তাসনীম হাসান, ঢাকা

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে দেওয়া গেছে বিশ্বকাপের দলে। কিন্তু গত দুটি সিরিজে তাঁরা নিজেদের কতটা ভালো বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেন?
এক মাসের মধ্যে তাসমান সাগরের দুই পাড়ের দুই দেশকে একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়ে মিরপুরের সবুজ আঙিনায় রচিত হয়েছে একের পর এক বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প। জয়ের অভ্যাস নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু সাফল্যের ভিড়ে একটা খচখচানি রয়ে গেল লিটন-সৌম্যদের নিয়ে।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজের ১০ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৭টিই জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের বেশির ভাগই বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে। কয়েকটি ম্যাচে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান। তবে জয়ের গন্তব্যে পৌঁছার কাজটা আগেই সহজ হয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমান-নাসুম আহমেদদের সৌজন্যে।
মিরপুরে দুই সিরিজের বেশির ভাগ ম্যাচই হয়েছে নিচু ও মন্থর উইকেটে। বিশ্বকাপে খেলতে হবে বড় স্কোর হয় এমন উইকেটে। বড় স্কোর গড়তে হলে সেখানে ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই তুলতে হবে ঝড়। সর্বশেষ ম্যাচগুলোয় ব্যাটিং হাতে মলিন লিটন-সৌম্য কিংবা নাঈম সেই আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পাবেন কোথায়?
ব্যর্থতার তালিকায় সবার আগে থাকবেন সৌম্য সরকার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই খেলা সৌম্য প্রথম চার টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে নেমে করেছেন ২, ০, ২ ও ৮। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৪ নম্বরে নেমেও ব্যর্থই হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে একাদশেই জায়গা মেলেনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিরেও আটকে রইলেন ব্যর্থতার ভিড়ে। ফিরেছেন ৪ রান করে।
আরেক ওপেনার লিটন দাসের সাদা বলের বিপক্ষে লড়াই অব্যাহতই আছে। পারিবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলা এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ড সিরিজের সব ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৫ রান। গড় ১৩, স্ট্রাইক রেট মোটেও লিটনসুলভ নয়–৯৮.৪৮। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২৯.৭৪।
এই দুজনের তুলনায় কিছুটা ভালো করেছেন নাঈম। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৯১ রান করা নাঈম নিউজিল্যান্ড সিরিজে পেরিয়েছেন ১০০ রানের গণ্ডি। তবে সর্বশেষ দুই সিরিজে নাঈমের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়–৮৭.৮৯। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৪২ রানের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ওপেনিংয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন-নাঈম।
এর মধ্যে নতুন চিন্তা হয়ে এসেছে ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সেরা সাকিব নিউজিল্যান্ড সিরিজে ৪ ম্যাচে ১১.২৫ গড়ে করেছেন ৪৫ রান। হঠাৎ ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকও। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেললেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের রান ৩৯। তাঁর স্ট্রাইক রেটও বড় মলিন–৫২।
টানা সিরিজ জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়লেও টপ অর্ডারের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা ভাবাচ্ছে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকে, ‘বোলাররা অসাধারণ খেলেছে। তবে টপ অর্ডার নিয়ে খচখচানি থেকে গেছে।’
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়ার পেছনে যুক্তি আসছে, কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় কঠিন ছিল। তবে এই উইকেটেই কিন্তু নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৫৩ গড়ে ১৫৯ রান করে গেছেন। আর কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুটি ম্যাচ হেরেছে, দুটিতেই খেলা হয়েছে বেশ ভালো উইকেটে।
ব্যাটসম্যানদের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলছেন, ‘আমরা কন্ডিশন দিয়ে জেতার চেষ্টা করেছি। জিম্বাবুয়ে থেকে যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটসম্যানরা এসেছিল, সেখান থেকে এই সিরিজগুলোয় ব্যাটসম্যানরা ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ছন্দে নেই। এটা বড় অশনিসংকতে।’
দেশের মাঠে ছন্দ হারিয়ে ফেললেও বিশ্বকাপের রানপ্রসবা উইকেটে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরবেন বলেই বিশ্বাস হাবিবুলের। বললেন, ‘যখন বাইরের উইকেটে খেলব, বিশ্বকাপে যখন খেলব, আশা করি তখন ঠিক হয়ে যাবে।’

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে দেওয়া গেছে বিশ্বকাপের দলে। কিন্তু গত দুটি সিরিজে তাঁরা নিজেদের কতটা ভালো বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেন?
এক মাসের মধ্যে তাসমান সাগরের দুই পাড়ের দুই দেশকে একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়ে মিরপুরের সবুজ আঙিনায় রচিত হয়েছে একের পর এক বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প। জয়ের অভ্যাস নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু সাফল্যের ভিড়ে একটা খচখচানি রয়ে গেল লিটন-সৌম্যদের নিয়ে।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজের ১০ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৭টিই জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের বেশির ভাগই বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে। কয়েকটি ম্যাচে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান। তবে জয়ের গন্তব্যে পৌঁছার কাজটা আগেই সহজ হয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমান-নাসুম আহমেদদের সৌজন্যে।
মিরপুরে দুই সিরিজের বেশির ভাগ ম্যাচই হয়েছে নিচু ও মন্থর উইকেটে। বিশ্বকাপে খেলতে হবে বড় স্কোর হয় এমন উইকেটে। বড় স্কোর গড়তে হলে সেখানে ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই তুলতে হবে ঝড়। সর্বশেষ ম্যাচগুলোয় ব্যাটিং হাতে মলিন লিটন-সৌম্য কিংবা নাঈম সেই আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পাবেন কোথায়?
ব্যর্থতার তালিকায় সবার আগে থাকবেন সৌম্য সরকার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই খেলা সৌম্য প্রথম চার টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে নেমে করেছেন ২, ০, ২ ও ৮। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৪ নম্বরে নেমেও ব্যর্থই হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে একাদশেই জায়গা মেলেনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিরেও আটকে রইলেন ব্যর্থতার ভিড়ে। ফিরেছেন ৪ রান করে।
আরেক ওপেনার লিটন দাসের সাদা বলের বিপক্ষে লড়াই অব্যাহতই আছে। পারিবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলা এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ড সিরিজের সব ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৫ রান। গড় ১৩, স্ট্রাইক রেট মোটেও লিটনসুলভ নয়–৯৮.৪৮। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২৯.৭৪।
এই দুজনের তুলনায় কিছুটা ভালো করেছেন নাঈম। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৯১ রান করা নাঈম নিউজিল্যান্ড সিরিজে পেরিয়েছেন ১০০ রানের গণ্ডি। তবে সর্বশেষ দুই সিরিজে নাঈমের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়–৮৭.৮৯। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৪২ রানের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ওপেনিংয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন-নাঈম।
এর মধ্যে নতুন চিন্তা হয়ে এসেছে ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সেরা সাকিব নিউজিল্যান্ড সিরিজে ৪ ম্যাচে ১১.২৫ গড়ে করেছেন ৪৫ রান। হঠাৎ ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকও। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেললেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের রান ৩৯। তাঁর স্ট্রাইক রেটও বড় মলিন–৫২।
টানা সিরিজ জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়লেও টপ অর্ডারের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা ভাবাচ্ছে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকে, ‘বোলাররা অসাধারণ খেলেছে। তবে টপ অর্ডার নিয়ে খচখচানি থেকে গেছে।’
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়ার পেছনে যুক্তি আসছে, কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় কঠিন ছিল। তবে এই উইকেটেই কিন্তু নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৫৩ গড়ে ১৫৯ রান করে গেছেন। আর কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুটি ম্যাচ হেরেছে, দুটিতেই খেলা হয়েছে বেশ ভালো উইকেটে।
ব্যাটসম্যানদের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলছেন, ‘আমরা কন্ডিশন দিয়ে জেতার চেষ্টা করেছি। জিম্বাবুয়ে থেকে যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটসম্যানরা এসেছিল, সেখান থেকে এই সিরিজগুলোয় ব্যাটসম্যানরা ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ছন্দে নেই। এটা বড় অশনিসংকতে।’
দেশের মাঠে ছন্দ হারিয়ে ফেললেও বিশ্বকাপের রানপ্রসবা উইকেটে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরবেন বলেই বিশ্বাস হাবিবুলের। বললেন, ‘যখন বাইরের উইকেটে খেলব, বিশ্বকাপে যখন খেলব, আশা করি তখন ঠিক হয়ে যাবে।’
তাসনীম হাসান, ঢাকা

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে দেওয়া গেছে বিশ্বকাপের দলে। কিন্তু গত দুটি সিরিজে তাঁরা নিজেদের কতটা ভালো বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেন?
এক মাসের মধ্যে তাসমান সাগরের দুই পাড়ের দুই দেশকে একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়ে মিরপুরের সবুজ আঙিনায় রচিত হয়েছে একের পর এক বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প। জয়ের অভ্যাস নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু সাফল্যের ভিড়ে একটা খচখচানি রয়ে গেল লিটন-সৌম্যদের নিয়ে।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজের ১০ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৭টিই জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের বেশির ভাগই বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে। কয়েকটি ম্যাচে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান। তবে জয়ের গন্তব্যে পৌঁছার কাজটা আগেই সহজ হয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমান-নাসুম আহমেদদের সৌজন্যে।
মিরপুরে দুই সিরিজের বেশির ভাগ ম্যাচই হয়েছে নিচু ও মন্থর উইকেটে। বিশ্বকাপে খেলতে হবে বড় স্কোর হয় এমন উইকেটে। বড় স্কোর গড়তে হলে সেখানে ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই তুলতে হবে ঝড়। সর্বশেষ ম্যাচগুলোয় ব্যাটিং হাতে মলিন লিটন-সৌম্য কিংবা নাঈম সেই আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পাবেন কোথায়?
ব্যর্থতার তালিকায় সবার আগে থাকবেন সৌম্য সরকার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই খেলা সৌম্য প্রথম চার টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে নেমে করেছেন ২, ০, ২ ও ৮। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৪ নম্বরে নেমেও ব্যর্থই হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে একাদশেই জায়গা মেলেনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিরেও আটকে রইলেন ব্যর্থতার ভিড়ে। ফিরেছেন ৪ রান করে।
আরেক ওপেনার লিটন দাসের সাদা বলের বিপক্ষে লড়াই অব্যাহতই আছে। পারিবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলা এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ড সিরিজের সব ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৫ রান। গড় ১৩, স্ট্রাইক রেট মোটেও লিটনসুলভ নয়–৯৮.৪৮। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২৯.৭৪।
এই দুজনের তুলনায় কিছুটা ভালো করেছেন নাঈম। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৯১ রান করা নাঈম নিউজিল্যান্ড সিরিজে পেরিয়েছেন ১০০ রানের গণ্ডি। তবে সর্বশেষ দুই সিরিজে নাঈমের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়–৮৭.৮৯। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৪২ রানের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ওপেনিংয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন-নাঈম।
এর মধ্যে নতুন চিন্তা হয়ে এসেছে ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সেরা সাকিব নিউজিল্যান্ড সিরিজে ৪ ম্যাচে ১১.২৫ গড়ে করেছেন ৪৫ রান। হঠাৎ ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকও। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেললেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের রান ৩৯। তাঁর স্ট্রাইক রেটও বড় মলিন–৫২।
টানা সিরিজ জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়লেও টপ অর্ডারের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা ভাবাচ্ছে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকে, ‘বোলাররা অসাধারণ খেলেছে। তবে টপ অর্ডার নিয়ে খচখচানি থেকে গেছে।’
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়ার পেছনে যুক্তি আসছে, কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় কঠিন ছিল। তবে এই উইকেটেই কিন্তু নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৫৩ গড়ে ১৫৯ রান করে গেছেন। আর কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুটি ম্যাচ হেরেছে, দুটিতেই খেলা হয়েছে বেশ ভালো উইকেটে।
ব্যাটসম্যানদের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলছেন, ‘আমরা কন্ডিশন দিয়ে জেতার চেষ্টা করেছি। জিম্বাবুয়ে থেকে যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটসম্যানরা এসেছিল, সেখান থেকে এই সিরিজগুলোয় ব্যাটসম্যানরা ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ছন্দে নেই। এটা বড় অশনিসংকতে।’
দেশের মাঠে ছন্দ হারিয়ে ফেললেও বিশ্বকাপের রানপ্রসবা উইকেটে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরবেন বলেই বিশ্বাস হাবিবুলের। বললেন, ‘যখন বাইরের উইকেটে খেলব, বিশ্বকাপে যখন খেলব, আশা করি তখন ঠিক হয়ে যাবে।’

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে দেওয়া গেছে বিশ্বকাপের দলে। কিন্তু গত দুটি সিরিজে তাঁরা নিজেদের কতটা ভালো বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করতে পারলেন?
এক মাসের মধ্যে তাসমান সাগরের দুই পাড়ের দুই দেশকে একই বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়ে মিরপুরের সবুজ আঙিনায় রচিত হয়েছে একের পর এক বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প। জয়ের অভ্যাস নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু সাফল্যের ভিড়ে একটা খচখচানি রয়ে গেল লিটন-সৌম্যদের নিয়ে।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজের ১০ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৭টিই জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের বেশির ভাগই বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে। কয়েকটি ম্যাচে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান। তবে জয়ের গন্তব্যে পৌঁছার কাজটা আগেই সহজ হয়ে গিয়েছিল সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমান-নাসুম আহমেদদের সৌজন্যে।
মিরপুরে দুই সিরিজের বেশির ভাগ ম্যাচই হয়েছে নিচু ও মন্থর উইকেটে। বিশ্বকাপে খেলতে হবে বড় স্কোর হয় এমন উইকেটে। বড় স্কোর গড়তে হলে সেখানে ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই তুলতে হবে ঝড়। সর্বশেষ ম্যাচগুলোয় ব্যাটিং হাতে মলিন লিটন-সৌম্য কিংবা নাঈম সেই আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পাবেন কোথায়?
ব্যর্থতার তালিকায় সবার আগে থাকবেন সৌম্য সরকার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই খেলা সৌম্য প্রথম চার টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে নেমে করেছেন ২, ০, ২ ও ৮। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৪ নম্বরে নেমেও ব্যর্থই হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে একাদশেই জায়গা মেলেনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিরেও আটকে রইলেন ব্যর্থতার ভিড়ে। ফিরেছেন ৪ রান করে।
আরেক ওপেনার লিটন দাসের সাদা বলের বিপক্ষে লড়াই অব্যাহতই আছে। পারিবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলা এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ড সিরিজের সব ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৫ রান। গড় ১৩, স্ট্রাইক রেট মোটেও লিটনসুলভ নয়–৯৮.৪৮। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১২৯.৭৪।
এই দুজনের তুলনায় কিছুটা ভালো করেছেন নাঈম। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৯১ রান করা নাঈম নিউজিল্যান্ড সিরিজে পেরিয়েছেন ১০০ রানের গণ্ডি। তবে সর্বশেষ দুই সিরিজে নাঈমের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়–৮৭.৮৯। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৪২ রানের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ওপেনিংয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন-নাঈম।
এর মধ্যে নতুন চিন্তা হয়ে এসেছে ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সেরা সাকিব নিউজিল্যান্ড সিরিজে ৪ ম্যাচে ১১.২৫ গড়ে করেছেন ৪৫ রান। হঠাৎ ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকও। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেললেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের রান ৩৯। তাঁর স্ট্রাইক রেটও বড় মলিন–৫২।
টানা সিরিজ জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়লেও টপ অর্ডারের ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা ভাবাচ্ছে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকে, ‘বোলাররা অসাধারণ খেলেছে। তবে টপ অর্ডার নিয়ে খচখচানি থেকে গেছে।’
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়ার পেছনে যুক্তি আসছে, কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় কঠিন ছিল। তবে এই উইকেটেই কিন্তু নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৫৩ গড়ে ১৫৯ রান করে গেছেন। আর কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুটি ম্যাচ হেরেছে, দুটিতেই খেলা হয়েছে বেশ ভালো উইকেটে।
ব্যাটসম্যানদের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলছেন, ‘আমরা কন্ডিশন দিয়ে জেতার চেষ্টা করেছি। জিম্বাবুয়ে থেকে যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটসম্যানরা এসেছিল, সেখান থেকে এই সিরিজগুলোয় ব্যাটসম্যানরা ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই ছন্দে নেই। এটা বড় অশনিসংকতে।’
দেশের মাঠে ছন্দ হারিয়ে ফেললেও বিশ্বকাপের রানপ্রসবা উইকেটে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরবেন বলেই বিশ্বাস হাবিবুলের। বললেন, ‘যখন বাইরের উইকেটে খেলব, বিশ্বকাপে যখন খেলব, আশা করি তখন ঠিক হয়ে যাবে।’

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৫ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।
সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৫ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।
২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।
মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৫ মিনিট আগে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।
৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।
১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

তামিম ইকবাল প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচকদের এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে হয়নি। সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমকে অনায়াসে রেখে...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি।
৩৫ মিনিট আগে
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।
২ ঘণ্টা আগে