
বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রবেশের শুরুর দিকে ওয়েবে বাংলা লেখা বা বাংলায় কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। ওই সময় ওয়েবসাইটে কোনো বাংলা লেখা ছবি কিংবা পিডিএফ করে দিতে হতো। ই–মেইল করার ক্ষেত্রে বাংলা লেখা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার। প্রথম ইউনিকোড বাংলা লেখার সফটওয়্যার এটি। শুধু তা–ই নয়, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তিনি এটি ছড়িয়ে দিলেন। এ ছাড়া এটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ এর সোর্সকোড উন্মুক্ত। যে কেউ এটির পরিবর্তন ও ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখতে পারেন।
অভ্রর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। মূলত ইউনিকোড ভিত্তিক হওয়ায় ইন্টারনেটে লেখালেখির সুবিধা আর ফোনেটিক পদ্ধতিতে (কি–বোর্ডে রোমান হরফ লিখে বাংলায় পরিবর্তনের সুবিধা) লেখার সুযোগ—এই দুটি কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে অভ্রর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনো বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার নেই। এখন ব্লগ, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা হচ্ছে।
অভ্র তৈরির শুরুর গল্প
আজকের অভ্র কি–বোর্ড নামের সফটওয়্যারটি বিশেষ করে এক ব্যক্তির ১০ বছরের পরিশ্রমের ফল। মেহদী হাসান খান ৯ম শ্রেণি থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামিংয়ের বই কিনে ঘরে বসেই প্রোগ্রামিং শিখতেন।
১৯৮৬ সালের ২৩ জুলাই ঢাকায় জন্ম মেহদী হাসান খানের। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন মেহদী। ২০০১ সালে মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন নটর ডেম কলেজে। ২০০৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ভর্তি হন। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় গিয়েছিলেন মেহদী। সেখানে বাংলা ইনোভেশন থ্রু ওপেন সোর্স—বায়োসের স্টলে গিয়ে তাঁর ভাষায় ‘প্রথম খাঁটি বাংলা’ ওয়েবসাইট দেখলেন। ইউনিকোডে বাংলা লেখাও দেখলেন। ইউনিবাংলা নামে তারা পুরো একটা অপারেটিং সিস্টেমও তৈরি করেছিল। অবশ্য সেটি ছিল মূলত লিনাক্স–এরই একটি সংস্করণ। বাসায় ফিরে তাদের ওপেন টাইপ ফন্ট ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেন। কিন্তু এটি শুধু বাংলা ভাষায় কাস্টমাইজ করা লিনাক্সের জন্য। ক্যারেক্টার চার্টে মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে বাংলা লিখতে হয়। জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের জন্য এই সুবিধা ছিল না।
তখনই মেহদী সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডোজের জন্য বাংলা লেখার সফটওয়্যার বানাবেন। তিনি বাংলা লিনাক্সের ওই ফন্টটি নিজের কম্পিউটারে ইনস্টল করেন। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা ভিজ্যুয়াল বেসিক ডটনেট দিয়ে লিখে ফেলেন ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা সফটওয়্যার। ফোনেটিক পদ্ধতিও তৈরি করে ফেলেন। সেটি ছিল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন।
পরে ভারতের একটি বাংলা ফন্ট প্রতিযোগিতায় ই–মেইল করে নিজের বানানো প্রোটোটাইপ পাঠান মেহদী হাসান। তারা জানাল, অ্যাপ্লিকেশনটি ঘন ঘন ক্র্যাশ করেছে।
আবার রাত জেগে প্রোটোটাইপের বাগ সারানোর কাজ করেন মেহদী হাসান। ডটনেট বাদ দিয়ে ক্ল্যাসিক ভিজুয়াল বেসিকে সবগুলো কোড নতুন করে লিখেন মেহদী। পরবর্তীতে আবারও একেবারে নতুন করে কোড লেখা হয় Delphi/Object Pascal–এ। বর্তমানে অভ্র এই ফ্রেমওয়ার্কেই আছে।
মেহদী হাসান ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করেন অভ্র নামের সফটওয়্যারটি। অভিধান ঘেঁটে ‘অভ্র’ শব্দ পছন্দ হয় মেহদীর। অভ্র মানে আকাশ। ইউনিকোডের পাশাপাশি বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, তাই উন্মুক্ত আকাশের প্রতিশব্দ বেছে নেন মেহদী। সবাই যাতে অভ্র ইন্টারনেট থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য একটি ওয়েবসাইটও প্রকাশ করেন মেহদী। সেটির নাম ওমিক্রনল্যাব ডটকম। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ওমিক্রনিক রূপান্তর’ বই থেকে ওমিক্রন নামটি নিয়েছিলেন তিনি।
অভ্রর প্রথম সংস্করণে লেখার জন্য বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট ছিল। অনেকে কি–বোর্ড মুখস্থ করার ভয়ে রোমান হরফে বাংলা লিখতেন। তাঁদের জন্য সহজে বাংলা টাইপ করতে মেহদী নিজেই বানিয়ে ফেলেন অভ্র ইজি। অনলাইন ফোরামের যুগ সে সময়। তাই ওমিক্রনের ওয়েবসাইটে ফোরাম খোলা হলো। ফোরামে অভ্র’র ব্যবহারকারীরা ফিডব্যাক দিতেন, বাগ রিপোর্ট করতেন, প্রশ্নোত্তর চলতো। পরে অভ্রের সঙ্গে যুক্ত হন—রিফাত উন নবী, তানবিন ইসলাম, শাবাব মুস্তাফা, ওমর ওসমান—আরও পরে সারিম খান। তাঁরা সবাই অভ্রের জন্য কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।
ধীরে ধীরে অভ্রতে যোগ হয় অভ্র ইজি, ন্যাশনাল, প্রভাত, মুনীর অপটিমা, ইউনি বিজয় (২০১১ সাল থেকে এটি নেই) বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট। বর্তমানে অভ্রের ৫.৬. ০ সংস্করণ ওমিক্রনের ওয়েবসাইট থেকে নামানো যায়। এখনো এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। অভ্রের স্লোগান হলো, ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত।’
অভ্র দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘কম্পিউটার টুমোরো’ মেহদীর অভ্রকে নিয়ে ফিচার প্রতিবেদন করে। ম্যাগাজিনটির সেই সংখ্যার সঙ্গে অভ্রের সিডির একটি করে কপি ফ্রি দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ‘অভ্র কি–বোর্ড পোর্টেবল এডিশন’ বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অভ্রের সোর্স কোড উন্মুক্ত, অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই গিটহাব রিপোজিটরি থেকে এর উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভার্সন ৫–এর পর থেকে অভ্রকে ফ্রিওয়্যার থেকে ওপেন সোর্সে রূপান্তর করা হয় এবং এটি ‘মজিলা পাবলিক লাইসেন্স’ (এমপিএল)–এর অধীনে লাইসেন্সকৃত।
ওপেন সোর্স হওয়ায় অভ্র সফটপিডিয়াতে শতভাগ স্পাইওয়্যার/অ্যাডওয়্যার/ভাইরাস মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে স্বীকৃত। মাইক্রোসফটের অনলাইন সংগ্রহশালায় ইন্ডিক ভাষাগুলোর সমাধানের তালিকায় অভ্র কি–বোর্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র ব্যবহার করে।
এ ছাড়া অভ্রকে বাংলা কি–বোর্ড রিসোর্স হিসেবে ইউনিকোড সংস্থার ওয়েব সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিস বাংলা তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য অভ্র টিমকে ২০১১ সালে ‘বিশেষ অবদান পুরস্কার’ (Special Contribution Award) দেয়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৫ সালের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে একুশে পদকের জন্য মেহদী হাসান খানের নাম ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
ডা. মেহদী হাসান খান এখন পুরো দস্তুর প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। অবসর ছেলে অর্ক হাসান খানের সঙ্গে।
এক নজরে ‘অভ্র’:
মূল উদ্ভাবক: ডা. মেহদী হাসান খান
উন্নয়নকারী: ওমিক্রনল্যাব
প্রাথমিক সংস্করণ: ২৬ মার্চ ২০০৩
স্থায়ী মুক্তি: ৫.৬. ০ / ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: সি++, ডেলফি
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্স পি, ভিস্তা, ৭, ৮,৮. ১,১০, লিনাক্স, ম্যাক।
প্ল্যাটফর্ম: উইন্ডোজ (অভ্র), লিনাক্স (ibus-avro), ম্যাক ওএস (iAvro), অ্যান্ড্রয়েড (রিদমিক), আইওএস (রিদমিক)।
লাইসেন্স: ওপেন সোর্স, মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স।
লে–আউট: প্রভাত, মুনির অপটিমা, অভ্র ইজি (ওমিক্রন ল্যাব প্রকাশিত সহজ একটি লে–আউট), বর্ণনা, জাতীয় (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রকাশিত বাংলা লে–আউট)
মেহদী হাসান খান অভ্র নিয়ে কখনো বাণিজ্যিক চিন্তা করেননি। শখের বসে তৈরি করা অভ্র বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় ব্যবহার করেছে। যার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনের ৫ কোটি টাকার মতো বেঁচে যায়। ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যে অভ্র এখন ব্যাপক জনপ্রিয়।
অভ্র ও বিজয় দ্বন্দ্ব
কম্পিউটারে বাংলা লেখার সূচনা হয় ১৯৮৬ সালে। আর শুরুটা হয় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের হাত ধরে। সে সময় শহীদ লিপির মাধ্যমে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখা শুরু হয়। প্রথম বাংলা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক ছিলেন ড. সাইফ উদ দোহা শহীদ। তবে বেশি দূর এগোতে পারেনি শহীদ লিপি। দ্রুতই তাঁর অবস্থান দখল করে বিজয়।
বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ মে। আনন্দ কম্পিউটারস কি–বোর্ড উন্মোচন করে ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আনন্দ কম্পিউটারসের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার। বিজয় বাংলা কম্পিউটিং প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৯৯৩ সালের আগে পর্যন্ত ডস ও উইন্ডোজভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা সফটওয়্যার চালু ছিল। ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ পারসোনাল কম্পিউটারের জন্য বিজয় সফটওয়্যারের উন্নয়ন করা হয়। আর এ সময় থেকে উইন্ডোজ ও ম্যাকিনটোশে সমানভাবে বাংলা ব্যবহার চলতে থাকে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলা ভাষার ব্যবহার সহজ করতে ইউনিকোড প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ইউনিকোডভিত্তিক সফটওয়্যার হওয়ায় বাংলা কম্পিউটিংয়ে অভ্র শক্তিশালী ভূমিকা রেখে চলেছে।
কিন্তু বিজয়ের স্বত্বাধিকারী ও বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার দৈনিক জনকণ্ঠে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ‘সাইবার যুদ্ধের যুগে প্রথম পা। একুশ শতক’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন। নিবন্ধের মূল বক্তব্য ছিল ওই সময় সরকারি অনেক ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা। তবে লেখার মধ্যে অভ্র কি–বোর্ড, জাতিসংঘের ইউএনডিপি এবং নির্বাচন কমিশনকে টেনে আনেন। অভ্রকে ‘পাইরেটেড সফটওয়্যার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বিজয় সফটওয়্যারের পাইরেটেড সংস্করণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই হ্যাকাররা চরম পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছে। এ হ্যাকার ও পাইরেটদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির নামও যুক্ত আছে। অভ্র নামক একটি পাইরেটেড বাংলা সফটওয়্যারকে নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির অবদান সবচেয়ে বেশি।
তাঁর এই লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভ্র ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। ফেসবুক, ব্লগ ও বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। কিছু কিছু সাইট প্রতিবাদে তাদের ব্যানারও পরিবর্তন করে।
কিন্তু মোস্তাফা জব্বার ক্ষান্ত হননি। তিনি কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন অভ্র সফটওয়্যারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওমিক্রন ল্যাবের প্রধান নির্বাহী মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে। কপিরাইট অফিস মেহদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে মেহদী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে সমঝোতা হয়। অভ্র কি–বোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লে–আউট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়নে নির্বাচন কমিশন ‘বাণিজ্যিক বিজয়’–এর পরিবর্তে বিনা মূল্যে অভ্র ব্যবহার করে। বেঁচে যায় রাষ্ট্রের ৫ কোটি টাকা। অনেকে বলেন, অভ্র একটি ইউনিকোড, বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়া সত্ত্বেও মোস্তাফা জব্বারের এমন আচরণের পেছনে রয়েছে এই প্রকল্প হাতছাড়া হওয়া। নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে বিজয়ের পরিবর্তে অভ্র ব্যবহার করায় প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেও জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
বিজয়–রিদমিক বিতর্ক
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। এরপর এই অ্যাপটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মোস্তাফা জব্বার। সেই স্ট্যাটাসে এই জাতীয় অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে গুগলের পক্ষ থেকে রিদমিক এবং ইউনিবিজয় কি–বোর্ডের ডেভেলপারের কাছে পৃথক ই–মেইল নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফা জব্বার অ্যাপ দুটির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন গুগলের কাছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুগল যুক্তরাষ্ট্রের DMCA আইন অনুসারে অ্যাপ দুটি অপসারণ করেছে।
পরে নতুন লে–আউট করে প্লেস্টোরে আবারও রিদমিক কি–বোর্ড প্রকাশ করা হয়।
মূলত অভ্রের বিরুদ্ধে কি–বোর্ডের লে–আউট কপি করার অভিযোগ করে থাকেন মোস্তাফা জব্বার। যদিও বিজয়ের কপিরাইট (১৯৮৮) নাকি পেটেন্ট (২০০৮) কোনটি নিয়ে অভিযোগ তা পরিষ্কার করা হয়নি। বিজয়ের পেটেন্ট দাবি করার বিষয়টি দুর্বল কারণ ২০০৮ নাগাদ এমন প্রচুর পেটেন্ট আছে। বিজয়ের লে–আউট কপিরাইটের বিষয়টিও বিতর্কিত। অনেকে মনে করেন, মুনীর লে–আউটের সঙ্গে বিজয়ের পার্থক্য সামান্যই। অথচ একই যুক্তিতে অভ্রতে ইউনিবিজয় কি–বোর্ড যুক্ত করা হয়েছিল, যেটিতে বিজয়ের লে–আউটের কয়েকটি অক্ষর এদিক–সেদিক করা ছিল। এ ছাড়া ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়ায় এর লে–আউট ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।

বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রবেশের শুরুর দিকে ওয়েবে বাংলা লেখা বা বাংলায় কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। ওই সময় ওয়েবসাইটে কোনো বাংলা লেখা ছবি কিংবা পিডিএফ করে দিতে হতো। ই–মেইল করার ক্ষেত্রে বাংলা লেখা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার। প্রথম ইউনিকোড বাংলা লেখার সফটওয়্যার এটি। শুধু তা–ই নয়, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তিনি এটি ছড়িয়ে দিলেন। এ ছাড়া এটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ এর সোর্সকোড উন্মুক্ত। যে কেউ এটির পরিবর্তন ও ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখতে পারেন।
অভ্রর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। মূলত ইউনিকোড ভিত্তিক হওয়ায় ইন্টারনেটে লেখালেখির সুবিধা আর ফোনেটিক পদ্ধতিতে (কি–বোর্ডে রোমান হরফ লিখে বাংলায় পরিবর্তনের সুবিধা) লেখার সুযোগ—এই দুটি কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে অভ্রর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনো বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার নেই। এখন ব্লগ, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা হচ্ছে।
অভ্র তৈরির শুরুর গল্প
আজকের অভ্র কি–বোর্ড নামের সফটওয়্যারটি বিশেষ করে এক ব্যক্তির ১০ বছরের পরিশ্রমের ফল। মেহদী হাসান খান ৯ম শ্রেণি থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামিংয়ের বই কিনে ঘরে বসেই প্রোগ্রামিং শিখতেন।
১৯৮৬ সালের ২৩ জুলাই ঢাকায় জন্ম মেহদী হাসান খানের। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন মেহদী। ২০০১ সালে মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন নটর ডেম কলেজে। ২০০৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ভর্তি হন। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় গিয়েছিলেন মেহদী। সেখানে বাংলা ইনোভেশন থ্রু ওপেন সোর্স—বায়োসের স্টলে গিয়ে তাঁর ভাষায় ‘প্রথম খাঁটি বাংলা’ ওয়েবসাইট দেখলেন। ইউনিকোডে বাংলা লেখাও দেখলেন। ইউনিবাংলা নামে তারা পুরো একটা অপারেটিং সিস্টেমও তৈরি করেছিল। অবশ্য সেটি ছিল মূলত লিনাক্স–এরই একটি সংস্করণ। বাসায় ফিরে তাদের ওপেন টাইপ ফন্ট ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেন। কিন্তু এটি শুধু বাংলা ভাষায় কাস্টমাইজ করা লিনাক্সের জন্য। ক্যারেক্টার চার্টে মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে বাংলা লিখতে হয়। জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের জন্য এই সুবিধা ছিল না।
তখনই মেহদী সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডোজের জন্য বাংলা লেখার সফটওয়্যার বানাবেন। তিনি বাংলা লিনাক্সের ওই ফন্টটি নিজের কম্পিউটারে ইনস্টল করেন। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা ভিজ্যুয়াল বেসিক ডটনেট দিয়ে লিখে ফেলেন ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা সফটওয়্যার। ফোনেটিক পদ্ধতিও তৈরি করে ফেলেন। সেটি ছিল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন।
পরে ভারতের একটি বাংলা ফন্ট প্রতিযোগিতায় ই–মেইল করে নিজের বানানো প্রোটোটাইপ পাঠান মেহদী হাসান। তারা জানাল, অ্যাপ্লিকেশনটি ঘন ঘন ক্র্যাশ করেছে।
আবার রাত জেগে প্রোটোটাইপের বাগ সারানোর কাজ করেন মেহদী হাসান। ডটনেট বাদ দিয়ে ক্ল্যাসিক ভিজুয়াল বেসিকে সবগুলো কোড নতুন করে লিখেন মেহদী। পরবর্তীতে আবারও একেবারে নতুন করে কোড লেখা হয় Delphi/Object Pascal–এ। বর্তমানে অভ্র এই ফ্রেমওয়ার্কেই আছে।
মেহদী হাসান ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করেন অভ্র নামের সফটওয়্যারটি। অভিধান ঘেঁটে ‘অভ্র’ শব্দ পছন্দ হয় মেহদীর। অভ্র মানে আকাশ। ইউনিকোডের পাশাপাশি বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, তাই উন্মুক্ত আকাশের প্রতিশব্দ বেছে নেন মেহদী। সবাই যাতে অভ্র ইন্টারনেট থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য একটি ওয়েবসাইটও প্রকাশ করেন মেহদী। সেটির নাম ওমিক্রনল্যাব ডটকম। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ওমিক্রনিক রূপান্তর’ বই থেকে ওমিক্রন নামটি নিয়েছিলেন তিনি।
অভ্রর প্রথম সংস্করণে লেখার জন্য বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট ছিল। অনেকে কি–বোর্ড মুখস্থ করার ভয়ে রোমান হরফে বাংলা লিখতেন। তাঁদের জন্য সহজে বাংলা টাইপ করতে মেহদী নিজেই বানিয়ে ফেলেন অভ্র ইজি। অনলাইন ফোরামের যুগ সে সময়। তাই ওমিক্রনের ওয়েবসাইটে ফোরাম খোলা হলো। ফোরামে অভ্র’র ব্যবহারকারীরা ফিডব্যাক দিতেন, বাগ রিপোর্ট করতেন, প্রশ্নোত্তর চলতো। পরে অভ্রের সঙ্গে যুক্ত হন—রিফাত উন নবী, তানবিন ইসলাম, শাবাব মুস্তাফা, ওমর ওসমান—আরও পরে সারিম খান। তাঁরা সবাই অভ্রের জন্য কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।
ধীরে ধীরে অভ্রতে যোগ হয় অভ্র ইজি, ন্যাশনাল, প্রভাত, মুনীর অপটিমা, ইউনি বিজয় (২০১১ সাল থেকে এটি নেই) বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট। বর্তমানে অভ্রের ৫.৬. ০ সংস্করণ ওমিক্রনের ওয়েবসাইট থেকে নামানো যায়। এখনো এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। অভ্রের স্লোগান হলো, ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত।’
অভ্র দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘কম্পিউটার টুমোরো’ মেহদীর অভ্রকে নিয়ে ফিচার প্রতিবেদন করে। ম্যাগাজিনটির সেই সংখ্যার সঙ্গে অভ্রের সিডির একটি করে কপি ফ্রি দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ‘অভ্র কি–বোর্ড পোর্টেবল এডিশন’ বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অভ্রের সোর্স কোড উন্মুক্ত, অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই গিটহাব রিপোজিটরি থেকে এর উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভার্সন ৫–এর পর থেকে অভ্রকে ফ্রিওয়্যার থেকে ওপেন সোর্সে রূপান্তর করা হয় এবং এটি ‘মজিলা পাবলিক লাইসেন্স’ (এমপিএল)–এর অধীনে লাইসেন্সকৃত।
ওপেন সোর্স হওয়ায় অভ্র সফটপিডিয়াতে শতভাগ স্পাইওয়্যার/অ্যাডওয়্যার/ভাইরাস মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে স্বীকৃত। মাইক্রোসফটের অনলাইন সংগ্রহশালায় ইন্ডিক ভাষাগুলোর সমাধানের তালিকায় অভ্র কি–বোর্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র ব্যবহার করে।
এ ছাড়া অভ্রকে বাংলা কি–বোর্ড রিসোর্স হিসেবে ইউনিকোড সংস্থার ওয়েব সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিস বাংলা তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য অভ্র টিমকে ২০১১ সালে ‘বিশেষ অবদান পুরস্কার’ (Special Contribution Award) দেয়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৫ সালের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে একুশে পদকের জন্য মেহদী হাসান খানের নাম ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
ডা. মেহদী হাসান খান এখন পুরো দস্তুর প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। অবসর ছেলে অর্ক হাসান খানের সঙ্গে।
এক নজরে ‘অভ্র’:
মূল উদ্ভাবক: ডা. মেহদী হাসান খান
উন্নয়নকারী: ওমিক্রনল্যাব
প্রাথমিক সংস্করণ: ২৬ মার্চ ২০০৩
স্থায়ী মুক্তি: ৫.৬. ০ / ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: সি++, ডেলফি
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্স পি, ভিস্তা, ৭, ৮,৮. ১,১০, লিনাক্স, ম্যাক।
প্ল্যাটফর্ম: উইন্ডোজ (অভ্র), লিনাক্স (ibus-avro), ম্যাক ওএস (iAvro), অ্যান্ড্রয়েড (রিদমিক), আইওএস (রিদমিক)।
লাইসেন্স: ওপেন সোর্স, মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স।
লে–আউট: প্রভাত, মুনির অপটিমা, অভ্র ইজি (ওমিক্রন ল্যাব প্রকাশিত সহজ একটি লে–আউট), বর্ণনা, জাতীয় (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রকাশিত বাংলা লে–আউট)
মেহদী হাসান খান অভ্র নিয়ে কখনো বাণিজ্যিক চিন্তা করেননি। শখের বসে তৈরি করা অভ্র বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় ব্যবহার করেছে। যার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনের ৫ কোটি টাকার মতো বেঁচে যায়। ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যে অভ্র এখন ব্যাপক জনপ্রিয়।
অভ্র ও বিজয় দ্বন্দ্ব
কম্পিউটারে বাংলা লেখার সূচনা হয় ১৯৮৬ সালে। আর শুরুটা হয় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের হাত ধরে। সে সময় শহীদ লিপির মাধ্যমে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখা শুরু হয়। প্রথম বাংলা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক ছিলেন ড. সাইফ উদ দোহা শহীদ। তবে বেশি দূর এগোতে পারেনি শহীদ লিপি। দ্রুতই তাঁর অবস্থান দখল করে বিজয়।
বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ মে। আনন্দ কম্পিউটারস কি–বোর্ড উন্মোচন করে ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আনন্দ কম্পিউটারসের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার। বিজয় বাংলা কম্পিউটিং প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৯৯৩ সালের আগে পর্যন্ত ডস ও উইন্ডোজভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা সফটওয়্যার চালু ছিল। ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ পারসোনাল কম্পিউটারের জন্য বিজয় সফটওয়্যারের উন্নয়ন করা হয়। আর এ সময় থেকে উইন্ডোজ ও ম্যাকিনটোশে সমানভাবে বাংলা ব্যবহার চলতে থাকে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলা ভাষার ব্যবহার সহজ করতে ইউনিকোড প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ইউনিকোডভিত্তিক সফটওয়্যার হওয়ায় বাংলা কম্পিউটিংয়ে অভ্র শক্তিশালী ভূমিকা রেখে চলেছে।
কিন্তু বিজয়ের স্বত্বাধিকারী ও বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার দৈনিক জনকণ্ঠে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ‘সাইবার যুদ্ধের যুগে প্রথম পা। একুশ শতক’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন। নিবন্ধের মূল বক্তব্য ছিল ওই সময় সরকারি অনেক ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা। তবে লেখার মধ্যে অভ্র কি–বোর্ড, জাতিসংঘের ইউএনডিপি এবং নির্বাচন কমিশনকে টেনে আনেন। অভ্রকে ‘পাইরেটেড সফটওয়্যার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বিজয় সফটওয়্যারের পাইরেটেড সংস্করণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই হ্যাকাররা চরম পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছে। এ হ্যাকার ও পাইরেটদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির নামও যুক্ত আছে। অভ্র নামক একটি পাইরেটেড বাংলা সফটওয়্যারকে নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির অবদান সবচেয়ে বেশি।
তাঁর এই লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভ্র ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। ফেসবুক, ব্লগ ও বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। কিছু কিছু সাইট প্রতিবাদে তাদের ব্যানারও পরিবর্তন করে।
কিন্তু মোস্তাফা জব্বার ক্ষান্ত হননি। তিনি কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন অভ্র সফটওয়্যারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওমিক্রন ল্যাবের প্রধান নির্বাহী মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে। কপিরাইট অফিস মেহদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে মেহদী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে সমঝোতা হয়। অভ্র কি–বোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লে–আউট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়নে নির্বাচন কমিশন ‘বাণিজ্যিক বিজয়’–এর পরিবর্তে বিনা মূল্যে অভ্র ব্যবহার করে। বেঁচে যায় রাষ্ট্রের ৫ কোটি টাকা। অনেকে বলেন, অভ্র একটি ইউনিকোড, বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়া সত্ত্বেও মোস্তাফা জব্বারের এমন আচরণের পেছনে রয়েছে এই প্রকল্প হাতছাড়া হওয়া। নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে বিজয়ের পরিবর্তে অভ্র ব্যবহার করায় প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেও জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
বিজয়–রিদমিক বিতর্ক
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। এরপর এই অ্যাপটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মোস্তাফা জব্বার। সেই স্ট্যাটাসে এই জাতীয় অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে গুগলের পক্ষ থেকে রিদমিক এবং ইউনিবিজয় কি–বোর্ডের ডেভেলপারের কাছে পৃথক ই–মেইল নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফা জব্বার অ্যাপ দুটির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন গুগলের কাছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুগল যুক্তরাষ্ট্রের DMCA আইন অনুসারে অ্যাপ দুটি অপসারণ করেছে।
পরে নতুন লে–আউট করে প্লেস্টোরে আবারও রিদমিক কি–বোর্ড প্রকাশ করা হয়।
মূলত অভ্রের বিরুদ্ধে কি–বোর্ডের লে–আউট কপি করার অভিযোগ করে থাকেন মোস্তাফা জব্বার। যদিও বিজয়ের কপিরাইট (১৯৮৮) নাকি পেটেন্ট (২০০৮) কোনটি নিয়ে অভিযোগ তা পরিষ্কার করা হয়নি। বিজয়ের পেটেন্ট দাবি করার বিষয়টি দুর্বল কারণ ২০০৮ নাগাদ এমন প্রচুর পেটেন্ট আছে। বিজয়ের লে–আউট কপিরাইটের বিষয়টিও বিতর্কিত। অনেকে মনে করেন, মুনীর লে–আউটের সঙ্গে বিজয়ের পার্থক্য সামান্যই। অথচ একই যুক্তিতে অভ্রতে ইউনিবিজয় কি–বোর্ড যুক্ত করা হয়েছিল, যেটিতে বিজয়ের লে–আউটের কয়েকটি অক্ষর এদিক–সেদিক করা ছিল। এ ছাড়া ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়ায় এর লে–আউট ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।

বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রবেশের শুরুর দিকে ওয়েবে বাংলা লেখা বা বাংলায় কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। ওই সময় ওয়েবসাইটে কোনো বাংলা লেখা ছবি কিংবা পিডিএফ করে দিতে হতো। ই–মেইল করার ক্ষেত্রে বাংলা লেখা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার। প্রথম ইউনিকোড বাংলা লেখার সফটওয়্যার এটি। শুধু তা–ই নয়, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তিনি এটি ছড়িয়ে দিলেন। এ ছাড়া এটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ এর সোর্সকোড উন্মুক্ত। যে কেউ এটির পরিবর্তন ও ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখতে পারেন।
অভ্রর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। মূলত ইউনিকোড ভিত্তিক হওয়ায় ইন্টারনেটে লেখালেখির সুবিধা আর ফোনেটিক পদ্ধতিতে (কি–বোর্ডে রোমান হরফ লিখে বাংলায় পরিবর্তনের সুবিধা) লেখার সুযোগ—এই দুটি কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে অভ্রর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনো বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার নেই। এখন ব্লগ, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা হচ্ছে।
অভ্র তৈরির শুরুর গল্প
আজকের অভ্র কি–বোর্ড নামের সফটওয়্যারটি বিশেষ করে এক ব্যক্তির ১০ বছরের পরিশ্রমের ফল। মেহদী হাসান খান ৯ম শ্রেণি থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামিংয়ের বই কিনে ঘরে বসেই প্রোগ্রামিং শিখতেন।
১৯৮৬ সালের ২৩ জুলাই ঢাকায় জন্ম মেহদী হাসান খানের। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন মেহদী। ২০০১ সালে মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন নটর ডেম কলেজে। ২০০৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ভর্তি হন। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় গিয়েছিলেন মেহদী। সেখানে বাংলা ইনোভেশন থ্রু ওপেন সোর্স—বায়োসের স্টলে গিয়ে তাঁর ভাষায় ‘প্রথম খাঁটি বাংলা’ ওয়েবসাইট দেখলেন। ইউনিকোডে বাংলা লেখাও দেখলেন। ইউনিবাংলা নামে তারা পুরো একটা অপারেটিং সিস্টেমও তৈরি করেছিল। অবশ্য সেটি ছিল মূলত লিনাক্স–এরই একটি সংস্করণ। বাসায় ফিরে তাদের ওপেন টাইপ ফন্ট ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেন। কিন্তু এটি শুধু বাংলা ভাষায় কাস্টমাইজ করা লিনাক্সের জন্য। ক্যারেক্টার চার্টে মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে বাংলা লিখতে হয়। জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের জন্য এই সুবিধা ছিল না।
তখনই মেহদী সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডোজের জন্য বাংলা লেখার সফটওয়্যার বানাবেন। তিনি বাংলা লিনাক্সের ওই ফন্টটি নিজের কম্পিউটারে ইনস্টল করেন। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা ভিজ্যুয়াল বেসিক ডটনেট দিয়ে লিখে ফেলেন ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা সফটওয়্যার। ফোনেটিক পদ্ধতিও তৈরি করে ফেলেন। সেটি ছিল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন।
পরে ভারতের একটি বাংলা ফন্ট প্রতিযোগিতায় ই–মেইল করে নিজের বানানো প্রোটোটাইপ পাঠান মেহদী হাসান। তারা জানাল, অ্যাপ্লিকেশনটি ঘন ঘন ক্র্যাশ করেছে।
আবার রাত জেগে প্রোটোটাইপের বাগ সারানোর কাজ করেন মেহদী হাসান। ডটনেট বাদ দিয়ে ক্ল্যাসিক ভিজুয়াল বেসিকে সবগুলো কোড নতুন করে লিখেন মেহদী। পরবর্তীতে আবারও একেবারে নতুন করে কোড লেখা হয় Delphi/Object Pascal–এ। বর্তমানে অভ্র এই ফ্রেমওয়ার্কেই আছে।
মেহদী হাসান ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করেন অভ্র নামের সফটওয়্যারটি। অভিধান ঘেঁটে ‘অভ্র’ শব্দ পছন্দ হয় মেহদীর। অভ্র মানে আকাশ। ইউনিকোডের পাশাপাশি বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, তাই উন্মুক্ত আকাশের প্রতিশব্দ বেছে নেন মেহদী। সবাই যাতে অভ্র ইন্টারনেট থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য একটি ওয়েবসাইটও প্রকাশ করেন মেহদী। সেটির নাম ওমিক্রনল্যাব ডটকম। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ওমিক্রনিক রূপান্তর’ বই থেকে ওমিক্রন নামটি নিয়েছিলেন তিনি।
অভ্রর প্রথম সংস্করণে লেখার জন্য বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট ছিল। অনেকে কি–বোর্ড মুখস্থ করার ভয়ে রোমান হরফে বাংলা লিখতেন। তাঁদের জন্য সহজে বাংলা টাইপ করতে মেহদী নিজেই বানিয়ে ফেলেন অভ্র ইজি। অনলাইন ফোরামের যুগ সে সময়। তাই ওমিক্রনের ওয়েবসাইটে ফোরাম খোলা হলো। ফোরামে অভ্র’র ব্যবহারকারীরা ফিডব্যাক দিতেন, বাগ রিপোর্ট করতেন, প্রশ্নোত্তর চলতো। পরে অভ্রের সঙ্গে যুক্ত হন—রিফাত উন নবী, তানবিন ইসলাম, শাবাব মুস্তাফা, ওমর ওসমান—আরও পরে সারিম খান। তাঁরা সবাই অভ্রের জন্য কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।
ধীরে ধীরে অভ্রতে যোগ হয় অভ্র ইজি, ন্যাশনাল, প্রভাত, মুনীর অপটিমা, ইউনি বিজয় (২০১১ সাল থেকে এটি নেই) বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট। বর্তমানে অভ্রের ৫.৬. ০ সংস্করণ ওমিক্রনের ওয়েবসাইট থেকে নামানো যায়। এখনো এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। অভ্রের স্লোগান হলো, ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত।’
অভ্র দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘কম্পিউটার টুমোরো’ মেহদীর অভ্রকে নিয়ে ফিচার প্রতিবেদন করে। ম্যাগাজিনটির সেই সংখ্যার সঙ্গে অভ্রের সিডির একটি করে কপি ফ্রি দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ‘অভ্র কি–বোর্ড পোর্টেবল এডিশন’ বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অভ্রের সোর্স কোড উন্মুক্ত, অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই গিটহাব রিপোজিটরি থেকে এর উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভার্সন ৫–এর পর থেকে অভ্রকে ফ্রিওয়্যার থেকে ওপেন সোর্সে রূপান্তর করা হয় এবং এটি ‘মজিলা পাবলিক লাইসেন্স’ (এমপিএল)–এর অধীনে লাইসেন্সকৃত।
ওপেন সোর্স হওয়ায় অভ্র সফটপিডিয়াতে শতভাগ স্পাইওয়্যার/অ্যাডওয়্যার/ভাইরাস মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে স্বীকৃত। মাইক্রোসফটের অনলাইন সংগ্রহশালায় ইন্ডিক ভাষাগুলোর সমাধানের তালিকায় অভ্র কি–বোর্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র ব্যবহার করে।
এ ছাড়া অভ্রকে বাংলা কি–বোর্ড রিসোর্স হিসেবে ইউনিকোড সংস্থার ওয়েব সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিস বাংলা তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য অভ্র টিমকে ২০১১ সালে ‘বিশেষ অবদান পুরস্কার’ (Special Contribution Award) দেয়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৫ সালের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে একুশে পদকের জন্য মেহদী হাসান খানের নাম ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
ডা. মেহদী হাসান খান এখন পুরো দস্তুর প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। অবসর ছেলে অর্ক হাসান খানের সঙ্গে।
এক নজরে ‘অভ্র’:
মূল উদ্ভাবক: ডা. মেহদী হাসান খান
উন্নয়নকারী: ওমিক্রনল্যাব
প্রাথমিক সংস্করণ: ২৬ মার্চ ২০০৩
স্থায়ী মুক্তি: ৫.৬. ০ / ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: সি++, ডেলফি
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্স পি, ভিস্তা, ৭, ৮,৮. ১,১০, লিনাক্স, ম্যাক।
প্ল্যাটফর্ম: উইন্ডোজ (অভ্র), লিনাক্স (ibus-avro), ম্যাক ওএস (iAvro), অ্যান্ড্রয়েড (রিদমিক), আইওএস (রিদমিক)।
লাইসেন্স: ওপেন সোর্স, মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স।
লে–আউট: প্রভাত, মুনির অপটিমা, অভ্র ইজি (ওমিক্রন ল্যাব প্রকাশিত সহজ একটি লে–আউট), বর্ণনা, জাতীয় (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রকাশিত বাংলা লে–আউট)
মেহদী হাসান খান অভ্র নিয়ে কখনো বাণিজ্যিক চিন্তা করেননি। শখের বসে তৈরি করা অভ্র বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় ব্যবহার করেছে। যার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনের ৫ কোটি টাকার মতো বেঁচে যায়। ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যে অভ্র এখন ব্যাপক জনপ্রিয়।
অভ্র ও বিজয় দ্বন্দ্ব
কম্পিউটারে বাংলা লেখার সূচনা হয় ১৯৮৬ সালে। আর শুরুটা হয় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের হাত ধরে। সে সময় শহীদ লিপির মাধ্যমে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখা শুরু হয়। প্রথম বাংলা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক ছিলেন ড. সাইফ উদ দোহা শহীদ। তবে বেশি দূর এগোতে পারেনি শহীদ লিপি। দ্রুতই তাঁর অবস্থান দখল করে বিজয়।
বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ মে। আনন্দ কম্পিউটারস কি–বোর্ড উন্মোচন করে ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আনন্দ কম্পিউটারসের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার। বিজয় বাংলা কম্পিউটিং প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৯৯৩ সালের আগে পর্যন্ত ডস ও উইন্ডোজভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা সফটওয়্যার চালু ছিল। ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ পারসোনাল কম্পিউটারের জন্য বিজয় সফটওয়্যারের উন্নয়ন করা হয়। আর এ সময় থেকে উইন্ডোজ ও ম্যাকিনটোশে সমানভাবে বাংলা ব্যবহার চলতে থাকে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলা ভাষার ব্যবহার সহজ করতে ইউনিকোড প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ইউনিকোডভিত্তিক সফটওয়্যার হওয়ায় বাংলা কম্পিউটিংয়ে অভ্র শক্তিশালী ভূমিকা রেখে চলেছে।
কিন্তু বিজয়ের স্বত্বাধিকারী ও বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার দৈনিক জনকণ্ঠে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ‘সাইবার যুদ্ধের যুগে প্রথম পা। একুশ শতক’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন। নিবন্ধের মূল বক্তব্য ছিল ওই সময় সরকারি অনেক ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা। তবে লেখার মধ্যে অভ্র কি–বোর্ড, জাতিসংঘের ইউএনডিপি এবং নির্বাচন কমিশনকে টেনে আনেন। অভ্রকে ‘পাইরেটেড সফটওয়্যার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বিজয় সফটওয়্যারের পাইরেটেড সংস্করণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই হ্যাকাররা চরম পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছে। এ হ্যাকার ও পাইরেটদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির নামও যুক্ত আছে। অভ্র নামক একটি পাইরেটেড বাংলা সফটওয়্যারকে নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির অবদান সবচেয়ে বেশি।
তাঁর এই লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভ্র ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। ফেসবুক, ব্লগ ও বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। কিছু কিছু সাইট প্রতিবাদে তাদের ব্যানারও পরিবর্তন করে।
কিন্তু মোস্তাফা জব্বার ক্ষান্ত হননি। তিনি কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন অভ্র সফটওয়্যারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওমিক্রন ল্যাবের প্রধান নির্বাহী মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে। কপিরাইট অফিস মেহদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে মেহদী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে সমঝোতা হয়। অভ্র কি–বোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লে–আউট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়নে নির্বাচন কমিশন ‘বাণিজ্যিক বিজয়’–এর পরিবর্তে বিনা মূল্যে অভ্র ব্যবহার করে। বেঁচে যায় রাষ্ট্রের ৫ কোটি টাকা। অনেকে বলেন, অভ্র একটি ইউনিকোড, বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়া সত্ত্বেও মোস্তাফা জব্বারের এমন আচরণের পেছনে রয়েছে এই প্রকল্প হাতছাড়া হওয়া। নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে বিজয়ের পরিবর্তে অভ্র ব্যবহার করায় প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেও জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
বিজয়–রিদমিক বিতর্ক
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। এরপর এই অ্যাপটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মোস্তাফা জব্বার। সেই স্ট্যাটাসে এই জাতীয় অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে গুগলের পক্ষ থেকে রিদমিক এবং ইউনিবিজয় কি–বোর্ডের ডেভেলপারের কাছে পৃথক ই–মেইল নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফা জব্বার অ্যাপ দুটির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন গুগলের কাছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুগল যুক্তরাষ্ট্রের DMCA আইন অনুসারে অ্যাপ দুটি অপসারণ করেছে।
পরে নতুন লে–আউট করে প্লেস্টোরে আবারও রিদমিক কি–বোর্ড প্রকাশ করা হয়।
মূলত অভ্রের বিরুদ্ধে কি–বোর্ডের লে–আউট কপি করার অভিযোগ করে থাকেন মোস্তাফা জব্বার। যদিও বিজয়ের কপিরাইট (১৯৮৮) নাকি পেটেন্ট (২০০৮) কোনটি নিয়ে অভিযোগ তা পরিষ্কার করা হয়নি। বিজয়ের পেটেন্ট দাবি করার বিষয়টি দুর্বল কারণ ২০০৮ নাগাদ এমন প্রচুর পেটেন্ট আছে। বিজয়ের লে–আউট কপিরাইটের বিষয়টিও বিতর্কিত। অনেকে মনে করেন, মুনীর লে–আউটের সঙ্গে বিজয়ের পার্থক্য সামান্যই। অথচ একই যুক্তিতে অভ্রতে ইউনিবিজয় কি–বোর্ড যুক্ত করা হয়েছিল, যেটিতে বিজয়ের লে–আউটের কয়েকটি অক্ষর এদিক–সেদিক করা ছিল। এ ছাড়া ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়ায় এর লে–আউট ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।

বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রবেশের শুরুর দিকে ওয়েবে বাংলা লেখা বা বাংলায় কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। ওই সময় ওয়েবসাইটে কোনো বাংলা লেখা ছবি কিংবা পিডিএফ করে দিতে হতো। ই–মেইল করার ক্ষেত্রে বাংলা লেখা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার। প্রথম ইউনিকোড বাংলা লেখার সফটওয়্যার এটি। শুধু তা–ই নয়, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তিনি এটি ছড়িয়ে দিলেন। এ ছাড়া এটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ এর সোর্সকোড উন্মুক্ত। যে কেউ এটির পরিবর্তন ও ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখতে পারেন।
অভ্রর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। মূলত ইউনিকোড ভিত্তিক হওয়ায় ইন্টারনেটে লেখালেখির সুবিধা আর ফোনেটিক পদ্ধতিতে (কি–বোর্ডে রোমান হরফ লিখে বাংলায় পরিবর্তনের সুবিধা) লেখার সুযোগ—এই দুটি কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে অভ্রর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনো বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার নেই। এখন ব্লগ, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা হচ্ছে।
অভ্র তৈরির শুরুর গল্প
আজকের অভ্র কি–বোর্ড নামের সফটওয়্যারটি বিশেষ করে এক ব্যক্তির ১০ বছরের পরিশ্রমের ফল। মেহদী হাসান খান ৯ম শ্রেণি থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামিংয়ের বই কিনে ঘরে বসেই প্রোগ্রামিং শিখতেন।
১৯৮৬ সালের ২৩ জুলাই ঢাকায় জন্ম মেহদী হাসান খানের। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন মেহদী। ২০০১ সালে মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন নটর ডেম কলেজে। ২০০৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ভর্তি হন। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় গিয়েছিলেন মেহদী। সেখানে বাংলা ইনোভেশন থ্রু ওপেন সোর্স—বায়োসের স্টলে গিয়ে তাঁর ভাষায় ‘প্রথম খাঁটি বাংলা’ ওয়েবসাইট দেখলেন। ইউনিকোডে বাংলা লেখাও দেখলেন। ইউনিবাংলা নামে তারা পুরো একটা অপারেটিং সিস্টেমও তৈরি করেছিল। অবশ্য সেটি ছিল মূলত লিনাক্স–এরই একটি সংস্করণ। বাসায় ফিরে তাদের ওপেন টাইপ ফন্ট ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেন। কিন্তু এটি শুধু বাংলা ভাষায় কাস্টমাইজ করা লিনাক্সের জন্য। ক্যারেক্টার চার্টে মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে বাংলা লিখতে হয়। জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের জন্য এই সুবিধা ছিল না।
তখনই মেহদী সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডোজের জন্য বাংলা লেখার সফটওয়্যার বানাবেন। তিনি বাংলা লিনাক্সের ওই ফন্টটি নিজের কম্পিউটারে ইনস্টল করেন। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা ভিজ্যুয়াল বেসিক ডটনেট দিয়ে লিখে ফেলেন ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা সফটওয়্যার। ফোনেটিক পদ্ধতিও তৈরি করে ফেলেন। সেটি ছিল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন।
পরে ভারতের একটি বাংলা ফন্ট প্রতিযোগিতায় ই–মেইল করে নিজের বানানো প্রোটোটাইপ পাঠান মেহদী হাসান। তারা জানাল, অ্যাপ্লিকেশনটি ঘন ঘন ক্র্যাশ করেছে।
আবার রাত জেগে প্রোটোটাইপের বাগ সারানোর কাজ করেন মেহদী হাসান। ডটনেট বাদ দিয়ে ক্ল্যাসিক ভিজুয়াল বেসিকে সবগুলো কোড নতুন করে লিখেন মেহদী। পরবর্তীতে আবারও একেবারে নতুন করে কোড লেখা হয় Delphi/Object Pascal–এ। বর্তমানে অভ্র এই ফ্রেমওয়ার্কেই আছে।
মেহদী হাসান ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করেন অভ্র নামের সফটওয়্যারটি। অভিধান ঘেঁটে ‘অভ্র’ শব্দ পছন্দ হয় মেহদীর। অভ্র মানে আকাশ। ইউনিকোডের পাশাপাশি বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, তাই উন্মুক্ত আকাশের প্রতিশব্দ বেছে নেন মেহদী। সবাই যাতে অভ্র ইন্টারনেট থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারে, সে জন্য একটি ওয়েবসাইটও প্রকাশ করেন মেহদী। সেটির নাম ওমিক্রনল্যাব ডটকম। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ওমিক্রনিক রূপান্তর’ বই থেকে ওমিক্রন নামটি নিয়েছিলেন তিনি।
অভ্রর প্রথম সংস্করণে লেখার জন্য বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট ছিল। অনেকে কি–বোর্ড মুখস্থ করার ভয়ে রোমান হরফে বাংলা লিখতেন। তাঁদের জন্য সহজে বাংলা টাইপ করতে মেহদী নিজেই বানিয়ে ফেলেন অভ্র ইজি। অনলাইন ফোরামের যুগ সে সময়। তাই ওমিক্রনের ওয়েবসাইটে ফোরাম খোলা হলো। ফোরামে অভ্র’র ব্যবহারকারীরা ফিডব্যাক দিতেন, বাগ রিপোর্ট করতেন, প্রশ্নোত্তর চলতো। পরে অভ্রের সঙ্গে যুক্ত হন—রিফাত উন নবী, তানবিন ইসলাম, শাবাব মুস্তাফা, ওমর ওসমান—আরও পরে সারিম খান। তাঁরা সবাই অভ্রের জন্য কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।
ধীরে ধীরে অভ্রতে যোগ হয় অভ্র ইজি, ন্যাশনাল, প্রভাত, মুনীর অপটিমা, ইউনি বিজয় (২০১১ সাল থেকে এটি নেই) বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট। বর্তমানে অভ্রের ৫.৬. ০ সংস্করণ ওমিক্রনের ওয়েবসাইট থেকে নামানো যায়। এখনো এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। অভ্রের স্লোগান হলো, ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত।’
অভ্র দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময়ের জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘কম্পিউটার টুমোরো’ মেহদীর অভ্রকে নিয়ে ফিচার প্রতিবেদন করে। ম্যাগাজিনটির সেই সংখ্যার সঙ্গে অভ্রের সিডির একটি করে কপি ফ্রি দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ‘অভ্র কি–বোর্ড পোর্টেবল এডিশন’ বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অভ্রের সোর্স কোড উন্মুক্ত, অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই গিটহাব রিপোজিটরি থেকে এর উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভার্সন ৫–এর পর থেকে অভ্রকে ফ্রিওয়্যার থেকে ওপেন সোর্সে রূপান্তর করা হয় এবং এটি ‘মজিলা পাবলিক লাইসেন্স’ (এমপিএল)–এর অধীনে লাইসেন্সকৃত।
ওপেন সোর্স হওয়ায় অভ্র সফটপিডিয়াতে শতভাগ স্পাইওয়্যার/অ্যাডওয়্যার/ভাইরাস মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে স্বীকৃত। মাইক্রোসফটের অনলাইন সংগ্রহশালায় ইন্ডিক ভাষাগুলোর সমাধানের তালিকায় অভ্র কি–বোর্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র ব্যবহার করে।
এ ছাড়া অভ্রকে বাংলা কি–বোর্ড রিসোর্স হিসেবে ইউনিকোড সংস্থার ওয়েব সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিস বাংলা তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য অভ্র টিমকে ২০১১ সালে ‘বিশেষ অবদান পুরস্কার’ (Special Contribution Award) দেয়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৫ সালের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে একুশে পদকের জন্য মেহদী হাসান খানের নাম ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
ডা. মেহদী হাসান খান এখন পুরো দস্তুর প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। অবসর ছেলে অর্ক হাসান খানের সঙ্গে।
এক নজরে ‘অভ্র’:
মূল উদ্ভাবক: ডা. মেহদী হাসান খান
উন্নয়নকারী: ওমিক্রনল্যাব
প্রাথমিক সংস্করণ: ২৬ মার্চ ২০০৩
স্থায়ী মুক্তি: ৫.৬. ০ / ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: সি++, ডেলফি
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্স পি, ভিস্তা, ৭, ৮,৮. ১,১০, লিনাক্স, ম্যাক।
প্ল্যাটফর্ম: উইন্ডোজ (অভ্র), লিনাক্স (ibus-avro), ম্যাক ওএস (iAvro), অ্যান্ড্রয়েড (রিদমিক), আইওএস (রিদমিক)।
লাইসেন্স: ওপেন সোর্স, মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স।
লে–আউট: প্রভাত, মুনির অপটিমা, অভ্র ইজি (ওমিক্রন ল্যাব প্রকাশিত সহজ একটি লে–আউট), বর্ণনা, জাতীয় (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রকাশিত বাংলা লে–আউট)
মেহদী হাসান খান অভ্র নিয়ে কখনো বাণিজ্যিক চিন্তা করেননি। শখের বসে তৈরি করা অভ্র বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় ব্যবহার করেছে। যার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনের ৫ কোটি টাকার মতো বেঁচে যায়। ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যে অভ্র এখন ব্যাপক জনপ্রিয়।
অভ্র ও বিজয় দ্বন্দ্ব
কম্পিউটারে বাংলা লেখার সূচনা হয় ১৯৮৬ সালে। আর শুরুটা হয় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের হাত ধরে। সে সময় শহীদ লিপির মাধ্যমে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখা শুরু হয়। প্রথম বাংলা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক ছিলেন ড. সাইফ উদ দোহা শহীদ। তবে বেশি দূর এগোতে পারেনি শহীদ লিপি। দ্রুতই তাঁর অবস্থান দখল করে বিজয়।
বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ মে। আনন্দ কম্পিউটারস কি–বোর্ড উন্মোচন করে ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আনন্দ কম্পিউটারসের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার। বিজয় বাংলা কম্পিউটিং প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৯৯৩ সালের আগে পর্যন্ত ডস ও উইন্ডোজভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা সফটওয়্যার চালু ছিল। ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ পারসোনাল কম্পিউটারের জন্য বিজয় সফটওয়্যারের উন্নয়ন করা হয়। আর এ সময় থেকে উইন্ডোজ ও ম্যাকিনটোশে সমানভাবে বাংলা ব্যবহার চলতে থাকে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলা ভাষার ব্যবহার সহজ করতে ইউনিকোড প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ইউনিকোডভিত্তিক সফটওয়্যার হওয়ায় বাংলা কম্পিউটিংয়ে অভ্র শক্তিশালী ভূমিকা রেখে চলেছে।
কিন্তু বিজয়ের স্বত্বাধিকারী ও বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার দৈনিক জনকণ্ঠে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ‘সাইবার যুদ্ধের যুগে প্রথম পা। একুশ শতক’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন। নিবন্ধের মূল বক্তব্য ছিল ওই সময় সরকারি অনেক ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা। তবে লেখার মধ্যে অভ্র কি–বোর্ড, জাতিসংঘের ইউএনডিপি এবং নির্বাচন কমিশনকে টেনে আনেন। অভ্রকে ‘পাইরেটেড সফটওয়্যার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বিজয় সফটওয়্যারের পাইরেটেড সংস্করণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই হ্যাকাররা চরম পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছে। এ হ্যাকার ও পাইরেটদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির নামও যুক্ত আছে। অভ্র নামক একটি পাইরেটেড বাংলা সফটওয়্যারকে নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপির অবদান সবচেয়ে বেশি।
তাঁর এই লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভ্র ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। ফেসবুক, ব্লগ ও বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। কিছু কিছু সাইট প্রতিবাদে তাদের ব্যানারও পরিবর্তন করে।
কিন্তু মোস্তাফা জব্বার ক্ষান্ত হননি। তিনি কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন অভ্র সফটওয়্যারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওমিক্রন ল্যাবের প্রধান নির্বাহী মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে। কপিরাইট অফিস মেহদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে মেহদী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে সমঝোতা হয়। অভ্র কি–বোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লে–আউট সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়নে নির্বাচন কমিশন ‘বাণিজ্যিক বিজয়’–এর পরিবর্তে বিনা মূল্যে অভ্র ব্যবহার করে। বেঁচে যায় রাষ্ট্রের ৫ কোটি টাকা। অনেকে বলেন, অভ্র একটি ইউনিকোড, বিনা মূল্যের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়া সত্ত্বেও মোস্তাফা জব্বারের এমন আচরণের পেছনে রয়েছে এই প্রকল্প হাতছাড়া হওয়া। নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে বিজয়ের পরিবর্তে অভ্র ব্যবহার করায় প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেও জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
বিজয়–রিদমিক বিতর্ক
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। এরপর এই অ্যাপটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মোস্তাফা জব্বার। সেই স্ট্যাটাসে এই জাতীয় অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে বিজয় বাংলা কি–বোর্ড লে–আউট অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে গুগলের পক্ষ থেকে রিদমিক এবং ইউনিবিজয় কি–বোর্ডের ডেভেলপারের কাছে পৃথক ই–মেইল নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফা জব্বার অ্যাপ দুটির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন গুগলের কাছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গুগল যুক্তরাষ্ট্রের DMCA আইন অনুসারে অ্যাপ দুটি অপসারণ করেছে।
পরে নতুন লে–আউট করে প্লেস্টোরে আবারও রিদমিক কি–বোর্ড প্রকাশ করা হয়।
মূলত অভ্রের বিরুদ্ধে কি–বোর্ডের লে–আউট কপি করার অভিযোগ করে থাকেন মোস্তাফা জব্বার। যদিও বিজয়ের কপিরাইট (১৯৮৮) নাকি পেটেন্ট (২০০৮) কোনটি নিয়ে অভিযোগ তা পরিষ্কার করা হয়নি। বিজয়ের পেটেন্ট দাবি করার বিষয়টি দুর্বল কারণ ২০০৮ নাগাদ এমন প্রচুর পেটেন্ট আছে। বিজয়ের লে–আউট কপিরাইটের বিষয়টিও বিতর্কিত। অনেকে মনে করেন, মুনীর লে–আউটের সঙ্গে বিজয়ের পার্থক্য সামান্যই। অথচ একই যুক্তিতে অভ্রতে ইউনিবিজয় কি–বোর্ড যুক্ত করা হয়েছিল, যেটিতে বিজয়ের লে–আউটের কয়েকটি অক্ষর এদিক–সেদিক করা ছিল। এ ছাড়া ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হওয়ায় এর লে–আউট ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

তখন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার বিজয়। কিন্তু ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য সেটি কোনো কাজের ছিল না। ইউনিকোড না থাকায় বিজয় ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ছিল। সেই নতুন সময়ের দাবিতেই এল ‘অভ্র’। মেহদী হাসান খান নামের এক তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করলেন অভ্র সফটওয়্যার।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে