ইশতিয়াক হাসান

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসের স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির। একে বলা হচ্ছে পৃথিবীর ডিপেস্ট বা গভীরতম হোটেল।
কমোরথেন নামের পরিত্যক্ত স্লেট পাথরের খনিটির ৪১৯ মিটার (১ হাজার ৩৭৫ ফুট) গভীরে হোটেলটি। তবে এখানে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে জায়গাটিতে পৌঁছাতে হলে খাড়া এবং দুরারোহ পরিত্যক্ত খনি পথ অতিক্রম করতে হবে আপনাকে।
‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটি চালু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। গত এপ্রিলে পর্যটকদের নানা ধরনের রোমাঞ্চকর কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ‘গো বিলোও’ কোম্পানি এটি চালু করে।
এই হোটেলে থাকতে আগ্রহীরা অনলাইনে এখনকার একটি কামরা রিজার্ভ করতে পারেন। ব্লাইনাই ফেসটিনিওগ শহরের কাছে অবস্থিত গো বিলোওয়ের টানেগ্রিসাই বেস থেকে রোমাঞ্চকর এক যাত্রা শুরু হয় তাঁদের। সেখানে পাতালরাজ্যের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডেরা। তারপর এখানকার কটেজে হেলমেট, মাথায় আটকানো টর্চ ও বুট পায়ে গলিয়ে বাইরের পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে প্রবেশ করেন পাতালরাজ্যে।
খনি পথটি কিন্তু দুর্গম। খনিশ্রমিকদের ব্যবহার করা পুরোনো সিঁড়ি, ক্ষয় হতে থাকা সেতুসহ শরীরের রোম দাঁড় করিয়ে দেওয়া দুরারোহ পথ পেরোতে হবে আপনাকে। রহস্যময় এই আলোছায়ায় আপনাদের সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষক এই খনির ইতিহাস গল্পের ছলে শোনাবে আপনাকে। মোটামুটি এক ঘণ্টা পর মাটির ১ হাজার ৩৭৫ ফুট নিচে পৌঁছে যাবেন।
ইস্পাতের বড় একটি দরজা জানিয়ে দেবে ‘ডিপ স্লিপে’ পৌঁছে গেছেন আপনি। কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর থাকবে রাতের খাবারের আয়োজন। বড় একটি টেবিলে পরিবেশন করা হয় মাংস এবং সবজির বিভিন্ন পদ। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর হোটেলে তাপমাত্রা বছরজুড়েই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু কেবিনগুলো এমন উপাদানে তৈরি যে ভেতরটা খুব আরামদায়ক। প্রবহমান পানি, বিদ্যুৎ এমনকি এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কেব্লের মাধ্যমে ওয়াইফাই সুবিধাও পাবেন এখানে। আয়োজকদের দাবি এটি এখন পৃথিবীর গভীরতম হোটেল। সুইডেনের সালা রুপার খনির ১৫৪ মিটার (৫০৮ ফুট) গভীরে অবস্থিত একটি স্যুইটকে টেক্কা দিয়ে এ অর্জন পাতাল-হোটেলটির।

এবার বরং হোটেলটির কামরাগুলোর খোঁজখবর নেওয়া যাক। ‘ডিপ স্লিপে’ আছে দুই শয্যার চারটি কেবিন। আর এর বিশেষ আকর্ষণ বলতে পারেন কৃত্রিমভাবে তৈরি ডাবল বেডের একটি গুহা-কামরা। এ ছাড়া হোটেলটিতে আছে ডাইনিং এলাকা ও টয়লেট।
সপ্তাহে কেবল একবারই অতিথি সেবা দেয় হোটেলটি। সেটি শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত। একজন প্রশিক্ষক এবং কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি রাতে নিজস্ব কেবিনে থাকবেন। অর্থাৎ আপনাকে খনিতে একা ছেড়ে দেওয়া হবে না! হোটেলে ওঠা-নামার পথ দুরারোহ হলেও আপনার নিরাপত্তার পুরো ব্যবস্থাই করা হয় এখানে।
সকাল ৮টার দিকে জেগে উঠবেন। একটি উষ্ণ পানীয় এবং হালকা নাশতার পর আবারও মাটির ওপরে এবং দিনের আলোয় ফিরে আসার জন্য দীর্ঘ আরোহণ শুরু করবেন। মোটামুটি দশটা থেকে সাড়ে দশটার দিকে ভ্রমণ শেষে গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে আপনাকে।
কেবিন আর গুহায় খরচ কিন্তু দুই ধরনের। কেবিনে থাকলে দুজনের জন্য থাকা-খাওয়াসহ গোটা প্যাকেজ খরচ ৩৫০ পাউন্ড বা প্রায় ৪৭ হাজার টাকা, আর গুহা-নিবাসের বেলায় খরচ হবে ৫৫০ ডলার বা প্রায় ৭৪ হাজার টাকা।
গো বিলোওর অপারেশন ম্যানেজার মাইক মরিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অতিথি যাঁরা ইতিমধ্যে হোটেলে থেকেছেন তাঁরা এর ভিন্নতা, সন্ধ্যায় পাতালরাজ্যে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে কাটানোর অনুভূতি এবং সভ্যতা থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অনেক পছন্দ করেছেন।
অনেক অতিথি এটাও বলেছেন যে এখানে স্বাভাবিকের তুলনায় ভালো ঘুম হয়েছে তাঁদের। অর্থাৎ বাড়িতে থাকার তুলনায় বেশি বিশ্রাম পেয়েছেন। অবশ্য গো বিলোও তাঁদের এই হোটেলের নামই তো দিয়েছে ‘ডিপ স্লিপ’ বা গভীর ঘুম।
অতএব পাঠক ভিন্নরকম পরিবেশে গভীর একটি ঘুমের জন্য পাতালরাজ্যের এ হোটেলে যেতেই পারেন। তবে মাথায় রাখবেন সেখানে আশ্চর্য এক নীরবতা আপনাকে আঁকড়ে ধরতে পারে, সেই সঙ্গে পাতালের হোটেলে পৌঁছার পথটাও সাহসের পরীক্ষা নেবে! তবে রোমাঞ্চপ্রেমীরা তো এ রকম কিছুই পছন্দ করেন, তাই না!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, গো বিলোও, টাইমস অব ইন্ডিয়া

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসের স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির। একে বলা হচ্ছে পৃথিবীর ডিপেস্ট বা গভীরতম হোটেল।
কমোরথেন নামের পরিত্যক্ত স্লেট পাথরের খনিটির ৪১৯ মিটার (১ হাজার ৩৭৫ ফুট) গভীরে হোটেলটি। তবে এখানে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে জায়গাটিতে পৌঁছাতে হলে খাড়া এবং দুরারোহ পরিত্যক্ত খনি পথ অতিক্রম করতে হবে আপনাকে।
‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটি চালু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। গত এপ্রিলে পর্যটকদের নানা ধরনের রোমাঞ্চকর কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ‘গো বিলোও’ কোম্পানি এটি চালু করে।
এই হোটেলে থাকতে আগ্রহীরা অনলাইনে এখনকার একটি কামরা রিজার্ভ করতে পারেন। ব্লাইনাই ফেসটিনিওগ শহরের কাছে অবস্থিত গো বিলোওয়ের টানেগ্রিসাই বেস থেকে রোমাঞ্চকর এক যাত্রা শুরু হয় তাঁদের। সেখানে পাতালরাজ্যের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডেরা। তারপর এখানকার কটেজে হেলমেট, মাথায় আটকানো টর্চ ও বুট পায়ে গলিয়ে বাইরের পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে প্রবেশ করেন পাতালরাজ্যে।
খনি পথটি কিন্তু দুর্গম। খনিশ্রমিকদের ব্যবহার করা পুরোনো সিঁড়ি, ক্ষয় হতে থাকা সেতুসহ শরীরের রোম দাঁড় করিয়ে দেওয়া দুরারোহ পথ পেরোতে হবে আপনাকে। রহস্যময় এই আলোছায়ায় আপনাদের সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষক এই খনির ইতিহাস গল্পের ছলে শোনাবে আপনাকে। মোটামুটি এক ঘণ্টা পর মাটির ১ হাজার ৩৭৫ ফুট নিচে পৌঁছে যাবেন।
ইস্পাতের বড় একটি দরজা জানিয়ে দেবে ‘ডিপ স্লিপে’ পৌঁছে গেছেন আপনি। কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর থাকবে রাতের খাবারের আয়োজন। বড় একটি টেবিলে পরিবেশন করা হয় মাংস এবং সবজির বিভিন্ন পদ। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর হোটেলে তাপমাত্রা বছরজুড়েই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু কেবিনগুলো এমন উপাদানে তৈরি যে ভেতরটা খুব আরামদায়ক। প্রবহমান পানি, বিদ্যুৎ এমনকি এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কেব্লের মাধ্যমে ওয়াইফাই সুবিধাও পাবেন এখানে। আয়োজকদের দাবি এটি এখন পৃথিবীর গভীরতম হোটেল। সুইডেনের সালা রুপার খনির ১৫৪ মিটার (৫০৮ ফুট) গভীরে অবস্থিত একটি স্যুইটকে টেক্কা দিয়ে এ অর্জন পাতাল-হোটেলটির।

এবার বরং হোটেলটির কামরাগুলোর খোঁজখবর নেওয়া যাক। ‘ডিপ স্লিপে’ আছে দুই শয্যার চারটি কেবিন। আর এর বিশেষ আকর্ষণ বলতে পারেন কৃত্রিমভাবে তৈরি ডাবল বেডের একটি গুহা-কামরা। এ ছাড়া হোটেলটিতে আছে ডাইনিং এলাকা ও টয়লেট।
সপ্তাহে কেবল একবারই অতিথি সেবা দেয় হোটেলটি। সেটি শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত। একজন প্রশিক্ষক এবং কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি রাতে নিজস্ব কেবিনে থাকবেন। অর্থাৎ আপনাকে খনিতে একা ছেড়ে দেওয়া হবে না! হোটেলে ওঠা-নামার পথ দুরারোহ হলেও আপনার নিরাপত্তার পুরো ব্যবস্থাই করা হয় এখানে।
সকাল ৮টার দিকে জেগে উঠবেন। একটি উষ্ণ পানীয় এবং হালকা নাশতার পর আবারও মাটির ওপরে এবং দিনের আলোয় ফিরে আসার জন্য দীর্ঘ আরোহণ শুরু করবেন। মোটামুটি দশটা থেকে সাড়ে দশটার দিকে ভ্রমণ শেষে গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে আপনাকে।
কেবিন আর গুহায় খরচ কিন্তু দুই ধরনের। কেবিনে থাকলে দুজনের জন্য থাকা-খাওয়াসহ গোটা প্যাকেজ খরচ ৩৫০ পাউন্ড বা প্রায় ৪৭ হাজার টাকা, আর গুহা-নিবাসের বেলায় খরচ হবে ৫৫০ ডলার বা প্রায় ৭৪ হাজার টাকা।
গো বিলোওর অপারেশন ম্যানেজার মাইক মরিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অতিথি যাঁরা ইতিমধ্যে হোটেলে থেকেছেন তাঁরা এর ভিন্নতা, সন্ধ্যায় পাতালরাজ্যে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে কাটানোর অনুভূতি এবং সভ্যতা থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অনেক পছন্দ করেছেন।
অনেক অতিথি এটাও বলেছেন যে এখানে স্বাভাবিকের তুলনায় ভালো ঘুম হয়েছে তাঁদের। অর্থাৎ বাড়িতে থাকার তুলনায় বেশি বিশ্রাম পেয়েছেন। অবশ্য গো বিলোও তাঁদের এই হোটেলের নামই তো দিয়েছে ‘ডিপ স্লিপ’ বা গভীর ঘুম।
অতএব পাঠক ভিন্নরকম পরিবেশে গভীর একটি ঘুমের জন্য পাতালরাজ্যের এ হোটেলে যেতেই পারেন। তবে মাথায় রাখবেন সেখানে আশ্চর্য এক নীরবতা আপনাকে আঁকড়ে ধরতে পারে, সেই সঙ্গে পাতালের হোটেলে পৌঁছার পথটাও সাহসের পরীক্ষা নেবে! তবে রোমাঞ্চপ্রেমীরা তো এ রকম কিছুই পছন্দ করেন, তাই না!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, গো বিলোও, টাইমস অব ইন্ডিয়া
ইশতিয়াক হাসান

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসের স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির। একে বলা হচ্ছে পৃথিবীর ডিপেস্ট বা গভীরতম হোটেল।
কমোরথেন নামের পরিত্যক্ত স্লেট পাথরের খনিটির ৪১৯ মিটার (১ হাজার ৩৭৫ ফুট) গভীরে হোটেলটি। তবে এখানে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে জায়গাটিতে পৌঁছাতে হলে খাড়া এবং দুরারোহ পরিত্যক্ত খনি পথ অতিক্রম করতে হবে আপনাকে।
‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটি চালু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। গত এপ্রিলে পর্যটকদের নানা ধরনের রোমাঞ্চকর কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ‘গো বিলোও’ কোম্পানি এটি চালু করে।
এই হোটেলে থাকতে আগ্রহীরা অনলাইনে এখনকার একটি কামরা রিজার্ভ করতে পারেন। ব্লাইনাই ফেসটিনিওগ শহরের কাছে অবস্থিত গো বিলোওয়ের টানেগ্রিসাই বেস থেকে রোমাঞ্চকর এক যাত্রা শুরু হয় তাঁদের। সেখানে পাতালরাজ্যের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডেরা। তারপর এখানকার কটেজে হেলমেট, মাথায় আটকানো টর্চ ও বুট পায়ে গলিয়ে বাইরের পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে প্রবেশ করেন পাতালরাজ্যে।
খনি পথটি কিন্তু দুর্গম। খনিশ্রমিকদের ব্যবহার করা পুরোনো সিঁড়ি, ক্ষয় হতে থাকা সেতুসহ শরীরের রোম দাঁড় করিয়ে দেওয়া দুরারোহ পথ পেরোতে হবে আপনাকে। রহস্যময় এই আলোছায়ায় আপনাদের সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষক এই খনির ইতিহাস গল্পের ছলে শোনাবে আপনাকে। মোটামুটি এক ঘণ্টা পর মাটির ১ হাজার ৩৭৫ ফুট নিচে পৌঁছে যাবেন।
ইস্পাতের বড় একটি দরজা জানিয়ে দেবে ‘ডিপ স্লিপে’ পৌঁছে গেছেন আপনি। কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর থাকবে রাতের খাবারের আয়োজন। বড় একটি টেবিলে পরিবেশন করা হয় মাংস এবং সবজির বিভিন্ন পদ। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর হোটেলে তাপমাত্রা বছরজুড়েই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু কেবিনগুলো এমন উপাদানে তৈরি যে ভেতরটা খুব আরামদায়ক। প্রবহমান পানি, বিদ্যুৎ এমনকি এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কেব্লের মাধ্যমে ওয়াইফাই সুবিধাও পাবেন এখানে। আয়োজকদের দাবি এটি এখন পৃথিবীর গভীরতম হোটেল। সুইডেনের সালা রুপার খনির ১৫৪ মিটার (৫০৮ ফুট) গভীরে অবস্থিত একটি স্যুইটকে টেক্কা দিয়ে এ অর্জন পাতাল-হোটেলটির।

এবার বরং হোটেলটির কামরাগুলোর খোঁজখবর নেওয়া যাক। ‘ডিপ স্লিপে’ আছে দুই শয্যার চারটি কেবিন। আর এর বিশেষ আকর্ষণ বলতে পারেন কৃত্রিমভাবে তৈরি ডাবল বেডের একটি গুহা-কামরা। এ ছাড়া হোটেলটিতে আছে ডাইনিং এলাকা ও টয়লেট।
সপ্তাহে কেবল একবারই অতিথি সেবা দেয় হোটেলটি। সেটি শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত। একজন প্রশিক্ষক এবং কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি রাতে নিজস্ব কেবিনে থাকবেন। অর্থাৎ আপনাকে খনিতে একা ছেড়ে দেওয়া হবে না! হোটেলে ওঠা-নামার পথ দুরারোহ হলেও আপনার নিরাপত্তার পুরো ব্যবস্থাই করা হয় এখানে।
সকাল ৮টার দিকে জেগে উঠবেন। একটি উষ্ণ পানীয় এবং হালকা নাশতার পর আবারও মাটির ওপরে এবং দিনের আলোয় ফিরে আসার জন্য দীর্ঘ আরোহণ শুরু করবেন। মোটামুটি দশটা থেকে সাড়ে দশটার দিকে ভ্রমণ শেষে গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে আপনাকে।
কেবিন আর গুহায় খরচ কিন্তু দুই ধরনের। কেবিনে থাকলে দুজনের জন্য থাকা-খাওয়াসহ গোটা প্যাকেজ খরচ ৩৫০ পাউন্ড বা প্রায় ৪৭ হাজার টাকা, আর গুহা-নিবাসের বেলায় খরচ হবে ৫৫০ ডলার বা প্রায় ৭৪ হাজার টাকা।
গো বিলোওর অপারেশন ম্যানেজার মাইক মরিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অতিথি যাঁরা ইতিমধ্যে হোটেলে থেকেছেন তাঁরা এর ভিন্নতা, সন্ধ্যায় পাতালরাজ্যে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে কাটানোর অনুভূতি এবং সভ্যতা থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অনেক পছন্দ করেছেন।
অনেক অতিথি এটাও বলেছেন যে এখানে স্বাভাবিকের তুলনায় ভালো ঘুম হয়েছে তাঁদের। অর্থাৎ বাড়িতে থাকার তুলনায় বেশি বিশ্রাম পেয়েছেন। অবশ্য গো বিলোও তাঁদের এই হোটেলের নামই তো দিয়েছে ‘ডিপ স্লিপ’ বা গভীর ঘুম।
অতএব পাঠক ভিন্নরকম পরিবেশে গভীর একটি ঘুমের জন্য পাতালরাজ্যের এ হোটেলে যেতেই পারেন। তবে মাথায় রাখবেন সেখানে আশ্চর্য এক নীরবতা আপনাকে আঁকড়ে ধরতে পারে, সেই সঙ্গে পাতালের হোটেলে পৌঁছার পথটাও সাহসের পরীক্ষা নেবে! তবে রোমাঞ্চপ্রেমীরা তো এ রকম কিছুই পছন্দ করেন, তাই না!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, গো বিলোও, টাইমস অব ইন্ডিয়া

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসের স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির। একে বলা হচ্ছে পৃথিবীর ডিপেস্ট বা গভীরতম হোটেল।
কমোরথেন নামের পরিত্যক্ত স্লেট পাথরের খনিটির ৪১৯ মিটার (১ হাজার ৩৭৫ ফুট) গভীরে হোটেলটি। তবে এখানে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে জায়গাটিতে পৌঁছাতে হলে খাড়া এবং দুরারোহ পরিত্যক্ত খনি পথ অতিক্রম করতে হবে আপনাকে।
‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটি চালু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। গত এপ্রিলে পর্যটকদের নানা ধরনের রোমাঞ্চকর কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ‘গো বিলোও’ কোম্পানি এটি চালু করে।
এই হোটেলে থাকতে আগ্রহীরা অনলাইনে এখনকার একটি কামরা রিজার্ভ করতে পারেন। ব্লাইনাই ফেসটিনিওগ শহরের কাছে অবস্থিত গো বিলোওয়ের টানেগ্রিসাই বেস থেকে রোমাঞ্চকর এক যাত্রা শুরু হয় তাঁদের। সেখানে পাতালরাজ্যের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডেরা। তারপর এখানকার কটেজে হেলমেট, মাথায় আটকানো টর্চ ও বুট পায়ে গলিয়ে বাইরের পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে প্রবেশ করেন পাতালরাজ্যে।
খনি পথটি কিন্তু দুর্গম। খনিশ্রমিকদের ব্যবহার করা পুরোনো সিঁড়ি, ক্ষয় হতে থাকা সেতুসহ শরীরের রোম দাঁড় করিয়ে দেওয়া দুরারোহ পথ পেরোতে হবে আপনাকে। রহস্যময় এই আলোছায়ায় আপনাদের সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষক এই খনির ইতিহাস গল্পের ছলে শোনাবে আপনাকে। মোটামুটি এক ঘণ্টা পর মাটির ১ হাজার ৩৭৫ ফুট নিচে পৌঁছে যাবেন।
ইস্পাতের বড় একটি দরজা জানিয়ে দেবে ‘ডিপ স্লিপে’ পৌঁছে গেছেন আপনি। কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর থাকবে রাতের খাবারের আয়োজন। বড় একটি টেবিলে পরিবেশন করা হয় মাংস এবং সবজির বিভিন্ন পদ। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর হোটেলে তাপমাত্রা বছরজুড়েই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু কেবিনগুলো এমন উপাদানে তৈরি যে ভেতরটা খুব আরামদায়ক। প্রবহমান পানি, বিদ্যুৎ এমনকি এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কেব্লের মাধ্যমে ওয়াইফাই সুবিধাও পাবেন এখানে। আয়োজকদের দাবি এটি এখন পৃথিবীর গভীরতম হোটেল। সুইডেনের সালা রুপার খনির ১৫৪ মিটার (৫০৮ ফুট) গভীরে অবস্থিত একটি স্যুইটকে টেক্কা দিয়ে এ অর্জন পাতাল-হোটেলটির।

এবার বরং হোটেলটির কামরাগুলোর খোঁজখবর নেওয়া যাক। ‘ডিপ স্লিপে’ আছে দুই শয্যার চারটি কেবিন। আর এর বিশেষ আকর্ষণ বলতে পারেন কৃত্রিমভাবে তৈরি ডাবল বেডের একটি গুহা-কামরা। এ ছাড়া হোটেলটিতে আছে ডাইনিং এলাকা ও টয়লেট।
সপ্তাহে কেবল একবারই অতিথি সেবা দেয় হোটেলটি। সেটি শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত। একজন প্রশিক্ষক এবং কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি রাতে নিজস্ব কেবিনে থাকবেন। অর্থাৎ আপনাকে খনিতে একা ছেড়ে দেওয়া হবে না! হোটেলে ওঠা-নামার পথ দুরারোহ হলেও আপনার নিরাপত্তার পুরো ব্যবস্থাই করা হয় এখানে।
সকাল ৮টার দিকে জেগে উঠবেন। একটি উষ্ণ পানীয় এবং হালকা নাশতার পর আবারও মাটির ওপরে এবং দিনের আলোয় ফিরে আসার জন্য দীর্ঘ আরোহণ শুরু করবেন। মোটামুটি দশটা থেকে সাড়ে দশটার দিকে ভ্রমণ শেষে গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে আপনাকে।
কেবিন আর গুহায় খরচ কিন্তু দুই ধরনের। কেবিনে থাকলে দুজনের জন্য থাকা-খাওয়াসহ গোটা প্যাকেজ খরচ ৩৫০ পাউন্ড বা প্রায় ৪৭ হাজার টাকা, আর গুহা-নিবাসের বেলায় খরচ হবে ৫৫০ ডলার বা প্রায় ৭৪ হাজার টাকা।
গো বিলোওর অপারেশন ম্যানেজার মাইক মরিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অতিথি যাঁরা ইতিমধ্যে হোটেলে থেকেছেন তাঁরা এর ভিন্নতা, সন্ধ্যায় পাতালরাজ্যে কয়েকজন মানুষ একসঙ্গে কাটানোর অনুভূতি এবং সভ্যতা থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অনেক পছন্দ করেছেন।
অনেক অতিথি এটাও বলেছেন যে এখানে স্বাভাবিকের তুলনায় ভালো ঘুম হয়েছে তাঁদের। অর্থাৎ বাড়িতে থাকার তুলনায় বেশি বিশ্রাম পেয়েছেন। অবশ্য গো বিলোও তাঁদের এই হোটেলের নামই তো দিয়েছে ‘ডিপ স্লিপ’ বা গভীর ঘুম।
অতএব পাঠক ভিন্নরকম পরিবেশে গভীর একটি ঘুমের জন্য পাতালরাজ্যের এ হোটেলে যেতেই পারেন। তবে মাথায় রাখবেন সেখানে আশ্চর্য এক নীরবতা আপনাকে আঁকড়ে ধরতে পারে, সেই সঙ্গে পাতালের হোটেলে পৌঁছার পথটাও সাহসের পরীক্ষা নেবে! তবে রোমাঞ্চপ্রেমীরা তো এ রকম কিছুই পছন্দ করেন, তাই না!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, গো বিলোও, টাইমস অব ইন্ডিয়া

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসে স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসে স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসে স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

মাটির ১৩০০ ফুটেরও বেশি নিচের একটি হোটেলে থাকতে কেমন লাগবে বলুন তো? অবিশ্বাস্য হলেও ইউরোপের দেশ ওয়েলসে স্নোডোনিয়া পর্বতমালার মাটির তলে সত্যি এমন একটি হোটেল আছে। পরিত্যক্ত একটি খনির মধ্য অবস্থান ‘ডিপ স্লিপ’ নামের হোটেলটির।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৪ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে