
এমভি আবদুল্লাহর থার্ড ইঞ্জিনিয়ার রোকন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মুসলমান হওয়ায় এবং রোজা রাখার কারণে সোমালিয়া দস্যুরা আমাদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। এই সময়টা ছিল খুব আতঙ্কের। সপ্তাহে এক দিন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিত।’

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৭ দিন পর অবশেষে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন নাজমুল হক। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার চর নূরনগর গ্রামে তিনি ফেরেন।

জাহাজ থেকে নেমেই দৌড়ে জড়িয়ে ধরেন দুই মেয়েকে। দুই হাতে দুজনকে কোলে নিয়ে শুরু হয় বাবার জমানো আদর। চোখে অশ্রু, মুখে মুক্তির আনন্দ। আদর করতে করতে দুই মেয়েকে বাবা বললেন, ‘মা আমি কতই যে সৌভাগ্যবান। তোমাদের জন্যই যে বেঁচে ফিরলাম।’

জিম্মি হওয়া থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পযর্ন্ত শ্বাসরুদ্ধকর ৬৪ দিন কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) এক নম্বর জেটিতে তাঁদের জাহাজ পৌঁছায়।