Ajker Patrika

স্মরণকালের সেরা ফুটবল খেলে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশ

নাজিম আল শমষের, বেঙ্গালুরু থেকে 
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৩, ২০: ১১
স্মরণকালের সেরা ফুটবল খেলে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশ

কবে এমন বাংলাদেশের খেলা দেখা গেছে, সেটা মনে করাই কঠিন। যাদের সঙ্গে জিততেই হবে—সেই মালদ্বীপ র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে ৩৪ ধাপ। ২০০৩ সালের পর থেকে সাফে নেই কোনো জয়। সেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে স্মরণকালের অন্যতম সেরা লড়াইটা উপহার দিয়ে জয় তুলে নিল লাল-সবুজের দল। 

বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামার একটাই সমীকরণ ছিল বাংলাদেশের সামনে। ‘হয় লড়ো, নয় মরো।’ বাঁচা-মরার পথটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে ১৮ মিনিটে গোল হজমের পর। পিছিয়ে পড়া ম্যাচটাই বাংলাদেশ জিতেছে ভীষণ লড়াকু মানসিকতা উপহার দিয়ে। রাকিব হোসেন, তারিক কাজী ও শেখ মোরসালিনের গোলে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ২০০৯ সালের পর সাফের সেমিফাইনাল খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।

কতটা লড়াই করেছে বাংলাদেশ, তা যেন প্রায় অবিশ্বাস্য। ম্যাচের পুরোটা সময় বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাঁদের চেহারায় ছিল যোদ্ধার মতো ভাব। ‘হার না মানা’ মানসিকতায় বাংলাদেশের সামনে স্রেফ উড়েই গেছে মালদ্বীপ। 

‘বাঁচা-মরার’ লড়াইয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ সমতায় প্রথমার্ধ শেষ করেছে বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশকে ৪২ মিনিটে সমতায় ফেরায় রাকিব হোসেনের হেড। সাফের সেমিফাইনালে খেলতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। 

ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ খেলেছে দাপটের সঙ্গেই। সাত মিনিটে সোহেল রানা দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন দলের জন্য। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে বল কেড়ে মালদ্বীপের বক্সে দারুণভাবে বলটাও বাড়িয়েছিলেন তিনি। যাঁর দিকে বল বাড়িয়েছিলেন, সেই রাকিব হোসেন বলে পা ছোঁয়াতে পারলে গোল শুরুতেই পেতে পারত বাংলাদেশ। 

১১ মিনিটে এই সোহেল রানা আবারও ভোগালেন মালদ্বীপকে। জামালের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে সোহেলের আটকে দেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসেইন শরীফ। 

দারুণ খেলছিল বাংলাদেশ, বেশ ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিল মালদ্বীপের। কিন্তু সুরটা কেটে গেল ১৮ মিনিটে। ম্যাচে প্রথম আক্রমণেই বক্সের বাইরে থেকে শট নিলেন মালদ্বীপের সেরা তারকা হামজা মোহাম্মদ। তাঁর ডান পায়ের কোনাকুনি শটে হার মানলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। 

সেই গোলটার পরই এলোমেলো বাংলাদেশের কৌশল। পরের মিনিটে হাস্যকর ভুলে মালদ্বীপকে প্রায় দ্বিতীয় গোল উপহার দিয়েই বসেছিলেন জিকো। আক্রমণ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই পরে বাংলাদেশ। 

 গোলের পর বাংলাদেশের উদ্‌যাপনছন্নছাড়া ফুটবলেই ৩৪ মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটা পায় বাংলাদেশ। সোহেল রানার কর্নার থেকে কোনাকুনি হেড করেছিলেন তপু বর্মণ। সেই হেড গোললাইন থেকে ঠেকান হুসেইন নিহান। নিহানের গায়ে প্রতিফলিত হয়ে বল পান মালদ্বীপ গোলরক্ষক। বাংলাদেশ হ্যান্ডবলের আবেদন করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি রেফারি। 

তবে সেই আক্ষেপ মিটে গেছে ৪২ মিনিটে। বিশ্বনাথের দ্রুত এক থ্রো থেকে বক্সে বল বাড়ান সোহেল রানা। সোহেলের বাতাসে বাড়ানো বলে হেডে রাকিবকে বল বাড়ান তপু। ফাঁকাতেই ছিলেন রাকিব। তপুর হেড থেকে মাথা ছুঁয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে আনন্দে ভাসান রাকিব হোসেন। 

সমতায় ফিরেই খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। গতি বাড়ে আক্রমণে। ৪৫ মিনিটে রাকিবেরই আরেক শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মালদ্বীপ গোলরক্ষক। কর্নার থেকে তপুর হেড ফিরিয়ে দেয় মালদ্বীপের গোলরক্ষণ। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ফাঁকাতে বল পেয়েও ক্রস বারের ওপর দিয়ে বল বাইরে পাঠান বিশ্বনাথ ঘোষ। 

গোল করে বেশ ছন্দেই ছিলেন রাকিব। মনে হচ্ছিল সাফের আগে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন এই উইঙ্গার। কিন্তু ৬২ মিনিটে আবারও চোটে পড়েন রাকিব। বাধ্য হন মাঠ ছাড়তে। একই সঙ্গে জামাল ও সোহেল রানাকেও তুলে নেন কোচ। ৬৩ মিনিটে মাঠে নামেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শেখ মোরসালিন ও মুজিবর রহমান জনি। 

এই তিন পরিবর্তনেই দ্বিতীয় সাফল্য বাংলাদেশের। ৬৭ মিনিটে ইব্রাহিমের কর্নার থেকে বল গ্রিপে ব্যর্থ হোন মালদ্বীপ গোলরক্ষক। বল বাতাসে ভাসা অবস্থায় হেড নেন তপু। বল পান ডান পোস্টে দাঁড়ানো তারিক কাজী। প্রথম দফায় তারিক শট নিলেও সেই শট ঠেকান ইব্রাহিম আইসাম। ফিরতি বলে তারিকের শট ফেরে গোললাইন থেকে। সেখান থেকে তৃতীয় দফায় হেডে বল জালে জড়িয়ে উদ্দাম উদ্‌যাপনে মাতেন তারিক। জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটা করে রাখলেন স্মরণীয়। আগের ম্যাচে তাঁর ভুল থেকেই প্রথম গোল করেছিল লেবানন। এই গোলে যেন সেই শাপ মোচন করলেন তারিক কাজী। 

এক গোলে এগিয়ে গিয়ে নতুন উদ্দীপনায় আক্রমণে বাংলাদেশ। মাঠে নেমেই দারুণ সুযোগ তৈরি করেন শেখ মোরসালিন। ৭১ মিনিটে তাঁর শট ফিস্ট করে ঠেকান প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। 

 গোলের পর ডাগআউটে বাংলদেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসএগিয়ে থাকায় গোলে শেষ ১০ মিনিটে যখন অগ্নি পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ তখনই দলকে ধাক্কা মারে তারিক কাজীর চোট। প্রথম গোলদাতা রাকিবের মতো কাঁধে ভর করে ৮২ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় এই ডিফেন্ডারকে। 

শেষ ১০ মিনিটে বাংলাদেশে ভর করে গোল খাওয়ার ভূত। এবার হলো উল্টো। মাত্রই দুই ম্যাচ আগে অভিষিক্ত হওয়া মোরসালিন মালদ্বীপের কফিনে ঠুকে দিলেন শেষ পেরেক। বিশ্বনাথের পাস ধরে ডান পায়ের জোরালো শটে মালদ্বীপের ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দেন তরুণ এই মিডফিল্ডার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।

দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।

দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।

শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫৮ রান তাড়া করে জিতে ব্রিসবেনের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।

শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত