
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারাল একজন দেশপ্রেমী, অকুতোভয়, নির্ভীক ও আপসহীন নেত্রীকে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তিনি ভালোবাসতেন এই দেশকে, এ দেশের মাটি ও মানুষকে। তিনি ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ২০০৩ সালে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার...

আরও একটি বছরের যবনিকাপাত ঘটল। শেষ হয়ে গেল ২০২৫ সাল। নানা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক টানাপোড়েন, উত্থান-পতন, প্রত্যাশা-হতাশার মাঝে সমাপ্তি ঘটেছে বছরটির। সময় এখন পেছন ফিরে তাকানোর—কী পেয়েছি, কী পাইনি; কী আশা করেছিলাম, কোথায় হতাশ হয়েছি, কী কী করতে চেয়েছি, কী কী করতে পারিনি—স্বাভাবিকভাবেই...

২০২৫ সালটি বাংলাদেশের জন্য এক গভীর আলোড়ন ও পুনর্গঠনের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় এই বছরটি ছিল নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা খোঁজার, ক্ষমতার পুনর্বিন্যাসের এবং একই সঙ্গে ভয়াবহ সামাজিক অস্থিরতার বছর।

বাংলাদেশের রাজনীতি আজ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এ কথা শুধু রাজনৈতিক অভিঘাত বোঝাতে বলা নয়; বরং জনজীবনের নিত্য অভিজ্ঞতা, জীবিকার অনিশ্চয়তা, রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা এবং দীর্ঘ অস্থিরতার পরে একটি সংগঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থার লক্ষ্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই সত্যটি স্পষ্ট।