Ajker Patrika

বাংলাদেশের বিবর্ণ বোলিংয়ে সিরিজ নিয়ে গেল আফগানিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেঞ্চুরির পর আফগান ব্যাটার গুরবাজের উচ্ছ্বাস। ছবি: এসিবি
সেঞ্চুরির পর আফগান ব্যাটার গুরবাজের উচ্ছ্বাস। ছবি: এসিবি

আফগান ইনিংসের ৩৯তম ওভারে বাংলাদেশ মিরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে জাকিরের তালুবন্দী হয়ে যখন ফিরলেন সেঞ্চুরিয়ান রহমানুল্লাহ গুরবাজ; তখনো ম্যাচের পাল্লা হেলে আফগানদের অনুকূলে। ১১.২ ওভারে তখন আফগানদের দরকার ৬১ রান। এর কিছু সময় পর ৪১তম ওভারে নাহিদ রানা গুলবাদিন নাইবকে (১) ফিরিয়ে দিলে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ শিবির। ম্যাচে ফিরে আসে উত্তেজনা। তবে সে উত্তেজনা জিইয়ে রেখে আর উইকেট নিতে ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলাররা। ১০ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান।

শারজায় গতকাল ম্যাচ শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই উইকেটে ২৩০‍+ রান করে জেতা সম্ভব। ২৪৪ রান তুলে তাই জয়ের আশাও করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনার গুরবাজের সেঞ্চুরি, আর পাঁচে নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অপরাজিত ফিফটির সুবাদে ম্যাচ জিতে যায় আফগানিস্তান। ২-১ ব্যবধানে সিরিজও।

রান তাড়ায় ৮৪ রানে আফগানিস্তান ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই গুরবাজের ১০০ রানের জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয় আফগানদের। ১২০ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছয়ে ১০১ রান করে গুরবাজ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। তাঁর ৭৭ বলের ইনিংসে ৩টি চার ছাড়াও রয়েছে ৫টি ছয়। শরীফুলকে ছক্কা মেরেই দলের জয় ও সিরিজ নিশ্চিত করেন তিনি। ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন মোহাম্মদ নবি।

এর আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২৪৪ রান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো একটা শুরু পেয়েছিল দল। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিম (১৯) ও সৌম্য সরকার (২৩) ৫৩ রানের জুটি গড়ে দিয়েছিলেন। ৪৯ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ দলীয় ফিফটি করলে ভাবা হয়েছিল বড় স্কোরই করতে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই ইনিংসে লাগে ‘মিনি মড়ক’। বিনা উইকেটে ৫৩ থেকে একপর্যায়ে দলের স্কোর দাঁড়ায় ৫৮/৩!

পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ২৩ রান করে সৌম্য ও ১৯ রান করে আউট হয়ে যান তানজিদ। এই জোড়া ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই রানআউটের শিকার জাকির হাসান। ইনিংসের ১১তম ওভারে ওমরজাইকে পয়েন্টে ঠেলেই সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মিরাজ। জাকিরও যখন চলে এসেছেন, তখন মিরাজ তাঁকে ‘না’ করেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর পৌঁছার আগেই খারোতের সরাসরি থ্রোতে নিরাশ হতে হয় জাকিরকে (৪)।

১২ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ব্যাটিংয়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মিরাজ ও রান খরায় থাকা মাহমুদউল্লাহ। ধৈর্য, রক্ষণ আর আক্রমণের মিশেলে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৪৬তম ওভারে ওমরজাইকে মেরে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান মিরাজ। তাঁর ১১৯ বলের ৬৬ রানের মন্থর ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ‘নতুন’ অধিনায়কের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস নিয়ে দেখার বিষয় ছিল দুটি—বাংলাদেশ ২৫০ পেরোয় কি না, আর মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি পান কি না। কোনোটিই হয়নি। আড়াই শ থেকে ৬ রান দূরে থেকে থেমেছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি থেকে ২ রান আগে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।

সেঞ্চুরি না পেলেও ৯৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ৯৮ রানের ইনিংসটির প্রশংসা করতেই হয়। ধারাপাতের সংখ্যার মতো আগের চার ইনিংসে ০, ১, ২ ও ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহর দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে এটিই সেরা ইনিংস। আর সেটিও তিনি করেছেন পেশিতে টান পড়ার পর মেডিকেল শুশ্রূষা নিয়ে। বল হাতে আফগানদের সবচেয়ে সফল মিডিয়াম পেসার ওমরজাই; ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮

আফগানিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫

ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত