Ajker Patrika

প্রতি রাতে সাপ হয়ে দংশনের চেষ্টা করেন স্ত্রী, প্রশাসনে অভিযোগ স্বামীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৪২
মেরাজ। ছবি: সংগৃহীত
মেরাজ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের সীতাপুর জেলায় এক স্বামীর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনার ঝড়। লোধসা গ্রামের বাসিন্দা মেরাজ নামের ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী নাসিমুন প্রতি রাতে সাপের রূপ ধারণ করেন এবং তাঁকে কামড়ানোর চেষ্টা করেন। অদ্ভুত এই অভিযোগে রীতিমতো হতবাক স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও।

ঘটনাটি সামনে আসে সীতাপুরে আয়োজিত ‘সমাধান দিবসের’ অনুষ্ঠানে। এদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ বিদ্যুৎ, রাস্তা বা রেশন কার্ড-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের আবেদন নিয়ে হাজির হন জেলা প্রশাসকের কাছে। কিন্তু সবার মধ্যে সবচেয়ে অবাক করা অভিযোগ শোনান মেরাজ। তিনি সরাসরি জেলা প্রশাসকের কাছে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘স্যার, আমার স্ত্রী নাসিমুন রাতে সাপে রূপ নেয়। সে আমাকে তাড়া করে কামড়ানোর জন্য।’

মেরাজ অভিযোগ করেন, একাধিকবার তাঁর স্ত্রী তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবারই তিনি ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে প্রাণ বাঁচান। তাঁর ভাষায়, ‘আমাকে মানসিকভাবে প্রচণ্ড নির্যাতন করছে। কোনো এক রাতে ঘুমের মধ্যে সে আমাকে মেরেও ফেলতে পারে।’

এই অদ্ভুত অভিযোগ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে। সেখানে নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করতে থাকেন। একজন লিখেছেন, ‘সে কাকে কাকে কামড়েছে কে জানে!’ অন্য এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘তুমি কি ওর নাগমণি কোথাও লুকিয়ে রেখেছ?’ আবার কেউ মজা করে লেখেন, ‘তোমারও উচিত কোবরা হয়ে যাওয়া।’

আরেক ব্যবহারকারী সরাসরি বলিউডের প্রসঙ্গ টেনে এনে লেখেন, ‘লোকটা তো ভাগ্যবান, বিবাহিত জীবনে সে শ্রীদেবীকে পেয়েছে।’ এখানে প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর ১৯৮৬ সালের বিখ্যাত সিনেমা ‘নাগিনা’র প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। সেই ছবিতে শ্রীদেবী অভিনয় করেছিলেন রূপ বদলানো সাপের চরিত্রে।

অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেন। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে উপবিভাগীয় কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। এরই মধ্যে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টিকে মানসিক হয়রানির অভিযোগ হিসেবেও দেখছে। কারণ মেরাজ দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী ইতিমধ্যেই একবার তাঁকে কামড় দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রায় রাতেই সাপের রূপ নিয়ে তাঁকে তাড়া করেন।

এ ঘটনার পর মেরাজ আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন। সেই আবেদনে নিজের ভোগান্তির কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে তিনি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।

অভিযোগটি যতটা অবিশ্বাস্য শোনায়, ততটাই আলোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়। অনেকেই মনে করছেন, এটি নিছকই মানসিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে রসিকতার ছলে নিচ্ছেন। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

সূত্র: এনডিটিভি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৯ হাজার ডলারের ‘ডিম’ গিলে যুবক কারাগারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।

ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।

ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।

বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জরায়ুহীন হয়ে জন্মেছিলেন, তাঁর হয়ে সন্তান জন্ম দিলেন প্রিয় বন্ধু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৪
গত অক্টোবরে জর্জিয়া ব্যারিংটনের সন্তান ওটিলির জন্ম দেন ডেইজি হোপ (ডানে)। ছবি: বিবিসি
গত অক্টোবরে জর্জিয়া ব্যারিংটনের সন্তান ওটিলির জন্ম দেন ডেইজি হোপ (ডানে)। ছবি: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।

দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।

১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।

মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।

১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’

সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!

এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’

১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।

জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।

জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’

কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।

ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিড়ালের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করল নিউজিল্যান্ড সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে এক ধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ছবি: ১২৩আরএফের সৌজন্যে
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে এক ধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ছবি: ১২৩আরএফের সৌজন্যে

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।

দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।

নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।

রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’

বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।

এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮০টি সেলাই ও ২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বাঁচল একটি কোবরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৫
ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে
ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।

প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।

তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।

দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।

অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত