Ajker Patrika

নির্বাচনে বিরোধের জেরে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করল প্রতিপক্ষ

প্রতিনিধি, মাদারীপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২১, ০০: ০৫
নির্বাচনে বিরোধের জেরে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করল প্রতিপক্ষ

মাদারীপুরের কালকিনিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে মো. মিরাজ খানকে (৪১) কুপিয়ে শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষরা। এই ঘটনায় মিরাজ খানের ছেলে নাজমুল খানকেও (২২) কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা আহত দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক মিরাজ খান ও নাজমুল খানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারেরচর এলাকার মিরাজ খাঁ (৫০) ও তাঁর ছেলে নাজমুল খাঁ (২২) দু’জনে বুধবার বিকেলে একই ইউনিয়নের মৌলভীকান্দি গ্রামে নাজমুলের শ্বশুরবাড়ি আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। এতে বাধা দিতে এলে নারীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় মিরাজ ও তাঁর ছেলেকে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। মিরাজের বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় দুজনকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই ঘটনায় আজ সকালে মিরাজ খানের লোকজন ভোরে ক্ষিপ্ত হয়ে সমিতির হাট এলাকার কাসেম তালুকদারের ছেলে তাইজুল তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, আসন্ন পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কবির খান ও আফান কাজী গ্রুপের মধ্যে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে রেষারেষি চলে আসছে। গত নির্বাচনেও এই দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ও হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। মিরাজ খান ও তাঁর ছেলে নাজমুল খান কবির খান গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে কাসেম তালুকদার বলেন, ‘আমরা এঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ফজরের নামাজ মসজিদে আদায় করে ছেলে নিয়ে ঘরে আসা মাত্র, ওরা দা দিয়ে কুপিয়েছে। এ সময় ঘরে ঢুকে দুইটি স্বর্ণের চেইন, তিন লাখ নগদ টাকা ও চারটি গরু নিয়ে যায়।’

এব্যাপারে কবির খান বলেন, ‘আফান কাজী, জামাল কাজীর লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। রাতের ঘুমন্ত মিরাজের পা আলাদা করে ফেলেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই ঘটনার বিচার চাই।’

আহত মিরাজের ছেলে নাজমুলের শাশুড়ি রেভা বেগম বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে মিরাজের পা কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে। হামলায় আমরা সবাই আহত হয়েছি। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে বলতে পারব না। কারণ ওই সময় আমরা তাঁদের কাউকে চিনতে পারিনি।’

তবে আফান কাজী ও জামাল কাজীকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে দুই গ্রুপের বিরাজমান প্রভাব বিস্তার রয়েছে। তারই জেরে ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মিরাজের পা উদ্ধার করি এবং আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। যদি মিরাজ খানের পরিবার মামলা দেয়, তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে গুলি: ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহায়তাকারী দুজন ৩ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। ঢাকার সিএমএম আদালত ভবনে। ছবি: সংগৃহীত
সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিবিয়ন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। ঢাকার সিএমএম আদালত ভবনে। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদকে অবৈধ পথে ভারতে পালাতে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

দুই আদিবাসী হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুইজনকে আটক করে দিবি পুলিশ। আজ এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে বুধবার মাইক্রো বাসে করে ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামানকে তিন দিন ও মঙ্গলবার ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙা কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ মামলায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তারের পর গত সোমবার রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তার আগের দিন একটি মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুজনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত রোববার রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।

উল্লেখ্য, এ মামলায় ফয়সালের মা-বাবা গত বুধবার আদালতে জবানবন্দি দিয়ে ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বসতভিটা সংরক্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বসতভিটা সংরক্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বসতভিটা সংরক্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহীর সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঋত্বিক কুমার ঘটক ক্ষণজন্মা বাঙালি চলচ্চিত্রকারদের অন্যতম, যাঁর সৃষ্টিশীল হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেছে। এমন একজন মহান চলচ্চিত্রকারের স্মৃতি বহনকারী বসতভিটা রাজশাহী শহরের মিঞাপাড়ায় অবস্থিত হলেও তা সংরক্ষণের পরিবর্তে ধ্বংসের মুখে। এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

বক্তারা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ঋত্বিক ঘটকের ওই বসতভিটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিষয়টির চূড়ান্ত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বসতভিটাটি আগের অবস্থায় সংরক্ষিত থাকবে। অথচ সেই আশ্বাস উপেক্ষা করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পুনরায় সেখানে থাকা ঋত্বিক ঘটকের শেষ স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা চালায়।

বক্তারা জানান, বসতভিটার ঐতিহ্যবাহী ইটগুলো শহরের অদূরে খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় শাহ মখদুম নার্সিং কলেজের পাশে একটি পুকুর ভরাটের কাজে ফেলে দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, একই সঙ্গে এখানে দুটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একদিকে ঐতিহ্য ধ্বংস, অন্যদিকে পরিবেশবিরোধীভাবে পুকুর ভরাট। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধনে রাজশাহীর চলচ্চিত্র সংসদকর্মী এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও যুব সংগঠনের সদস্যরা বক্তব্য দেন। পরে পাঁচ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি ও প্রস্তাবনা রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়। একই দাবিগুলো উল্লেখ করে আরেকটি স্মারকলিপি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছেও দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্মারকলিপির অনুলিপি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।

এর আগে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির নির্বাহী সদস্য মো. আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় ও সভাপতি আহসান কবীর লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ হোসেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনা, আদিবাসী যুব পরিষদ রাজশাহীর সভাপতি উপেন রবিদাস প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৬০০ বাউন্ডলি, গ্রেপ্তার ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধিনাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
জব্দ বাউন্ডলিসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ বাউন্ডলিসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের রামুতে একটি মিনিট্রাকে তল্লাশি করে পুলিশ ১ হাজার ৬০০টি বাউন্ডলি (সামরিক পোশাকে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার বেল্ট) উদ্ধার করেছে। এসব বাউন্ডলি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. শাহজাহান (২৫), একই ইউনিয়নের আশারতলী এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে মো. ইলিয়াছ (১৯) ও ঘিলাতলী এলাকার এম এ সামাদের ছেলে আতিকুর রহমান (২৫)।

ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকা দিয়ে যানবাহনে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম পাচার করা হবে বলে খবর পায় পুলিশ। পরে চা-বাগান এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর সামনে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে পুলিশের একটি অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম দিক থেকে আসা নাইক্ষ্যংছড়িগামী একটি মিনিট্রাক সেখানে পৌঁছালে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় গাড়িতে থাকা সন্দেহজনক তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালান। ধাওয়া দিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরে মিনিট্রাকটি তল্লাশি করে প্লাস্টিকের সাদা চটের ৩২টি ছোট বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাগুলো খুলে ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার ১ হাজার ৬০০টি বাউন্ডলি পাওয়া যায়। মিনিট্রাকটি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ওসি বলেন, উদ্ধার করা ম্যাগাজিন রাখার বাউন্ডলিগুলো নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিল। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, পাশে দাঁড়িয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে অবরোধ করেছেন একটি কারখানার শ্রমিকেরা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে ৪ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সড়কের পাশে সরিয়ে দেয়।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘KORES BANGLADESH PLC’ নামের একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা নিজেদের বকেয়া বেতন পাওয়ার জন্য এবং গার্মেন্টসটি খোলা রাখার দাবিতে মহাসড়কের মৌচাক অংশে প্রতিবাদে নামেন। তাঁদের বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

শ্রমিকদের ভাষ্য, কোনো নোটিশ ছাড়া এবং আগের পাওনা বেতন না দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল বারিক জানিয়েছেন, ‘শ্রমিকদের আমরা বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দাঁড় করিয়েছি। তাঁরা যৌক্তিক আন্দোলন করছেন। আমরা মালিকপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত আপডেট দেওয়া যাবে। সড়কে এখন আর যানজট নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত