Ajker Patrika

কেন ব্যর্থ বাজবল

অলিভার হল্ট
অ্যাশেজ হারে হতাশাচ্ছন্ন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। পরশু অ্যাডিলেডে। ছবি: এএফপি
অ্যাশেজ হারে হতাশাচ্ছন্ন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। পরশু অ্যাডিলেডে। ছবি: এএফপি

অ্যাডিলেডের রোববারটা নানা প্রতীকে ভরা। ক্রিসমাসের ঠিক আগের এই রোববারে সেন্ট পিটার্স ক্যাথেড্রালে কোরাস দলের ঢিলেঢালা লাল পোশাকের সদস্যরা জড়ো হয়ে চ্যান্সেলে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন, খ্রিষ্টধর্মীয় ভোজনোৎসবের মহড়ার শুরুর অপেক্ষায়। ২০০১ সালে এখানেই হয়েছিল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের স্মরণসভা। অতীতে অ্যাডিলেড ওভালের এক প্রান্তের নাম যে উপাসনালয়ের নামে—কিং উইলিয়াম রোড ধরে কয়েক শ গজ দূরের সেই গির্জায় টেস্ট ক্রিকেটাররা কখনো কখনো খানিকটা মানসিক শান্তি খুঁজতে আশ্রয় নিতেন।

কিন্তু ক্রিসমাসের আগের শেষ সে রোববারে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের কেউ ক্ষমা প্রার্থনা করতে আসেননি, কেউ প্রার্থনায় মুক্তি খোঁজেননি। টানা তৃতীয় টেস্টে বিধ্বস্ত হয়ে হারার আশঙ্কা আর মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই ‘টাইটানিক লড়াই’ হিসেবে প্রচারিত সিরিজে অ্যাশেজ হারানোর ভয় থেকে বাঁচার আকুতি জানাতেও দেখা যায়নি দলের কাউকে।

তার বদলে তাঁরা আশ্রয় খুঁজেছেন ড্রেসিংরুমে; যেখানে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস গড়ে তুলেছেন ‘ভাইয়ের দল’সুলভ এক বন্ধন, যার উদ্দেশ্য বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে হেসে ওঠা।

অ্যাডিলেড টেস্টের শেষ দিনটি ছিল কার্যত ‘বাজবল’-এর শেষকৃত্যের। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া রেকর্ড ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুধু লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাই প্রশংসনীয় লড়াই করলেন। কিন্তু স্কট বোল্যান্ডের বল জশ টাংয়ের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে যখন তালুবন্দী হলেন মার্নাস লাবুশেনের, তখনই অ্যাশেজ রোমাঞ্চের সমাপ্তি।

৮২ রানে হার ইংল্যান্ডের। পার্থ ও ব্রিসবেনের পর টানা তৃতীয় হার। সিরিজে ৩-০। মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই অ্যাশেজ হাতছাড়া। অস্ট্রেলিয়া প্রতিটি বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে বুঝিয়ে দিল, টেস্ট ক্রিকেট মানে শৃঙ্খলা, নিরবচ্ছিন্ন চাপ আর নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সেখানে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ দর্শন নগ্ন হয়ে পড়ল—দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার এক আরামদায়ক অজুহাত হিসেবে।

এটা বুঝতে শুরু করেছিলেন খোদ বেন স্টোকস নিজেও। তিনি চেয়েছিলেন বাজবল বদলে যাক, বিকশিত হোক। খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও ‘লড়াকু মানসিকতা দেখতে চেয়েছিলেন। অ্যাডিলেডে আসার আগেই বাজবল তার বিশুদ্ধ রূপ হারাতে বসেছিল। ম্যাচ শেষে স্টোকস বললেন, বাইরের চাপ কমানোই ছিল এই দর্শনের মূল লক্ষ্য। ভুল হলে তা থেকে শেখার কথাও বললেন তিনি। জ্যাক ক্রলির দ্বিতীয় ইনিংসের উদাহরণ টেনে জানালেন, পরিস্থিতি বুঝে খেলাটাই আসল।

তবু বাস্তবতা কঠিন। ইংল্যান্ড এখন মেলবোর্নে যাচ্ছে সিরিজ হারের যন্ত্রণা উপশমের প্রলেপের খোঁজে, নতুন করে ভাবতে—এরপর কী? নিছক আগ্রাসন নয়, চাই বাস্তববাদী ও দীপ্ত পথচলা; যেখানে শৈল্পিকতা থাকবে, কিন্তু সে শৈল্পিকতায় থাকবে দায়িত্ববোধও। আর যদি এর একটা নাম দিতেই হয়, তবে তার স্রষ্টার নামেই ডাকা যায়—‘বেনবল’।

অনেকে বাজবলের পতনে আনন্দ পাবে। তাদের চোখে এটি ছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন সাহসিকতা, ক্রিকেটের মতো গম্ভীর খেলাকে হালকা করে দেখার এক দর্শন। আর বাজবল খেলাটাকে বদলাতে চেয়েছিল বলেও অনেকেই একে ঘৃণা করেছে। তবে অ্যাডিলেডে ‘পুরোনো ধাঁচে’ হেরে যাওয়াতেও বিশেষ সান্ত্বনা নেই।

আমিও বাজবলের ভক্ত। টেস্ট ক্রিকেটে যে দুঃসাহস, রোমাঞ্চ আর অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে এই বাজবল, তা উপভোগ করেছি। কিন্তু এই সফরে ম্যাককালাম নিজের দর্শনের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নে অতিরিক্ত ‘ফ্রিস্টাইল’ নীতি নিয়েছিলেন। এই অ্যাশেজ বিপর্যয়ের দায় যদি কারও কাঁধে পড়তেই হয়, তবে সেটি তাঁরই।

হ্যাঁ, এই নির্মম সিরিজে বাজবলকে সিংহাসনচ্যুত করা হয়েছে। হয়তো তাঁর সময় শেষ। কিন্তু তাঁর আগের যুগের নিরানন্দ, পরাজয় মানা ক্রিকেটে ফেরার আকাঙ্ক্ষা—সেটা যেন আর কখনো না ফিরে আসে।

লেখক: ডেইলি মেইলের প্রধান ক্রীড়া লেখক (ডেইলি মেইল থেকে সংক্ষেপিত)।

থাকতে চান ম্যাককালাম

অ্যাশেজে হতাশাজনক পরাজয়ের পরও নিজের দায়িত্বে অটল থাকতে চান ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর ভবিষ্যৎ এখন নিজের হাতে নেই। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। পদত্যাগের প্রশ্নে ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে ম্যাককালাম বলেন, ‘আমি শুধু আমার কাজটা করে যাওয়ার চেষ্টা করব। যেসব জায়গায় আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারিনি, সেগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব এবং কিছু সমন্বয় আনার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত