Ajker Patrika

সেমিফাইনালের স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের

রানা আব্বাস, অ্যান্টিগা থেকে
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪, ২১: ৫৯
সেমিফাইনালের স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের

সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে অ্যান্টিগায় নেমেই একটা বার্তা পাওয়া গেল, বৃষ্টিকেও রাখতে হবে ভাবনায়। গত পরশু দ্বীপের প্রাণকেন্দ্র সেন্ট জোনসের রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ মাঠে এসেও অনুশীলন করতে পারেনি বৃষ্টির বাধায়। অবশ্য স্থানীয়রা আশ্বস্ত করছেন, বৃষ্টি নিয়ে ভাবার কিছু নেই, বাদলধারা এখানে হুট করে আসে, দ্রুত চলেও যায়। বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যে খেলা ঠিকঠাকই হয়ে যায়।

এ কথার প্রমাণও হাতেনাতে, অ্যান্টিগায় গ্রুপ পর্বের যে চারটি ম্যাচ হয়েছে, প্রতিটিই ঠিকঠাক শেষ হয়েছে। এমনকি ইংল্যান্ড বৃষ্টির বাধার মধ্যেই তাদের সুপার এইটের কঠিন সমীকরণ মিলিয়েছে। শেষ আঠের যে চারটি ম্যাচ আছে, সেগুলোও ঠিকঠাক হয়ে যাবে বলেই অ্যান্টিগায়ানদের আশা। কারণ, ক্রিকেট এখানে উৎসবের নাম। সেই উৎসব মাটি করার সাধ্য কার! স্যার ভিভ রিচার্ডস, অ্যান্ডি রবার্টস, কার্টলি অ্যামব্রোস, রিচি রিচার্ডসনদের অ্যান্টিগার প্রতিটি ধূলিকণার সঙ্গে যেন ক্রিকেট মেশে। আর এই দ্বীপে বড় এক লক্ষ্য নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।

দেশ থেকে বাংলাদেশ দল রওনা দিয়েছিল সুপার এইটে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন স্বপ্নটা তাদের আরও বড়। ‘আমাদের লক্ষ্য অনেক বড়’—ডালাসে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রিশাদ হোসেন তো আর এমনি এমনি কথাটা বলেননি। আর সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে রিশাদ বলেছেন, ‘আমরা সুপার এইটে আরও ভালো খেলব।’ সেই ‘আরও ভালো খেলার’ মঞ্চ তাঁরা পাচ্ছেন অ্যান্টিগায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে অবশ্য বেশির ভাগ সময় ভালো স্মৃতি নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে হওয়া ২০০৭ বিশ্বকাপের আনন্দদায়ী স্মৃতিগুলো ঘুরেফিরে আসে ক্রিকেট রোমান্টিকদের মনে। এবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ লিখে চলেছে নতুন কীর্তি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশ জিতেছে তিনটি ম্যাচ; ২০ ওভারের শ্রেষ্ঠত্ব মঞ্চে এক টুর্নামেন্টে এত বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড তাদের আগে কখনো ছিল না। একবার ভাবুন, যে শরীফুল ইসলামকে বিশ্বকাপের আগেও বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইক বোলার ভাবা হচ্ছিল, চোটে পড়ায় একাদশের বাইরে থাকলেন। চোট সেরে যাওয়ার পর এখন আর সুযোগই পাচ্ছেন না একাদশে। এই বাংলাদেশ নিয়ে মুগ্ধ হচ্ছে অনেক ক্রিকেট পণ্ডিতই।

সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে আসার পথে ধারাভাষ্যকার অ্যালেন উইলকিনস যেমন বললেন, ‘বাংলাদেশ ভালো অলরাউন্ড সাইড। সব বিভাগই কাভার করেছে। অধিনায়ককে আমার ভালো লেগেছে—নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব। সিনিয়র ক্রিকেটাররা তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-লিটন—এটা ভালো দিক। বাংলাদেশ সামনে আরও ভালো করতে পারে।’

আসলেই শান্তর নেতৃত্ব দেখার মতো। মাঠে তাঁর বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত, সতীর্থদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনা, ক্রিকেট মস্তিষ্ক, পরিণতবোধ, দারুণ ফিল্ডিং—সব বিভাগেই ‘এ প্লাস’ পাবেন। শুধু এক জায়গায় শান্ত এখনো নিষ্প্রভ, ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠতে পারেননি। যেহেতু তিনি ব্যাটার; রান না পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে সমালোচনা, ব্যঙ্গ-রসিকতা হচ্ছে এন্তার।

শান্তসহ দলের টপ অর্ডার ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ শুধুই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। কী দুর্দান্ত বোলিং করছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব। মোস্তাফিজকে এখন ‘ডটের রাজা’ও বলতে পারেন! এই বিশ্বকাপে ফিজ এখন পর্যন্ত ডট দিয়েছেন বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭টি। নেপালের বিপক্ষে ১৯তম ওভারে মেডেন ওভারসহ নিয়েছেন ১ উইকেট—ডেথ ওভারে এতটাই ভয়ংকর মোস্তাফিজকে দেখা গেছে সেন্ট ভিনসেন্টে।

ফিজ যদি ‘ডেথ ওভারের ত্রাস’ হন, তরুণ তানজিম সাকিব পাওয়ার প্লেতে তছনছ করে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার। যে ডেল স্টেইন তাঁর আইডল, সাবেক প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারকে পাওয়া গেল অ্যান্টিগায় আসার পথে। সেন্ট ভিনসেন্ট বিমানবন্দরে স্টেইনের মুখে শুধুই স্তুতি তানজিমকে নিয়ে, ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে তার আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখে সত্যি ভালো লেগেছে। অলরাউন্ড প্যাকেজ। শুধু উইকেট পাচ্ছে, সে কারণে নয়। আমি তার আক্রমণাত্মক মনোভাব পছন্দ করি।’

তানজিমের আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রশংসিত হলেও আইসিসির আচরণবিধির আতশি কাচে ভিন্ন কিছু ধরা পড়েছে। নেপালি অধিনায়কের সঙ্গে যে তাঁর ‘লড়াই’টা হয়েছিল সেদিন, সেটির জন্য তরুণ পেসারকে শাস্তি পেতে হয়েছে। শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ ও ১ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেও এতে নিশ্চয়ই তাঁর আক্রমণাত্মক মনোভাবে প্রভাব পড়বে না।

বেশির ভাগ আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে নানা বিতর্কিত ঘটনা থাকে। এবার তা নয়, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পুরো দলেই স্বস্তির বাতাবরণ। একটা দলের অনেক দূর এগোনোর এটাই প্রথম শর্ত। এই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ সুপার এইটে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানোও তাই অসম্ভব মনে করছে না! তাদের মনে যে উঁকি দিচ্ছে সেমিফাইনালের স্বপ্ন!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত