এ কে এম শামসুদ্দিন

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৪১তম। অর্থনীতির উন্নতির এ গতি যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে ২০৩৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের শুরুটা এমন ছিল না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ছিল পরনির্ভর ও ঋণনির্ভরশীল এক দেশ। শূন্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়নের কৌশল পরিবর্তন ও বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজকের এ অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ১২৯ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ‘মুক্তির সংগ্রাম’-এর কথা বলেছিলেন, সেই মুক্তি শুধু শত্রুর কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা নয়। সেই মুক্তি ছিল এ দেশের মানুষকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্তি, অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে মুক্তি, সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অঙ্গীকার ছিল—মানুষ তিন বেলা খাবার পাবে, সবার থাকার ঘর হবে, সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। শিক্ষার আলো পাবে, কর্মসংস্থান হবে, মানুষের মানবিক মর্যাদা রক্ষা পাবে। সর্বোপরি এ দেশে আইনের শাসন ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ তার অঙ্গীকার পূরণের পথেই এগিয়ে চলেছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, মানুষের গড় আয়ু, শিল্পকারখানা, আমদানি, রপ্তানি, রিজার্ভ, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, মাথাপিছু আয় এবং সামাজিক অনেক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে; এমনকি ভারতের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
কৃষি খাতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে বাংলাদেশের কৃষক প্রভূত সাফল্য দেখিয়েছেন। ১৯৭২-৭৩ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ যেখানে ৯৯ দশমিক ৩০ লাখ টন ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। আয়তনে বিশ্বের ৯৪তম দেশ হলেও সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ফলমূল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। ২০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রধান ফল ছিল আম-কাঁঠাল। এখন ৭২ প্রজাতির ফলের আবাদ হচ্ছে দেশে। শিক্ষাব্যবস্থায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনা মূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে শিশু ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশে; বিশেষ করে নারীশিক্ষাকে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ দেশে শিক্ষাবিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের অন্য অনগ্রসর দেশগুলো যেখানে শিক্ষায় ছেলেমেয়ের সমতা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই স্তরেই মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সমতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রাথমিকে ছাত্রীদের হার প্রায় ৫১ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে প্রায় ৫৪ শতাংশ। এ হার বিশ্বে নজর কেড়েছে। আশার বিষয়, এখন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। নারীশিক্ষা কেবল নারীদের জন্য জীবিকা অর্জনে সুযোগ সৃষ্টি করেনি; বরং লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। স্বাধীনতার পরপর আমাদের সাক্ষরতার হার ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, এখন সেই হার পৌঁছেছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে সমবয়সী নারীদের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। দেশের মোট শ্রমজীবী কর্মজীবী নাগরিকের প্রায় ৩৮ শতাংশ নারী। শ্রমজীবী নারীর সিংহভাগই অবশ্য তৈরি পোশাক খাতে নিয়োজিত। প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বেড়েছে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য বিষয়েও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। স্বাধীনতার ঠিক পরই মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ বছর, এখন মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। যেখানে ভারতের গড় হচ্ছে ৬৫ বছর। শিশুমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিশুমৃত্যুর হার যেখানে হাজারে ৫২, সেখানে বাংলাদেশে ৩৫ জন।
শিল্প ও বাণিজ্যক্ষেত্রে, বিশেষ করে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তা ছাড়া পরিকাঠামোগত, আবাসন, ওষুধশিল্প, জাহাজনির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী ও আইটি সেক্টরে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বর্তমান উন্নয়ন ধারার অন্যতম উদাহরণ। এর মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ নব্বইয়ের দশকের পর থেকেই সার্বিক প্রবৃদ্ধিতে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে।
বাংলাদেশের এই অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই সম্পদের সুষম বণ্টন ও মানবসম্পদের উন্নয়ন। আমাদের বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তিই সার্বিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই জনসম্পদের প্রতি যতটুকু যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা তা নিশ্চিত করতে পারছি না। দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই যেন ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। যে বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, স্বাধীনতার পর ধনী-দরিদ্রের সম্পদের বৈষম্য যেখানে ২ দশমিক ৪ ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
ফলে মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা এবং সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে একশ্রেণির বিত্তশালী ও ক্ষমতাসীনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমাদের দেশে, দুর্নীতি ও অর্থসম্পদ লুণ্ঠনের অনৈতিক যে ধারা চালু হয়েছে, তা দেশের উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। নৈতিকতা-মূল্যবোধ-সততা ও আদর্শহীন কিছু মানুষের ক্ষমতা এবং বিত্তের প্রতি লোভ দেশের অগ্রযাত্রাকে করছে ব্যাহত। ইতিমধ্যে একশ্রেণির মানুষ দেশের যে সম্পদ লুট করেছে এবং যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দিয়েছে, তা যদি বন্ধ করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারত।
মানবিক সূচকে পিছিয়ে থেকে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়ে একটা দেশের সার্বিক অগ্রগতির সাফল্য দাবি করা যায় না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক মর্যাদা, আইনি সহায়তা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো জোরদার করা গেলে দেশের মানুষ স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে।
নাগরিকের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা ও পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে যা বোঝায়, আমাদের দেশের মানুষ তা যথাযথভাবে ভোগ করছে বলা যাচ্ছে না। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই অবস্থান থেকে সরে যাওয়া দুঃখজনক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের কয়েকটি নির্বাচনে ভোটের যে চিত্র দেখা গেছে, তা হতাশাব্যঞ্জক। ভোটাধিকার হলো গণতান্ত্রিক চর্চার অন্যতম অঙ্গ। মানুষকে ভোট প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে যে গণতন্ত্রের (উন্নয়নের গণতন্ত্র) কথাই বলি না কেন প্রকৃত অর্থে তা অগণতান্ত্রিক ধারারই নামান্তর। ডিজিটাল আইন প্রণয়ন এবং এর অপপ্রয়োগ, মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করেছে। ডিজিটাল আইনে একের পর এক মামলা দিয়ে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাজে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাবলয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ইশারায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাজ করতে দেখলে, সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে অসহায় বোধ করে বৈকি।
এক যুগ ধরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে। এ জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অবশ্যই সাধুবাদ পেতে পারে; তবে এ কথাও ঠিক, এই সময়ের মধ্যেই এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যেগুলোকে অগ্রগতির পথের কাঁটা হিসেবেই দেখছে সবাই।
যত দিন পর্যন্ত সাংবিধানিক নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা না যাবে, তত দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অর্থাৎ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—বলা যাবে না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বহু নির্যাতন সহ্য করে, লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যই ছিল জনগণ, সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতি করা। আমার বিশ্বাস, উন্নয়নের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে, বাংলাদেশ তার লক্ষ্য পূরণে সামনে এগিয়ে যাবেই যাবে।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কলাম লেখক

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৪১তম। অর্থনীতির উন্নতির এ গতি যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে ২০৩৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের শুরুটা এমন ছিল না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ছিল পরনির্ভর ও ঋণনির্ভরশীল এক দেশ। শূন্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়নের কৌশল পরিবর্তন ও বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজকের এ অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ১২৯ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ‘মুক্তির সংগ্রাম’-এর কথা বলেছিলেন, সেই মুক্তি শুধু শত্রুর কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা নয়। সেই মুক্তি ছিল এ দেশের মানুষকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্তি, অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে মুক্তি, সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অঙ্গীকার ছিল—মানুষ তিন বেলা খাবার পাবে, সবার থাকার ঘর হবে, সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। শিক্ষার আলো পাবে, কর্মসংস্থান হবে, মানুষের মানবিক মর্যাদা রক্ষা পাবে। সর্বোপরি এ দেশে আইনের শাসন ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ তার অঙ্গীকার পূরণের পথেই এগিয়ে চলেছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, মানুষের গড় আয়ু, শিল্পকারখানা, আমদানি, রপ্তানি, রিজার্ভ, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, মাথাপিছু আয় এবং সামাজিক অনেক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে; এমনকি ভারতের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
কৃষি খাতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে বাংলাদেশের কৃষক প্রভূত সাফল্য দেখিয়েছেন। ১৯৭২-৭৩ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ যেখানে ৯৯ দশমিক ৩০ লাখ টন ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। আয়তনে বিশ্বের ৯৪তম দেশ হলেও সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ফলমূল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। ২০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রধান ফল ছিল আম-কাঁঠাল। এখন ৭২ প্রজাতির ফলের আবাদ হচ্ছে দেশে। শিক্ষাব্যবস্থায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনা মূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে শিশু ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশে; বিশেষ করে নারীশিক্ষাকে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ দেশে শিক্ষাবিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের অন্য অনগ্রসর দেশগুলো যেখানে শিক্ষায় ছেলেমেয়ের সমতা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই স্তরেই মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সমতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রাথমিকে ছাত্রীদের হার প্রায় ৫১ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে প্রায় ৫৪ শতাংশ। এ হার বিশ্বে নজর কেড়েছে। আশার বিষয়, এখন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। নারীশিক্ষা কেবল নারীদের জন্য জীবিকা অর্জনে সুযোগ সৃষ্টি করেনি; বরং লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। স্বাধীনতার পরপর আমাদের সাক্ষরতার হার ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, এখন সেই হার পৌঁছেছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে সমবয়সী নারীদের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। দেশের মোট শ্রমজীবী কর্মজীবী নাগরিকের প্রায় ৩৮ শতাংশ নারী। শ্রমজীবী নারীর সিংহভাগই অবশ্য তৈরি পোশাক খাতে নিয়োজিত। প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বেড়েছে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য বিষয়েও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। স্বাধীনতার ঠিক পরই মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ বছর, এখন মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। যেখানে ভারতের গড় হচ্ছে ৬৫ বছর। শিশুমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিশুমৃত্যুর হার যেখানে হাজারে ৫২, সেখানে বাংলাদেশে ৩৫ জন।
শিল্প ও বাণিজ্যক্ষেত্রে, বিশেষ করে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তা ছাড়া পরিকাঠামোগত, আবাসন, ওষুধশিল্প, জাহাজনির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী ও আইটি সেক্টরে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বর্তমান উন্নয়ন ধারার অন্যতম উদাহরণ। এর মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ নব্বইয়ের দশকের পর থেকেই সার্বিক প্রবৃদ্ধিতে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে।
বাংলাদেশের এই অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই সম্পদের সুষম বণ্টন ও মানবসম্পদের উন্নয়ন। আমাদের বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তিই সার্বিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই জনসম্পদের প্রতি যতটুকু যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা তা নিশ্চিত করতে পারছি না। দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই যেন ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। যে বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, স্বাধীনতার পর ধনী-দরিদ্রের সম্পদের বৈষম্য যেখানে ২ দশমিক ৪ ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
ফলে মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা এবং সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে একশ্রেণির বিত্তশালী ও ক্ষমতাসীনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমাদের দেশে, দুর্নীতি ও অর্থসম্পদ লুণ্ঠনের অনৈতিক যে ধারা চালু হয়েছে, তা দেশের উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। নৈতিকতা-মূল্যবোধ-সততা ও আদর্শহীন কিছু মানুষের ক্ষমতা এবং বিত্তের প্রতি লোভ দেশের অগ্রযাত্রাকে করছে ব্যাহত। ইতিমধ্যে একশ্রেণির মানুষ দেশের যে সম্পদ লুট করেছে এবং যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দিয়েছে, তা যদি বন্ধ করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারত।
মানবিক সূচকে পিছিয়ে থেকে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়ে একটা দেশের সার্বিক অগ্রগতির সাফল্য দাবি করা যায় না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক মর্যাদা, আইনি সহায়তা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো জোরদার করা গেলে দেশের মানুষ স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে।
নাগরিকের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা ও পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে যা বোঝায়, আমাদের দেশের মানুষ তা যথাযথভাবে ভোগ করছে বলা যাচ্ছে না। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই অবস্থান থেকে সরে যাওয়া দুঃখজনক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের কয়েকটি নির্বাচনে ভোটের যে চিত্র দেখা গেছে, তা হতাশাব্যঞ্জক। ভোটাধিকার হলো গণতান্ত্রিক চর্চার অন্যতম অঙ্গ। মানুষকে ভোট প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে যে গণতন্ত্রের (উন্নয়নের গণতন্ত্র) কথাই বলি না কেন প্রকৃত অর্থে তা অগণতান্ত্রিক ধারারই নামান্তর। ডিজিটাল আইন প্রণয়ন এবং এর অপপ্রয়োগ, মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করেছে। ডিজিটাল আইনে একের পর এক মামলা দিয়ে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাজে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাবলয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ইশারায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাজ করতে দেখলে, সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে অসহায় বোধ করে বৈকি।
এক যুগ ধরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে। এ জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অবশ্যই সাধুবাদ পেতে পারে; তবে এ কথাও ঠিক, এই সময়ের মধ্যেই এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যেগুলোকে অগ্রগতির পথের কাঁটা হিসেবেই দেখছে সবাই।
যত দিন পর্যন্ত সাংবিধানিক নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা না যাবে, তত দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অর্থাৎ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—বলা যাবে না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বহু নির্যাতন সহ্য করে, লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যই ছিল জনগণ, সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতি করা। আমার বিশ্বাস, উন্নয়নের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে, বাংলাদেশ তার লক্ষ্য পূরণে সামনে এগিয়ে যাবেই যাবে।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কলাম লেখক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৪১তম। অর্থনীত
২৮ জুন ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৪১তম। অর্থনীত
২৮ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৪১তম। অর্থনীত
২৮ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পর এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ঈর্ষণীয় হারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বে ৪১তম। অর্থনীত
২৮ জুন ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫