Ajker Patrika

বাংলাদেশের দুটি আনন্দের সিরিজে কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৬
বাংলাদেশের দুটি আনন্দের সিরিজে কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন

ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি বলছে, লম্বা ছুটি পেয়েই মাহমুদউল্লাহ স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় যেন বেরিয়েছেন। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মতো তাঁর সতীর্থরাও এখন আছেন পুরোই ছুটির মেজাজে।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যদি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের বাংলাদেশ সফর স্থগিত না করত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই লম্বা বিরতিটা মাহমুদউল্লাহরা পেতেন না। বিরতিটা এখন ভালোই কাজে দিচ্ছে। এতে সতেজ হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ মিলেছে। সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমানের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন। দুজনের সামনে এখন আইপিএল।

খেলোয়াড়েরা ফুরফুরে মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন। দুটি সফল সিরিজের পর স্বস্তিতে আছেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য ও নির্বাচকেরা। গতকাল শনিবার বিকেলে নির্বাচক হাবিবুল বাশারের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বস্তির হাসিটা বেশ টের পাওয়া গেল। বলেই ফেললেন, ‘চার মাস আগেও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের অবস্থান যেখানে ছিল (১০), এখন যেখানে এসেছি (ছয়ে), সে হিসেব করলে একটু তো স্বস্তি লাগছেই। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি।’

তলানি থেকে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের এই বড় লাফের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে দেশের মাঠে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের সাতটিই জয়। আর পুরস্কার হিসেবে এসেছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর এর প্রতিফলন ঘটেছে র‍্যাঙ্কিংয়ে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানি (টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে) থেকে সাঁ করে উঠে এসেছে মাঝামাঝি অবস্থানে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এতগুলো সুখবর যে দলকে ঘিরে, তাদের এখন স্বস্তিতে না থাকার কারণ নেই। গত তিনটি সিরিজ জেতার পর দলের ভাবনা কতটা বদলে গেছে, হাবিবুল সেটিই বলছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচ যখন খেলতে নেমেছি, তখন আমাদের প্রত্যাশা ছিল কী? চেষ্টা করব জিততে। কিন্তু ওই সিরিজের পঞ্চম ম্যাচের আগে আর হারার চিন্তা ছিল না। তখন ভেবেছি ৪-১ হবে কি না। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে সবাই ভেবেছে সিরিজের ফল ৫-০ হবে নাকি ৪-১! তখন কিন্তু ম্যাচ জেতা কিংবা সিরিজ জেতা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এটাকে বলে আত্মবিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাস দলের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যে যেটাই বলুক, এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’

ধারাবাহিক ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ যে ‘আত্মবিশ্বাস’ নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চাচ্ছে সেটি নিয়েই আরও অনেকের মতো প্রশ্ন নাজমুল আবেদীন ফাহিমেরও। ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির এই ক্রিকেট উপদেষ্টা মনে করেন, রাতারাতি র‍্যাঙ্কিংয়ের উচ্চ লাফ কখনো হিতে বিপরীত হতে পারে, ‘এভাবে যত দ্রুত ওপরে ওঠা যাবে, তার চেয়ে দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ার ভয় থাকে!’

ফাহিমের এই সংশয় তৈরির পেছনে কাজ করেছে বাংলাদেশ দলের জয়ের প্রক্রিয়াটা দেখে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে পছন্দসই উইকেট–কন্ডিশন তৈরি করে। যেটি নগদে সাফল্য এনে দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে-এর বিশ্লেষণ ফাহিম করেছেন এভাবে, ‘ফেয়ার কিংবা স্বাভাবিক কন্ডিশনে যদি খেলা হয় তাহলে মনে হয় আমরা তাদের সঙ্গে পারব না—শুরুর এই ভাবনা ভুল ছিল। তখন কন্ডিশনের সহায়তা নিয়ে জেতার চেষ্টা করেছি। দুটি সিরিজেই আমাদের ব্যাটসম্যানরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে! এটা ভালো কোনো বিষয় নয়। ব্যাটসম্যানদের দেখলাম ছন্দে ফেরার অনেক চেষ্টা করছে।’

মন্থর ও ঘূর্ণি উইকেটে ব্যাটসম্যানদের যেমন সংগ্রাম করতে হয়েছে, ঠিক বিপরীত ছবি বোলিংয়ে। বাংলাদেশ বেশির ভাগ ম্যাচ জিতেছে বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে। বোলারদের এই সাফল্যেও খুব বেশি স্বস্তি থাকার সুযোগ দেখছেন না ফাহিম। বললেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, সেটা খুব একটা করতে হয়নি। সাকিব-মোস্তাফিজ জানে এটা টি-টোয়েন্টির আদর্শ কন্ডিশন নয়। তবে বাকিদের সমস্যা হতে পারে। নাসুমের (আহমেদ) কথা বলি। নাসুমকে আমরা যেভাবে দেখেছি গত নয়টা ম্যাচে এবং গতকাল (পরশু সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি) যা দেখলাম, আকাশ-পাতাল পার্থক্য। শেষ ম্যাচে সে হয়তো বুঝতে পারল টি-টোয়েন্টি কী।’

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর দারুণ সুযোগ, র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি, বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা—এসব বিবেচনা করে বাংলাদেশ নিজেদের শক্তি-দুর্বলতার কথা ভেবে পছন্দের উইকেট-কন্ডিশনে টানা দুটি সিরিজ জিতেছে। যদিও এই সাফল্যের মাঝেও বিশ্বকাপের যথার্থ প্রস্তুতি নেওয়া হলো কিনা, সে কথা বারবার আসছে। তবে পাল্টা যুক্তিও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আছে। বলছেন, ‘কোন দেশ নিজেদের উইকেট-কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না?’ অবশ্য নিজেদের কন্ডিশনের ফায়দা নেওয়ার এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে ভারত-ইংল্যান্ডের মতো দল। দেশ-বিদেশে সমানভাবে ভালো করতে এটির বিকল্পও নেই।

নির্বাচক হাবিবুল অবশ্য বলছেন, বাংলাদেশ ঠিক পথেই আছে, ‘প্রসেস বা প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হতেই পারে। তবে আমাদের কাছে আমরা পরিষ্কার, কী করতে যাচ্ছি, কোথায় যেতে চাচ্ছি। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় নিয়ে বেশি চর্চা হলে অনেক সময় দল প্রভাবিত করতে পারে। তবে আমরা যদি নিজেদের কাজ ও লক্ষ্য নিয়ে পরিষ্কার থাকি, তাহলে এটা (নানা আলোচনা–বিতর্ক) উতরে যাওয়া সম্ভব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত