
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। এর আগে পেরোতে হবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের পথ। সেসব নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী ফিদেমাস্টার নোশিন আনজুম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।
প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
১ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
২ ঘণ্টা আগে
জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
২ ঘণ্টা আগে
জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।
প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।
একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।
সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।
প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।
একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।
সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
১ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
২ ঘণ্টা আগে
জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।
সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।
মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।
সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।
মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
১ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগে
জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ তাদের বিপক্ষে ২-২ গোলের নাটকীয় ড্রয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাব।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের অনেকটা জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে। কিন্তু গোলের খাতায় ব্রাদার্সের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। সানিশ শ্রেষ্ঠার পাস থেকে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস রুদওয়েরে। এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ। লক্ষ্য অবশ্য খুঁজে পাচ্ছিল না।
বিরতির পর পুরান ঢাকার ক্লাবটি আবারও পিছিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে অঞ্জন বিস্তার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিদিয়ের ব্রোসু। এমন ধাক্কার পরও মনোবল হারায়নি রহমতগঞ্জ। হারাতে দেননি অধিনায়ক সলোমন কিং। ৭ মিনিটের ব্যবধানে বদলে ফেলেন পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। প্রথমে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে সেটি গোলে রূপ দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে লং থ্রো থেকে আসা বল তিন হেডে আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে। শেষ হেডটি ছিল সলোমনের।
সমতায় ফিরে এসে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে সময় নেয় আর দুই মিনিট। এবার ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের দেওয়া পাসে গোলটি করেন ক্লেমেন্ত আদু। রহমতগঞ্জের জয় আর ঠেকানোর কোনো সুযোগই পায়নি। অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সলোমন। কিন্তু যোগ করা সময়ে তাঁর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমেছে ব্রাদার্স। অবশ্য আবাহনী জিতলে বরং এক ধাপ ওপরেই থাকত তারা। জেতার পথে থাকা আবাহনীর পথ হারিয়ে ম্যাচের শুরু আর শেষেই।
কুমিল্লায় ১০ মিনিটে পিডব্লিউডি এগিয়ে যায় মিনহাজুল স্বাধীনের গোলে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে সমতায় ফেরান আল আমিন। পেছন থেকে সেই গোলে অবদান রাখেন শেখ মোরসালিন। ৭৪ মিনিটে পিডব্লিউর ডিফেন্ডার আল আমিনের কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো আরও বিপদ ডেকে আনেন। বল ঠেলে দেন মোরসালিনের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ডান কোনা দিয়ে জালে পাঠান মোরসালিন।
সেই গোলে ভর করে আবাহনীর জয় ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে মাশুল দিতে হলো আবারও। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে আবাহনীর ডিফেন্ডারের উড়িয়ে মারা শটে ভলিতে পরিণত করেন আবু সাইদ। পিডব্লিউডিও মাঠ ছাড়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে আছে তারা। চারে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।

জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ তাদের বিপক্ষে ২-২ গোলের নাটকীয় ড্রয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাব।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের অনেকটা জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে। কিন্তু গোলের খাতায় ব্রাদার্সের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। সানিশ শ্রেষ্ঠার পাস থেকে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস রুদওয়েরে। এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ। লক্ষ্য অবশ্য খুঁজে পাচ্ছিল না।
বিরতির পর পুরান ঢাকার ক্লাবটি আবারও পিছিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে অঞ্জন বিস্তার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিদিয়ের ব্রোসু। এমন ধাক্কার পরও মনোবল হারায়নি রহমতগঞ্জ। হারাতে দেননি অধিনায়ক সলোমন কিং। ৭ মিনিটের ব্যবধানে বদলে ফেলেন পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। প্রথমে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে সেটি গোলে রূপ দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে লং থ্রো থেকে আসা বল তিন হেডে আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে। শেষ হেডটি ছিল সলোমনের।
সমতায় ফিরে এসে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে সময় নেয় আর দুই মিনিট। এবার ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের দেওয়া পাসে গোলটি করেন ক্লেমেন্ত আদু। রহমতগঞ্জের জয় আর ঠেকানোর কোনো সুযোগই পায়নি। অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সলোমন। কিন্তু যোগ করা সময়ে তাঁর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমেছে ব্রাদার্স। অবশ্য আবাহনী জিতলে বরং এক ধাপ ওপরেই থাকত তারা। জেতার পথে থাকা আবাহনীর পথ হারিয়ে ম্যাচের শুরু আর শেষেই।
কুমিল্লায় ১০ মিনিটে পিডব্লিউডি এগিয়ে যায় মিনহাজুল স্বাধীনের গোলে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে সমতায় ফেরান আল আমিন। পেছন থেকে সেই গোলে অবদান রাখেন শেখ মোরসালিন। ৭৪ মিনিটে পিডব্লিউর ডিফেন্ডার আল আমিনের কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো আরও বিপদ ডেকে আনেন। বল ঠেলে দেন মোরসালিনের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ডান কোনা দিয়ে জালে পাঠান মোরসালিন।
সেই গোলে ভর করে আবাহনীর জয় ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে মাশুল দিতে হলো আবারও। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে আবাহনীর ডিফেন্ডারের উড়িয়ে মারা শটে ভলিতে পরিণত করেন আবু সাইদ। পিডব্লিউডিও মাঠ ছাড়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে আছে তারা। চারে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।
১ ঘণ্টা আগে
মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগে
সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।
২ ঘণ্টা আগে