Ajker Patrika

পাকিস্তান সিরিজে শক্তির জায়গা নিয়েই বেশি চিন্তা বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। ছবি: পিসিবি
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। ছবি: পিসিবি

পাকিস্তানে গিয়ে লাহোরে প্রেসিডেনশিয়াল (রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা) নিরাপত্তা পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বুলেটপ্রুফ কালো কাচের গাড়ি, একাধিক স্তরের নিরাপত্তায় মাঠ ও হোটেলে যাতায়াত নিয়ে চিন্তা না থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে লিটনদের চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

শারজায় সদ্য সমাপ্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে হতাশাজনক সিরিজের স্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশ গেছে পাকিস্তানে। র‍্যাঙ্কিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে তারা। পাকিস্তান সিরিজের আগমুহূর্তে আইপিএল থেকে পাওয়া চোটে মোস্তাফিজুর রহমান ছিটকে যাওয়াটা বাংলাদেশের কাছে আরেকটি ধাক্কা। পেস বোলিং আক্রমণের নেতা তাসকিন আহমেদ চোটে পড়ে সিরিজে নেই আরও আগে থেকে। ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন গতি তারকা নাহিদ রানা, যিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময়ে পাকিস্তানে বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন। যে পেস বোলিং সবচেয়ে বড় শক্তি, সেটি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

প্রধান কোচ ফিল সিমন্স পাকিস্তান সফরে আস্থা রাখছেন তরুণ পেসারদের ওপরই। লাহোরে পরশু সাংবাদিকদের সিমন্স বলেছেন, ‘এই ফরম্যাটে আমাদের শক্তির জায়গা মূলত বোলিং। মোস্তাফিজ ও তাসকিনকে না পেলেও বাকিদের কাছে থেকে ভালো কিছুর আশা করছি।’ তবে তাসকিন-ফিজ—দুজনকে সিমন্স বড্ড মিস করছেন, ‘অভিজ্ঞ দুই পেসারকে অবশ্যই মিস করব। বিশেষ করে ফিজ যেভাবে আইপিএলে বোলিং করছিল, সেটা দুর্দান্ত। এটা নতুনদের জন্যও সুযোগ। দেখা যাক, কে ফিজের জায়গা নিতে পারে।’

দুই গুরুত্বপূর্ণ পেসারকে না পেলেও এটির ইতিবাচক দিকও খুঁজে নিচ্ছেন লিটন, ‘তাসকিন ও ফিজ দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর । তবে এটা ভালো দিক , তারা না থাকলে তাদের জায়গা কে দখল করবে , এটা সেই সুযোগ । আমার মনে হয় যারা আছে তারা এই সুযোগটা কাজে লাগাবে।’

মোস্তাফিজের জায়গায় দলে এসেছেন খালেদ আহমেদ। রানার বিকল্প কাউকে নেওয়া হয়নি। দলের পেস বিভাগ সামলাবেন তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম। ব্যাটিং অলরাউন্ডার সৌম্য সরকারের বদলে দলে ঢুকেছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।

আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পর সিমন্স খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নন। তিনি বলেন, ‘আমিরাতে হারটা কষ্টদায়ক ছিল, এমন হার অনেক সময় দলকে নাড়িয়ে দেয়। আমরা লাহোরে ভালো মনোভাব নিয়ে এসেছি। ছেলেরা জিততে উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা এই সিরিজে সুযোগ দেখছি।’

আরব আমিরাতের কাছে হারের অভিজ্ঞতা ভুলে লিটন ঘুরে দাঁড়াতে চান পাকিস্তান সিরিজে, ‘আলোচনা-সমালোচনা হবেই। ভালো ক্রিকেট না খেললে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সবারই চেষ্টা থাকবে কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি । আমরা জানি কোথায় আমরা ভুল করেছি। আমরা চেষ্টা করব ওই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন এখানে না হয় । আমার মনে হয় আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ । ভালো খেলা উপহার দিতে পারব।’

সিমন্স প্রশংসা করেছেন নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইটের, যিনি লাহোরে প্রথমবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার টেইট ও স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ—দুজনই পিএসএলে কাজ করেছেন। সিমন্স বলেন, ‘শুধু পেসারদের নয়, পুরো দলের জন্য টেইট দারুণ সংযোজন। ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে। রিশাদ ও মিরাজ পিএসএল খেলার অভিজ্ঞতা থেকে দরকারি ইনসাইট দেবে।’

bd-pak

নিজেদের অবস্থান ভালো নয়, তবে প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের অবস্থাও খুব বলার মতো নয়। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তারা শেষ ১৩ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ৩টিতে, এর দুটি এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। র‍্যাঙ্কিংয়ে তারা নেমে গেছে অষ্টম স্থানে। নবম স্থানে থাকা বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ১২ ম্যাচে জিতেছে ৪টিতে।

শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে, যেখানে শাহিন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতেছিল পাকিস্তান। এবার সিরিজে নেই আফ্রিদি, বিশ্রামে আছেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। তবু এই পাকিস্তানকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যাঁরা স্কোয়াডে আছেন, তাঁরা সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে ভালো ছন্দে ছিলেন।

বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগে দুই দিন অনুশীলন শুরু করেছে লাহোরে। মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে করা ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার দিকেই ছিল মনোযোগ। অধিনায়ক লিটন দাস সিরিজ হারের জন্য শিশিরকে দায়ী করলেও লাহোরে সেটি প্রভাব ফেলবে না বলেই ধারণা। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ নতুন করে শুরু করার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী এক্সপেসকে হারিয়ে জয়ে শুরু চট্টগ্রামের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই
মির্জা বেগের ৮০ রানের ইনিংসই

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।

ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।

ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোহলির বিশ্ব রেকর্ডের দিনে রোহিতের তেতো অভিজ্ঞতা

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলছেন এই দুই তারকা ব্যাটার। ফাইল ছবি।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।

বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।

তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।

একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যর্থ কোটিপতি নাঈম শেখ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত
১৭৪ রান করেছে চট্টগ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।

দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।

এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।

নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরুষ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন গৌরব-তানভীর জুটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত
গৌরব-তানভীর জুটি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ছবি: সংগৃহীত

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।

তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত