রানা আব্বাস, ঢাকা
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি কাল ছিল লালে লাল! প্রায় ২৫ হাজার দর্শকের ৮৫ শতাংশই ফরচুন বরিশালের লাল জার্সি পরে আসা সমর্থক। বরিশালের কোনো কোনো দর্শক ফাইনাল দেখতে রেপ্লিকা লঞ্চও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা গতবারের মতো এবারও লঞ্চে করে বিপিএলের সোনালি শিরোপাটা নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তা পেরেছেনও, চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এবারও বিপিএলের ট্রফি উঠে গেল লঞ্চে।
বরিশালের দর্শকদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণ আছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বলেই নয়, ফরচুন বরিশালকে অনায়াসে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক এক দল বলা যায়। টুর্নামেন্টজুড়ে ধারাবাহিক আর রেকর্ডও তাদের পক্ষে—তামিম ইকবাল কখনো বিপিএলের ফাইনালে হারেন না! ২০১৯ বিপিএলে তিনি জিতেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। গতবার জিতেছিলেন বরিশালের হয়ে। কাল জিততে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল চিটাগং। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে শুরু করেন তামিম। বরিশাল পাওয়ারপ্লেতে চিটাগংয়ের সমান ৫৭ রান তুলে ফেলে। তামিম-হৃদয়ের ওপেনিং জুটি ৪৯ বলে যোগ করে ৭৬ রান। নবম ওভারে এসে বরিশাল ধাক্কা খায় তামিম (৫৪) আর ডেভিড মালানকে (১) হারিয়ে।
তবে সে ধাক্কা পুষিয়ে দিয়েছেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের ২৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটা বরিশালকে পৌঁছে দিয়েছে জয়ের অনেকটা কাছে। বাকি কাজ সারেন রিশাদ হোসেন, অপরাজিত ৬ বলে ১৮ রান করে। শেষ ওভারের ৮ রানের সহজ সমীকরণ মেলাতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি তাঁদের। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টুর্নামেন্টজুড়ে, কালও বড় রান তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছে তামিমের ২৪ বলে ফিফটি। ফাইনালের নায়ক তাই তিনিই।
টস জিতে চিটাগংকে ব্যাটিয়ে পাঠিয়েছিল বরিশাল। ফাইনালে যে বাড়তি চাপ কাজ করে, সেটি এক পাশে সরিয়ে ভালো উইকেট দুই হাতে কাজে লাগিয়েছেন চিটাগংয়ের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আর খাজা নাফি। পাওয়ারপ্লেতেই তাঁরা তুলে ফেলেন ৫৭ রান। বরিশালের বোলাররা যেন কোনো সূত্রই খুঁজে পাচ্ছিলেন না চিটাগংয়ের দুই ওপেনারকে আটকাতে। পাওয়ারপ্লেতেই চিটাগং তুলে ফেলে ৫৭ রান।
বিপিএলের ইতিহাসে ফাইনালের কোনো ওপেনিং জুটিই তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। কাল সেটি হয়েছে। নাফি-ইমনের জুটি থামে ১২১ রানে, বিপিএলের ফাইনালে এটিই কোনো ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ।
সব মিলিয়ে যেকোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এটি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। ইবাদত হোসেনের বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হওয়ার আগে নাফি করে যান ৬৬ রান। তবে থামেননি ইমন, টুর্নামেন্টের নিজের সেরা ইনিংসটা যেন জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। ফিফটি করেছেন ৩০ বলে। সেঞ্চুরিটা আর করা হয়নি, ইমন অপরাজিত ৪৯ বলে ৭৮ রান করে। ইমনের সঙ্গে শেষ দিকে গ্রাহাম ক্লার্কের ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করেই চিটাগং পেয়ে যায় ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় স্কোর।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও হারের পেছনে চিটাগংয়ের বাজে ফিল্ডিং আর বোলারদের অতিরিক্ত রানও কম দায়ী নয়। শিরোপা ধরে রেখে বরিশাল যেমন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল, স্বস্তির একটা নিশ্বাস ফেললেন বিসিবির আয়োজকেরাও—বিতর্কিত টুর্নামেন্টের শেষটা হয়েছে যে দারুণ এক ফাইনাল দিয়ে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি কাল ছিল লালে লাল! প্রায় ২৫ হাজার দর্শকের ৮৫ শতাংশই ফরচুন বরিশালের লাল জার্সি পরে আসা সমর্থক। বরিশালের কোনো কোনো দর্শক ফাইনাল দেখতে রেপ্লিকা লঞ্চও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা গতবারের মতো এবারও লঞ্চে করে বিপিএলের সোনালি শিরোপাটা নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তা পেরেছেনও, চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এবারও বিপিএলের ট্রফি উঠে গেল লঞ্চে।
বরিশালের দর্শকদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণ আছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বলেই নয়, ফরচুন বরিশালকে অনায়াসে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক এক দল বলা যায়। টুর্নামেন্টজুড়ে ধারাবাহিক আর রেকর্ডও তাদের পক্ষে—তামিম ইকবাল কখনো বিপিএলের ফাইনালে হারেন না! ২০১৯ বিপিএলে তিনি জিতেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। গতবার জিতেছিলেন বরিশালের হয়ে। কাল জিততে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল চিটাগং। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে শুরু করেন তামিম। বরিশাল পাওয়ারপ্লেতে চিটাগংয়ের সমান ৫৭ রান তুলে ফেলে। তামিম-হৃদয়ের ওপেনিং জুটি ৪৯ বলে যোগ করে ৭৬ রান। নবম ওভারে এসে বরিশাল ধাক্কা খায় তামিম (৫৪) আর ডেভিড মালানকে (১) হারিয়ে।
তবে সে ধাক্কা পুষিয়ে দিয়েছেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের ২৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটা বরিশালকে পৌঁছে দিয়েছে জয়ের অনেকটা কাছে। বাকি কাজ সারেন রিশাদ হোসেন, অপরাজিত ৬ বলে ১৮ রান করে। শেষ ওভারের ৮ রানের সহজ সমীকরণ মেলাতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি তাঁদের। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টুর্নামেন্টজুড়ে, কালও বড় রান তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছে তামিমের ২৪ বলে ফিফটি। ফাইনালের নায়ক তাই তিনিই।
টস জিতে চিটাগংকে ব্যাটিয়ে পাঠিয়েছিল বরিশাল। ফাইনালে যে বাড়তি চাপ কাজ করে, সেটি এক পাশে সরিয়ে ভালো উইকেট দুই হাতে কাজে লাগিয়েছেন চিটাগংয়ের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আর খাজা নাফি। পাওয়ারপ্লেতেই তাঁরা তুলে ফেলেন ৫৭ রান। বরিশালের বোলাররা যেন কোনো সূত্রই খুঁজে পাচ্ছিলেন না চিটাগংয়ের দুই ওপেনারকে আটকাতে। পাওয়ারপ্লেতেই চিটাগং তুলে ফেলে ৫৭ রান।
বিপিএলের ইতিহাসে ফাইনালের কোনো ওপেনিং জুটিই তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। কাল সেটি হয়েছে। নাফি-ইমনের জুটি থামে ১২১ রানে, বিপিএলের ফাইনালে এটিই কোনো ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ।
সব মিলিয়ে যেকোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এটি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। ইবাদত হোসেনের বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হওয়ার আগে নাফি করে যান ৬৬ রান। তবে থামেননি ইমন, টুর্নামেন্টের নিজের সেরা ইনিংসটা যেন জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। ফিফটি করেছেন ৩০ বলে। সেঞ্চুরিটা আর করা হয়নি, ইমন অপরাজিত ৪৯ বলে ৭৮ রান করে। ইমনের সঙ্গে শেষ দিকে গ্রাহাম ক্লার্কের ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করেই চিটাগং পেয়ে যায় ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় স্কোর।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও হারের পেছনে চিটাগংয়ের বাজে ফিল্ডিং আর বোলারদের অতিরিক্ত রানও কম দায়ী নয়। শিরোপা ধরে রেখে বরিশাল যেমন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল, স্বস্তির একটা নিশ্বাস ফেললেন বিসিবির আয়োজকেরাও—বিতর্কিত টুর্নামেন্টের শেষটা হয়েছে যে দারুণ এক ফাইনাল দিয়ে।
অভিষেক ম্যাচে হামজা চৌধুরী দেখেছিলেন জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু গোল মিসের মহড়া সাজানো বাংলাদেশ পারেনি হামজাকে জয় উপহার দিতে, পারেনি ভারতের বিপক্ষে কোনো গোল করতে। তাই কিছুটা আক্ষেপ তো হামজা করতেই পারেন। কিন্তু তা নিয়ে খুব একটা মন খারাপ নেই তাঁর। ফুটবলে এমনটা যে হয়েই থাকে।
৪ ঘণ্টা আগেক্যামেরার সামনেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে মানোলো মারকেসের রাগ। সংবাদ সম্মেলনে এসে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না ভারতের কোচ। আত্মসমালোচনা তো বটেই, শিষ্যদের তুলোধুনো করার কিছুই বাকি রাখেননি তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেফিল সিমন্স বাংলাদেশের প্রধান কোচ হয়েছেন গত অক্টোবরে। তাঁর স্বল্পকালীন মেয়াদ ছিল ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। তিনি যে দীর্ঘ মেয়াদেও বাংলাদেশ দলের কোচ হচ্ছেন, সেটা অনুমিতই ছিল। আজ বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সিমন্স বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করবেন ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে আফ্রিকা
৬ ঘণ্টা আগেইফতারের পরই সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তামিম ইকবালকে। সন্ধ্যার কিছু পর তামিমকে হুইলচেয়ারে বের করে আনা হয় কেপিজে হাসপাতাল থেকে।
৬ ঘণ্টা আগে