মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিনিয়ত কথা হয়। এ বিষয়ে নীতিপ্রণেতারা বিভিন্ন বক্তব্যে তাঁদের আন্তরিকতার কথা জানান। কিন্তু এত সব আলোচনার পরও নারীর ক্ষমতায়নের পথে বাধাগুলো রয়ে গেছে। করোনা মহামারির সময়ে এই প্রতিবন্ধকতার মাত্রা বেড়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, করোনাকালে দেশে বাল্যবিবাহ, পারিবারিক নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে গেছে, যার মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এর মধ্যেও অনেক নারী শত বাধা টপকে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে একটা অগ্রগতি হলেও নারী উদ্যোক্তাদের এমনকি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে যৌন হয়রানি উল্লেখযোগ্য। সরকারের নানা সংস্থা নারীর জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা করলেও এগুলোর সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ঘর, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সব জায়গায় নারীকে তুলনামূলক বেশি বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এই পরিস্থিতি বদলে সত্যিকারের নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটে নারীর জন্য কী থাকছে বা থাকা উচিত, তা নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন নারী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্টি বৈষ্ণব।
মালেকা বানু
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
বাজেট যাই হোক না কেন, সেখানে নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকালে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাজেটে এর প্রতিফলন থাকতে হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার আছে। কিন্তু এসব সেন্টারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। এসব সেন্টারে নারীরা আরও বেশি হয়রানির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি এসব সেন্টার কার্যকর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। থানায়-থানায় নারী পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের জন্য যে এসএমই ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে, তা সবাই পান না। নারীরা যেন সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নারীরা যেন কম টাকায় ব্যবসা করতে পারেন, সে বিষয়ে বাজেটে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
এ ছাড়া বাড়াতে হবে নারী উদ্যোক্তার জন্য বরাদ্দ। আবার কৃষিক্ষেত্রে কিষানিরা যেন কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি পান, সে বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। সরকার থেকে কিষানিদের যে অধিকার প্রাপ্য, তাঁরা তা পান না। কৃষিক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া নারীদের চিকিৎসাসেবার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। নারীর যাতায়াত নিরাপদ করার পাশাপাশি ভোগান্তি কমাতে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নারীদের উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া নারীর কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বাজেটে এ বিষয়গুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমাদের দেশের নারীরা সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে শোষিত, বঞ্চিত। বাজেটে নারীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রোকেয়া কবীর
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ
দেশের জনগণের ৫০ শতাংশ নারী। সে হিসাবে বাজেটে নারীর জন্য প্রয়োজনীয় কী কী বরাদ্দ থাকা দরকার, তা নির্দিষ্ট করা উচিত। এ দেশে নারীদের সব দিক দিয়ে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। সে কারণে বাজেটের কেন্দ্রে নারী বিষয়টি থাকা দরকার। যেসব নারী গৃহে কাজ করেন, তাঁরা সেই পরিশ্রমের মূল্য পাচ্ছেন না। গৃহস্থালির কাজের জন্য নারীর পেনশনের ব্যবস্থা থাকা উচিত। কিছু দেশে কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নারীর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। নারীর অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সুযোগ অনেকেরই নেই। সে ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকরে সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে মনে করি। এ ছাড়া নারীর শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
যেসব নারী নির্যাতনের শিকার হন, সেসব ভুক্তভোগী নারীর জন্য থাকার ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর সার্বিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা আছে। তবে নির্যাতনের তুলনায় সেই সংখ্যা অপ্রতুল। এ ক্ষেত্রে নারীর জন্য আইনি সহায়তা, নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা প্রয়োজন। প্রতি উপজেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে না পারলেও জেলায় জেলায় ক্রাইসিস সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। প্রশিক্ষণসহ সামগ্রিক বিষয়ে বাজেটে বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এসব বরাদ্দ কোন খাতে ব্যয় করা হলো, সেটারও মনিটরিং করা প্রয়োজন। খালি বরাদ্দ দিলে তো হবে না, বরাদ্দের সঠিক প্রয়োগও করতে হবে।
এ ছাড়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে জনবল বাড়াতে হবে। সেখানে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আর সহিংসতার শিকার নারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে। দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাঁদের জন্য জাতীয় কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা পরিকল্পনা নেই। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক সংকটের কারণে সম্ভাবনাময় এই খাত উঠে দাঁড়াতে পারছে না। এ কারণে নারী উদ্যোক্তার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। তবে, নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পেনশন—এ বিষয়গুলোতে বরাদ্দ বেশি থাকা দরকার।
কাবেরী গায়েন
অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতির পর আর জেন্ডার বাজেট প্রকাশিত হয়নি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জন্য থাকা বরাদ্দ গত বছর কমেছে। তাই এবার নারীর জন্য কোন কোন খাতে কী বরাদ্দ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থেকে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রথম প্রত্যাশা হলো জেন্ডার বাজেট ফিরিয়ে আনা হোক।
উদাহরণ হিসেবে শুরু করি একটা মেয়েশিশু দিয়ে। করোনার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়েশিশু ও কিশোরীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহের হার উদ্বেগজনক। তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাজেট বরাদ্দ চাই। বিশেষ করে যেসব কিশোরীর বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে, তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি সামাজিক পরিসরে সচেতনতা তৈরির জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করি।
এ ছাড়া দেশে শ্রমবাজারে নারীর সংখ্যা কম। করোনাকালে নারীরা আরও বেশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বাজেটে এসব বেকার নারীর জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে, যেন তাঁরা স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে ঘরে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। এ ছাড়া করোনাকালে নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তাই বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি, তাঁরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
এ দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র শ্রেণির প্রবীণ নারীরা এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিধবা ভাতা ও দুস্থ নারীদের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া জমিতে ছোট ছোট যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে নারীরা যাতে কৃষিকাজ করতে পারেন, সে জন্য পরিবারভিত্তিক কৃষক কার্ড দেওয়া উচিত বলে মনে করি। প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা এবং খাতওয়ারি বাজেট বরাদ্দ ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা। অতীতে দেখা গেছে, বাজেট যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা বাস্তবায়ন হয় না। জেন্ডার বাজেট ফিরিয়ে আনা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে বসবাসরত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নারীর কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা সরকারের জন্য একটা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নারীদের জাতিগতভাবে অর্জিত নানা কর্মদক্ষতা রয়েছে। সেই কর্মদক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাজেটে পুঁজি ও প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ রাখলে নারীরা ক্ষমতায়িত হবেন সন্দেহ নেই। মূলধারার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের যে বাধা রয়েছে, মনস্তাত্ত্বিক সেই বাধা দূর করার জন্য ভাষাগত এবং অন্যান্য কৌশলগত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এ বিষয়েও বিশেষ বাজেট বরাদ্দ দরকার বলে মনে করি।
রাষ্ট্র নারীদের জন্য কর্মপরিবেশ তৈরি না করেই তাদের কাজে নামিয়েছে। বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার পথটুকুও নিরাপদ নয়। নিরাপদ নয় কর্মস্থল। ভয় ও সহিংসতার আশঙ্কা নিয়েই নারীরা কাজে যান। কর্মস্থলে যাওয়ার পথ এবং কর্মস্থল নিরাপদ রাখার জন্য সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। নারীদের জন্য গণপরিবহনে যাতায়াতব্যবস্থা সুষ্ঠু করার পাশাপাশি রাস্তার হয়রানি এবং যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষার বিষয় আমলে এনে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এ জন্য অন্তত দুই স্তরের কর্মপরিকল্পনা জরুরি—প্রথমত, আইনি ও অবকাঠামোগত পরিবর্তন। রাস্তায় গণপরিবহনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, নারীরা এখন জনপরিসর ও কর্মপরিসরে অনেক বেশি দৃশ্যমান। কিন্তু শিশুযত্ন কেন্দ্র তৈরি হয়নি কিংবা হয়নি প্রজনন স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন। এসব একধরনের নারীর প্রতি কাঠামোগত সহিংসতা। সর্বোপরি, নারীর মনস্তত্ত্বে যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাকাঠামোতে পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই এসব খাতে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।
সঙ্গীতা ইমাম
শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও সংস্কৃতিকর্মী
এবারের বাজেট আমার মতে গত দুই বছরের বাজেটের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে। গত দুই অর্থবছরে সরকারকে বাজেট দিতে হয়েছে করোনা মহামারি মাথায় রেখে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি। সুতরাং স্বভাবতই নারীর অগ্রগতির প্রশ্নটিও অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই অর্থবছরে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে।
বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, নারীর অগ্রযাত্রার পথে তার প্রভাবও কম নয়। ফলে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেকগুলো বিষয় আলোচনায় রাখতে হবে বলে মনে করছি। বর্তমানে বাংলাদেশের নারীদের একটি বড় অংশ স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের ব্যবসার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
প্রতিবছরই বাজেট হয়; কিন্তু ইন্টারনেটের দামের সমন্বয়টা করা হয় না কখনোই। এমনকি সম্প্রতি যে এক বছর মেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ করা হলো, তার দামও কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা থাকলে তা ইতিবাচক হবে বলে মনে করি। তবে এই প্রণোদনা যেন প্রান্তিক নারীদের কাছে পৌঁছায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
বাজেটে নারীদের সামাজিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বলতে চাই, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথম চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য জেন্ডার বাজেট প্রস্তাব করেছিলেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ৪৩টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জন্য জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছিল। সে হিসেবে ব্যাপ্তির দিক থেকে একটি বিরাট পরিবর্তন তো আছেই। কিন্তু নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় তো কেবল বরাদ্দ বৃদ্ধির ওপরই নির্ভর করে না। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আরও কতগুলো সূচকও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সামাজিক নিরাপত্তার আওতা কিন্তু বর্তমানে বেড়ে গেছে। সে হিসাবে তার যে গুরুত্ব, সেটা আমরা ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারছি বলে মনে হয় না।
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
কেবল বরাদ্দ বাড়ালেই সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না, আবার অপ্রতুল অর্থেও সেটা সম্ভব নয়। সুতরাং এ দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। গত দুই অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় কিন্তু নারী ও শিশু ছিল না। এদিকে ২০২১ সালের মধ্যেই কিন্তু ১৫ বছরের কম বয়সীদের বাল্যবিবাহ নির্মূলের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। সেটা যে সম্ভব হয়নি, তা করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন জরিপেই দেখা যাচ্ছে। এসবের নিরিখেই এবারের বাজেটে আশা করছি নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিনিয়ত কথা হয়। এ বিষয়ে নীতিপ্রণেতারা বিভিন্ন বক্তব্যে তাঁদের আন্তরিকতার কথা জানান। কিন্তু এত সব আলোচনার পরও নারীর ক্ষমতায়নের পথে বাধাগুলো রয়ে গেছে। করোনা মহামারির সময়ে এই প্রতিবন্ধকতার মাত্রা বেড়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, করোনাকালে দেশে বাল্যবিবাহ, পারিবারিক নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে গেছে, যার মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এর মধ্যেও অনেক নারী শত বাধা টপকে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে একটা অগ্রগতি হলেও নারী উদ্যোক্তাদের এমনকি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে যৌন হয়রানি উল্লেখযোগ্য। সরকারের নানা সংস্থা নারীর জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা করলেও এগুলোর সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ঘর, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সব জায়গায় নারীকে তুলনামূলক বেশি বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এই পরিস্থিতি বদলে সত্যিকারের নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটে নারীর জন্য কী থাকছে বা থাকা উচিত, তা নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন নারী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্টি বৈষ্ণব।
মালেকা বানু
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
বাজেট যাই হোক না কেন, সেখানে নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকালে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাজেটে এর প্রতিফলন থাকতে হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার আছে। কিন্তু এসব সেন্টারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। এসব সেন্টারে নারীরা আরও বেশি হয়রানির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি এসব সেন্টার কার্যকর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। থানায়-থানায় নারী পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের জন্য যে এসএমই ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে, তা সবাই পান না। নারীরা যেন সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নারীরা যেন কম টাকায় ব্যবসা করতে পারেন, সে বিষয়ে বাজেটে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
এ ছাড়া বাড়াতে হবে নারী উদ্যোক্তার জন্য বরাদ্দ। আবার কৃষিক্ষেত্রে কিষানিরা যেন কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি পান, সে বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। সরকার থেকে কিষানিদের যে অধিকার প্রাপ্য, তাঁরা তা পান না। কৃষিক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া নারীদের চিকিৎসাসেবার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। নারীর যাতায়াত নিরাপদ করার পাশাপাশি ভোগান্তি কমাতে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নারীদের উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া নারীর কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বাজেটে এ বিষয়গুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমাদের দেশের নারীরা সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে শোষিত, বঞ্চিত। বাজেটে নারীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রোকেয়া কবীর
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ
দেশের জনগণের ৫০ শতাংশ নারী। সে হিসাবে বাজেটে নারীর জন্য প্রয়োজনীয় কী কী বরাদ্দ থাকা দরকার, তা নির্দিষ্ট করা উচিত। এ দেশে নারীদের সব দিক দিয়ে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। সে কারণে বাজেটের কেন্দ্রে নারী বিষয়টি থাকা দরকার। যেসব নারী গৃহে কাজ করেন, তাঁরা সেই পরিশ্রমের মূল্য পাচ্ছেন না। গৃহস্থালির কাজের জন্য নারীর পেনশনের ব্যবস্থা থাকা উচিত। কিছু দেশে কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নারীর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। নারীর অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সুযোগ অনেকেরই নেই। সে ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকরে সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে মনে করি। এ ছাড়া নারীর শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
যেসব নারী নির্যাতনের শিকার হন, সেসব ভুক্তভোগী নারীর জন্য থাকার ব্যবস্থা করা দরকার। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর সার্বিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা আছে। তবে নির্যাতনের তুলনায় সেই সংখ্যা অপ্রতুল। এ ক্ষেত্রে নারীর জন্য আইনি সহায়তা, নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা প্রয়োজন। প্রতি উপজেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে না পারলেও জেলায় জেলায় ক্রাইসিস সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। প্রশিক্ষণসহ সামগ্রিক বিষয়ে বাজেটে বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এসব বরাদ্দ কোন খাতে ব্যয় করা হলো, সেটারও মনিটরিং করা প্রয়োজন। খালি বরাদ্দ দিলে তো হবে না, বরাদ্দের সঠিক প্রয়োগও করতে হবে।
এ ছাড়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে জনবল বাড়াতে হবে। সেখানে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আর সহিংসতার শিকার নারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে। দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাঁদের জন্য জাতীয় কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা পরিকল্পনা নেই। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক সংকটের কারণে সম্ভাবনাময় এই খাত উঠে দাঁড়াতে পারছে না। এ কারণে নারী উদ্যোক্তার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। তবে, নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পেনশন—এ বিষয়গুলোতে বরাদ্দ বেশি থাকা দরকার।
কাবেরী গায়েন
অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতির পর আর জেন্ডার বাজেট প্রকাশিত হয়নি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জন্য থাকা বরাদ্দ গত বছর কমেছে। তাই এবার নারীর জন্য কোন কোন খাতে কী বরাদ্দ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থেকে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রথম প্রত্যাশা হলো জেন্ডার বাজেট ফিরিয়ে আনা হোক।
উদাহরণ হিসেবে শুরু করি একটা মেয়েশিশু দিয়ে। করোনার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়েশিশু ও কিশোরীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহের হার উদ্বেগজনক। তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাজেট বরাদ্দ চাই। বিশেষ করে যেসব কিশোরীর বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে, তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি সামাজিক পরিসরে সচেতনতা তৈরির জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করি।
এ ছাড়া দেশে শ্রমবাজারে নারীর সংখ্যা কম। করোনাকালে নারীরা আরও বেশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বাজেটে এসব বেকার নারীর জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে, যেন তাঁরা স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে ঘরে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। এ ছাড়া করোনাকালে নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তাই বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি, তাঁরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
এ দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র শ্রেণির প্রবীণ নারীরা এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিধবা ভাতা ও দুস্থ নারীদের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া জমিতে ছোট ছোট যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে নারীরা যাতে কৃষিকাজ করতে পারেন, সে জন্য পরিবারভিত্তিক কৃষক কার্ড দেওয়া উচিত বলে মনে করি। প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা এবং খাতওয়ারি বাজেট বরাদ্দ ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা। অতীতে দেখা গেছে, বাজেট যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা বাস্তবায়ন হয় না। জেন্ডার বাজেট ফিরিয়ে আনা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে বসবাসরত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নারীর কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা সরকারের জন্য একটা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নারীদের জাতিগতভাবে অর্জিত নানা কর্মদক্ষতা রয়েছে। সেই কর্মদক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাজেটে পুঁজি ও প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ রাখলে নারীরা ক্ষমতায়িত হবেন সন্দেহ নেই। মূলধারার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের যে বাধা রয়েছে, মনস্তাত্ত্বিক সেই বাধা দূর করার জন্য ভাষাগত এবং অন্যান্য কৌশলগত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এ বিষয়েও বিশেষ বাজেট বরাদ্দ দরকার বলে মনে করি।
রাষ্ট্র নারীদের জন্য কর্মপরিবেশ তৈরি না করেই তাদের কাজে নামিয়েছে। বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার পথটুকুও নিরাপদ নয়। নিরাপদ নয় কর্মস্থল। ভয় ও সহিংসতার আশঙ্কা নিয়েই নারীরা কাজে যান। কর্মস্থলে যাওয়ার পথ এবং কর্মস্থল নিরাপদ রাখার জন্য সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। নারীদের জন্য গণপরিবহনে যাতায়াতব্যবস্থা সুষ্ঠু করার পাশাপাশি রাস্তার হয়রানি এবং যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষার বিষয় আমলে এনে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এ জন্য অন্তত দুই স্তরের কর্মপরিকল্পনা জরুরি—প্রথমত, আইনি ও অবকাঠামোগত পরিবর্তন। রাস্তায় গণপরিবহনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, নারীরা এখন জনপরিসর ও কর্মপরিসরে অনেক বেশি দৃশ্যমান। কিন্তু শিশুযত্ন কেন্দ্র তৈরি হয়নি কিংবা হয়নি প্রজনন স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন। এসব একধরনের নারীর প্রতি কাঠামোগত সহিংসতা। সর্বোপরি, নারীর মনস্তত্ত্বে যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাকাঠামোতে পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই এসব খাতে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।
সঙ্গীতা ইমাম
শিক্ষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও সংস্কৃতিকর্মী
এবারের বাজেট আমার মতে গত দুই বছরের বাজেটের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে। গত দুই অর্থবছরে সরকারকে বাজেট দিতে হয়েছে করোনা মহামারি মাথায় রেখে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি। সুতরাং স্বভাবতই নারীর অগ্রগতির প্রশ্নটিও অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই অর্থবছরে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে।
বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, নারীর অগ্রযাত্রার পথে তার প্রভাবও কম নয়। ফলে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেকগুলো বিষয় আলোচনায় রাখতে হবে বলে মনে করছি। বর্তমানে বাংলাদেশের নারীদের একটি বড় অংশ স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের ব্যবসার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
প্রতিবছরই বাজেট হয়; কিন্তু ইন্টারনেটের দামের সমন্বয়টা করা হয় না কখনোই। এমনকি সম্প্রতি যে এক বছর মেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ করা হলো, তার দামও কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা থাকলে তা ইতিবাচক হবে বলে মনে করি। তবে এই প্রণোদনা যেন প্রান্তিক নারীদের কাছে পৌঁছায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
বাজেটে নারীদের সামাজিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে বলতে চাই, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথম চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য জেন্ডার বাজেট প্রস্তাব করেছিলেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ৪৩টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জন্য জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছিল। সে হিসেবে ব্যাপ্তির দিক থেকে একটি বিরাট পরিবর্তন তো আছেই। কিন্তু নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় তো কেবল বরাদ্দ বৃদ্ধির ওপরই নির্ভর করে না। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আরও কতগুলো সূচকও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সামাজিক নিরাপত্তার আওতা কিন্তু বর্তমানে বেড়ে গেছে। সে হিসাবে তার যে গুরুত্ব, সেটা আমরা ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারছি বলে মনে হয় না।
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
কেবল বরাদ্দ বাড়ালেই সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না, আবার অপ্রতুল অর্থেও সেটা সম্ভব নয়। সুতরাং এ দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। গত দুই অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় কিন্তু নারী ও শিশু ছিল না। এদিকে ২০২১ সালের মধ্যেই কিন্তু ১৫ বছরের কম বয়সীদের বাল্যবিবাহ নির্মূলের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। সেটা যে সম্ভব হয়নি, তা করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন জরিপেই দেখা যাচ্ছে। এসবের নিরিখেই এবারের বাজেটে আশা করছি নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটে নারীর জন্য কী থাকছে বা থাকা উচিত তা নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন নারী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্টি বৈষ্ণব।
০৯ জুন ২০২২
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটে নারীর জন্য কী থাকছে বা থাকা উচিত তা নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন নারী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্টি বৈষ্ণব।
০৯ জুন ২০২২
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটে নারীর জন্য কী থাকছে বা থাকা উচিত তা নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন নারী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্টি বৈষ্ণব।
০৯ জুন ২০২২
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটে নারীর জন্য কী থাকছে বা থাকা উচিত তা নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন নারী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্টি বৈষ্ণব।
০৯ জুন ২০২২
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে