নাজমুল আবেদীন ফাহিম

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
গত এক যুগ বা তার বেশি সময় ধরে আমাদের পুরো ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে একটা লক্ষ্য সামনে রেখে। অন্য বোর্ডগুলোর সাধারণত লক্ষ্য থাকে, কী করে সারা দেশের ক্রিকেট কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়, সেটার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের উন্নতি আরও কীভাবে করা যায়, সেটাই লক্ষ্য থাকে সবার। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একই ছিল যে কীভাবে পরের নির্বাচনটা জেতা যায়। বোর্ড থেকে যেন আর যেতে না হয়। সেই লক্ষ্য পূরণে যে ম্যানিপুলেশন করার দরকার হয়, তাতে ঢাকার ক্রিকেট নষ্ট করে দিয়েছে!
আমাদের সারা দেশে তো আর ক্রিকেট হয় না। ঢাকার যে ক্রিকেট হয়, সেটার ওপর পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যেন সব কাউন্সিলর তাদের হয়, সব দল তাদের হয়। খেলার চরিত্রটা কী হবে একবারও কেউ ভাবেনি। ফল কী হয়েছে? আমাদের ক্রিকেটারদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। আয়োজক, আম্পায়ারদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোচ বা এসংক্রান্ত সবারই চরিত্র নষ্ট হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমেরও! এটা যদি আমাদের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে তুলনা করি। পুলিশ বিভাগকে রাষ্ট্রে ব্যবহার করার জন্য, নিজের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য কলুষিত করেছে, সেই একই জিনিস আমাদের ক্রিকেটে দেখতে পাব। এখানে অনেক অযাচিত মানুষ আছে, যারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এটা কিন্তু বড় অপরাধ।
অপরাধ কেন? কারণ, আমাদের অনেক কিছুই নেই ৷ এই মুহূর্তে আমাদের আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে। আরেকটা আমাদের গার্মেন্টস শিল্প। আর বোধ হয় ক্রিকেট। ক্রিকেট ৫-৭-৮ বছর আগেও যেখানে ছিল, সম্ভাবনা ছিল ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। কিন্তু বললাম না যে গত এক যুগের এই কার্যক্রম ক্রিকেটকে ধীরে ধীরে কোথায় নামিয়ে এনেছে! এটা বোঝাই যায় যে গ্রাফটা কত নিচে। এখন আপনি নেপালের সঙ্গে খেলা হলে নিশ্চিত জিতবেন কি না। বুকটা কিন্তু দুরুদুরু করে ওঠে। কারণ, আপনি নিশ্চিত না নেপালের সঙ্গে জিততে পারব কি না! আমরা নিজেদের দল নিয়ে প্রচুর দ্বিধায় থাকি। দলে সাকিব থাকুক, তামিম, রিয়াদ থাকুক, মুশফিক থাকুক; যে-ই থাকুক না কেন, আমরা খুব শঙ্কায় থাকি। এই পর্যায়ে আমরা নেমে এসেছি।
পুরো পরিবেশটাই এত ভয়ংকরভাবে কলুষিত হয়েছে, তাতে আমরা সেই চরিত্রটা হারিয়ে ফেলেছি। একটা পরিবেশে যখন কোনো খেলোয়াড় তৈরি হয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই গর্ব, কমিটমেন্ট, প্যাশন নিয়ে আসে। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। সেই যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা যে পরিবেশটা তৈরি করেছি, সেটার মধ্যে এগুলোর কোনো কিছুই নেই। এখানে কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায়, কীভাবে পথ কাটিয়ে এদিক-ওদিক চলে যাওয়া যায়। যে ক্রিকেটারদের আমরা গালাগাল করি, তারা এই পরিবেশেরই ফসল। পরিবেশটা আমরাই সৃষ্টি করেছি। আরও নির্দিষ্ট করে বলি, সেই দায়টা কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের।
এটা পরিষ্কার করা দরকার যে কে কোথায় কী করেছে। এটা করতে গেলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে ওখানে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, সেটা হয়তো আমরা সহজেই বুঝতে পারব। কোথায় ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এটা বুঝতে পারব। এমন আরও অনেক ব্যাপার আছে। যেমন ঢাকা ক্রিকেট লিগটাকে যেভাবে নষ্ট করা হয়েছে, সেটা যে কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের, কল্পনাই করা যায় না। আমরা যেমন দেখেছি যে কাউন্সিলরশিপের জন্য কোয়ালিফাইং ক্রিকেটকে মাত্র দুই দলের একটা টুর্নামেন্টে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাতে আমার আর পার্টনারের দলটাই শুধু উঠতে পারে। এভাবে ৮-১০ বছরে প্রায় ১৮-২০টা দলকে ওপরে ওঠানো হয়েছে এবং এই প্রতিটা দলই তাদের। এখন তাদের প্রত্যেকের কাউন্সিলরশিপ আছে। এর মধ্য দিয়েই তারা আজীবন ক্রিকেট বোর্ডে থাকতে চেয়েছে।
পুরো সিস্টেম তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমনকি স্কোরকার্ডও তারা এদিক-ওদিক করেছে। আম্পায়ারকে দিয়ে খেলা এদিক-ওদিক করেছে। মাঠ এদিক–সেদিক করেছে। এমনকি ম্যাচের ফল বদলে দিয়েছে! করেনি এমন কোনো কাজ নেই। এবং সেটা কে কী দেখল, কে কী ভাবল, তোয়াক্কা করেনি! খেলার মাঠে কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবে, সেটা কেউ করতে দেয়নি। কেউ কিছু বলার নেই, কেউ কিছু বলতে পারবে না তাদের। তারা যা করেছে, জেনেশুনে করেছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যেখানে থাকতে পারত, তার ধারেকাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নেই এই মানুষগুলোর জন্য।
তাদের প্রতিটা কাজ এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা দরকার। যেখানেই আমরা দেখতে পাব যে বাজে উদ্দেশে নিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাদের কী শাস্তি হবে, তা জানি না। সাধারণ মানুষের জানা উচিত যে এই লোকটা এই কাজ করেছে, যার জন্য ক্রিকেট এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা সামনে নিয়ে আসা দরকার। বড় বড় পোস্টার করে সামনে আসা দরকার। যেখানে সাধারণ মানুষের এত আকাঙ্ক্ষা ক্রিকেট ঘিরে, এত ইমোশন ক্রিকেটকে ঘিরে, সেখানে এরা কী করেছে, তা সবার জানা দরকার। সেটার বাইরে আরও অনেক শাস্তি হতে পারে। বড় শাস্তি হতে পারে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাদের সত্যিকারের চেহারা তুলে ধরা দরকার।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম: ক্রিকেট বিশ্লেষক

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
গত এক যুগ বা তার বেশি সময় ধরে আমাদের পুরো ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে একটা লক্ষ্য সামনে রেখে। অন্য বোর্ডগুলোর সাধারণত লক্ষ্য থাকে, কী করে সারা দেশের ক্রিকেট কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়, সেটার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের উন্নতি আরও কীভাবে করা যায়, সেটাই লক্ষ্য থাকে সবার। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একই ছিল যে কীভাবে পরের নির্বাচনটা জেতা যায়। বোর্ড থেকে যেন আর যেতে না হয়। সেই লক্ষ্য পূরণে যে ম্যানিপুলেশন করার দরকার হয়, তাতে ঢাকার ক্রিকেট নষ্ট করে দিয়েছে!
আমাদের সারা দেশে তো আর ক্রিকেট হয় না। ঢাকার যে ক্রিকেট হয়, সেটার ওপর পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যেন সব কাউন্সিলর তাদের হয়, সব দল তাদের হয়। খেলার চরিত্রটা কী হবে একবারও কেউ ভাবেনি। ফল কী হয়েছে? আমাদের ক্রিকেটারদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। আয়োজক, আম্পায়ারদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোচ বা এসংক্রান্ত সবারই চরিত্র নষ্ট হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমেরও! এটা যদি আমাদের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে তুলনা করি। পুলিশ বিভাগকে রাষ্ট্রে ব্যবহার করার জন্য, নিজের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য কলুষিত করেছে, সেই একই জিনিস আমাদের ক্রিকেটে দেখতে পাব। এখানে অনেক অযাচিত মানুষ আছে, যারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এটা কিন্তু বড় অপরাধ।
অপরাধ কেন? কারণ, আমাদের অনেক কিছুই নেই ৷ এই মুহূর্তে আমাদের আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে। আরেকটা আমাদের গার্মেন্টস শিল্প। আর বোধ হয় ক্রিকেট। ক্রিকেট ৫-৭-৮ বছর আগেও যেখানে ছিল, সম্ভাবনা ছিল ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। কিন্তু বললাম না যে গত এক যুগের এই কার্যক্রম ক্রিকেটকে ধীরে ধীরে কোথায় নামিয়ে এনেছে! এটা বোঝাই যায় যে গ্রাফটা কত নিচে। এখন আপনি নেপালের সঙ্গে খেলা হলে নিশ্চিত জিতবেন কি না। বুকটা কিন্তু দুরুদুরু করে ওঠে। কারণ, আপনি নিশ্চিত না নেপালের সঙ্গে জিততে পারব কি না! আমরা নিজেদের দল নিয়ে প্রচুর দ্বিধায় থাকি। দলে সাকিব থাকুক, তামিম, রিয়াদ থাকুক, মুশফিক থাকুক; যে-ই থাকুক না কেন, আমরা খুব শঙ্কায় থাকি। এই পর্যায়ে আমরা নেমে এসেছি।
পুরো পরিবেশটাই এত ভয়ংকরভাবে কলুষিত হয়েছে, তাতে আমরা সেই চরিত্রটা হারিয়ে ফেলেছি। একটা পরিবেশে যখন কোনো খেলোয়াড় তৈরি হয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই গর্ব, কমিটমেন্ট, প্যাশন নিয়ে আসে। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। সেই যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা যে পরিবেশটা তৈরি করেছি, সেটার মধ্যে এগুলোর কোনো কিছুই নেই। এখানে কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায়, কীভাবে পথ কাটিয়ে এদিক-ওদিক চলে যাওয়া যায়। যে ক্রিকেটারদের আমরা গালাগাল করি, তারা এই পরিবেশেরই ফসল। পরিবেশটা আমরাই সৃষ্টি করেছি। আরও নির্দিষ্ট করে বলি, সেই দায়টা কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের।
এটা পরিষ্কার করা দরকার যে কে কোথায় কী করেছে। এটা করতে গেলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে ওখানে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, সেটা হয়তো আমরা সহজেই বুঝতে পারব। কোথায় ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এটা বুঝতে পারব। এমন আরও অনেক ব্যাপার আছে। যেমন ঢাকা ক্রিকেট লিগটাকে যেভাবে নষ্ট করা হয়েছে, সেটা যে কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের, কল্পনাই করা যায় না। আমরা যেমন দেখেছি যে কাউন্সিলরশিপের জন্য কোয়ালিফাইং ক্রিকেটকে মাত্র দুই দলের একটা টুর্নামেন্টে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাতে আমার আর পার্টনারের দলটাই শুধু উঠতে পারে। এভাবে ৮-১০ বছরে প্রায় ১৮-২০টা দলকে ওপরে ওঠানো হয়েছে এবং এই প্রতিটা দলই তাদের। এখন তাদের প্রত্যেকের কাউন্সিলরশিপ আছে। এর মধ্য দিয়েই তারা আজীবন ক্রিকেট বোর্ডে থাকতে চেয়েছে।
পুরো সিস্টেম তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমনকি স্কোরকার্ডও তারা এদিক-ওদিক করেছে। আম্পায়ারকে দিয়ে খেলা এদিক-ওদিক করেছে। মাঠ এদিক–সেদিক করেছে। এমনকি ম্যাচের ফল বদলে দিয়েছে! করেনি এমন কোনো কাজ নেই। এবং সেটা কে কী দেখল, কে কী ভাবল, তোয়াক্কা করেনি! খেলার মাঠে কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবে, সেটা কেউ করতে দেয়নি। কেউ কিছু বলার নেই, কেউ কিছু বলতে পারবে না তাদের। তারা যা করেছে, জেনেশুনে করেছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যেখানে থাকতে পারত, তার ধারেকাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নেই এই মানুষগুলোর জন্য।
তাদের প্রতিটা কাজ এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা দরকার। যেখানেই আমরা দেখতে পাব যে বাজে উদ্দেশে নিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাদের কী শাস্তি হবে, তা জানি না। সাধারণ মানুষের জানা উচিত যে এই লোকটা এই কাজ করেছে, যার জন্য ক্রিকেট এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা সামনে নিয়ে আসা দরকার। বড় বড় পোস্টার করে সামনে আসা দরকার। যেখানে সাধারণ মানুষের এত আকাঙ্ক্ষা ক্রিকেট ঘিরে, এত ইমোশন ক্রিকেটকে ঘিরে, সেখানে এরা কী করেছে, তা সবার জানা দরকার। সেটার বাইরে আরও অনেক শাস্তি হতে পারে। বড় শাস্তি হতে পারে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাদের সত্যিকারের চেহারা তুলে ধরা দরকার।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম: ক্রিকেট বিশ্লেষক
নাজমুল আবেদীন ফাহিম

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
গত এক যুগ বা তার বেশি সময় ধরে আমাদের পুরো ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে একটা লক্ষ্য সামনে রেখে। অন্য বোর্ডগুলোর সাধারণত লক্ষ্য থাকে, কী করে সারা দেশের ক্রিকেট কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়, সেটার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের উন্নতি আরও কীভাবে করা যায়, সেটাই লক্ষ্য থাকে সবার। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একই ছিল যে কীভাবে পরের নির্বাচনটা জেতা যায়। বোর্ড থেকে যেন আর যেতে না হয়। সেই লক্ষ্য পূরণে যে ম্যানিপুলেশন করার দরকার হয়, তাতে ঢাকার ক্রিকেট নষ্ট করে দিয়েছে!
আমাদের সারা দেশে তো আর ক্রিকেট হয় না। ঢাকার যে ক্রিকেট হয়, সেটার ওপর পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যেন সব কাউন্সিলর তাদের হয়, সব দল তাদের হয়। খেলার চরিত্রটা কী হবে একবারও কেউ ভাবেনি। ফল কী হয়েছে? আমাদের ক্রিকেটারদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। আয়োজক, আম্পায়ারদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোচ বা এসংক্রান্ত সবারই চরিত্র নষ্ট হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমেরও! এটা যদি আমাদের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে তুলনা করি। পুলিশ বিভাগকে রাষ্ট্রে ব্যবহার করার জন্য, নিজের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য কলুষিত করেছে, সেই একই জিনিস আমাদের ক্রিকেটে দেখতে পাব। এখানে অনেক অযাচিত মানুষ আছে, যারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এটা কিন্তু বড় অপরাধ।
অপরাধ কেন? কারণ, আমাদের অনেক কিছুই নেই ৷ এই মুহূর্তে আমাদের আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে। আরেকটা আমাদের গার্মেন্টস শিল্প। আর বোধ হয় ক্রিকেট। ক্রিকেট ৫-৭-৮ বছর আগেও যেখানে ছিল, সম্ভাবনা ছিল ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। কিন্তু বললাম না যে গত এক যুগের এই কার্যক্রম ক্রিকেটকে ধীরে ধীরে কোথায় নামিয়ে এনেছে! এটা বোঝাই যায় যে গ্রাফটা কত নিচে। এখন আপনি নেপালের সঙ্গে খেলা হলে নিশ্চিত জিতবেন কি না। বুকটা কিন্তু দুরুদুরু করে ওঠে। কারণ, আপনি নিশ্চিত না নেপালের সঙ্গে জিততে পারব কি না! আমরা নিজেদের দল নিয়ে প্রচুর দ্বিধায় থাকি। দলে সাকিব থাকুক, তামিম, রিয়াদ থাকুক, মুশফিক থাকুক; যে-ই থাকুক না কেন, আমরা খুব শঙ্কায় থাকি। এই পর্যায়ে আমরা নেমে এসেছি।
পুরো পরিবেশটাই এত ভয়ংকরভাবে কলুষিত হয়েছে, তাতে আমরা সেই চরিত্রটা হারিয়ে ফেলেছি। একটা পরিবেশে যখন কোনো খেলোয়াড় তৈরি হয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই গর্ব, কমিটমেন্ট, প্যাশন নিয়ে আসে। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। সেই যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা যে পরিবেশটা তৈরি করেছি, সেটার মধ্যে এগুলোর কোনো কিছুই নেই। এখানে কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায়, কীভাবে পথ কাটিয়ে এদিক-ওদিক চলে যাওয়া যায়। যে ক্রিকেটারদের আমরা গালাগাল করি, তারা এই পরিবেশেরই ফসল। পরিবেশটা আমরাই সৃষ্টি করেছি। আরও নির্দিষ্ট করে বলি, সেই দায়টা কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের।
এটা পরিষ্কার করা দরকার যে কে কোথায় কী করেছে। এটা করতে গেলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে ওখানে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, সেটা হয়তো আমরা সহজেই বুঝতে পারব। কোথায় ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এটা বুঝতে পারব। এমন আরও অনেক ব্যাপার আছে। যেমন ঢাকা ক্রিকেট লিগটাকে যেভাবে নষ্ট করা হয়েছে, সেটা যে কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের, কল্পনাই করা যায় না। আমরা যেমন দেখেছি যে কাউন্সিলরশিপের জন্য কোয়ালিফাইং ক্রিকেটকে মাত্র দুই দলের একটা টুর্নামেন্টে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাতে আমার আর পার্টনারের দলটাই শুধু উঠতে পারে। এভাবে ৮-১০ বছরে প্রায় ১৮-২০টা দলকে ওপরে ওঠানো হয়েছে এবং এই প্রতিটা দলই তাদের। এখন তাদের প্রত্যেকের কাউন্সিলরশিপ আছে। এর মধ্য দিয়েই তারা আজীবন ক্রিকেট বোর্ডে থাকতে চেয়েছে।
পুরো সিস্টেম তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমনকি স্কোরকার্ডও তারা এদিক-ওদিক করেছে। আম্পায়ারকে দিয়ে খেলা এদিক-ওদিক করেছে। মাঠ এদিক–সেদিক করেছে। এমনকি ম্যাচের ফল বদলে দিয়েছে! করেনি এমন কোনো কাজ নেই। এবং সেটা কে কী দেখল, কে কী ভাবল, তোয়াক্কা করেনি! খেলার মাঠে কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবে, সেটা কেউ করতে দেয়নি। কেউ কিছু বলার নেই, কেউ কিছু বলতে পারবে না তাদের। তারা যা করেছে, জেনেশুনে করেছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যেখানে থাকতে পারত, তার ধারেকাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নেই এই মানুষগুলোর জন্য।
তাদের প্রতিটা কাজ এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা দরকার। যেখানেই আমরা দেখতে পাব যে বাজে উদ্দেশে নিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাদের কী শাস্তি হবে, তা জানি না। সাধারণ মানুষের জানা উচিত যে এই লোকটা এই কাজ করেছে, যার জন্য ক্রিকেট এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা সামনে নিয়ে আসা দরকার। বড় বড় পোস্টার করে সামনে আসা দরকার। যেখানে সাধারণ মানুষের এত আকাঙ্ক্ষা ক্রিকেট ঘিরে, এত ইমোশন ক্রিকেটকে ঘিরে, সেখানে এরা কী করেছে, তা সবার জানা দরকার। সেটার বাইরে আরও অনেক শাস্তি হতে পারে। বড় শাস্তি হতে পারে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাদের সত্যিকারের চেহারা তুলে ধরা দরকার।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম: ক্রিকেট বিশ্লেষক

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
গত এক যুগ বা তার বেশি সময় ধরে আমাদের পুরো ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে একটা লক্ষ্য সামনে রেখে। অন্য বোর্ডগুলোর সাধারণত লক্ষ্য থাকে, কী করে সারা দেশের ক্রিকেট কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়, সেটার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের উন্নতি আরও কীভাবে করা যায়, সেটাই লক্ষ্য থাকে সবার। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একই ছিল যে কীভাবে পরের নির্বাচনটা জেতা যায়। বোর্ড থেকে যেন আর যেতে না হয়। সেই লক্ষ্য পূরণে যে ম্যানিপুলেশন করার দরকার হয়, তাতে ঢাকার ক্রিকেট নষ্ট করে দিয়েছে!
আমাদের সারা দেশে তো আর ক্রিকেট হয় না। ঢাকার যে ক্রিকেট হয়, সেটার ওপর পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যেন সব কাউন্সিলর তাদের হয়, সব দল তাদের হয়। খেলার চরিত্রটা কী হবে একবারও কেউ ভাবেনি। ফল কী হয়েছে? আমাদের ক্রিকেটারদের চরিত্র নষ্ট হয়েছে। আয়োজক, আম্পায়ারদের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোচ বা এসংক্রান্ত সবারই চরিত্র নষ্ট হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমেরও! এটা যদি আমাদের পুলিশ বিভাগের সঙ্গে তুলনা করি। পুলিশ বিভাগকে রাষ্ট্রে ব্যবহার করার জন্য, নিজের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য কলুষিত করেছে, সেই একই জিনিস আমাদের ক্রিকেটে দেখতে পাব। এখানে অনেক অযাচিত মানুষ আছে, যারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এটা কিন্তু বড় অপরাধ।
অপরাধ কেন? কারণ, আমাদের অনেক কিছুই নেই ৷ এই মুহূর্তে আমাদের আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে। আরেকটা আমাদের গার্মেন্টস শিল্প। আর বোধ হয় ক্রিকেট। ক্রিকেট ৫-৭-৮ বছর আগেও যেখানে ছিল, সম্ভাবনা ছিল ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। কিন্তু বললাম না যে গত এক যুগের এই কার্যক্রম ক্রিকেটকে ধীরে ধীরে কোথায় নামিয়ে এনেছে! এটা বোঝাই যায় যে গ্রাফটা কত নিচে। এখন আপনি নেপালের সঙ্গে খেলা হলে নিশ্চিত জিতবেন কি না। বুকটা কিন্তু দুরুদুরু করে ওঠে। কারণ, আপনি নিশ্চিত না নেপালের সঙ্গে জিততে পারব কি না! আমরা নিজেদের দল নিয়ে প্রচুর দ্বিধায় থাকি। দলে সাকিব থাকুক, তামিম, রিয়াদ থাকুক, মুশফিক থাকুক; যে-ই থাকুক না কেন, আমরা খুব শঙ্কায় থাকি। এই পর্যায়ে আমরা নেমে এসেছি।
পুরো পরিবেশটাই এত ভয়ংকরভাবে কলুষিত হয়েছে, তাতে আমরা সেই চরিত্রটা হারিয়ে ফেলেছি। একটা পরিবেশে যখন কোনো খেলোয়াড় তৈরি হয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই গর্ব, কমিটমেন্ট, প্যাশন নিয়ে আসে। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। সেই যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা যে পরিবেশটা তৈরি করেছি, সেটার মধ্যে এগুলোর কোনো কিছুই নেই। এখানে কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায়, কীভাবে পথ কাটিয়ে এদিক-ওদিক চলে যাওয়া যায়। যে ক্রিকেটারদের আমরা গালাগাল করি, তারা এই পরিবেশেরই ফসল। পরিবেশটা আমরাই সৃষ্টি করেছি। আরও নির্দিষ্ট করে বলি, সেই দায়টা কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের।
এটা পরিষ্কার করা দরকার যে কে কোথায় কী করেছে। এটা করতে গেলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে ওখানে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, সেটা হয়তো আমরা সহজেই বুঝতে পারব। কোথায় ১০ টাকার জায়গায় ২০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এটা বুঝতে পারব। এমন আরও অনেক ব্যাপার আছে। যেমন ঢাকা ক্রিকেট লিগটাকে যেভাবে নষ্ট করা হয়েছে, সেটা যে কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের, কল্পনাই করা যায় না। আমরা যেমন দেখেছি যে কাউন্সিলরশিপের জন্য কোয়ালিফাইং ক্রিকেটকে মাত্র দুই দলের একটা টুর্নামেন্টে নামিয়ে আনা হয়েছে। যাতে আমার আর পার্টনারের দলটাই শুধু উঠতে পারে। এভাবে ৮-১০ বছরে প্রায় ১৮-২০টা দলকে ওপরে ওঠানো হয়েছে এবং এই প্রতিটা দলই তাদের। এখন তাদের প্রত্যেকের কাউন্সিলরশিপ আছে। এর মধ্য দিয়েই তারা আজীবন ক্রিকেট বোর্ডে থাকতে চেয়েছে।
পুরো সিস্টেম তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমনকি স্কোরকার্ডও তারা এদিক-ওদিক করেছে। আম্পায়ারকে দিয়ে খেলা এদিক-ওদিক করেছে। মাঠ এদিক–সেদিক করেছে। এমনকি ম্যাচের ফল বদলে দিয়েছে! করেনি এমন কোনো কাজ নেই। এবং সেটা কে কী দেখল, কে কী ভাবল, তোয়াক্কা করেনি! খেলার মাঠে কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করবে, সেটা কেউ করতে দেয়নি। কেউ কিছু বলার নেই, কেউ কিছু বলতে পারবে না তাদের। তারা যা করেছে, জেনেশুনে করেছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যেখানে থাকতে পারত, তার ধারেকাছেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নেই এই মানুষগুলোর জন্য।
তাদের প্রতিটা কাজ এখন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা দরকার। যেখানেই আমরা দেখতে পাব যে বাজে উদ্দেশে নিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাদের কী শাস্তি হবে, তা জানি না। সাধারণ মানুষের জানা উচিত যে এই লোকটা এই কাজ করেছে, যার জন্য ক্রিকেট এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা সামনে নিয়ে আসা দরকার। বড় বড় পোস্টার করে সামনে আসা দরকার। যেখানে সাধারণ মানুষের এত আকাঙ্ক্ষা ক্রিকেট ঘিরে, এত ইমোশন ক্রিকেটকে ঘিরে, সেখানে এরা কী করেছে, তা সবার জানা দরকার। সেটার বাইরে আরও অনেক শাস্তি হতে পারে। বড় শাস্তি হতে পারে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাদের সত্যিকারের চেহারা তুলে ধরা দরকার।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম: ক্রিকেট বিশ্লেষক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
১৯ আগস্ট ২০২৪
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
১৯ আগস্ট ২০২৪
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
১৯ আগস্ট ২০২৪
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

আমাদের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খুব সম্ভবত পঞ্চম ধনী বোর্ড। ৯০০ কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বা আরও বেশি হতে পারে (ফিক্সড ডিপোজিট)। এই বিষয়টা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না—বোর্ডে সবচেয়ে বড় অভাব ছিল তা হলো সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা।
১৯ আগস্ট ২০২৪
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১২ ঘণ্টা আগে