ফজলুল কবির

দেশের অর্থনীতি নিয়ে কতশত দুশ্চিন্তার কথা শোনা যায়। রাজনীতি নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বোঝা গেল রাজনীতি ও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ হাজারটা ইস্যু। কিন্তু এতসব কিছু থাকতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে দেখা গেল নারীর পোশাক নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়তে। প্রশ্ন হলো—এই সময়ে হঠাৎ করে নারীর পোশাক নিয়ে এত হল্লা কেন?
প্রথমেই বুঝে নেওয়া যাক, নারীর পোশাক নিয়ে আদতেই হল্লা হচ্ছে কি না। বিষয়টি বুঝতে হলে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার দিকে তাকাতে হবে। টিপ-কাণ্ডের কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। এর পরপরই ঘটেছে নরসিংদীর রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে এক তরুণীর হেনস্তা হওয়া এবং তা আদালত পর্যন্ত গড়ানোর ঘটনা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীর পোশাক নিয়ে যে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা দাঁড়ালেন, তা মূলত নরসিংদীর ঘটনায় আদালতের বলা কথার জেরেই। আর এই অবস্থানের পাল্টা হিসেবে কয়েক দিনের মাথায় রাজু ভাস্কর্যেই আবার জড়ো হলেন আরেক দল ঢাবি শিক্ষার্থী, যাঁরা সব ধরনের পোশাক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরই বহমানতা চান এবং এটি নারী প্রশ্নেই।
এই প্রতিটি ঘটনাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এই আলোচনায় নারীর পোশাক ঠিক করে দেওয়ার বিষয়ে একটি বড় অংশকেই একমত হতে দেখা গেল, যেখানে রয়েছে শিক্ষা-শ্রেণি ইত্যাদি বিচারে সমাজের নানা স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ। আজকের পত্রিকায় দ্বিতীয় অবস্থান, অর্থাৎ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি ভিডিও শেয়ার হওয়ার পর তার নিচের কমেন্টসগুলো ভীষণ রকম ভাবনার উদ্রেক করে। সেখানে প্রায় সবাইকে ওই শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তার পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়। খেয়াল করুন—সেখানে কিন্তু ছেলে শিক্ষার্থীও ছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই। বেছে বেছে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার নানা উপায় নিয়ে তাঁদের আলোচনায় মশগুল হতে দেখা গেল। দুয়েকজন যাঁরা এ ধরনের বক্তব্যের বিরোধিতা করলেন, তাঁদের দিকেও ছুটে গেল ব্যক্তিগত আক্রমণ।
এদিকে এই একই প্রশ্নে চিরচেনা নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মুখপাত্রদের কাছ থেকে এল নারীর পোশাক বাছাইয়ের স্বাধীনতা এবং তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মতো বক্তব্য। তাঁরা বিবৃতি দিলেন। পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টিভি চ্যানেলগুলো তা প্রচারও করল। কিন্তু তাতে কারও কিছু এল-গেল না। কেন? সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুটি অংশের অবস্থানের দিকে একটু তাকানো যাক।
একদল বলছে, ‘ছোট পোশাক পরলেই নারী বিজ্ঞানী হয় না।’ অন্যদল বলছে, ‘বৈচিত্র্যই সাধারণ, বৈচিত্র্যই বাংলাদেশ।’ প্রথম দলে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের পরিধেয়র মধ্যেও কিন্তু বৈচিত্র্য ছিল। সেখানে থাকা ছেলেদের কেউ টি-শার্ট, কেউ পাঞ্জাবি পরেছেন, কেউ পাজামা তো কেউ প্যান্ট পরেছেন। মেয়েদের কেউ বোরকা পরেছেন তো কেউ সালোয়ার-কামিজ পরে মাথা ঢেকেছেন হিজাবে। বৈচিত্র্য সেখানে ছিল। তাঁরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা ধ্বংস নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। অথচ একজনও শাড়ি, লুঙ্গি ইত্যাদি পরেননি। অন্যদিকে যাঁরা বৈচিত্র্যের দাবি নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশেই হাজির হয়েছেন, তাঁরাও একেকজন একেকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করলেও সেখানে লুঙ্গি বা ধুতি পরিহিত কোনো তরুণকে অন্তত দেখা গেল না। মেয়েদের পোশাকে বৈচিত্র্য ছিল মানতে হবে।
তার মানে উভয় পক্ষই আদতে বিতর্কের কেন্দ্রে নারীর পোশাককেই হাজির করেছে। নমুনা হিসেবে একদল হাজির করেছে বোরকা ও হিজাব। অন্যদল নমুনা হিসেবে সম্ভাব্য সব ধরনের পোশাককে হাজির করার চেষ্টা করেছে। উভয় পক্ষের কাছেই পুরুষের পোশাক কোনো গুরুত্ব পায়নি। দাবি যা-ই হোক, প্রবণতা বলে দিচ্ছে উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষই যেন নির্ধারক। কারণ, দুই দলের পুরুষেরাই নিজেদের উপস্থাপনের কৌশল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি রক্ষার নামে তার বোঝা বহনের কাজটি নারীর ঘাড়েই পড়ে; পুরুষ ঠিক করবে যে সে নারীর চর্চায় বাধা দেবে, নাকি সঙ্গ দেবে।
এই দুটি ঘটনা কিন্তু ঘটিয়েছেন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই। উভয় পক্ষের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট। এই দুই ঘটনা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঘটে শেষ হয়ে যায়নি। দুটি ঘটনারই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। এবং দুটি ভিডিওর নিচেই অজস্র কমেন্ট পড়েছে, যেখানে নারীর পোশাক নির্ধারণের পক্ষেই বেশি মত পড়তে দেখা গেছে। এখানে আবার সেই পুরোনো প্রশ্নটি সামনে এল—নারী ও মানবাধিকার রক্ষায় চার-পাঁচ দশক ধরে কাজ করে যাওয়া সংস্থাগুলো তবে কী করল এত দিন। বৈচিত্র্য প্রশ্নটিরই যদি মীমাংসা না হয়, তবে এত দিনের কাজের খতিয়ান তাঁরা কীভাবে দেবেন।
এসব সংস্থায় অনেক মান্যবর রয়েছেন। তাঁদের নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখা যায়। তাঁরা শুধু নারী-পুরুষ নয়, সব নাগরিকের সমানাধিকারের কথা বলেন। বেশ সোচ্চারেই বলেন। যেকোনো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের স্বাক্ষরসমেত প্রতিবাদলিপি বা বিবৃতি আসে। সেগুলো পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে প্রচারও হয়। প্রতিবছর হচ্ছে, দিনের পর দিন হচ্ছে। কিন্তু নারীকে সুনির্দিষ্ট পোশাকের ভেতরে বন্দী করার পক্ষে জনমত বাড়ছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত!
বিস্ময়চিহ্নটি অভ্যাসবশত দেওয়া। কিন্তু সত্যিই এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কারণ, এই সংগঠনগুলো, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমানাধিকার, লৈঙ্গিক সাম্য ইত্যাদি নিয়ে শুধু অভিজাত নাগরিক পরিসরেই তাদের বক্তব্য দিয়ে গেছে। বিভিন্ন ঘটনায় তারা বিবৃতি দিয়েছে ঠিক, কিন্তু তা-ও ওই অভ্যাসবশত। অর্থাৎ মাঠপর্যায়ে, বিপুল বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর কাছে এ নিয়ে তেমন কোনো কাজ তারা করেনি, যাতে ব্যক্তির পোশাকের অধিকার প্রশ্নে একটা ঐকমত্য অন্তত হতে পারে। এসব সংগঠনের বিস্তৃতি ও কর্মকাণ্ড মূলত তথাকথিত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং আছে। এরই ফল হচ্ছে তারা এমনকি এমন মৌলিক একটি প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও এক মঞ্চে আনতে পারেনি। অ্যাকটিভিজমের নামে তারা শুধু জনবিচ্ছিন্নই হয়েছে। আর এর মাধ্যমে তারা নারী স্বাধীনতা ও অধিকারের মতো গুরুতর একটি বিষয়কে সাধারণ মানুষের কাছে দূরবর্তী একটি প্রসঙ্গে পরিণত করেছে।
দেশের অর্থনীতি, উৎপাদনব্যবস্থা, শ্রম ও শ্রমকেন্দ্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অপরাধ ও এর ধরন, আর্থিক বিষয়াদি, প্রবাসী শ্রম, রেমিট্যান্স, ব্যাংক-বিমা, রাজনীতি, নারী অধিকার, তৃতীয় লিঙ্গ, ট্রান্সজেন্ডার,///// নিরাপদ সড়ক ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রকে আলাদা হিসেবে বিবেচনা করে একেকটি সংস্থা গড়ে উঠেছে। তারা নিজের বা পরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছে; অবশ্য বনে না গিয়েই। যেন এই প্রতিটি ক্ষেত্র আসলেই আলাদা, যেন এদের কারও সঙ্গে কারও কোনো সম্বন্ধ নেই। এদিকে অন্য পক্ষটি এই সবগুলোকে এক করে দেখে একের পর এক ইশতেহার দিয়ে গেছে নানাভাবে, নানা পন্থায়। আর প্রতিটি ইশতেহারের বিপরীতে অধিকার সংস্থাগুলো একের পর এক বিবৃতি প্রসব করেছে, শহুরে অ্যাকটিভিজম করেছে। আর এই বিবৃতি ও অ্যাকটিভিজমের মাধ্যমে তারা আবার বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ‘অপর’-ই করে তুলেছে সংযুক্ত না করার মধ্য দিয়ে। যেহেতু দীর্ঘ অনভ্যাসে তারা বনে ঢুকতেই ভুলে গেছে, এমনকি হয়তো ভয়ও পায়। এরই ফল হচ্ছে নারীর পোশাক নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পক্ষে এত বিপুলসংখ্যকের অবস্থান। রাষ্ট্র এখানে বিচারকের আসনে বসে হাঙ্গামা দেখতে থাকা পাড়ার পান্ডার ভূমিকায়, শেষ দৃশ্যে যে মারখানেঅলা ও মারদেনেঅলা উভয়ের পিঠেই হাত বুলিয়ে মীমাংসা করে দেবে।
সংস্থাগুলো এসবকে রাষ্ট্রের ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী ও পুরুষতান্ত্রিক হয়ে ওঠার ইঙ্গিতবাহীও বলতে পারে। হ্যাঁ, রাষ্ট্র যত কর্তৃত্ববাদের দিকে এগোয়, ততই এর ভেতরটা ফাঁপা হতে থাকে। একসময় নিজেই ভুলে যায় যে সে নিজে কিসের কর্তা এবং কার ওপর কর্তৃত্ব করবে। ফলে সে তখন উদ্ভ্রান্ত রাখালের মতো সবকিছুকেই তাড়িয়ে বেড়াতে থাকে। যাবতীয় নিয়মকে উল্টে দিতে থাকে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যেতে থাকে সাধারণ মানুষের আচার ও ভাবনাজগৎ। রাষ্ট্রের কর্তৃত্বপনা মানুষের ভেতরে প্রবেশ করে তাকেও একই মতবাদে আসক্ত করে ফেলে। বাংলাদেশে এর প্রতিটি লক্ষণ এখন স্পষ্ট।
অধিকার সংস্থাগুলো এ-ও বলতে পারে, ‘মাঠে কাজ করার কথা সরকারের, রাষ্ট্রের। আমরা তো চাপ প্রয়োগের কাজটি করব।’ কথা মিথ্যা নয়। কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে চাপ প্রয়োগের জন্য বল প্রয়োজন। পদার্থবিজ্ঞানের একেবারে গোড়ার কথা এটি। ওজন যদি বেশি না হয়, তবে কারও ওপর চড়ে বসলেও সে চাপ অনুভব না-ও করতে পারে। সোজা কথায়, বাগ্বিতণ্ডা বা আলাপ চলে শক্তিতে শক্তিতে। দুই শক্তির মধ্যে একটি রাষ্ট্র নিজে। সে সব সময় প্রতিপক্ষ চায়। চাপ প্রয়োগকারী হোক বা অন্য কেউ, নিজের শক্তি প্রদর্শনের জন্যই তার প্রতিপক্ষ প্রয়োজন। উদারবাদী সংস্থাগুলো নিজেকে কাঠামোর ভেতরে বিলীন হতে দিয়ে এই শক্তির সমীকরণ থেকে ছিটকে পড়েছে বলতে হবে। সে জায়গা নিয়ে নিয়েছে অন্য কেউ। তারা এখন প্রতিপক্ষের অবস্থানে নিজেদের ভিত পোক্ত করছে। এটা সাধারণ মানুষও বুঝতে পারছে। এ কারণেই তারা সেই শক্তির পেছনে সমবেত হচ্ছে বুঝে কিংবা না বুঝে। এখানে কাঁদুনি গেয়ে কোনো লাভ নেই। শহুরে অ্যাকটিভিজম দিয়েও কোনো লাভ নেই। বনের মোষ তাড়াতে হলে বনেই ঢুকতে হবে। রাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত সত্যিই মোষ তাড়িয়ে আসা পক্ষটির সঙ্গেই আলাপ করবে, তর্ক করবে। কোনো ধোপদুরস্ত ফ্যাশনেবল মোষ-তাড়ানো পক্ষের সঙ্গে নয়। রাষ্ট্রের উদারবাদী অংশ এটি যত দ্রুত বুঝবে, ততই মঙ্গল।
ফজলুল কবির,সহাকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

দেশের অর্থনীতি নিয়ে কতশত দুশ্চিন্তার কথা শোনা যায়। রাজনীতি নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বোঝা গেল রাজনীতি ও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ হাজারটা ইস্যু। কিন্তু এতসব কিছু থাকতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে দেখা গেল নারীর পোশাক নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়তে। প্রশ্ন হলো—এই সময়ে হঠাৎ করে নারীর পোশাক নিয়ে এত হল্লা কেন?
প্রথমেই বুঝে নেওয়া যাক, নারীর পোশাক নিয়ে আদতেই হল্লা হচ্ছে কি না। বিষয়টি বুঝতে হলে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার দিকে তাকাতে হবে। টিপ-কাণ্ডের কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। এর পরপরই ঘটেছে নরসিংদীর রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে এক তরুণীর হেনস্তা হওয়া এবং তা আদালত পর্যন্ত গড়ানোর ঘটনা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীর পোশাক নিয়ে যে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা দাঁড়ালেন, তা মূলত নরসিংদীর ঘটনায় আদালতের বলা কথার জেরেই। আর এই অবস্থানের পাল্টা হিসেবে কয়েক দিনের মাথায় রাজু ভাস্কর্যেই আবার জড়ো হলেন আরেক দল ঢাবি শিক্ষার্থী, যাঁরা সব ধরনের পোশাক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরই বহমানতা চান এবং এটি নারী প্রশ্নেই।
এই প্রতিটি ঘটনাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এই আলোচনায় নারীর পোশাক ঠিক করে দেওয়ার বিষয়ে একটি বড় অংশকেই একমত হতে দেখা গেল, যেখানে রয়েছে শিক্ষা-শ্রেণি ইত্যাদি বিচারে সমাজের নানা স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ। আজকের পত্রিকায় দ্বিতীয় অবস্থান, অর্থাৎ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি ভিডিও শেয়ার হওয়ার পর তার নিচের কমেন্টসগুলো ভীষণ রকম ভাবনার উদ্রেক করে। সেখানে প্রায় সবাইকে ওই শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তার পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়। খেয়াল করুন—সেখানে কিন্তু ছেলে শিক্ষার্থীও ছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই। বেছে বেছে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার নানা উপায় নিয়ে তাঁদের আলোচনায় মশগুল হতে দেখা গেল। দুয়েকজন যাঁরা এ ধরনের বক্তব্যের বিরোধিতা করলেন, তাঁদের দিকেও ছুটে গেল ব্যক্তিগত আক্রমণ।
এদিকে এই একই প্রশ্নে চিরচেনা নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মুখপাত্রদের কাছ থেকে এল নারীর পোশাক বাছাইয়ের স্বাধীনতা এবং তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মতো বক্তব্য। তাঁরা বিবৃতি দিলেন। পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টিভি চ্যানেলগুলো তা প্রচারও করল। কিন্তু তাতে কারও কিছু এল-গেল না। কেন? সে প্রশ্নে যাওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুটি অংশের অবস্থানের দিকে একটু তাকানো যাক।
একদল বলছে, ‘ছোট পোশাক পরলেই নারী বিজ্ঞানী হয় না।’ অন্যদল বলছে, ‘বৈচিত্র্যই সাধারণ, বৈচিত্র্যই বাংলাদেশ।’ প্রথম দলে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের পরিধেয়র মধ্যেও কিন্তু বৈচিত্র্য ছিল। সেখানে থাকা ছেলেদের কেউ টি-শার্ট, কেউ পাঞ্জাবি পরেছেন, কেউ পাজামা তো কেউ প্যান্ট পরেছেন। মেয়েদের কেউ বোরকা পরেছেন তো কেউ সালোয়ার-কামিজ পরে মাথা ঢেকেছেন হিজাবে। বৈচিত্র্য সেখানে ছিল। তাঁরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা ধ্বংস নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। অথচ একজনও শাড়ি, লুঙ্গি ইত্যাদি পরেননি। অন্যদিকে যাঁরা বৈচিত্র্যের দাবি নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশেই হাজির হয়েছেন, তাঁরাও একেকজন একেকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করলেও সেখানে লুঙ্গি বা ধুতি পরিহিত কোনো তরুণকে অন্তত দেখা গেল না। মেয়েদের পোশাকে বৈচিত্র্য ছিল মানতে হবে।
তার মানে উভয় পক্ষই আদতে বিতর্কের কেন্দ্রে নারীর পোশাককেই হাজির করেছে। নমুনা হিসেবে একদল হাজির করেছে বোরকা ও হিজাব। অন্যদল নমুনা হিসেবে সম্ভাব্য সব ধরনের পোশাককে হাজির করার চেষ্টা করেছে। উভয় পক্ষের কাছেই পুরুষের পোশাক কোনো গুরুত্ব পায়নি। দাবি যা-ই হোক, প্রবণতা বলে দিচ্ছে উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষই যেন নির্ধারক। কারণ, দুই দলের পুরুষেরাই নিজেদের উপস্থাপনের কৌশল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি রক্ষার নামে তার বোঝা বহনের কাজটি নারীর ঘাড়েই পড়ে; পুরুষ ঠিক করবে যে সে নারীর চর্চায় বাধা দেবে, নাকি সঙ্গ দেবে।
এই দুটি ঘটনা কিন্তু ঘটিয়েছেন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই। উভয় পক্ষের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট। এই দুই ঘটনা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঘটে শেষ হয়ে যায়নি। দুটি ঘটনারই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। এবং দুটি ভিডিওর নিচেই অজস্র কমেন্ট পড়েছে, যেখানে নারীর পোশাক নির্ধারণের পক্ষেই বেশি মত পড়তে দেখা গেছে। এখানে আবার সেই পুরোনো প্রশ্নটি সামনে এল—নারী ও মানবাধিকার রক্ষায় চার-পাঁচ দশক ধরে কাজ করে যাওয়া সংস্থাগুলো তবে কী করল এত দিন। বৈচিত্র্য প্রশ্নটিরই যদি মীমাংসা না হয়, তবে এত দিনের কাজের খতিয়ান তাঁরা কীভাবে দেবেন।
এসব সংস্থায় অনেক মান্যবর রয়েছেন। তাঁদের নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখা যায়। তাঁরা শুধু নারী-পুরুষ নয়, সব নাগরিকের সমানাধিকারের কথা বলেন। বেশ সোচ্চারেই বলেন। যেকোনো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের স্বাক্ষরসমেত প্রতিবাদলিপি বা বিবৃতি আসে। সেগুলো পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে প্রচারও হয়। প্রতিবছর হচ্ছে, দিনের পর দিন হচ্ছে। কিন্তু নারীকে সুনির্দিষ্ট পোশাকের ভেতরে বন্দী করার পক্ষে জনমত বাড়ছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত!
বিস্ময়চিহ্নটি অভ্যাসবশত দেওয়া। কিন্তু সত্যিই এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কারণ, এই সংগঠনগুলো, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমানাধিকার, লৈঙ্গিক সাম্য ইত্যাদি নিয়ে শুধু অভিজাত নাগরিক পরিসরেই তাদের বক্তব্য দিয়ে গেছে। বিভিন্ন ঘটনায় তারা বিবৃতি দিয়েছে ঠিক, কিন্তু তা-ও ওই অভ্যাসবশত। অর্থাৎ মাঠপর্যায়ে, বিপুল বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর কাছে এ নিয়ে তেমন কোনো কাজ তারা করেনি, যাতে ব্যক্তির পোশাকের অধিকার প্রশ্নে একটা ঐকমত্য অন্তত হতে পারে। এসব সংগঠনের বিস্তৃতি ও কর্মকাণ্ড মূলত তথাকথিত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং আছে। এরই ফল হচ্ছে তারা এমনকি এমন মৌলিক একটি প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও এক মঞ্চে আনতে পারেনি। অ্যাকটিভিজমের নামে তারা শুধু জনবিচ্ছিন্নই হয়েছে। আর এর মাধ্যমে তারা নারী স্বাধীনতা ও অধিকারের মতো গুরুতর একটি বিষয়কে সাধারণ মানুষের কাছে দূরবর্তী একটি প্রসঙ্গে পরিণত করেছে।
দেশের অর্থনীতি, উৎপাদনব্যবস্থা, শ্রম ও শ্রমকেন্দ্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অপরাধ ও এর ধরন, আর্থিক বিষয়াদি, প্রবাসী শ্রম, রেমিট্যান্স, ব্যাংক-বিমা, রাজনীতি, নারী অধিকার, তৃতীয় লিঙ্গ, ট্রান্সজেন্ডার,///// নিরাপদ সড়ক ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রকে আলাদা হিসেবে বিবেচনা করে একেকটি সংস্থা গড়ে উঠেছে। তারা নিজের বা পরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছে; অবশ্য বনে না গিয়েই। যেন এই প্রতিটি ক্ষেত্র আসলেই আলাদা, যেন এদের কারও সঙ্গে কারও কোনো সম্বন্ধ নেই। এদিকে অন্য পক্ষটি এই সবগুলোকে এক করে দেখে একের পর এক ইশতেহার দিয়ে গেছে নানাভাবে, নানা পন্থায়। আর প্রতিটি ইশতেহারের বিপরীতে অধিকার সংস্থাগুলো একের পর এক বিবৃতি প্রসব করেছে, শহুরে অ্যাকটিভিজম করেছে। আর এই বিবৃতি ও অ্যাকটিভিজমের মাধ্যমে তারা আবার বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ‘অপর’-ই করে তুলেছে সংযুক্ত না করার মধ্য দিয়ে। যেহেতু দীর্ঘ অনভ্যাসে তারা বনে ঢুকতেই ভুলে গেছে, এমনকি হয়তো ভয়ও পায়। এরই ফল হচ্ছে নারীর পোশাক নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পক্ষে এত বিপুলসংখ্যকের অবস্থান। রাষ্ট্র এখানে বিচারকের আসনে বসে হাঙ্গামা দেখতে থাকা পাড়ার পান্ডার ভূমিকায়, শেষ দৃশ্যে যে মারখানেঅলা ও মারদেনেঅলা উভয়ের পিঠেই হাত বুলিয়ে মীমাংসা করে দেবে।
সংস্থাগুলো এসবকে রাষ্ট্রের ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী ও পুরুষতান্ত্রিক হয়ে ওঠার ইঙ্গিতবাহীও বলতে পারে। হ্যাঁ, রাষ্ট্র যত কর্তৃত্ববাদের দিকে এগোয়, ততই এর ভেতরটা ফাঁপা হতে থাকে। একসময় নিজেই ভুলে যায় যে সে নিজে কিসের কর্তা এবং কার ওপর কর্তৃত্ব করবে। ফলে সে তখন উদ্ভ্রান্ত রাখালের মতো সবকিছুকেই তাড়িয়ে বেড়াতে থাকে। যাবতীয় নিয়মকে উল্টে দিতে থাকে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যেতে থাকে সাধারণ মানুষের আচার ও ভাবনাজগৎ। রাষ্ট্রের কর্তৃত্বপনা মানুষের ভেতরে প্রবেশ করে তাকেও একই মতবাদে আসক্ত করে ফেলে। বাংলাদেশে এর প্রতিটি লক্ষণ এখন স্পষ্ট।
অধিকার সংস্থাগুলো এ-ও বলতে পারে, ‘মাঠে কাজ করার কথা সরকারের, রাষ্ট্রের। আমরা তো চাপ প্রয়োগের কাজটি করব।’ কথা মিথ্যা নয়। কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে চাপ প্রয়োগের জন্য বল প্রয়োজন। পদার্থবিজ্ঞানের একেবারে গোড়ার কথা এটি। ওজন যদি বেশি না হয়, তবে কারও ওপর চড়ে বসলেও সে চাপ অনুভব না-ও করতে পারে। সোজা কথায়, বাগ্বিতণ্ডা বা আলাপ চলে শক্তিতে শক্তিতে। দুই শক্তির মধ্যে একটি রাষ্ট্র নিজে। সে সব সময় প্রতিপক্ষ চায়। চাপ প্রয়োগকারী হোক বা অন্য কেউ, নিজের শক্তি প্রদর্শনের জন্যই তার প্রতিপক্ষ প্রয়োজন। উদারবাদী সংস্থাগুলো নিজেকে কাঠামোর ভেতরে বিলীন হতে দিয়ে এই শক্তির সমীকরণ থেকে ছিটকে পড়েছে বলতে হবে। সে জায়গা নিয়ে নিয়েছে অন্য কেউ। তারা এখন প্রতিপক্ষের অবস্থানে নিজেদের ভিত পোক্ত করছে। এটা সাধারণ মানুষও বুঝতে পারছে। এ কারণেই তারা সেই শক্তির পেছনে সমবেত হচ্ছে বুঝে কিংবা না বুঝে। এখানে কাঁদুনি গেয়ে কোনো লাভ নেই। শহুরে অ্যাকটিভিজম দিয়েও কোনো লাভ নেই। বনের মোষ তাড়াতে হলে বনেই ঢুকতে হবে। রাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত সত্যিই মোষ তাড়িয়ে আসা পক্ষটির সঙ্গেই আলাপ করবে, তর্ক করবে। কোনো ধোপদুরস্ত ফ্যাশনেবল মোষ-তাড়ানো পক্ষের সঙ্গে নয়। রাষ্ট্রের উদারবাদী অংশ এটি যত দ্রুত বুঝবে, ততই মঙ্গল।
ফজলুল কবির,সহাকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

দেশের অর্থনীতি নিয়ে কতশত দুশ্চিন্তার কথা শোনা যায়। রাজনীতি নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বোঝা গেল রাজনীতি ও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ হাজারটা
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

দেশের অর্থনীতি নিয়ে কতশত দুশ্চিন্তার কথা শোনা যায়। রাজনীতি নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বোঝা গেল রাজনীতি ও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ হাজারটা
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

দেশের অর্থনীতি নিয়ে কতশত দুশ্চিন্তার কথা শোনা যায়। রাজনীতি নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বোঝা গেল রাজনীতি ও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ হাজারটা
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

দেশের অর্থনীতি নিয়ে কতশত দুশ্চিন্তার কথা শোনা যায়। রাজনীতি নিয়েও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার পর বোঝা গেল রাজনীতি ও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসহ হাজারটা
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫