ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ
ক্রীড়া ডেস্ক
ব্রাজিলের শুরুর একাদশে রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, মাতিয়াস কুনহা, রাফিনহার মতো দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আক্রমণভাগ। তাঁদের ড্রিবলিং আর তীব্র গতির ডিফেন্ডারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। ভাঙাচোরা দলটা নিয়ে এই শক্তিশালী ব্রাজিলকে কীভাবে থামাবেন? সেটি লিওনেল স্কালোনি জানেন বেশ ভালো করেই।
কোচ তো প্রতিপক্ষের শক্তি দুর্বলতা বিবেচনা করেই একাদশ গড়েন। তাই বলে এমন একাদশ—মাত্র একজন ফরোয়ার্ড! শুরুতে হয়তো কিছুটা ভিমড়ি খেয়েছেন অনেকে। কিন্তু ম্যাচ শেষে ফলটা তো স্কালোনির পক্ষেই গেল। সেটি কীভাবে সম্ভব হলো? ব্রাজিলের ধারালো আক্রমণভাগে। খেলছেন চার ফরোয়ার্ড। স্কালোনির নেটওয়ার্কে টেকিনিক্যাল-স্ট্রাটেজি—খেলাটা মিডেই শেষ করে দিতে হবে। ভিনি-রাফিনহা পর্যন্ত বল যাওয়া লাগবে না।
আগের ম্যাচে উরুগুয়েকে ডি বক্সে স্পেস এবং কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগই দিল না আর্জেন্টিনা। দেখিয়ে দিল লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া, লাউতারো মর্তিনেজ, পাওলো দিবালা, লো সেলসো, লিসান্দ্রো মার্তিনেজের মতো তারকা খেলোয়াড় না থাকলেও কীভাবে যেকোনো দলকে গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। স্কালোনি ‘মাস্টারক্লাসে’ এসব বেশ ভালোই করেই সম্ভব। প্রতিপক্ষ অনুযায়ী তাঁর ভিন্ন ভিন্ন ফরমেশন, ভিন্ন কৌশল, কখনো মনে হতে পারে অদ্ভুত চিন্তা-ধারা।
না হলে, কেইবা চিন্তা করেছিলেন, ব্রাজিল ম্যাচে পাঁচ মিডফিল্ডার থাকবেন স্কালোনির শুরুর একাদশে। এখানেই কোশলগত ব্রাজিলকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দ্রো পারাদেস, ম্যাক আলিস্টার, থিয়াগো আলমাদা ও এনজো ফার্নান্দেজ। এর মধ্যে পারাদেস ও দি পলের ভূমিকাই এক—ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ক্রিয়েটিভ হওয়ার চেয়েও যাঁরা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ট্যাকেল করতে বেশি পছন্দ করেন। এনজো আর ম্যাক আলিস্টার পুরোটা মাঠেই দৌড়ে বেড়ান—কখনো ডিফেন্সিভ কখনো আবার ওফেন্সিভ। ব্রাজিলের জালে দেওয়া এক হালি গোলের মধ্যে একটি করে গোল করেছেন তাঁরা দুজনে।
সঙ্গে থিয়াগো আলমাদার মতো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পুরা মিডফিল্ড ব্লক করে রেখেছে যাতে কোন থ্রো পাস দিতে না পারে ব্রাজিল। কিছুটা অবাক করা ব্যাপার ছিল এনজোকে খেলানো হয়েছে আক্রমণভাগে। আক্রমণ থেকে আবার মিড নামছেন তিনি। ম্যাচের সর্বোচ্চ রেটিংধারী ফুটবলারও তিনি। আর্জেন্টিনার পাঁচ মিডফিল্ডারের কাছেই মধ্যমাঠে ঘুরছে বল। অনেকটা অদৃশ্য জালের মতো। ব্রাজিলের কারও পায়ে বল গেলেই সেটি ধরে রাখার উপায় নেই, ঘিরে ধরছেন সবাই।
এস্তাদিও মনুমেন্তালে আকাশি-নীলের ঢেউ খেলছে। কিছুক্ষণ পর পর উদ্যাপনে মেতে উঠছেন। আর্জেন্টিনার একেকটা গোল মানে গ্যালারিতে উত্তুঙ্গ উত্তেজনা। মাঠে হলুদ জার্সির খেলোয়াড়েরাও হয়ে ছিলেন নির্বাক দর্শকের মতো। যেন কিছুই করার ছিল না। মেসি-লাউতারোরা চোটের মধ্যে থাকায় স্কালোনির দারুণ সুযোগ ছিল—তরুণদের পরখ করার। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা তো নিশ্চিতই করলেন। সঙ্গে বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরির কাজটা খানিকটা এগিয়ে রাখলেন।
জিলিয়ানো সিমিওনে-হুলিয়ান আলভারেজরা জানিয়ে রাখলেন মেসি-দি মারিয়াদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কতটা বদ্ধপরিকর তাঁরা। শেষ দিকে নিকো পাজকেও সময় দিলেন স্কালোনি। কাতার বিশ্বকাপেও কখনো পাঁচ ডিফেন্ডার, কখনো মিডে জোর, কখনো আক্রমণে—প্রতি ম্যাচে আলাদা আলাদা সূত্র দিয়ে একাদশ গড়েছিলেন। সুফল বিশ্বকাপ, দুটা কোপা আমেরিকার শিরোপা, একটা ফিনেলিসিমা জয়। কিন্তু ব্রাজিলের সঙ্গে যে কৌশল অবলম্বন করলেন মিডফিল্ডে—মিডফিল্ড দিয়েই খেলাটা শেষ করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন তড়িৎ। এমন সব নতুন দর্শনের কৌশল দেখে পক্ষ-প্রতিপক্ষ হয়তো বলতেই পারেন—‘মাথা নষ্ট’ মাস্টারমাইন্ড।
ব্রাজিলের শুরুর একাদশে রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, মাতিয়াস কুনহা, রাফিনহার মতো দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আক্রমণভাগ। তাঁদের ড্রিবলিং আর তীব্র গতির ডিফেন্ডারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। ভাঙাচোরা দলটা নিয়ে এই শক্তিশালী ব্রাজিলকে কীভাবে থামাবেন? সেটি লিওনেল স্কালোনি জানেন বেশ ভালো করেই।
কোচ তো প্রতিপক্ষের শক্তি দুর্বলতা বিবেচনা করেই একাদশ গড়েন। তাই বলে এমন একাদশ—মাত্র একজন ফরোয়ার্ড! শুরুতে হয়তো কিছুটা ভিমড়ি খেয়েছেন অনেকে। কিন্তু ম্যাচ শেষে ফলটা তো স্কালোনির পক্ষেই গেল। সেটি কীভাবে সম্ভব হলো? ব্রাজিলের ধারালো আক্রমণভাগে। খেলছেন চার ফরোয়ার্ড। স্কালোনির নেটওয়ার্কে টেকিনিক্যাল-স্ট্রাটেজি—খেলাটা মিডেই শেষ করে দিতে হবে। ভিনি-রাফিনহা পর্যন্ত বল যাওয়া লাগবে না।
আগের ম্যাচে উরুগুয়েকে ডি বক্সে স্পেস এবং কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগই দিল না আর্জেন্টিনা। দেখিয়ে দিল লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া, লাউতারো মর্তিনেজ, পাওলো দিবালা, লো সেলসো, লিসান্দ্রো মার্তিনেজের মতো তারকা খেলোয়াড় না থাকলেও কীভাবে যেকোনো দলকে গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। স্কালোনি ‘মাস্টারক্লাসে’ এসব বেশ ভালোই করেই সম্ভব। প্রতিপক্ষ অনুযায়ী তাঁর ভিন্ন ভিন্ন ফরমেশন, ভিন্ন কৌশল, কখনো মনে হতে পারে অদ্ভুত চিন্তা-ধারা।
না হলে, কেইবা চিন্তা করেছিলেন, ব্রাজিল ম্যাচে পাঁচ মিডফিল্ডার থাকবেন স্কালোনির শুরুর একাদশে। এখানেই কোশলগত ব্রাজিলকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দ্রো পারাদেস, ম্যাক আলিস্টার, থিয়াগো আলমাদা ও এনজো ফার্নান্দেজ। এর মধ্যে পারাদেস ও দি পলের ভূমিকাই এক—ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ক্রিয়েটিভ হওয়ার চেয়েও যাঁরা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ট্যাকেল করতে বেশি পছন্দ করেন। এনজো আর ম্যাক আলিস্টার পুরোটা মাঠেই দৌড়ে বেড়ান—কখনো ডিফেন্সিভ কখনো আবার ওফেন্সিভ। ব্রাজিলের জালে দেওয়া এক হালি গোলের মধ্যে একটি করে গোল করেছেন তাঁরা দুজনে।
সঙ্গে থিয়াগো আলমাদার মতো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পুরা মিডফিল্ড ব্লক করে রেখেছে যাতে কোন থ্রো পাস দিতে না পারে ব্রাজিল। কিছুটা অবাক করা ব্যাপার ছিল এনজোকে খেলানো হয়েছে আক্রমণভাগে। আক্রমণ থেকে আবার মিড নামছেন তিনি। ম্যাচের সর্বোচ্চ রেটিংধারী ফুটবলারও তিনি। আর্জেন্টিনার পাঁচ মিডফিল্ডারের কাছেই মধ্যমাঠে ঘুরছে বল। অনেকটা অদৃশ্য জালের মতো। ব্রাজিলের কারও পায়ে বল গেলেই সেটি ধরে রাখার উপায় নেই, ঘিরে ধরছেন সবাই।
এস্তাদিও মনুমেন্তালে আকাশি-নীলের ঢেউ খেলছে। কিছুক্ষণ পর পর উদ্যাপনে মেতে উঠছেন। আর্জেন্টিনার একেকটা গোল মানে গ্যালারিতে উত্তুঙ্গ উত্তেজনা। মাঠে হলুদ জার্সির খেলোয়াড়েরাও হয়ে ছিলেন নির্বাক দর্শকের মতো। যেন কিছুই করার ছিল না। মেসি-লাউতারোরা চোটের মধ্যে থাকায় স্কালোনির দারুণ সুযোগ ছিল—তরুণদের পরখ করার। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা তো নিশ্চিতই করলেন। সঙ্গে বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরির কাজটা খানিকটা এগিয়ে রাখলেন।
জিলিয়ানো সিমিওনে-হুলিয়ান আলভারেজরা জানিয়ে রাখলেন মেসি-দি মারিয়াদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কতটা বদ্ধপরিকর তাঁরা। শেষ দিকে নিকো পাজকেও সময় দিলেন স্কালোনি। কাতার বিশ্বকাপেও কখনো পাঁচ ডিফেন্ডার, কখনো মিডে জোর, কখনো আক্রমণে—প্রতি ম্যাচে আলাদা আলাদা সূত্র দিয়ে একাদশ গড়েছিলেন। সুফল বিশ্বকাপ, দুটা কোপা আমেরিকার শিরোপা, একটা ফিনেলিসিমা জয়। কিন্তু ব্রাজিলের সঙ্গে যে কৌশল অবলম্বন করলেন মিডফিল্ডে—মিডফিল্ড দিয়েই খেলাটা শেষ করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন তড়িৎ। এমন সব নতুন দর্শনের কৌশল দেখে পক্ষ-প্রতিপক্ষ হয়তো বলতেই পারেন—‘মাথা নষ্ট’ মাস্টারমাইন্ড।
শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে গত বছর আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মেগা নিলামের পর সেই আইয়ার এবার পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক। তাতে কলকাতার নেতৃত্বভার চলে আসে আজিঙ্কা রাহানের কাঁধে। তবে শিরোপা ধরে রাখার মতো বাড়তি চাপ নিতে পারেননি রাহানে।
১ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্রিকেটও ভালোভাবেই প্রভাবিত হয়েছে। যার কারণে আইপিএল, পিএসএল স্থগিত রাখতে হয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সামাজিক মাধ্যমে যুদ্ধ নিয়ে পোস্ট করে একে অপরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআইপিএলে এবার শেষভাগে এসে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএল তিন ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছেন মোস্তাফিজ।
৪ ঘণ্টা আগেএকসময় রানার্সআপ হওয়া যে ক্লাবের সমর্থকদের কাছে ছিল ‘ব্যর্থতা’, তারা লিগ শিরোপার স্বাদ কেমন, তা ভুলতে বসেছিল। মোহামেডান লিগ জেতেনি ২৩ বছর ধরে।
৫ ঘণ্টা আগে