
এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।

স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি ভালোভাবেই জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল,পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক।
১৮ মিনিট আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি ভালোভাবেই জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল,পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক। এবার তাঁর অভিষেক হচ্ছে আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। এই টুর্নামেন্টে তিনি দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন। গতকাল রাতে তিনি আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন। বিমানে ওঠার পর একটি সেলফি তুলে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার লিখেছেন, ‘২০২৫ আইএল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দিচ্ছি। দুবাই ক্যাপিটালস পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে তর সইছে না।’
বিপিএল ছাড়া বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যেমন আইপিএল, পিএসএল, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএলে তিনি পাঁচটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। ৬০ ম্যাচে ৮.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। ২০২৪ আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে ৯.২৬ ইকোনমিতে বোলিং করলেও ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দারুণ বোলিংয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। চেন্নাই তো তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিল গত বছর। আর গতবার ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের পর অস্ট্রেলিয়ার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক খেলেননি। তাঁর পরিবর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস নিয়েছিল মোস্তাফিজকে। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে বিশ্বমানের ক্রিকেটার আখ্যা দিয়ে কদিন আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ শন টেইট বলেছিলেন, ‘সে একটা দারুণ মাত্রা তৈরি করেছে। সব সময় ভালো পারফর্ম করে আসছে ও সেরা খেলোয়াড়রা এমনটাই করে থাকে। আইপিএল থেকে শুরু করে সবখানে তাকে চায়।’
দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে এ বছরের জুলাইয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে নিয়েছে এমআই এমিরেটস। যদিও গতকাল রাতে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ মেলেনি তাঁর। ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিনে থাকা তিন দল হচ্ছে গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স ও ডেজার্ট ভাইপার্স। দুবাই ক্যাপিটালসকে মঙ্গলবার রাতে এবারের আইএল টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স।

স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি ভালোভাবেই জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল,পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক। এবার তাঁর অভিষেক হচ্ছে আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। এই টুর্নামেন্টে তিনি দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন। গতকাল রাতে তিনি আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন। বিমানে ওঠার পর একটি সেলফি তুলে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার লিখেছেন, ‘২০২৫ আইএল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দিচ্ছি। দুবাই ক্যাপিটালস পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে তর সইছে না।’
বিপিএল ছাড়া বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যেমন আইপিএল, পিএসএল, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএলে তিনি পাঁচটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। ৬০ ম্যাচে ৮.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। ২০২৪ আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে ৯.২৬ ইকোনমিতে বোলিং করলেও ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দারুণ বোলিংয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। চেন্নাই তো তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিল গত বছর। আর গতবার ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের পর অস্ট্রেলিয়ার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক খেলেননি। তাঁর পরিবর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস নিয়েছিল মোস্তাফিজকে। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে বিশ্বমানের ক্রিকেটার আখ্যা দিয়ে কদিন আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ শন টেইট বলেছিলেন, ‘সে একটা দারুণ মাত্রা তৈরি করেছে। সব সময় ভালো পারফর্ম করে আসছে ও সেরা খেলোয়াড়রা এমনটাই করে থাকে। আইপিএল থেকে শুরু করে সবখানে তাকে চায়।’
দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে এ বছরের জুলাইয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে নিয়েছে এমআই এমিরেটস। যদিও গতকাল রাতে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ মেলেনি তাঁর। ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিনে থাকা তিন দল হচ্ছে গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স ও ডেজার্ট ভাইপার্স। দুবাই ক্যাপিটালসকে মঙ্গলবার রাতে এবারের আইএল টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি ভালোভাবেই জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল,পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক।
১৮ মিনিট আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি ভালোভাবেই জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল,পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক।
১৮ মিনিট আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে মোস্তাফিজুর রহমানের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে ছন্দ হারিয়ে ফেলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি ভালোভাবেই জানেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো বটেই, আইপিএল,পিএসএলসহ বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক।
১৮ মিনিট আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১৩ ঘণ্টা আগে