারা ঢাকার অলিগলিতে মিছিলের ভয় কেন দেখায় জানেন? রাজপথে মিছিল করার সাহস নাই, সেই জন্য। আসলে মির্জা আব্বাস ব্যর্থতার আগাম কৈফিয়ত দিয়ে রাখলেন। কারণ, তিনি জানেন, তাঁরা রাজপথে বড় কোনো মিছিল করতে পারবেন না, অলিগলিতে টুকরো মিছিল করেই “সফল কর্মসূচি” সম্পন্ন করবেন।’ বলেই পুট করে লাইনটা কেটে দিলেন ভদ্রলোক। টেবিলে থাকা ‘আজকের পত্রিকা’র ১৩ সেপ্টেম্বরের সংখ্যাটি টেনে নিয়ে খবরটি আবার পড়লাম। ওই খবরে লেখা আছে, ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলীয় এক সমাবেশে মির্জা আব্বাস কথাগুলো বলেছেন। খবরটি পড়ে এর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করলাম আমার অনুজপ্রতিম এক যুবদল নেতাকে। এখানে বলে নেওয়া দরকার, বিএনপির সঙ্গে আমার এখন কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দলটির অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কটা রয়ে গেছে। ওই যুবনেতা যা বলল, তা শুনে আমি হতবাক। ক্ষোভের আগুনের হলকা বেরিয়ে এল তার মুখ থেকে। বলল, ‘বড় ভাই, এদের এসব গালগপ্পো আমরা আর বিশ্বাস করি না। এরা ঘরোয়া আন্দোলনকারী। রাজপথে নামার মুরোদ নাই, তাই ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে বসে হুংকার ছাড়ে। আমি
এদের এখন বলি নখদন্তহীন বাঘ। এদের কথায় বহু কর্মী রাস্তায় নেমে আজ ঘরছাড়া, সহায়-সম্বলহীন। কেউ কেউ গরাদের অন্তরালে কাটাচ্ছে দুঃসহ দিন। আন্দোলন যে এরা কতটা করতে পারবে, তা আপনিও যেমন জানেন, আমিও তেমনি জানি।’
বিএনপির কর্মী-সমর্থক ওই দুজনের কথা থেকে নেতাদের প্রতি তাঁদের আস্থার পরিমাপ করা যায়। আন্দোলন প্রশ্নে দলটির নেতা-কর্মীরা যে হতাশায় ভুগছেন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। আর তা হবেই-বা না কেন? ১০-১২ বছর ধরে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলনের যে বায়বীয় আস্ফালন বিএনপির নেতারা করে চলেছেন, তা এখন সাধারণ্যে হাস্যরসের উপাদানে পরিণত হয়েছে; বিশেষ করে ‘ঈদের পরে’ শব্দ দুটি এখন উপহাসের উপমা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেই কবে থেকে বিএনপির নেতারা ‘ঈদের পরে’ আন্দোলন তুঙ্গে তোলার ঘোষণা দিয়ে আসছেন! তারপর কত ঈদ এল-গেল, কিন্তু আন্দোলনের দেখা মিলল না। এ নিয়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেই তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেন, ‘আন্দোলন? ওটা তো ঈদের পরে হবে।’ আমার এলাকার বিএনপির জুনিয়র এক নেতা একদিন আফসোস করে বলছিলেন, ‘যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে একটি গণমিছিল করতে পারে না, সেই দল করবে আন্দোলন, আর আমরাও তা চর্মচক্ষে দর্শন করব!’
বিএনপির নেত্রী কারাগারে গেছেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সাড়ে চার বছর ধরে তিনি বন্দী। তাঁকে কারাগারে নেওয়ার আগে বিএনপির স্লোগান ছিল, ‘আমার নেত্রী আমার মা, জেলে যেতে দেব না’। তিনি যখন কারান্তরীণ হলেন, কথা কিয়ৎ পরিবর্তন করে তাঁরা স্লোগান দিলেন, ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী থাকতে দিব না’। তাঁদের সেই স্লোগানকে অসার প্রমাণ করে খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের সময় ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। যদিও তাঁর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি কারাগারের পরিবর্তে নিজ বাসায় অবস্থান করতে পারছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাকে আমি বলেছিলাম, আপনারা নেত্রীর মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছা কারাবরণের একটি কর্মসূচি দিন। পুলিশ তো আপনাদের গ্রেপ্তার করেই। তাহলে আর ভয় কী? বলা নিষ্প্রয়োজন, তাঁরা কেউই খুব একটা উৎসাহ দেখাননি।
অনেক দিন পরে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, নেত্রীকে মুক্তি না দিলে প্রয়োজনে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। ব্যস, ওই পর্যন্তই।
তাঁরা সেই কর্মসূচি দেননি। বিএনপির ভাব-চক্কর দেখে মনে হয় না তাঁরা চান খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এ নিয়ে একদিন কথা হচ্ছিল বিএনপির এক শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে। তিনি বললেন, এখন খালেদা জিয়ার অবস্থা হয়েছে সংসারের চলনশক্তিহীন বৃদ্ধা মা-শাশুড়ির মতো। কেউ কেউ তাঁকে ঝামেলা মনে করে। তিনি জেলে আছেন—এই তো ভালো। তিনি যদি জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন, তাহলে দলের চেয়ারপারসন হিসেবে তাঁর কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। তাতে কারও কারও নেতৃত্ব খোয়া যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তার চেয়ে এই ভালো। তিনি জেলেই রইলেন আর বিএনপির নেতারা ‘রামায়ণের ভরতের মতো রামের জুতা সিংহাসনে রেখে’ রাজত্ব করলেন। অবস্থাদৃষ্টে ভদ্রলোকের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিতে পারিনি।
এসব ভাবতে ভাবতে পুরোনো কিছু কথা মনে পড়ে গেল। ২০১৩ সালের শেষ দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক জনসভায় মির্জা আব্বাস পুলিশের আইজিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আইজি সাহেব, আপনি আপনার বুলেট গুনে রাখবেন। দেখি কত গুলি চালাতে পারেন। আমরা রাজপথে থাকব।’ কথা রাখেননি মির্জা আব্বাস। রাজধানীতে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে তাঁকে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি যে ম্যারাথন আন্দোলন করেছিল, সেই আন্দোলনে এক দিনের জন্যও মির্জা আব্বাসকে রাজপথে দেখা যায়নি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। তারপর মুখ রক্ষার জন্য একদিন তিনি কয়েক মিনিটের জন্য শাহজাহানপুরের এক গলিতে বেরিয়েছিলেন ক্ষুদ্র একটি মিছিলের সঙ্গে। না, কারও সমালোচনা করে কাউকে খাটো করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তা ছাড়া, বিএনপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কও এখন নেই। অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তারপরও কথা বলার কারণ হলো, খারাপ লাগে। বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল, যেটির লাখ লাখ কর্মী, কোটি কোটি সমর্থক রয়েছে, সেই দল শীর্ষ নেত্রীর মুক্তির দাবিতে ঘোষণা দিয়ে একটি বড় মিছিল-সমাবেশ রাজধানীতে করতে পারে না। এই ব্যর্থতা এরা ঢাকবে কোন চাদরে?
অবশ্য এটা ঠিক যে মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অনেক নেতা কথার ব্রেক ফেল করেন। আবেগের চোটে এমন অনেক কথা সবেগে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, যার বাস্তব রূপ হয়ে যায় অমাবস্যার চাঁদ। সবারই মনে থাকার কথা, ২০১৮-এর নির্বাচনের আগে ঘটা করে জন্ম নেওয়া ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’র (বর্তমানে মৃত) এক জনসভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। নতুন বছরের ২ জানুয়ারি আমি নিজে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসব।’ দুর্ভাগ্য, সেই নির্বাচনের ফলাফল পক্ষে আসেনি, আর কাদের সিদ্দিকী সাহেবও পরে আর জেলখানার ত্রিসীমানায় যাননি। ওই সময়েই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছিলেন, ‘জনগণ জেলখানার দেয়ালের ইট একটা একটা করে খুলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।’ কিন্তু শামসুজ্জামান দুদুকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে জেলখানার দিকে যেতে দেখা যায়নি।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘ইজি টু সে, বাট ডিফিকাল্ট টু ডু’। বলা সহজ, কিন্তু করা কঠিন। সরকারের কতজন পুলিশ আছে, তা হয়তো আমরা রাজপথে দেখব। কিন্তু পুলিশ মাঠে নামলে আব্বাস সাহেবসহ বিএনপির কর্মীদের আর দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে আমার মতো অভাজনদের ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে।
লেখক:মহিউদ্দিন খান মোহন, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

ফোনকলটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন শুনতে পেলাম, দাদা, যত গর্জে তত বর্ষে কি? বললাম, প্রবাদে তো আছে, যত গর্জে, তত বর্ষে না’। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্নের কারণ? ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন, আজকের খবরের কাগজ পড়েন নাই? দ্যাখেন নাই বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস কী বলেছেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ দেখেছি।’ তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমরা ঢাকার অলিতে-গলিতে মিছিল-মিটিং করব। আপনাদের ঠেকানোর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। দেখব আপনাদের পুলিশ কজন আছে আর আমাদের কর্মী কজন আছে।’ আমি ভদ্রলোকের উষ্মা উপশম করার জন্য বললাম, ‘ঠিকই তো বলেছেন মির্জা আব্বাস। তাঁরা যদি ঢাকার অলিগলিতে মিছিল করেন, তাহলে পুলিশ তা ঠেকাবে কেমন করে?’ ওপাশের ভদ্রলোক বিএনপির সমর্থক এবং আমার পরিচিত। তিনি এবার আমার ওপর খেপে গিয়ে বললেন, ‘আপনি দেখছি আসল বিষয়টার ধারেকাছেও যেতে পারেননি। আরে ভাই, ওনারা ঢাকার অলিগলিতে মিছিলের ভয় কেন দেখায় জানেন? রাজপথে মিছিল করার সাহস নাই, সেই জন্য। আসলে মির্জা আব্বাস ব্যর্থতার আগাম কৈফিয়ত দিয়ে রাখলেন। কারণ, তিনি জানেন, তাঁরা রাজপথে বড় কোনো মিছিল করতে পারবেন না, অলিগলিতে টুকরো মিছিল করেই “সফল কর্মসূচি” সম্পন্ন করবেন।’ বলেই পুট করে লাইনটা কেটে দিলেন ভদ্রলোক। টেবিলে থাকা ‘আজকের পত্রিকা’র ১৩ সেপ্টেম্বরের সংখ্যাটি টেনে নিয়ে খবরটি আবার পড়লাম। ওই খবরে লেখা আছে, ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলীয় এক সমাবেশে মির্জা আব্বাস কথাগুলো বলেছেন। খবরটি পড়ে এর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করলাম আমার অনুজপ্রতিম এক যুবদল নেতাকে। এখানে বলে নেওয়া দরকার, বিএনপির সঙ্গে আমার এখন কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দলটির অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কটা রয়ে গেছে। ওই যুবনেতা যা বলল, তা শুনে আমি হতবাক। ক্ষোভের আগুনের হলকা বেরিয়ে এল তার মুখ থেকে। বলল, ‘বড় ভাই, এদের এসব গালগপ্পো আমরা আর বিশ্বাস করি না। এরা ঘরোয়া আন্দোলনকারী। রাজপথে নামার মুরোদ নাই, তাই ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে বসে হুংকার ছাড়ে। আমি
এদের এখন বলি নখদন্তহীন বাঘ। এদের কথায় বহু কর্মী রাস্তায় নেমে আজ ঘরছাড়া, সহায়-সম্বলহীন। কেউ কেউ গরাদের অন্তরালে কাটাচ্ছে দুঃসহ দিন। আন্দোলন যে এরা কতটা করতে পারবে, তা আপনিও যেমন জানেন, আমিও তেমনি জানি।’
বিএনপির কর্মী-সমর্থক ওই দুজনের কথা থেকে নেতাদের প্রতি তাঁদের আস্থার পরিমাপ করা যায়। আন্দোলন প্রশ্নে দলটির নেতা-কর্মীরা যে হতাশায় ভুগছেন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। আর তা হবেই-বা না কেন? ১০-১২ বছর ধরে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলনের যে বায়বীয় আস্ফালন বিএনপির নেতারা করে চলেছেন, তা এখন সাধারণ্যে হাস্যরসের উপাদানে পরিণত হয়েছে; বিশেষ করে ‘ঈদের পরে’ শব্দ দুটি এখন উপহাসের উপমা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেই কবে থেকে বিএনপির নেতারা ‘ঈদের পরে’ আন্দোলন তুঙ্গে তোলার ঘোষণা দিয়ে আসছেন! তারপর কত ঈদ এল-গেল, কিন্তু আন্দোলনের দেখা মিলল না। এ নিয়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেই তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেন, ‘আন্দোলন? ওটা তো ঈদের পরে হবে।’ আমার এলাকার বিএনপির জুনিয়র এক নেতা একদিন আফসোস করে বলছিলেন, ‘যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে একটি গণমিছিল করতে পারে না, সেই দল করবে আন্দোলন, আর আমরাও তা চর্মচক্ষে দর্শন করব!’
বিএনপির নেত্রী কারাগারে গেছেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সাড়ে চার বছর ধরে তিনি বন্দী। তাঁকে কারাগারে নেওয়ার আগে বিএনপির স্লোগান ছিল, ‘আমার নেত্রী আমার মা, জেলে যেতে দেব না’। তিনি যখন কারান্তরীণ হলেন, কথা কিয়ৎ পরিবর্তন করে তাঁরা স্লোগান দিলেন, ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী থাকতে দিব না’। তাঁদের সেই স্লোগানকে অসার প্রমাণ করে খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের সময় ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। যদিও তাঁর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি কারাগারের পরিবর্তে নিজ বাসায় অবস্থান করতে পারছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাকে আমি বলেছিলাম, আপনারা নেত্রীর মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছা কারাবরণের একটি কর্মসূচি দিন। পুলিশ তো আপনাদের গ্রেপ্তার করেই। তাহলে আর ভয় কী? বলা নিষ্প্রয়োজন, তাঁরা কেউই খুব একটা উৎসাহ দেখাননি।
অনেক দিন পরে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, নেত্রীকে মুক্তি না দিলে প্রয়োজনে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। ব্যস, ওই পর্যন্তই।
তাঁরা সেই কর্মসূচি দেননি। বিএনপির ভাব-চক্কর দেখে মনে হয় না তাঁরা চান খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এ নিয়ে একদিন কথা হচ্ছিল বিএনপির এক শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে। তিনি বললেন, এখন খালেদা জিয়ার অবস্থা হয়েছে সংসারের চলনশক্তিহীন বৃদ্ধা মা-শাশুড়ির মতো। কেউ কেউ তাঁকে ঝামেলা মনে করে। তিনি জেলে আছেন—এই তো ভালো। তিনি যদি জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন, তাহলে দলের চেয়ারপারসন হিসেবে তাঁর কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। তাতে কারও কারও নেতৃত্ব খোয়া যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তার চেয়ে এই ভালো। তিনি জেলেই রইলেন আর বিএনপির নেতারা ‘রামায়ণের ভরতের মতো রামের জুতা সিংহাসনে রেখে’ রাজত্ব করলেন। অবস্থাদৃষ্টে ভদ্রলোকের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিতে পারিনি।
এসব ভাবতে ভাবতে পুরোনো কিছু কথা মনে পড়ে গেল। ২০১৩ সালের শেষ দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক জনসভায় মির্জা আব্বাস পুলিশের আইজিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আইজি সাহেব, আপনি আপনার বুলেট গুনে রাখবেন। দেখি কত গুলি চালাতে পারেন। আমরা রাজপথে থাকব।’ কথা রাখেননি মির্জা আব্বাস। রাজধানীতে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে তাঁকে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি যে ম্যারাথন আন্দোলন করেছিল, সেই আন্দোলনে এক দিনের জন্যও মির্জা আব্বাসকে রাজপথে দেখা যায়নি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। তারপর মুখ রক্ষার জন্য একদিন তিনি কয়েক মিনিটের জন্য শাহজাহানপুরের এক গলিতে বেরিয়েছিলেন ক্ষুদ্র একটি মিছিলের সঙ্গে। না, কারও সমালোচনা করে কাউকে খাটো করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তা ছাড়া, বিএনপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কও এখন নেই। অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তারপরও কথা বলার কারণ হলো, খারাপ লাগে। বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল, যেটির লাখ লাখ কর্মী, কোটি কোটি সমর্থক রয়েছে, সেই দল শীর্ষ নেত্রীর মুক্তির দাবিতে ঘোষণা দিয়ে একটি বড় মিছিল-সমাবেশ রাজধানীতে করতে পারে না। এই ব্যর্থতা এরা ঢাকবে কোন চাদরে?
অবশ্য এটা ঠিক যে মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অনেক নেতা কথার ব্রেক ফেল করেন। আবেগের চোটে এমন অনেক কথা সবেগে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, যার বাস্তব রূপ হয়ে যায় অমাবস্যার চাঁদ। সবারই মনে থাকার কথা, ২০১৮-এর নির্বাচনের আগে ঘটা করে জন্ম নেওয়া ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’র (বর্তমানে মৃত) এক জনসভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। নতুন বছরের ২ জানুয়ারি আমি নিজে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসব।’ দুর্ভাগ্য, সেই নির্বাচনের ফলাফল পক্ষে আসেনি, আর কাদের সিদ্দিকী সাহেবও পরে আর জেলখানার ত্রিসীমানায় যাননি। ওই সময়েই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছিলেন, ‘জনগণ জেলখানার দেয়ালের ইট একটা একটা করে খুলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।’ কিন্তু শামসুজ্জামান দুদুকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে জেলখানার দিকে যেতে দেখা যায়নি।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘ইজি টু সে, বাট ডিফিকাল্ট টু ডু’। বলা সহজ, কিন্তু করা কঠিন। সরকারের কতজন পুলিশ আছে, তা হয়তো আমরা রাজপথে দেখব। কিন্তু পুলিশ মাঠে নামলে আব্বাস সাহেবসহ বিএনপির কর্মীদের আর দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে আমার মতো অভাজনদের ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে।
লেখক:মহিউদ্দিন খান মোহন, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

ফোনকলটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন শুনতে পেলাম, দাদা, যত গর্জে তত বর্ষে কি? বললাম, প্রবাদে তো আছে, যত গর্জে, তত বর্ষে না’। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্নের কারণ? ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন, আজকের খবরের কাগজ পড়েন নাই? দ্যাখেন নাই বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস কী বলেছেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ দেখেছি।’ তিনি আওয়ামী
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

ফোনকলটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন শুনতে পেলাম, দাদা, যত গর্জে তত বর্ষে কি? বললাম, প্রবাদে তো আছে, যত গর্জে, তত বর্ষে না’। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্নের কারণ? ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন, আজকের খবরের কাগজ পড়েন নাই? দ্যাখেন নাই বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস কী বলেছেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ দেখেছি।’ তিনি আওয়ামী
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ফোনকলটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন শুনতে পেলাম, দাদা, যত গর্জে তত বর্ষে কি? বললাম, প্রবাদে তো আছে, যত গর্জে, তত বর্ষে না’। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্নের কারণ? ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন, আজকের খবরের কাগজ পড়েন নাই? দ্যাখেন নাই বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস কী বলেছেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ দেখেছি।’ তিনি আওয়ামী
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

ফোনকলটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন শুনতে পেলাম, দাদা, যত গর্জে তত বর্ষে কি? বললাম, প্রবাদে তো আছে, যত গর্জে, তত বর্ষে না’। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্নের কারণ? ভদ্রলোক বললেন, ‘কেন, আজকের খবরের কাগজ পড়েন নাই? দ্যাখেন নাই বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস কী বলেছেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ দেখেছি।’ তিনি আওয়ামী
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫