Ajker Patrika

ওয়েবসাইট খুলে কীভাবে টাকা আয় করা যায়

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১২: ০৮
ওয়েবসাইট খুলে কীভাবে টাকা আয় করা যায়

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। 

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল। 

ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি। 

আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি। 

আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন। 

প্রথমেই আপনাকে একটি সুন্দর ডিজাইনের ও তথ্যবহুল ওয়েবসাইট খুলতে হবে।ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট থেকে আয়ের অন্যতম পথঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। 

এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 

আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য। 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে ওয়েবসাইটটি সাজাতে হবে গুগলের নির্দেশনা মেনে।গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য। 

বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে। 

একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে। 

এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন। 

এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না। 

সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন। 

ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে। 

CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে। 

এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চাইলে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, যেখানে থাকবে আপনার পোর্টফোলিওফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে। 

সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।

আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার রিভিউ লিখেও আয় করতে পারেন মোটা অঙ্কের টাকা। পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন। 

একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে। 

এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে। 

ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।

অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার।
  • ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যবহার করে স্মার্টফোন।
  • কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে, কমেছে রেডিও শোনা।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ১০
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।

‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।

‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।

এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।

বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।

রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।

সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।

সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।

ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।

এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।

ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।

রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তাকি ওং। ছবি: রয়টার্স
তাকি ওং। ছবি: রয়টার্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।

ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।

ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।

তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।

এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত