গোলাম ওয়াদুদ

এ দেশে ট্রল আর উগান্ডা যেন হরিহর আত্মা। পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। পরিসংখ্যান নেই, তারপরও কাণ্ডজ্ঞান থেকে বুকে হাত দিয়ে বলাই যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশ নিয়ে এতটা ট্রল করে না বাঙালি, যতটা করে উগান্ডা নিয়ে। কেন ভাই? উগান্ডার অবস্থা কি এতই খারাপ? আপনারা না জেনেই বালসুলভ আচরণ করেন এবং উগান্ডাকে ভাসিয়ে দেন ট্রল-সাগরে। আপনারা কি জানেন, উগান্ডার গণমাধ্যমও স্বাধীন? অবশ্য এ নিয়ে দুর্মুখেরা এখন অন্য কথাও বলতে পারে।
এই পরশ্রীকাতরদের দিকে তাকিয়ে না হয় ‘স্বাধীন ছিল’ বলা যায়। তা, এক সময় মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন উগান্ডার সাংবাদিক ভাইয়েরা—এ ভাবলেই তো চোখে জল আসে। কারণ, ‘করতেন’ বলা মানেই তো এখন আর ‘করেন না’ বলা। আহা সে কী দিন ছিল! সরকারের বা বড় ব্যবসাপতির দুর্নীতি, আয়ের পথ, অপরাধ, খুন-জখম ইত্যাদির খবর উগান্ডার সাংবাদিকেরা কত-না সাহসের সঙ্গে প্রচার করতেন। বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে কথা। সততার পরাকাষ্ঠা সেই সাংবাদিকেরা সেই উপহার ‘দূর ছাই’ বলে ভীষণ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেন।
আহা কী সে দিন! কিন্তু হায় ‘সময় গড়ায়ে যায়’। কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলবেন না। কারণ, সময়ের আকার সম্পর্কে আইনস্টাইনও জানতেন না। সে যা হোক। এই সময়ের কোনো এক গলি-ঘুপচিতেই ঘাপটি মেরে ছিল আমাদের ট্রলবাজেরা। তারা কথায় কথায় উগান্ডার নাম নিতেন। ঈর্ষাকাতরতা আরকি। হিংসা, হিংসা। কারও ভালোই সহ্য হয় না; গায়ে ফোসকা পড়ে। আর এ জন্যই উগান্ডা নিয়ে এত কিছু। কথায় কথায় উগান্ডা। কেউ অভিনব কিছু করতে চাইছে, তো বলা হচ্ছে—উগান্ডা চইলা যা। অথচ যে বলছে, সেও হয়তো জীবনে উগান্ডা দেখেনি, এমনকি টিভি কিংবা ছবিতেও। তো এই সব করতে করতেই হাজার মাইল দূরের দেশটির ওপর নজর লাগল। তাও যে-সে নয়, এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের নজর। ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উগান্ডার অবস্থান এবার সাত ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল সাংবাদিকদের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করার পর অবশ্য এ খবর জানা গেল। তো কেন পেছাল?
ব্যাপার আহামরি তেমন কিছুই নয়। হয়েছে কি, খাতা কলমে গণমাধ্যমকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও উগান্ডার কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায় না। এটা অবশ্য হুট করে নয়। আগেই বলেছি, নজর লাগার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের মতো আরও অনেক দেশের মানুষের নজরও সম্ভবত পড়েছিল। আর নজর লাগার তুকতাক চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা একমত হবেন যে, একটু কঠোর না হলে চলে না। উগান্ডা সরকারকেও বাধ্য হয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। তাদের আয়-উন্নতির খবর যাতে বাইরে না আসে, সে জন্য খবরঅলাদের একটু বোঝাতে হয়েছে।
অনেক দেশেই রাষ্ট্রনায়কেরা বছরের পর বছর টিকে থাকার জন্য গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতভাবে আটকানো যায়, তার সবগুলোই করে তারা। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে বছরের পর বছর টিকে থাকতে চায় তারা। উগান্ডার রাষ্ট্রনায়কের মধ্যেও এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আকারে দেখা যায়। ফলে উগান্ডা এবার বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম স্থান দখল করেছে (অবশ্য আমাদের থেকে এগিয়ে এখনো)। আশার কথা হচ্ছে, তাদের আগের অবস্থান থেকে তারা পিছিয়েছে। উগান্ডার অবস্থা গত বছর মানে ২০২১ সালে ছিল ১২৫। মানে এক বছরে তাদের অবনতি হয়েছে ৭ ধাপ। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বছরের পর বছর টিকে আছে দেশটির সরকারপ্রধান।
দেশটিতে ষষ্ঠ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ইওয়েরি মুসেভেনি। ১৯৮৬ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন সাবেক গেরিলা কমান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি ৷ ২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে ২০২১ সালে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনেও জয় লাভ করেন সাবেক এই গেরিলা কমান্ডার। নির্বাচনের সময় দেশটিতে অনেক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বিপক্ষে যিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন মুসেভেনি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল মুসেভেনির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এখনো তিনি টিকে আছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে মুসাভেনি জনগণের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
একই সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে বন্দুকের ব্যবহার করতে হয়, সেটি আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আমাদের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে—এমন কেউও নেই।’
সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিতে তিনি বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। নির্বাচনের পর আন্দোলন দমাতে দেশটির রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান।
দেশটির সংবিধানে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা থাকলেও নানাভাবে তিনি তা দমিয়ে রাখছেন। নিজেদের বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, এমনকি প্রকাশ্যে নিজেও হুমকি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের, যার পরিণতি আজ বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশটির ৭ ধাপ অবনতি।
দেশটিতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটিতে প্রেস অ্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাক্ট ২০০০ আইনটির উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতা, কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করা; যার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠে এবং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা অনুশীলন করে। যা হোক, এই আইনের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার অনুশীলনকে অপরাধীকরণের জন্য অপব্যবহার করেছে। এটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেখানে মিডিয়ার ভয়েস বন্ধ করা হয়েছিল; আইনত কাকে সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে, তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশটিতে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
যা হোক, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা, না করা নিয়ে আমাদের কী যায় আসে। একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেটাকে ঠিক মনে করবেন, সেটাই হবে। তিনি তো বলতেই পারেন যে, ‘আমার শাসনে থাকবা, আমার খাবা, আমার পরবা, আর আমার বিরুদ্ধে লিখবা, তা হবে না।’ এটা আসলে আমি বা আপনিও হয়তে মানব না। আমার বাড়ির বিড়ালকে আমি দুধ-ভাত দিয়ে পোষার পরও যদি আমাকে দেখেই শব্দ করে, তাহলে তো আমিও মানব না। ব্যাপারটা এমনই সরল।
কথামতো না চললে তো বকে দিতেই হয়। এটা তো গুরুজনের কর্তব্য। এমন কর্তব্যের কথা বুঝে না বুঝে রাষ্ট্র করাটা কি মেনে নেওয়া যায়, যখন আবার দূর-অদূরের বহু দেশ নজর দিয়ে বসে আছে। সে যাক। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ভালো-মন্দে নজর লাগিয়ে দেশটিকে না হয় একটি সূচকে নামিয়ে আনা গেছে। কিন্তু আমাদের কী হলো? আমরা তো দিব্যি আছি।

এ দেশে ট্রল আর উগান্ডা যেন হরিহর আত্মা। পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। পরিসংখ্যান নেই, তারপরও কাণ্ডজ্ঞান থেকে বুকে হাত দিয়ে বলাই যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশ নিয়ে এতটা ট্রল করে না বাঙালি, যতটা করে উগান্ডা নিয়ে। কেন ভাই? উগান্ডার অবস্থা কি এতই খারাপ? আপনারা না জেনেই বালসুলভ আচরণ করেন এবং উগান্ডাকে ভাসিয়ে দেন ট্রল-সাগরে। আপনারা কি জানেন, উগান্ডার গণমাধ্যমও স্বাধীন? অবশ্য এ নিয়ে দুর্মুখেরা এখন অন্য কথাও বলতে পারে।
এই পরশ্রীকাতরদের দিকে তাকিয়ে না হয় ‘স্বাধীন ছিল’ বলা যায়। তা, এক সময় মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন উগান্ডার সাংবাদিক ভাইয়েরা—এ ভাবলেই তো চোখে জল আসে। কারণ, ‘করতেন’ বলা মানেই তো এখন আর ‘করেন না’ বলা। আহা সে কী দিন ছিল! সরকারের বা বড় ব্যবসাপতির দুর্নীতি, আয়ের পথ, অপরাধ, খুন-জখম ইত্যাদির খবর উগান্ডার সাংবাদিকেরা কত-না সাহসের সঙ্গে প্রচার করতেন। বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে কথা। সততার পরাকাষ্ঠা সেই সাংবাদিকেরা সেই উপহার ‘দূর ছাই’ বলে ভীষণ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেন।
আহা কী সে দিন! কিন্তু হায় ‘সময় গড়ায়ে যায়’। কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলবেন না। কারণ, সময়ের আকার সম্পর্কে আইনস্টাইনও জানতেন না। সে যা হোক। এই সময়ের কোনো এক গলি-ঘুপচিতেই ঘাপটি মেরে ছিল আমাদের ট্রলবাজেরা। তারা কথায় কথায় উগান্ডার নাম নিতেন। ঈর্ষাকাতরতা আরকি। হিংসা, হিংসা। কারও ভালোই সহ্য হয় না; গায়ে ফোসকা পড়ে। আর এ জন্যই উগান্ডা নিয়ে এত কিছু। কথায় কথায় উগান্ডা। কেউ অভিনব কিছু করতে চাইছে, তো বলা হচ্ছে—উগান্ডা চইলা যা। অথচ যে বলছে, সেও হয়তো জীবনে উগান্ডা দেখেনি, এমনকি টিভি কিংবা ছবিতেও। তো এই সব করতে করতেই হাজার মাইল দূরের দেশটির ওপর নজর লাগল। তাও যে-সে নয়, এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের নজর। ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উগান্ডার অবস্থান এবার সাত ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল সাংবাদিকদের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করার পর অবশ্য এ খবর জানা গেল। তো কেন পেছাল?
ব্যাপার আহামরি তেমন কিছুই নয়। হয়েছে কি, খাতা কলমে গণমাধ্যমকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও উগান্ডার কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায় না। এটা অবশ্য হুট করে নয়। আগেই বলেছি, নজর লাগার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের মতো আরও অনেক দেশের মানুষের নজরও সম্ভবত পড়েছিল। আর নজর লাগার তুকতাক চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা একমত হবেন যে, একটু কঠোর না হলে চলে না। উগান্ডা সরকারকেও বাধ্য হয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। তাদের আয়-উন্নতির খবর যাতে বাইরে না আসে, সে জন্য খবরঅলাদের একটু বোঝাতে হয়েছে।
অনেক দেশেই রাষ্ট্রনায়কেরা বছরের পর বছর টিকে থাকার জন্য গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতভাবে আটকানো যায়, তার সবগুলোই করে তারা। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে বছরের পর বছর টিকে থাকতে চায় তারা। উগান্ডার রাষ্ট্রনায়কের মধ্যেও এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আকারে দেখা যায়। ফলে উগান্ডা এবার বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম স্থান দখল করেছে (অবশ্য আমাদের থেকে এগিয়ে এখনো)। আশার কথা হচ্ছে, তাদের আগের অবস্থান থেকে তারা পিছিয়েছে। উগান্ডার অবস্থা গত বছর মানে ২০২১ সালে ছিল ১২৫। মানে এক বছরে তাদের অবনতি হয়েছে ৭ ধাপ। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বছরের পর বছর টিকে আছে দেশটির সরকারপ্রধান।
দেশটিতে ষষ্ঠ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ইওয়েরি মুসেভেনি। ১৯৮৬ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন সাবেক গেরিলা কমান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি ৷ ২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে ২০২১ সালে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনেও জয় লাভ করেন সাবেক এই গেরিলা কমান্ডার। নির্বাচনের সময় দেশটিতে অনেক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বিপক্ষে যিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন মুসেভেনি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল মুসেভেনির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এখনো তিনি টিকে আছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে মুসাভেনি জনগণের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
একই সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে বন্দুকের ব্যবহার করতে হয়, সেটি আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আমাদের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে—এমন কেউও নেই।’
সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিতে তিনি বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। নির্বাচনের পর আন্দোলন দমাতে দেশটির রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান।
দেশটির সংবিধানে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা থাকলেও নানাভাবে তিনি তা দমিয়ে রাখছেন। নিজেদের বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, এমনকি প্রকাশ্যে নিজেও হুমকি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের, যার পরিণতি আজ বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশটির ৭ ধাপ অবনতি।
দেশটিতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটিতে প্রেস অ্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাক্ট ২০০০ আইনটির উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতা, কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করা; যার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠে এবং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা অনুশীলন করে। যা হোক, এই আইনের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার অনুশীলনকে অপরাধীকরণের জন্য অপব্যবহার করেছে। এটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেখানে মিডিয়ার ভয়েস বন্ধ করা হয়েছিল; আইনত কাকে সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে, তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশটিতে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
যা হোক, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা, না করা নিয়ে আমাদের কী যায় আসে। একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেটাকে ঠিক মনে করবেন, সেটাই হবে। তিনি তো বলতেই পারেন যে, ‘আমার শাসনে থাকবা, আমার খাবা, আমার পরবা, আর আমার বিরুদ্ধে লিখবা, তা হবে না।’ এটা আসলে আমি বা আপনিও হয়তে মানব না। আমার বাড়ির বিড়ালকে আমি দুধ-ভাত দিয়ে পোষার পরও যদি আমাকে দেখেই শব্দ করে, তাহলে তো আমিও মানব না। ব্যাপারটা এমনই সরল।
কথামতো না চললে তো বকে দিতেই হয়। এটা তো গুরুজনের কর্তব্য। এমন কর্তব্যের কথা বুঝে না বুঝে রাষ্ট্র করাটা কি মেনে নেওয়া যায়, যখন আবার দূর-অদূরের বহু দেশ নজর দিয়ে বসে আছে। সে যাক। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ভালো-মন্দে নজর লাগিয়ে দেশটিকে না হয় একটি সূচকে নামিয়ে আনা গেছে। কিন্তু আমাদের কী হলো? আমরা তো দিব্যি আছি।
গোলাম ওয়াদুদ

এ দেশে ট্রল আর উগান্ডা যেন হরিহর আত্মা। পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। পরিসংখ্যান নেই, তারপরও কাণ্ডজ্ঞান থেকে বুকে হাত দিয়ে বলাই যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশ নিয়ে এতটা ট্রল করে না বাঙালি, যতটা করে উগান্ডা নিয়ে। কেন ভাই? উগান্ডার অবস্থা কি এতই খারাপ? আপনারা না জেনেই বালসুলভ আচরণ করেন এবং উগান্ডাকে ভাসিয়ে দেন ট্রল-সাগরে। আপনারা কি জানেন, উগান্ডার গণমাধ্যমও স্বাধীন? অবশ্য এ নিয়ে দুর্মুখেরা এখন অন্য কথাও বলতে পারে।
এই পরশ্রীকাতরদের দিকে তাকিয়ে না হয় ‘স্বাধীন ছিল’ বলা যায়। তা, এক সময় মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন উগান্ডার সাংবাদিক ভাইয়েরা—এ ভাবলেই তো চোখে জল আসে। কারণ, ‘করতেন’ বলা মানেই তো এখন আর ‘করেন না’ বলা। আহা সে কী দিন ছিল! সরকারের বা বড় ব্যবসাপতির দুর্নীতি, আয়ের পথ, অপরাধ, খুন-জখম ইত্যাদির খবর উগান্ডার সাংবাদিকেরা কত-না সাহসের সঙ্গে প্রচার করতেন। বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে কথা। সততার পরাকাষ্ঠা সেই সাংবাদিকেরা সেই উপহার ‘দূর ছাই’ বলে ভীষণ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেন।
আহা কী সে দিন! কিন্তু হায় ‘সময় গড়ায়ে যায়’। কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলবেন না। কারণ, সময়ের আকার সম্পর্কে আইনস্টাইনও জানতেন না। সে যা হোক। এই সময়ের কোনো এক গলি-ঘুপচিতেই ঘাপটি মেরে ছিল আমাদের ট্রলবাজেরা। তারা কথায় কথায় উগান্ডার নাম নিতেন। ঈর্ষাকাতরতা আরকি। হিংসা, হিংসা। কারও ভালোই সহ্য হয় না; গায়ে ফোসকা পড়ে। আর এ জন্যই উগান্ডা নিয়ে এত কিছু। কথায় কথায় উগান্ডা। কেউ অভিনব কিছু করতে চাইছে, তো বলা হচ্ছে—উগান্ডা চইলা যা। অথচ যে বলছে, সেও হয়তো জীবনে উগান্ডা দেখেনি, এমনকি টিভি কিংবা ছবিতেও। তো এই সব করতে করতেই হাজার মাইল দূরের দেশটির ওপর নজর লাগল। তাও যে-সে নয়, এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের নজর। ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উগান্ডার অবস্থান এবার সাত ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল সাংবাদিকদের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করার পর অবশ্য এ খবর জানা গেল। তো কেন পেছাল?
ব্যাপার আহামরি তেমন কিছুই নয়। হয়েছে কি, খাতা কলমে গণমাধ্যমকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও উগান্ডার কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায় না। এটা অবশ্য হুট করে নয়। আগেই বলেছি, নজর লাগার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের মতো আরও অনেক দেশের মানুষের নজরও সম্ভবত পড়েছিল। আর নজর লাগার তুকতাক চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা একমত হবেন যে, একটু কঠোর না হলে চলে না। উগান্ডা সরকারকেও বাধ্য হয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। তাদের আয়-উন্নতির খবর যাতে বাইরে না আসে, সে জন্য খবরঅলাদের একটু বোঝাতে হয়েছে।
অনেক দেশেই রাষ্ট্রনায়কেরা বছরের পর বছর টিকে থাকার জন্য গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতভাবে আটকানো যায়, তার সবগুলোই করে তারা। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে বছরের পর বছর টিকে থাকতে চায় তারা। উগান্ডার রাষ্ট্রনায়কের মধ্যেও এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আকারে দেখা যায়। ফলে উগান্ডা এবার বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম স্থান দখল করেছে (অবশ্য আমাদের থেকে এগিয়ে এখনো)। আশার কথা হচ্ছে, তাদের আগের অবস্থান থেকে তারা পিছিয়েছে। উগান্ডার অবস্থা গত বছর মানে ২০২১ সালে ছিল ১২৫। মানে এক বছরে তাদের অবনতি হয়েছে ৭ ধাপ। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বছরের পর বছর টিকে আছে দেশটির সরকারপ্রধান।
দেশটিতে ষষ্ঠ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ইওয়েরি মুসেভেনি। ১৯৮৬ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন সাবেক গেরিলা কমান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি ৷ ২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে ২০২১ সালে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনেও জয় লাভ করেন সাবেক এই গেরিলা কমান্ডার। নির্বাচনের সময় দেশটিতে অনেক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বিপক্ষে যিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন মুসেভেনি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল মুসেভেনির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এখনো তিনি টিকে আছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে মুসাভেনি জনগণের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
একই সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে বন্দুকের ব্যবহার করতে হয়, সেটি আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আমাদের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে—এমন কেউও নেই।’
সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিতে তিনি বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। নির্বাচনের পর আন্দোলন দমাতে দেশটির রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান।
দেশটির সংবিধানে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা থাকলেও নানাভাবে তিনি তা দমিয়ে রাখছেন। নিজেদের বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, এমনকি প্রকাশ্যে নিজেও হুমকি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের, যার পরিণতি আজ বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশটির ৭ ধাপ অবনতি।
দেশটিতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটিতে প্রেস অ্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাক্ট ২০০০ আইনটির উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতা, কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করা; যার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠে এবং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা অনুশীলন করে। যা হোক, এই আইনের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার অনুশীলনকে অপরাধীকরণের জন্য অপব্যবহার করেছে। এটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেখানে মিডিয়ার ভয়েস বন্ধ করা হয়েছিল; আইনত কাকে সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে, তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশটিতে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
যা হোক, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা, না করা নিয়ে আমাদের কী যায় আসে। একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেটাকে ঠিক মনে করবেন, সেটাই হবে। তিনি তো বলতেই পারেন যে, ‘আমার শাসনে থাকবা, আমার খাবা, আমার পরবা, আর আমার বিরুদ্ধে লিখবা, তা হবে না।’ এটা আসলে আমি বা আপনিও হয়তে মানব না। আমার বাড়ির বিড়ালকে আমি দুধ-ভাত দিয়ে পোষার পরও যদি আমাকে দেখেই শব্দ করে, তাহলে তো আমিও মানব না। ব্যাপারটা এমনই সরল।
কথামতো না চললে তো বকে দিতেই হয়। এটা তো গুরুজনের কর্তব্য। এমন কর্তব্যের কথা বুঝে না বুঝে রাষ্ট্র করাটা কি মেনে নেওয়া যায়, যখন আবার দূর-অদূরের বহু দেশ নজর দিয়ে বসে আছে। সে যাক। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ভালো-মন্দে নজর লাগিয়ে দেশটিকে না হয় একটি সূচকে নামিয়ে আনা গেছে। কিন্তু আমাদের কী হলো? আমরা তো দিব্যি আছি।

এ দেশে ট্রল আর উগান্ডা যেন হরিহর আত্মা। পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। পরিসংখ্যান নেই, তারপরও কাণ্ডজ্ঞান থেকে বুকে হাত দিয়ে বলাই যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশ নিয়ে এতটা ট্রল করে না বাঙালি, যতটা করে উগান্ডা নিয়ে। কেন ভাই? উগান্ডার অবস্থা কি এতই খারাপ? আপনারা না জেনেই বালসুলভ আচরণ করেন এবং উগান্ডাকে ভাসিয়ে দেন ট্রল-সাগরে। আপনারা কি জানেন, উগান্ডার গণমাধ্যমও স্বাধীন? অবশ্য এ নিয়ে দুর্মুখেরা এখন অন্য কথাও বলতে পারে।
এই পরশ্রীকাতরদের দিকে তাকিয়ে না হয় ‘স্বাধীন ছিল’ বলা যায়। তা, এক সময় মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করতেন উগান্ডার সাংবাদিক ভাইয়েরা—এ ভাবলেই তো চোখে জল আসে। কারণ, ‘করতেন’ বলা মানেই তো এখন আর ‘করেন না’ বলা। আহা সে কী দিন ছিল! সরকারের বা বড় ব্যবসাপতির দুর্নীতি, আয়ের পথ, অপরাধ, খুন-জখম ইত্যাদির খবর উগান্ডার সাংবাদিকেরা কত-না সাহসের সঙ্গে প্রচার করতেন। বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে কথা। সততার পরাকাষ্ঠা সেই সাংবাদিকেরা সেই উপহার ‘দূর ছাই’ বলে ভীষণ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেন।
আহা কী সে দিন! কিন্তু হায় ‘সময় গড়ায়ে যায়’। কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলবেন না। কারণ, সময়ের আকার সম্পর্কে আইনস্টাইনও জানতেন না। সে যা হোক। এই সময়ের কোনো এক গলি-ঘুপচিতেই ঘাপটি মেরে ছিল আমাদের ট্রলবাজেরা। তারা কথায় কথায় উগান্ডার নাম নিতেন। ঈর্ষাকাতরতা আরকি। হিংসা, হিংসা। কারও ভালোই সহ্য হয় না; গায়ে ফোসকা পড়ে। আর এ জন্যই উগান্ডা নিয়ে এত কিছু। কথায় কথায় উগান্ডা। কেউ অভিনব কিছু করতে চাইছে, তো বলা হচ্ছে—উগান্ডা চইলা যা। অথচ যে বলছে, সেও হয়তো জীবনে উগান্ডা দেখেনি, এমনকি টিভি কিংবা ছবিতেও। তো এই সব করতে করতেই হাজার মাইল দূরের দেশটির ওপর নজর লাগল। তাও যে-সে নয়, এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের নজর। ফলাফল দেখতেই পাচ্ছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে উগান্ডার অবস্থান এবার সাত ধাপ পিছিয়েছে। গতকাল সাংবাদিকদের প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করার পর অবশ্য এ খবর জানা গেল। তো কেন পেছাল?
ব্যাপার আহামরি তেমন কিছুই নয়। হয়েছে কি, খাতা কলমে গণমাধ্যমকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও উগান্ডার কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায় না। এটা অবশ্য হুট করে নয়। আগেই বলেছি, নজর লাগার একটা ব্যাপার আছে। আমাদের মতো আরও অনেক দেশের মানুষের নজরও সম্ভবত পড়েছিল। আর নজর লাগার তুকতাক চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা একমত হবেন যে, একটু কঠোর না হলে চলে না। উগান্ডা সরকারকেও বাধ্য হয়ে একটু কঠোর হতে হয়েছে। তাদের আয়-উন্নতির খবর যাতে বাইরে না আসে, সে জন্য খবরঅলাদের একটু বোঝাতে হয়েছে।
অনেক দেশেই রাষ্ট্রনায়কেরা বছরের পর বছর টিকে থাকার জন্য গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে রাখে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যতভাবে আটকানো যায়, তার সবগুলোই করে তারা। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে বছরের পর বছর টিকে থাকতে চায় তারা। উগান্ডার রাষ্ট্রনায়কের মধ্যেও এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ আকারে দেখা যায়। ফলে উগান্ডা এবার বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম স্থান দখল করেছে (অবশ্য আমাদের থেকে এগিয়ে এখনো)। আশার কথা হচ্ছে, তাদের আগের অবস্থান থেকে তারা পিছিয়েছে। উগান্ডার অবস্থা গত বছর মানে ২০২১ সালে ছিল ১২৫। মানে এক বছরে তাদের অবনতি হয়েছে ৭ ধাপ। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বছরের পর বছর টিকে আছে দেশটির সরকারপ্রধান।
দেশটিতে ষষ্ঠ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ইওয়েরি মুসেভেনি। ১৯৮৬ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় আছেন সাবেক গেরিলা কমান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি ৷ ২০১৯ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে ২০২১ সালে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনেও জয় লাভ করেন সাবেক এই গেরিলা কমান্ডার। নির্বাচনের সময় দেশটিতে অনেক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। তাঁর বিপক্ষে যিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন মুসেভেনি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল মুসেভেনির বিরুদ্ধে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এখনো তিনি টিকে আছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠলে মুসাভেনি জনগণের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
একই সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে বন্দুকের ব্যবহার করতে হয়, সেটি আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আমাদের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে—এমন কেউও নেই।’
সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিতে তিনি বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচনের সময় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। নির্বাচনের পর আন্দোলন দমাতে দেশটির রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান।
দেশটির সংবিধানে মুক্ত গণমাধ্যমের কথা থাকলেও নানাভাবে তিনি তা দমিয়ে রাখছেন। নিজেদের বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, এমনকি প্রকাশ্যে নিজেও হুমকি দিচ্ছেন সাংবাদিকদের, যার পরিণতি আজ বৈশ্বিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশটির ৭ ধাপ অবনতি।
দেশটিতে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটিতে প্রেস অ্যান্ড জার্নালিস্ট অ্যাক্ট ২০০০ আইনটির উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতা, কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করা; যার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠে এবং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা অনুশীলন করে। যা হোক, এই আইনের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকতার অনুশীলনকে অপরাধীকরণের জন্য অপব্যবহার করেছে। এটি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেখানে মিডিয়ার ভয়েস বন্ধ করা হয়েছিল; আইনত কাকে সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে, তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় দেশটিতে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
যা হোক, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা, না করা নিয়ে আমাদের কী যায় আসে। একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেটাকে ঠিক মনে করবেন, সেটাই হবে। তিনি তো বলতেই পারেন যে, ‘আমার শাসনে থাকবা, আমার খাবা, আমার পরবা, আর আমার বিরুদ্ধে লিখবা, তা হবে না।’ এটা আসলে আমি বা আপনিও হয়তে মানব না। আমার বাড়ির বিড়ালকে আমি দুধ-ভাত দিয়ে পোষার পরও যদি আমাকে দেখেই শব্দ করে, তাহলে তো আমিও মানব না। ব্যাপারটা এমনই সরল।
কথামতো না চললে তো বকে দিতেই হয়। এটা তো গুরুজনের কর্তব্য। এমন কর্তব্যের কথা বুঝে না বুঝে রাষ্ট্র করাটা কি মেনে নেওয়া যায়, যখন আবার দূর-অদূরের বহু দেশ নজর দিয়ে বসে আছে। সে যাক। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ভালো-মন্দে নজর লাগিয়ে দেশটিকে না হয় একটি সূচকে নামিয়ে আনা গেছে। কিন্তু আমাদের কী হলো? আমরা তো দিব্যি আছি।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ ঘণ্টা আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৬ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বড় দুর্নীতির খবর বেরোলে তাদের সরকার রাগ করা তো দূরের কথা, সাংবাদিককে ডেকে তার গালটি টিপে দিত আদর করে। শুধু কি তাই, সঙ্গে দিতে চাইত হাজারটা উপঢৌকন, মানে উপহার আরকি। কিন্তু, বললেই হবে নাকি। উগান্ডার সাংবাদিক বলে...
০৪ মে ২০২২
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে