
ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটের দিন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর সকল প্রচেষ্টাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ইমরান খানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং অনাস্থা ভোট আয়োজন করার আদেশ দেন। গত শনিবার আদালতের আদেশ মেনে সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।
এর আগে, শুক্রবার ইমরানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল—‘মার্শাল ল চান? নাকি নির্বাচন? পছন্দ আপনার।’
এমন হুমকির পর বিরোধী নেতারা মনে করেছিলেন, ইমরানের নির্বাচনের দাবি তাদের মেনে নেওয়া উচিত। তা না হলে ইমরান সামরিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। কারণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে অবশ্য তাঁরা ইমরানের হুমকি উপেক্ষা করেন। কারণ হিসেবে একজন বিরোধী দলীয় নেতা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এবং ইমরান খানও বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (গার্ডিয়ান যার নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটের দিন ইমরানের দল প্রায় ১৪ ঘণ্টা নানাভাবে বিলম্ব করেছিল। কারণ ইমরান খান তখন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন, যাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মার্শাল ল জারি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনা প্রধানকে বরখাস্ত করার তথ্য সেনাবাহিনী আগেই পেয়েছিল। সে জন্য ইমরানের পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ইমরান বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
গত শনিবার তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দেশে যদি সামরিক আইন জারি হয়, তার জন্য বিরোধী দলগুলোই দায়ী থাকবে।’ এ থেকে বোঝা যায় ইমরানের ক্ষমতাসীন সরকার সম্ভবত সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চ তৈরি করছিল।
এমনকি বিরোধী দলীয় নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ইমরান খান চান সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা গ্রহণ করুক।’
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদনান ইকবাল বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, শনিবার রাতে ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই রাতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা প্রধান ইমরান খানকে ভাগ্য মেনে নিতে এবং ভোটে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছিলেন।
অবশেষে স্পিকার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করার পরে এবং মধ্যরাতের সময়সীমার মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদে ভোট হয়। ইমরান খান ভোটে হেরে যান। ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ‘ভিত্তিহীন গুজব’। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এসব বানোয়াট গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণ পরাজিত করবে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে শান্তির নিশ্চয়তাদাতা। শত্রুরা অকারণে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।’
পাকিস্তান সম্পর্কিত পড়ুন:

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটের দিন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর সকল প্রচেষ্টাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ইমরান খানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং অনাস্থা ভোট আয়োজন করার আদেশ দেন। গত শনিবার আদালতের আদেশ মেনে সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।
এর আগে, শুক্রবার ইমরানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল—‘মার্শাল ল চান? নাকি নির্বাচন? পছন্দ আপনার।’
এমন হুমকির পর বিরোধী নেতারা মনে করেছিলেন, ইমরানের নির্বাচনের দাবি তাদের মেনে নেওয়া উচিত। তা না হলে ইমরান সামরিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। কারণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে অবশ্য তাঁরা ইমরানের হুমকি উপেক্ষা করেন। কারণ হিসেবে একজন বিরোধী দলীয় নেতা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এবং ইমরান খানও বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (গার্ডিয়ান যার নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটের দিন ইমরানের দল প্রায় ১৪ ঘণ্টা নানাভাবে বিলম্ব করেছিল। কারণ ইমরান খান তখন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন, যাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মার্শাল ল জারি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনা প্রধানকে বরখাস্ত করার তথ্য সেনাবাহিনী আগেই পেয়েছিল। সে জন্য ইমরানের পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ইমরান বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
গত শনিবার তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দেশে যদি সামরিক আইন জারি হয়, তার জন্য বিরোধী দলগুলোই দায়ী থাকবে।’ এ থেকে বোঝা যায় ইমরানের ক্ষমতাসীন সরকার সম্ভবত সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চ তৈরি করছিল।
এমনকি বিরোধী দলীয় নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ইমরান খান চান সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা গ্রহণ করুক।’
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদনান ইকবাল বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, শনিবার রাতে ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই রাতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা প্রধান ইমরান খানকে ভাগ্য মেনে নিতে এবং ভোটে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছিলেন।
অবশেষে স্পিকার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করার পরে এবং মধ্যরাতের সময়সীমার মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদে ভোট হয়। ইমরান খান ভোটে হেরে যান। ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ‘ভিত্তিহীন গুজব’। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এসব বানোয়াট গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণ পরাজিত করবে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে শান্তির নিশ্চয়তাদাতা। শত্রুরা অকারণে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।’
পাকিস্তান সম্পর্কিত পড়ুন:

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটের দিন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর সকল প্রচেষ্টাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ইমরান খানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং অনাস্থা ভোট আয়োজন করার আদেশ দেন। গত শনিবার আদালতের আদেশ মেনে সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।
এর আগে, শুক্রবার ইমরানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল—‘মার্শাল ল চান? নাকি নির্বাচন? পছন্দ আপনার।’
এমন হুমকির পর বিরোধী নেতারা মনে করেছিলেন, ইমরানের নির্বাচনের দাবি তাদের মেনে নেওয়া উচিত। তা না হলে ইমরান সামরিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। কারণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে অবশ্য তাঁরা ইমরানের হুমকি উপেক্ষা করেন। কারণ হিসেবে একজন বিরোধী দলীয় নেতা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এবং ইমরান খানও বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (গার্ডিয়ান যার নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটের দিন ইমরানের দল প্রায় ১৪ ঘণ্টা নানাভাবে বিলম্ব করেছিল। কারণ ইমরান খান তখন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন, যাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মার্শাল ল জারি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনা প্রধানকে বরখাস্ত করার তথ্য সেনাবাহিনী আগেই পেয়েছিল। সে জন্য ইমরানের পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ইমরান বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
গত শনিবার তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দেশে যদি সামরিক আইন জারি হয়, তার জন্য বিরোধী দলগুলোই দায়ী থাকবে।’ এ থেকে বোঝা যায় ইমরানের ক্ষমতাসীন সরকার সম্ভবত সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চ তৈরি করছিল।
এমনকি বিরোধী দলীয় নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ইমরান খান চান সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা গ্রহণ করুক।’
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদনান ইকবাল বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, শনিবার রাতে ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই রাতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা প্রধান ইমরান খানকে ভাগ্য মেনে নিতে এবং ভোটে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছিলেন।
অবশেষে স্পিকার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করার পরে এবং মধ্যরাতের সময়সীমার মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদে ভোট হয়। ইমরান খান ভোটে হেরে যান। ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ‘ভিত্তিহীন গুজব’। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এসব বানোয়াট গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণ পরাজিত করবে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে শান্তির নিশ্চয়তাদাতা। শত্রুরা অকারণে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।’
পাকিস্তান সম্পর্কিত পড়ুন:

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটের দিন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর সকল প্রচেষ্টাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ইমরান খানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং অনাস্থা ভোট আয়োজন করার আদেশ দেন। গত শনিবার আদালতের আদেশ মেনে সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।
এর আগে, শুক্রবার ইমরানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল—‘মার্শাল ল চান? নাকি নির্বাচন? পছন্দ আপনার।’
এমন হুমকির পর বিরোধী নেতারা মনে করেছিলেন, ইমরানের নির্বাচনের দাবি তাদের মেনে নেওয়া উচিত। তা না হলে ইমরান সামরিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। কারণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে অবশ্য তাঁরা ইমরানের হুমকি উপেক্ষা করেন। কারণ হিসেবে একজন বিরোধী দলীয় নেতা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এবং ইমরান খানও বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (গার্ডিয়ান যার নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটের দিন ইমরানের দল প্রায় ১৪ ঘণ্টা নানাভাবে বিলম্ব করেছিল। কারণ ইমরান খান তখন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন, যাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মার্শাল ল জারি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনা প্রধানকে বরখাস্ত করার তথ্য সেনাবাহিনী আগেই পেয়েছিল। সে জন্য ইমরানের পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ইমরান বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
গত শনিবার তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দেশে যদি সামরিক আইন জারি হয়, তার জন্য বিরোধী দলগুলোই দায়ী থাকবে।’ এ থেকে বোঝা যায় ইমরানের ক্ষমতাসীন সরকার সম্ভবত সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চ তৈরি করছিল।
এমনকি বিরোধী দলীয় নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ইমরান খান চান সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা গ্রহণ করুক।’
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদনান ইকবাল বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, শনিবার রাতে ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই রাতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা প্রধান ইমরান খানকে ভাগ্য মেনে নিতে এবং ভোটে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছিলেন।
অবশেষে স্পিকার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করার পরে এবং মধ্যরাতের সময়সীমার মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদে ভোট হয়। ইমরান খান ভোটে হেরে যান। ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ‘ভিত্তিহীন গুজব’। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এসব বানোয়াট গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণ পরাজিত করবে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে শান্তির নিশ্চয়তাদাতা। শত্রুরা অকারণে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।’
পাকিস্তান সম্পর্কিত পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্কুলে পড়ান সুজানা। গত দুই বছরে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সুজানার কেটেছে শিশুদের জিনিসপত্র সযত্নে সাজানো, ছবি ও বইয়ের মাধ্যমে শেখানো এবং গানের চর্চা করিয়ে। কিন্তু গত অক্টোবরে পাল্টে গেল তাঁর এই জীবন। খবর পেলেন, শিশুদের শিক্ষক হিসেবে যে উপভোগ্য সময় তিনি কাটাতেন, সেই কাজের অনুমতি নবায়নের
১ ঘণ্টা আগে
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্কুলে পড়ান সুজানা। গত দুই বছরে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সুজানার কেটেছে শিশুদের জিনিসপত্র সযত্নে সাজানো, ছবি ও বইয়ের মাধ্যমে শেখানো এবং গানের চর্চা করিয়ে। কিন্তু গত অক্টোবরে পাল্টে গেল তাঁর এই জীবন। খবর পেলেন, শিশুদের শিক্ষক হিসেবে যে উপভোগ্য সময় তিনি কাটাতেন, সেই কাজের অনুমতি নবায়নের আবেদন বাতিল হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষক অভিবাসী, যাদের মধ্যে একজন সুজানা। আর তাঁর এই পরিচয়ই এখন আবারও ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চিত জীবনের দিকে।
প্রায় এক দশক আগে গুয়াতেমালার সহিংসতা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন সুজানা।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশ থেকে শিক্ষক নিয়োগ বাড়লেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘অভিবাসী হঠাও’ নীতি তাঁদের জীবিকার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি এভাবে শিক্ষককে হারানো শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা।
ওয়াশিংটন ডিসির কমিউনিকিডস প্রি-স্কুলের শিক্ষক সুজানা আল জাজিরাকে বলছিলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই খবরটা কীভাবে জানাব ভাবছিলাম। তাদের মধ্যে অনেকের বয়স তিন থেকে চার বছর। আবার অনেকে এত ছোট বিষয়টা বোঝার ক্ষমতা নেই।’
স্প্যানিশ ভাষায় সুজানা বলতে থাকেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে আমি সবকিছু হারালাম। যখন আমি শিক্ষার্থীদের বিদায় জানালাম, তারা জানতে চেয়েছিল কেন। আমি শুধু বলতে পেরেছিলাম, ‘আমি কেবল তোমাদের বিদায় বলতে পারি।’
সুজানা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘কিছু শিশু আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। ওদের কথা ভেবে আমার মন কেঁদে উঠেছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বিদেশে জন্ম নিয়েছেন এমন শিক্ষক কাজ করছেন, এর সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে ২০১৯ সালে প্রকাশিত জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৮১ লাখ শিক্ষকের মধ্যে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জন অভিবাসী। তাঁরা প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নানা শিক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত আছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রি-কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদ পূরণের জন্য ৬ হাজার ৭১৬ জন পূর্ণকালীন শিক্ষককে অস্থায়ী এক্সচেঞ্জ ভিসায় দেশে এনেছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষক ফিলিপাইন থেকে এসেছিলেন, পাশাপাশি জ্যামাইকা, স্পেন ও কলম্বিয়ার মতো দেশ থেকেও অনেকে ছিলেন।
তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসীদের জন্য তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা স্কুলগুলোতে বেশ বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে, কেন না তাঁরা অভিবাসী শিক্ষকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
সুজানার কর্মস্থল কমিউনিকিডস প্রি-স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রাউল ইচেভারিয়া অনুমান করে বলেন, কমিউনিকিডসের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী অভিবাসী। এদের মধ্যে নাগরিকত্ব পাওয়া এবং বৈধ অনুমোদনের সঙ্গে কাজ করা অভিবাসী উভয়েই রয়েছেন।
অভিবাসনের বৈধ পথ বাতিলের কারণে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে জানান ইচেভারিয়া।
স্কুলের আরও পাঁচজন শিক্ষকের কাজের ক্ষমতা অস্থায়ী কাজের অনুমতি (Temporary Protected Status, TPS) বাতিল হয়েছে। ইচেভারিয়া জানান, এই পাঁচজন শিক্ষক মূলত ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছেন। কিন্তু অক্টোবর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন কমিউনিকিডসের শিক্ষকদেরসহ ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ভেনেজুয়েলার নাগরিকের টিপিএস বাতিল করে।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর তাদের যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদন শেষ হবে।
কমিউনিকিডস প্রি-স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ইচেভারিয়া বলেন, ‘এই শিক্ষকেরা জীবিকার সুযোগ হারিয়েছেন। আর আমার স্কুলে স্প্যানিশ, ফরাসি ও ম্যান্ডারিনের মতো ভাষায় দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে।’
সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্কুলগুলো শিক্ষক সংকটে পড়ছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যই ফেডারেল সরকারের কাছে শিক্ষক ঘাটতির তথ্য জানিয়েছে। তবে এ নীতির সমর্থকেরা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চ চাপ এবং কম বেতন শিক্ষকদের আকর্ষণ ও ধরে রাখাকে কঠিন করে তোলে। ফলে কিছু রাজ্য শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মী সংগ্রহের জন্য বিদেশিদের দিকে ঝুঁকছে।
ইচেভারিয়া জানান, এই নীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীদের ওপর পড়েছে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। হঠাৎ এক রাতের মধ্যে তারা সেই শিক্ষককে হারায়। তখন তাদের মনের অবস্থা কি হতে পারে!’
তিনি মনে করেন, যখন এই সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, তখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে ছোট বয়সী শিশুদের মধ্যে।
আমেরিকান এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষকেরা যদি বছরের মধ্যবর্তী সময়ে বিদ্যালয় ছাড়েন, তখন শিশুদের ভাষা দক্ষতা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রভাব শিশুর আত্মসম্মান এবং মানসিক স্থিতিশীলতাকেও ছোঁয়।
কমিউনিকিডস-এ পড়া এক শিশু অভিভাবক মিশেল হাওয়েল জানান, শিক্ষককে হারানো ক্লাসরুমের পরিবেশকেও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘সেখানে শিক্ষকেরা শুধুমাত্র ছোট শিশুদের শিক্ষক নন। তারা যেন বাড়িতে যুক্ত হওয়া নতুন এক সদস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা শিশুদের জড়িয়ে ধরে, অভিভাবকের মতো আগলে রাখে। যখন সেই মানুষগুলো থাকে না, তা শুধু শিশুদের জন্যই নয়, সবার জন্যই মেনে নেওয়া কঠিন।’
স্কুল সাইকোলজিস্ট মারিয়া সি (ছদ্মনাম) বলেন, কোনো প্রিয় ব্যক্তি বা শিক্ষকের হঠাৎ অনুপস্থিতি শিশুর শরীরে কর্টিসল হরমোন বৃদ্ধি করতে পারে, যা বিপদের মুহূর্তে শিশুকে সুরক্ষা দেয়। যখন এই চাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখন একই হরমোন সাহায্যের চেয়ে ক্ষতি করতে শুরু করে। এটি শিশুর স্মৃতি, মনোযোগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনি যেসব শিশুর সঙ্গে কাজ করেন, তারা এই বহিষ্কার নীতির কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করছে।
মারিয়া বলেন, ‘কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এটি উদ্বেগের মতো প্রকাশ পায়। অন্যদের ক্ষেত্রে হতাশা বা হঠাৎ রাগের প্রকাশ দেখা যায়। তারা সারাদিন “লড়াই বা পালানো” মোডে থাকে।’
পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্কুলে পড়ান সুজানা। গত দুই বছরে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সুজানার কেটেছে শিশুদের জিনিসপত্র সযত্নে সাজানো, ছবি ও বইয়ের মাধ্যমে শেখানো এবং গানের চর্চা করিয়ে। কিন্তু গত অক্টোবরে পাল্টে গেল তাঁর এই জীবন। খবর পেলেন, শিশুদের শিক্ষক হিসেবে যে উপভোগ্য সময় তিনি কাটাতেন, সেই কাজের অনুমতি নবায়নের আবেদন বাতিল হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষক অভিবাসী, যাদের মধ্যে একজন সুজানা। আর তাঁর এই পরিচয়ই এখন আবারও ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চিত জীবনের দিকে।
প্রায় এক দশক আগে গুয়াতেমালার সহিংসতা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন সুজানা।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশ থেকে শিক্ষক নিয়োগ বাড়লেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘অভিবাসী হঠাও’ নীতি তাঁদের জীবিকার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি এভাবে শিক্ষককে হারানো শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা।
ওয়াশিংটন ডিসির কমিউনিকিডস প্রি-স্কুলের শিক্ষক সুজানা আল জাজিরাকে বলছিলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই খবরটা কীভাবে জানাব ভাবছিলাম। তাদের মধ্যে অনেকের বয়স তিন থেকে চার বছর। আবার অনেকে এত ছোট বিষয়টা বোঝার ক্ষমতা নেই।’
স্প্যানিশ ভাষায় সুজানা বলতে থাকেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে আমি সবকিছু হারালাম। যখন আমি শিক্ষার্থীদের বিদায় জানালাম, তারা জানতে চেয়েছিল কেন। আমি শুধু বলতে পেরেছিলাম, ‘আমি কেবল তোমাদের বিদায় বলতে পারি।’
সুজানা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘কিছু শিশু আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। ওদের কথা ভেবে আমার মন কেঁদে উঠেছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বিদেশে জন্ম নিয়েছেন এমন শিক্ষক কাজ করছেন, এর সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে ২০১৯ সালে প্রকাশিত জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৮১ লাখ শিক্ষকের মধ্যে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জন অভিবাসী। তাঁরা প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নানা শিক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত আছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রি-কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদ পূরণের জন্য ৬ হাজার ৭১৬ জন পূর্ণকালীন শিক্ষককে অস্থায়ী এক্সচেঞ্জ ভিসায় দেশে এনেছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষক ফিলিপাইন থেকে এসেছিলেন, পাশাপাশি জ্যামাইকা, স্পেন ও কলম্বিয়ার মতো দেশ থেকেও অনেকে ছিলেন।
তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসীদের জন্য তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা স্কুলগুলোতে বেশ বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে, কেন না তাঁরা অভিবাসী শিক্ষকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
সুজানার কর্মস্থল কমিউনিকিডস প্রি-স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রাউল ইচেভারিয়া অনুমান করে বলেন, কমিউনিকিডসের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী অভিবাসী। এদের মধ্যে নাগরিকত্ব পাওয়া এবং বৈধ অনুমোদনের সঙ্গে কাজ করা অভিবাসী উভয়েই রয়েছেন।
অভিবাসনের বৈধ পথ বাতিলের কারণে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে জানান ইচেভারিয়া।
স্কুলের আরও পাঁচজন শিক্ষকের কাজের ক্ষমতা অস্থায়ী কাজের অনুমতি (Temporary Protected Status, TPS) বাতিল হয়েছে। ইচেভারিয়া জানান, এই পাঁচজন শিক্ষক মূলত ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছেন। কিন্তু অক্টোবর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন কমিউনিকিডসের শিক্ষকদেরসহ ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ভেনেজুয়েলার নাগরিকের টিপিএস বাতিল করে।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর তাদের যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদন শেষ হবে।
কমিউনিকিডস প্রি-স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ইচেভারিয়া বলেন, ‘এই শিক্ষকেরা জীবিকার সুযোগ হারিয়েছেন। আর আমার স্কুলে স্প্যানিশ, ফরাসি ও ম্যান্ডারিনের মতো ভাষায় দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে।’
সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্কুলগুলো শিক্ষক সংকটে পড়ছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যই ফেডারেল সরকারের কাছে শিক্ষক ঘাটতির তথ্য জানিয়েছে। তবে এ নীতির সমর্থকেরা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চ চাপ এবং কম বেতন শিক্ষকদের আকর্ষণ ও ধরে রাখাকে কঠিন করে তোলে। ফলে কিছু রাজ্য শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মী সংগ্রহের জন্য বিদেশিদের দিকে ঝুঁকছে।
ইচেভারিয়া জানান, এই নীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীদের ওপর পড়েছে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। হঠাৎ এক রাতের মধ্যে তারা সেই শিক্ষককে হারায়। তখন তাদের মনের অবস্থা কি হতে পারে!’
তিনি মনে করেন, যখন এই সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, তখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে ছোট বয়সী শিশুদের মধ্যে।
আমেরিকান এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষকেরা যদি বছরের মধ্যবর্তী সময়ে বিদ্যালয় ছাড়েন, তখন শিশুদের ভাষা দক্ষতা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রভাব শিশুর আত্মসম্মান এবং মানসিক স্থিতিশীলতাকেও ছোঁয়।
কমিউনিকিডস-এ পড়া এক শিশু অভিভাবক মিশেল হাওয়েল জানান, শিক্ষককে হারানো ক্লাসরুমের পরিবেশকেও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘সেখানে শিক্ষকেরা শুধুমাত্র ছোট শিশুদের শিক্ষক নন। তারা যেন বাড়িতে যুক্ত হওয়া নতুন এক সদস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা শিশুদের জড়িয়ে ধরে, অভিভাবকের মতো আগলে রাখে। যখন সেই মানুষগুলো থাকে না, তা শুধু শিশুদের জন্যই নয়, সবার জন্যই মেনে নেওয়া কঠিন।’
স্কুল সাইকোলজিস্ট মারিয়া সি (ছদ্মনাম) বলেন, কোনো প্রিয় ব্যক্তি বা শিক্ষকের হঠাৎ অনুপস্থিতি শিশুর শরীরে কর্টিসল হরমোন বৃদ্ধি করতে পারে, যা বিপদের মুহূর্তে শিশুকে সুরক্ষা দেয়। যখন এই চাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখন একই হরমোন সাহায্যের চেয়ে ক্ষতি করতে শুরু করে। এটি শিশুর স্মৃতি, মনোযোগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনি যেসব শিশুর সঙ্গে কাজ করেন, তারা এই বহিষ্কার নীতির কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করছে।
মারিয়া বলেন, ‘কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এটি উদ্বেগের মতো প্রকাশ পায়। অন্যদের ক্ষেত্রে হতাশা বা হঠাৎ রাগের প্রকাশ দেখা যায়। তারা সারাদিন “লড়াই বা পালানো” মোডে থাকে।’
পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
১১ এপ্রিল ২০২২
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস বা ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভের ঐতিহাসিক বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অঙ্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বোনাস প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এই অর্থের সংস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত তাঁর প্রশাসনের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত ব্যাপক শুল্কনীতি এবং গত ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ থেকে আসবে। ভাষণে ট্রাম্প অত্যন্ত দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর চেয়ে এই সম্মানের দাবিদার আর কেউ নেই। চেকগুলো ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে এবং বড়দিনের উৎসবের আগেই তা আমাদের বীরদের হাতে পৌঁছাবে।’
মাত্র ১৮ মিনিটের এই ভাষণে ট্রাম্প তাঁর গত ১১ মাসের অর্থনৈতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের মতে, পেট্রল এবং ডিমের দাম কমেছে।
তিনি বর্তমান দ্রব্যমূল্যের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন, ভাষণে সাতবার বাইডেনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা মুদি পণ্যের দাম আকাশে তুলেছিলেন, কিন্তু আমরা তা সমাধান করছি।’
যদিও সরকারি তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। সেপ্টেম্বরের অর্থনৈতিক উপাত্ত অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশ ছুঁয়েছে। যদিও কিছু পণ্যের দাম কমেছে, তবে সাধারণ আমেরিকানদের বড় অংশই এখনো আবাসন খরচ, শিশু যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট।
ট্রাম্পের এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বিভিন্ন স্বাধীন জনমত জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ভাষণে তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকলেও পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
পলিটিকোর জরিপ অনুযায়ী, অর্ধেক ভোটার এমনকি ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া ১০ জনের মধ্যে ৪ জন মনে করেন জীবনযাত্রার ব্যয় তাঁদের জীবদ্দশায় এখন সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে আছে।
সিবিএস নিউজ/ইউগভের নভেম্বর মাসের জরিপ বলছে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ট্রাম্পের ওপর জনসমর্থন গত মার্চের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে মাত্র ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক সিটি এমনকি মিয়ামি এবং জর্জিয়ার নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আশানুরূপ ফল না হওয়াকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হিসেবে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।
২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। সেই মাইলফলক সামনে রেখে ট্রাম্প এক দেশপ্রেমমূলক আহ্বানের মাধ্যমে তাঁর ভাষণ শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর বিশ্ব যখন আমাদের দিকে তাকাবে, তারা দেখবে এমন এক জাতি, যারা তাদের নাগরিকদের প্রতি অনুগত এবং শ্রমিকদের প্রতি বিশ্বস্ত। আমরা আবার আগের মতো সম্মান পাচ্ছি।’
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সমর্থন ধরে রাখতেই এই ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গত ১১ মাসে সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না আসায় এই সংক্ষিপ্ত ভাষণ বা এককালীন বোনাস ভোটারদের দীর্ঘমেয়াদি অসন্তোষ কমাতে কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস বা ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভের ঐতিহাসিক বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অঙ্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বোনাস প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এই অর্থের সংস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত তাঁর প্রশাসনের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত ব্যাপক শুল্কনীতি এবং গত ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ থেকে আসবে। ভাষণে ট্রাম্প অত্যন্ত দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর চেয়ে এই সম্মানের দাবিদার আর কেউ নেই। চেকগুলো ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে এবং বড়দিনের উৎসবের আগেই তা আমাদের বীরদের হাতে পৌঁছাবে।’
মাত্র ১৮ মিনিটের এই ভাষণে ট্রাম্প তাঁর গত ১১ মাসের অর্থনৈতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের মতে, পেট্রল এবং ডিমের দাম কমেছে।
তিনি বর্তমান দ্রব্যমূল্যের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন, ভাষণে সাতবার বাইডেনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা মুদি পণ্যের দাম আকাশে তুলেছিলেন, কিন্তু আমরা তা সমাধান করছি।’
যদিও সরকারি তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। সেপ্টেম্বরের অর্থনৈতিক উপাত্ত অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশ ছুঁয়েছে। যদিও কিছু পণ্যের দাম কমেছে, তবে সাধারণ আমেরিকানদের বড় অংশই এখনো আবাসন খরচ, শিশু যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট।
ট্রাম্পের এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বিভিন্ন স্বাধীন জনমত জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ভাষণে তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকলেও পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
পলিটিকোর জরিপ অনুযায়ী, অর্ধেক ভোটার এমনকি ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া ১০ জনের মধ্যে ৪ জন মনে করেন জীবনযাত্রার ব্যয় তাঁদের জীবদ্দশায় এখন সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে আছে।
সিবিএস নিউজ/ইউগভের নভেম্বর মাসের জরিপ বলছে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ট্রাম্পের ওপর জনসমর্থন গত মার্চের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে মাত্র ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক সিটি এমনকি মিয়ামি এবং জর্জিয়ার নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আশানুরূপ ফল না হওয়াকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হিসেবে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।
২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। সেই মাইলফলক সামনে রেখে ট্রাম্প এক দেশপ্রেমমূলক আহ্বানের মাধ্যমে তাঁর ভাষণ শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর বিশ্ব যখন আমাদের দিকে তাকাবে, তারা দেখবে এমন এক জাতি, যারা তাদের নাগরিকদের প্রতি অনুগত এবং শ্রমিকদের প্রতি বিশ্বস্ত। আমরা আবার আগের মতো সম্মান পাচ্ছি।’
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সমর্থন ধরে রাখতেই এই ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গত ১১ মাসে সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না আসায় এই সংক্ষিপ্ত ভাষণ বা এককালীন বোনাস ভোটারদের দীর্ঘমেয়াদি অসন্তোষ কমাতে কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
১১ এপ্রিল ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্কুলে পড়ান সুজানা। গত দুই বছরে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সুজানার কেটেছে শিশুদের জিনিসপত্র সযত্নে সাজানো, ছবি ও বইয়ের মাধ্যমে শেখানো এবং গানের চর্চা করিয়ে। কিন্তু গত অক্টোবরে পাল্টে গেল তাঁর এই জীবন। খবর পেলেন, শিশুদের শিক্ষক হিসেবে যে উপভোগ্য সময় তিনি কাটাতেন, সেই কাজের অনুমতি নবায়নের
১ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মিলারের এই মন্তব্য ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ঘিরে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা ট্রাম্প প্রশাসন এত দিন দাবি করে আসছে, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মূল কারণ মাদক পাচার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে স্টিফেন মিলার লেখেন, ‘ভেনেজুয়েলার তেলশিল্প গড়ে উঠেছে আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই স্বৈরাচারী দখলদারি মার্কিন সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসে নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় চুরি। পরে এই লুণ্ঠিত সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থ জোগাতে এবং খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক দিয়ে আমাদের সড়কগুলো প্লাবিত করতে।’
তবে আন্তর্জাতিক আইন বলছে, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতির আওতায় ভেনেজুয়েলার তেল ওই দেশটিরই সম্পদ।
যদিও ভেনেজুয়েলায় তেল অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো যুক্ত ছিল। ১৯৭৬ সালে তেল খাত জাতীয়করণ করে ভেনেজুয়েলা। এরপর খাতটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএর হাতে।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে প্রয়াত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ ভেনেজুয়েলার অবশিষ্ট বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টদের কার্যত ওই দেশ থেকে সরে আসতে হয়।
এ সময় তেল খাত জাতীয়করণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো আইনি লড়াই শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সালিসি ট্রাইব্যুনাল এক্সন মোবিলকে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ভেনেজুয়েলাকে নির্দেশ দেয়। তবে এ-সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিজের তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি আরও জোরদার করেন ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলোর ওপর অবরোধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আর এই অবরোধ ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্রমেই কঠোর ও সংঘাতমুখী নীতির অংশ। আর ট্রাম্পের এই নীতির লক্ষ্য দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আবারও স্টিফেন মিলারের বক্তব্যের সুরে বলেন, ভেনেজুয়েলাবাসী যুক্তরাষ্ট্রের তেল চুরি করেছে।
ট্রাম্প লেখেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠা সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি আরও বড় আকার নেবে। তাদের জন্য যে ধাক্কা আসবে, তা তারা আগে কখনো দেখেনি। যত দিন না তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগে চুরি করা সব তেল, ভূমি ও অন্যান্য সম্পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে, তত দিন এটা চলবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধেও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত নভেম্বরে প্রশাসন ‘কার্টেল দে লস সোলেস’-কে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। যদিও এই নামটি কোনো সংগঠিত গোষ্ঠীকে নির্দেশ করে না।
বরং এটি ভেনেজুয়েলার সরকার ও সামরিক বাহিনীর ভেতরে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ বোঝাতে ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেনেজুয়েলার শাসনব্যবস্থাকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর পেছনে তিনি যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে।
তবে গত বুধবার অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ব্যক্তিগত তেল কোম্পানিগুলোর কাছে যোগাযোগ করেছে। তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে তারা ভেনেজুয়েলায় আবার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কি না।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মারিয়া করোনা মাচাদো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, দেশের তেল খাত বেসরকারীকরণ করা হবে এবং বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তিনি এ বছরের শুরুতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মিলারের এই মন্তব্য ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ঘিরে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা ট্রাম্প প্রশাসন এত দিন দাবি করে আসছে, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মূল কারণ মাদক পাচার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে স্টিফেন মিলার লেখেন, ‘ভেনেজুয়েলার তেলশিল্প গড়ে উঠেছে আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই স্বৈরাচারী দখলদারি মার্কিন সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসে নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় চুরি। পরে এই লুণ্ঠিত সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থ জোগাতে এবং খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক দিয়ে আমাদের সড়কগুলো প্লাবিত করতে।’
তবে আন্তর্জাতিক আইন বলছে, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতির আওতায় ভেনেজুয়েলার তেল ওই দেশটিরই সম্পদ।
যদিও ভেনেজুয়েলায় তেল অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো যুক্ত ছিল। ১৯৭৬ সালে তেল খাত জাতীয়করণ করে ভেনেজুয়েলা। এরপর খাতটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএর হাতে।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে প্রয়াত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ ভেনেজুয়েলার অবশিষ্ট বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টদের কার্যত ওই দেশ থেকে সরে আসতে হয়।
এ সময় তেল খাত জাতীয়করণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো আইনি লড়াই শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সালিসি ট্রাইব্যুনাল এক্সন মোবিলকে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ভেনেজুয়েলাকে নির্দেশ দেয়। তবে এ-সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিজের তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি আরও জোরদার করেন ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলোর ওপর অবরোধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আর এই অবরোধ ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্রমেই কঠোর ও সংঘাতমুখী নীতির অংশ। আর ট্রাম্পের এই নীতির লক্ষ্য দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আবারও স্টিফেন মিলারের বক্তব্যের সুরে বলেন, ভেনেজুয়েলাবাসী যুক্তরাষ্ট্রের তেল চুরি করেছে।
ট্রাম্প লেখেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠা সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি আরও বড় আকার নেবে। তাদের জন্য যে ধাক্কা আসবে, তা তারা আগে কখনো দেখেনি। যত দিন না তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগে চুরি করা সব তেল, ভূমি ও অন্যান্য সম্পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে, তত দিন এটা চলবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধেও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত নভেম্বরে প্রশাসন ‘কার্টেল দে লস সোলেস’-কে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। যদিও এই নামটি কোনো সংগঠিত গোষ্ঠীকে নির্দেশ করে না।
বরং এটি ভেনেজুয়েলার সরকার ও সামরিক বাহিনীর ভেতরে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ বোঝাতে ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেনেজুয়েলার শাসনব্যবস্থাকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর পেছনে তিনি যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে।
তবে গত বুধবার অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ব্যক্তিগত তেল কোম্পানিগুলোর কাছে যোগাযোগ করেছে। তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে তারা ভেনেজুয়েলায় আবার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কি না।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মারিয়া করোনা মাচাদো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, দেশের তেল খাত বেসরকারীকরণ করা হবে এবং বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তিনি এ বছরের শুরুতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
১১ এপ্রিল ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্কুলে পড়ান সুজানা। গত দুই বছরে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সুজানার কেটেছে শিশুদের জিনিসপত্র সযত্নে সাজানো, ছবি ও বইয়ের মাধ্যমে শেখানো এবং গানের চর্চা করিয়ে। কিন্তু গত অক্টোবরে পাল্টে গেল তাঁর এই জীবন। খবর পেলেন, শিশুদের শিক্ষক হিসেবে যে উপভোগ্য সময় তিনি কাটাতেন, সেই কাজের অনুমতি নবায়নের
১ ঘণ্টা আগে
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
২ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
১১ এপ্রিল ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্কুলে পড়ান সুজানা। গত দুই বছরে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সুজানার কেটেছে শিশুদের জিনিসপত্র সযত্নে সাজানো, ছবি ও বইয়ের মাধ্যমে শেখানো এবং গানের চর্চা করিয়ে। কিন্তু গত অক্টোবরে পাল্টে গেল তাঁর এই জীবন। খবর পেলেন, শিশুদের শিক্ষক হিসেবে যে উপভোগ্য সময় তিনি কাটাতেন, সেই কাজের অনুমতি নবায়নের
১ ঘণ্টা আগে
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে