Ajker Patrika

পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এ পুরস্কার পেল যেসব ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এ পুরস্কার পেল যেসব ইউনিট

২০২০ ও ২০২১ সালে বিভিন্ন অভিযানে অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানি পণ্য উদ্ধারে অবদান রাখায় পুলিশের সেরা ইউনিটগুলোকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।

আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ২০২০ সালে ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এবং তৃতীয় পাবনা জেলা পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় যশোর জেলা পুলিশ ও তৃতীয় নোয়াখালী জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও রাজবাড়ী জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম প্রথম, র‍্যাব-৫ রাজশাহী দ্বিতীয় ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ প্রথম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ দ্বিতীয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মতিঝিল বিভাগ তৃতীয়।

২০২১ সালে ‘ক’ গ্রুপে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথম, পাবনা জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় নরসিংদী জেলা পুলিশ ও তৃতীয় নোয়াখালী জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, গাজীপুর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও রাজবাড়ী জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম প্রথম, র‍্যাব-৫ রাজশাহী দ্বিতীয়, র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার তৃতীয়। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রানসলেশনাল ক্রাইম দ্বিতীয় ও যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ ও ওয়ারী বিভাগ।

মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ২০২০ সালে পুরস্কার পেল যেসব ইউনিট
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, কুমিল্লা জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘খ’ গ্রুপে কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রথম, যশোর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও ঢাকা জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ও তৃতীয় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। ‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে র‍্যাব-৫ রাজশাহী, র‍্যাব-৪ মিরপুর ঢাকা দ্বিতীয়, র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ, দ্বিতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বিভাগ ও তৃতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ। ‘চ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে হাইওয়ে পুলিশ, দ্বিতীয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও তৃতীয় রেলওয়ে পুলিশ।

মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ২০২১ সালে পুরস্কার পেল যেসব ইউনিট
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও তৃতীয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ ও তৃতীয় যশোর জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ও তৃতীয় গাজীপুর জেলা পুলিশ। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-৭ প্রথম, র‍্যাব-১৫ দ্বিতীয় ও র‍্যাব-১১ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। ‘ঙ’ গ্রুপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ প্রথম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ দ্বিতীয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ তৃতীয়। ‘চ’ গ্রুপে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রথম, হাইওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় ও রেলওয়ে পুলিশ তৃতীয়।

চোরাচালান মালামাল উদ্ধারের ২০২০ সালে বিজয়ী যারা
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও তৃতীয় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ প্রথম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ দ্বিতীয় ও বান্দরবান জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘গ’ গ্রুপে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রথম, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও পঞ্চগড় জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-৩ প্রথম, র‍্যাব-১০ দ্বিতীয় ও র‍্যাব-৭ তৃতীয়। ‘ঙ’ গ্রুপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ প্রথম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ দ্বিতীয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তেজগাঁও বিভাগ তৃতীয়। ‘চ’ গ্রুপে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রথম, রেলওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় হাইওয়ে পুলিশ তৃতীয়।

চোরাচালান মালামাল উদ্ধারের ২০২১ সালে বিজয়ী যারা
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথম, কুমিল্লা জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও সিলেট জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় বাগেরহাট জেলা পুলিশ ও তৃতীয় হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ প্রথম, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও লালমনিরহাট জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র‍্যাব-১০ প্রথম, র‍্যাব-৭ দ্বিতীয় ও র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহ তৃতীয়। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বিভাগ, দ্বিতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ ও তৃতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লালবাগ বিভাগ। ‘চ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, দ্বিতীয় রেলওয়ে পুলিশ ও তৃতীয় হাইওয়ে পুলিশ।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেশবপুরে অস্ত্র-মাদকসহ স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের চার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ভোগতী ও আলতাপোল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে পৌরসভার ভোগতী এলাকার আলমগীর হোসেনের (৪০) কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ভোগতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৩৫) ও মূলগ্রামের রাসেলের (২৩) কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও একটি চাপাতি এবং আলতাপোল এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাঁসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং আলমগীর হোসেন ও উজ্জ্বল বিশ্বাস পৌর যুবদল থেকে বহিষ্কৃত।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ কোন্দল: যুবদল নেতাকে অপর যুবদল নেতার ছুরিকাঘাত

বগুড়া প্রতিনিধি
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম হাট এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, জিয়াউর রহমান বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত যুবদল নেতা সজীব সাবগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাবগ্রাম হাট এলাকায় কথা-কাটাকাটির জেরে সজীব আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।’

স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে সাবগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার জেরে সজীবের সঙ্গে জিয়াউরের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল রাতে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জিয়াউরকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাহত করেছে বলে শুনেছি।’ ঘটনার পর থেকে যুবদল নেতা সজীব মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের জের ধরে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমানের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীতে সুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
আজ দুপু‌রে খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপু‌রে খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বিসিক শিল্পনগরীর খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপু‌রে আকস্মিকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়লে কারখানায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে এতে কারখানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; যদিও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটির অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র অচল থাকায় আগুন নেভাতে প্রথম দিকে বেগ পেতে হয় বলে জানা গে‌ছে।

কারখানার শ্রমিকেরা জানান, সুতার কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থায় ঘাটতি থাকায় শুরুতে শ্রমিকেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

কারখানার সিনিয়র ফিটার মো. নাদিম বলেন, হঠাৎ করে আগুন লাগায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই দেড় শতাধিক শ্রমিককে দ্রুত বাইরে বের করে আনা হয়। ফলে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

আরও এক সিনিয়র ফিটার রুবেল হোসেন বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুনে সুতার রিলসহ কারখানার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুড়ে গেছে। অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডারগুলোর বেশির ভাগেই গ্যাস না থাকায় আমরা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হই।’

খান সন্স গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। শ্রমিকদের কোনো ক্ষতি না হলেও কারখানার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে নির্ধারণ করা যাবে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থায় কিছু ঘাটতি থাকতে পারে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। আমাদের দুটি ইউনিট দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল সিংহী, আর চিড়িয়াখানা থেকে দর্শনার্থীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ‘ডেইজি’ নামের একটি সিংহী। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়ে আসে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টার পর চেতনানাশক প্রয়োগ করে তাকে পুনরায় খাঁচায় ফিরিয়ে আনা হয়।

চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হলেও চিড়িয়াখানার ৬ ফুট উঁচু নিরাপত্তা নেটের ভেতরেই ছিল। দর্শনার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে চেতনানাশক প্রয়োগের পর তাকে খাঁচায় ফেরানো হয়েছে।’

রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, ডেইজিকে অচেতন হতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগে। অচেতন হওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।

চিড়িয়াখানার পরিচালক আরও বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু ছিল না। পুরো ঘটনাটি নিরাপত্তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’

সিংহীটি খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, ‘আমরা মনে করছি, খাঁচার দরজায় তালা না লাগানোর কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে। তা ছাড়া খাঁচার কোথাও ভাঙা পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আতিকুর রহমান জানান, বেরিয়ে যাওয়ার পর সিংহীটিকে শান্ত রাখতে তাকে গরুর মাংস দেওয়া হয়। এরপর বন্দুকের মাধ্যমে চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। সম্পূর্ণ অচেতন হওয়ার পর তাকে খাঁচায় আনা হয়।

কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ঘটনার পর বিকেলেই চিড়িয়াখানায় থাকা সব দর্শনার্থীকে নিরাপদে বের করে দেওয়া হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় মোট ৫টি সিংহ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত