ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।
ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।
বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।
এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।
২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।
টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।
সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।
সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।
ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।
বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।
ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।
ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।
ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।
বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।
এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।
২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।
টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।
সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।
সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।
ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।
বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।
ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।
ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।
ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।
ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।
বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।
এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।
২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।
টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।
সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।
সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।
ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।
বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।
ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।
ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
ইন্টারকে দারুণ সময়ে এনে দেওয়া ইনজাঘিও রীতিমতো মাস্টারমাইন্ড! ২০২৩ ফিফা বেস্ট মেন্স কোচের তালিকায় তিন নম্বর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে ক্লাব ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় ধারে খেলে কেটেছিল ইনজাঘির। ইতালির জাতীয় দলেও তাঁর সমৃদ্ধ কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। এ স্ট্রাইকারের খেলার সুযোগই হয়েছিল তিন ম্যাচে।
ইনজাঘির কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও দীপ্তহীন। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত লাৎসিও তাঁর অধীনে খেলেছে। খেলোয়াড় জীবনে যেটুকু নাম কুড়িয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে, কোচ হিসেবে পাঁচ বছরে ট্রফির ক্যাবিনেটটা ফাঁকা রেখেই বিদায় নেন। তবু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়েছেন লাৎসিওতেই। ক্লাবটিকে সুপারকোপা ইতালিয়ানায় দুবার ফাইনালে গেছেন। দুই বারই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ১২ মৌসুম পর ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো লাৎসিও শেষ ষোলোয় খেলেছে তাঁর অধীনে।
বিদায় মানে বিদায় নয়, নতুন করে শুরু। কথাটা দৃঢ় সংকল্পের ইনজাঘিরাই বেশ ভালো জানেন। লাৎসিও থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই ক্যাবিনেটে ট্রফি সাজানোর উন্মাদনায় মাতলেন এ ইতালিয়ান কোচ। ২০২১-২২ প্রথম মৌসুমেই অধরা সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতলেন ইন্টারের হয়ে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে জিতলেন কোপা ইতালিয়া।
এ পর্যন্ত ইনজাঘির সবচেয়ে বড় অর্জন ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইন্টারকে জেতালেন সিরি আ। ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলান তাঁর অধীনে খেলেছে ফাইনাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর ১-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। না হলে ক্লাব ফুটবলের বড় অর্জনটা সেদিনই হয়ে যেত।
২০০৯-১০ সালে হোসে মরিনহো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন ইন্টারকে। ১২ মৌসুম পর ইনজাঘি আবারও তাদের তুলেছিলেন ফাইনালে। এবার এই ইন্টার যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। চলতি মৌসুমেও সিরি আ’য় শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জাদুকরী ফুটবলে মেতেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন মিউনিখের ডেরা থেকে ২-১ গোলে জিতে কাল তারা সান সিরোতে নামবে দ্বিতীয় লেগে।
টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে ইন্টারের ছাপ যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ট্যাকটিক্স সবকিছুতেই যেন তাদের এক ধরনের ভারসাম্য আর গভীরতা আছে, যেটা যেকোনো বড় দলের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। কোয়ার্টারের প্রথম লেগে এরই মধ্যে টের পেয়েছে বায়ার্ন।
সিমোন ইনজাঘির মতো এক এক ক্লাসি মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়ালে, যেকোনো দলের জন্যই মাঠে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়ানো ইনজাঘিই ইন্টারের বড় অস্ত্র বললে ভুল হবে না। মানুষটা কৌশলগতভাবে তাঁর মেধার বিস্তার যেভাবে ঘটান, ম্যাচের ভেতর ভেতরেই পুরো গেমপ্ল্যান ঘুরিয়ে দেওয়ার দারুণ দক্ষতা তাঁর।
সম্প্রতি লিওনেল স্কালোনি ব্রাজিলকে ‘মধ্যে মাঠেই’ গিলে ফেলেছিলেন। আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন এক না হলেও ইনজাঘিও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছেন মাঝমাঠে। ৩-৫-২ ফরমেশনকে যেন শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যাক-থ্রি দিয়ে ডিফেন্সে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন, আর মিডে পাঁচজনকে দিয়ে এমনভাবে প্রেস করে, প্রতিপক্ষ বক্সেই যেতে পারে না সহজে। বারেল্লা, চালহানোগলু, মিখিতারিয়ান–এদের মতো মিডফিল্ডাররা শুধু বল কন্ট্রোল করে না, বরং প্রতিপক্ষের পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়, আর সুযোগ পেলেই ফরোয়ার্ডদের জন্য খুনে থ্রু পাস দেন।
ডিফেন্সে আছে ‘দ্য ওয়াল’ আলেসান্দ্রো বাস্তোনি—বর্তমান ফুটবলের আদর্শ সেন্টার-ব্যাক। ফিজিক্যাল উপস্থিতি, আছে বল পায়ে আত্মবিশ্বাস, আর আছে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তোনির পাসগুলো এতটাই নিখুঁত হয়। ইন্টার অনেক সময় সেখান থেকেই আক্রমণ সাজায়।
বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ ও ডেনজেল ডামফ্রিজ বিসেকের মতো স্কিলফুল ডিফেন্ডাররা আছেন। ডেভ্রাই যেখানে বক্সে ট্যাকলিং আর ব্লকে ভয়ংকর, পাভার্ড ঠিক তেমনই দারুণ পজিশনিং আর বল প্রগ্রেশনেও পারদর্শী। বাস্তোনি, বেনজামিন পাভার্ড, স্টেফান ডেভ্রিজ মিলে গড়ে তুলেছেন এমন এক ডিফেন্সিভ ইউনিট, যেটা শুধু গোল ঠেকাতেই নয়, আক্রমণ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ইন্টারের বড় হাইলাইট হচ্ছে ওদের উইং-ব্যাক সিস্টেম। ফেদেরিকো দিমার্কো আর ডামফ্রিজ কতটা ভয়ংকর, বেশ ভালো জনার কথা ফুটবল ভক্তদের। ওরা শুধু লাইন ধরে দৌড়ায় না, বরং ক্রস দেয়, কাটব্যাক দেয়, এমনকি সুযোগ পেলে নিজেরাও শট নেয়। ইনজাঘির সিস্টেমে এরা পুরো এক্স-ফ্যাক্টর।
ফরোয়ার্ডে লাউতারো মার্তিনেজ-মার্কাস থুরাম জুটি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ইন্টার মিলান মানেই যেন লাউতারো। গত কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগের মেরুদণ্ডে তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার থুরাম, আর এই নতুন জুটিটা যেন মাঠে চোখে লেগে থাকার মতো। মার্তিনেজ বল ধরে রেখে খেলাটা গড়ে তোলেন, আর থুরামের দারুণ টাইমিং। বল পায়ে থুরামের গতিও বেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা প্রায়ই তাল হারিয়ে ফেলে। মার্তিনেজ-থুরামের বোঝাপড়া, মুভমেন্ট, আর স্পেস খোঁজার দক্ষতা ইন্টারের আক্রমণকে করে তুলেছে আরও ভয়ংকর।
ইনজাঘির ট্যাকটিক্স, বারেল্লার রান, থুরাম-মার্তিনেজ জুটি, দিমার্কো-ডামফ্রিজের উইং প্লে—সব মিলিয়ে এই ডার্ক হর্স ইন্টারের বিস্ফোরণে যেকোনো দলই পুড়তে পারে। নিজেদের মাঠে হেরে সান সিরোতে বায়ার্নের ‘ইন্টার’ পাশ তাই করা সহজ হওয়ার কথা নয়।

ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার...
৬ ঘণ্টা আগে
গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে
৮ ঘণ্টা আগে
সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি তাঁর হাতেই উঠবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। লামিনে ইয়ামাল, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রাফিনিয়াদের পেছনে ফেলে ফরাসি এই ফরোয়ার্ড জিতে নিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এই পুরস্কার।
আলো ছড়ানো বছরে এর আগে ব্যালন ডি’অর তথা ইউরোপসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন দেম্বেলে। এবার ফিফা দ্য বেস্ট জিতে হয়ে গেলেন বিশ্বসেরাও। মেয়েদের বিভাগে ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। স্প্যানিশ এই নারী ফুটবলার এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জিতলেন এই পুরস্কার। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট হয়েছেন দেম্বেলে।
২০২৪ সালের ১১ অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২ অগাস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্সের বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার। এই সময়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন পিএসজিকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই সময়ে ৩৫ গোল করেন তিনি, সতীর্থদের গোল করিয়েছেন আরও ১৬টি। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তিনিই ছিলেন এগিয়ে। ব্যালন ডি’অরের পর ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার জয় তাঁর সে অর্জনেরই স্বীকৃতি।
কাতারের রাজধানী দোহার ফেয়ারমন্ট কাতারা হলে ফিফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দেম্বেলের হাতে তুলে দেওয়া বর্ষসেরার ট্রফি। অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন লুইস এনরিকে। নারী বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন সারিনা ভিগমান। বর্ষসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন পুরুষ বিভাগে জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ও নারী বিভাগে সারিনা ভিগমান। ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। এর বাইরেও অনলাইনে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ফুটবলপ্রেমী।

ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি তাঁর হাতেই উঠবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। লামিনে ইয়ামাল, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রাফিনিয়াদের পেছনে ফেলে ফরাসি এই ফরোয়ার্ড জিতে নিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এই পুরস্কার।
আলো ছড়ানো বছরে এর আগে ব্যালন ডি’অর তথা ইউরোপসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন দেম্বেলে। এবার ফিফা দ্য বেস্ট জিতে হয়ে গেলেন বিশ্বসেরাও। মেয়েদের বিভাগে ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। স্প্যানিশ এই নারী ফুটবলার এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জিতলেন এই পুরস্কার। তবে এবারই প্রথমবারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট হয়েছেন দেম্বেলে।
২০২৪ সালের ১১ অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের ২ অগাস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্সের বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার। এই সময়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন পিএসজিকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই সময়ে ৩৫ গোল করেন তিনি, সতীর্থদের গোল করিয়েছেন আরও ১৬টি। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তিনিই ছিলেন এগিয়ে। ব্যালন ডি’অরের পর ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার জয় তাঁর সে অর্জনেরই স্বীকৃতি।
কাতারের রাজধানী দোহার ফেয়ারমন্ট কাতারা হলে ফিফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দেম্বেলের হাতে তুলে দেওয়া বর্ষসেরার ট্রফি। অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন লুইস এনরিকে। নারী বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন সারিনা ভিগমান। বর্ষসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন পুরুষ বিভাগে জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা ও নারী বিভাগে সারিনা ভিগমান। ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। এর বাইরেও অনলাইনে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ফুটবলপ্রেমী।

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে
৮ ঘণ্টা আগে
সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের অংশ হিসেবে আগামী মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। লম্বা সংস্করণে আপাতত কোনো সিরিজ না থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই চুক্তি শেষ করলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
আজহারের অধীনে একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেই সিরিজটি ১-১ ড্র করে দলটি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দেন আজহার। সাদা বলের ক্রিকেটে গ্যারি কার্স্টেন এবং লাল বলের ক্রিকেটে জেসন গিলেস্পির ডেপুটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার আগের মাসে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে একটি সাদা বলের সিরিজেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দলটির বোলিং কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন আজহার।
পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়িত্ব ছেড়ে আজহার বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমাকে নিয়োগ দিয়েছিল। পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই সময়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। দলের সামনের দিনগুলোর জন্য শুভকামনা জানাই।’

গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের অংশ হিসেবে আগামী মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। লম্বা সংস্করণে আপাতত কোনো সিরিজ না থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই চুক্তি শেষ করলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
আজহারের অধীনে একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেই সিরিজটি ১-১ ড্র করে দলটি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দেন আজহার। সাদা বলের ক্রিকেটে গ্যারি কার্স্টেন এবং লাল বলের ক্রিকেটে জেসন গিলেস্পির ডেপুটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার আগের মাসে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে একটি সাদা বলের সিরিজেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দলটির বোলিং কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন আজহার।
পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়িত্ব ছেড়ে আজহার বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমাকে নিয়োগ দিয়েছিল। পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই সময়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। দলের সামনের দিনগুলোর জন্য শুভকামনা জানাই।’

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার...
৬ ঘণ্টা আগে
শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে
৮ ঘণ্টা আগে
সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। তবে সাবেকদের পাশাপাশি এবার মিলন মেলা হয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদেরও। অলস্টার টি-টোয়েন্টি শিরোনামের ম্যাচে সন্ধ্যা মুখোমুখি হয়েছিল টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন অপরাজেয় দল এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন অদম্য দল। বিজয় দিবসের এই প্রদর্শনী ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছে মিরাজের দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করে অপরাজেয় ৯ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় শান্তর দল। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান জাতীয় দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর জিশান আলমের সঙ্গে শান্তর ৫০ রানের জুটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জিশান আলম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাটে।
লক্ষ্য তাড়ায় ৪৮ রানের মধ্যে মিরাজের দল ২ উইকেট খুইয়ে ফেললেও এবারের বিপিএলে নিলামে কোটি টাকারও বেশি দাম পাওয়া নাঈম শেখ ৪৪ বলে ৭৬ রান তুলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। শেষ দিকে খেলা বল আর রানের সমীকরণে চলে এলেও অধিনায়ক মিরাজ (১৪ *) ও সাইফউদ্দিন (৫ *) অপরাজিত থেকে ১৯.২ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকালে বিজয় দিবসের আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে শহীদ মুশতাক একাদশ ৩৮ রানে হারিয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশকে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ১৫ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন শহীদ মুশতাক একাদশ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তোলে। লক্ষ্য তাড়ায় শহীদ জুয়েল একাদশ ১৫ ওভার খেললেও ৪ উইকেটে ১০০ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
শহীদ মুশতাক একাদশের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। তাঁর ২৬ বলে সাজানো ইনিংসটিতে আছে ২টি চার ও ৪টি ছয়। দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২* করেন তুষার ইমরান। লক্ষ্য তাড়ায় শাহরিয়ার নাফিস ৩৬ এবং তালহা জুবায়ের ২৬* রান করলেও ১০০ রানের বেশি তুলতে পারেনি মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বধীন শহীদ জুয়েল একাদশ।
বিজয় দিবসের এই খেলায় জয় পরাজয়টাই বড় কিছু নয়, বিজয়ের আনন্দে ডুবে খেলাটাই আসল। দুই দলের ক্রিকেটাররা সেই চেষ্টাই করেছেন।

শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। তবে সাবেকদের পাশাপাশি এবার মিলন মেলা হয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদেরও। অলস্টার টি-টোয়েন্টি শিরোনামের ম্যাচে সন্ধ্যা মুখোমুখি হয়েছিল টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন অপরাজেয় দল এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন অদম্য দল। বিজয় দিবসের এই প্রদর্শনী ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছে মিরাজের দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করে অপরাজেয় ৯ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় শান্তর দল। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান জাতীয় দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর জিশান আলমের সঙ্গে শান্তর ৫০ রানের জুটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জিশান আলম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাটে।
লক্ষ্য তাড়ায় ৪৮ রানের মধ্যে মিরাজের দল ২ উইকেট খুইয়ে ফেললেও এবারের বিপিএলে নিলামে কোটি টাকারও বেশি দাম পাওয়া নাঈম শেখ ৪৪ বলে ৭৬ রান তুলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। শেষ দিকে খেলা বল আর রানের সমীকরণে চলে এলেও অধিনায়ক মিরাজ (১৪ *) ও সাইফউদ্দিন (৫ *) অপরাজিত থেকে ১৯.২ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকালে বিজয় দিবসের আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে শহীদ মুশতাক একাদশ ৩৮ রানে হারিয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশকে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ১৫ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন শহীদ মুশতাক একাদশ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তোলে। লক্ষ্য তাড়ায় শহীদ জুয়েল একাদশ ১৫ ওভার খেললেও ৪ উইকেটে ১০০ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
শহীদ মুশতাক একাদশের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। তাঁর ২৬ বলে সাজানো ইনিংসটিতে আছে ২টি চার ও ৪টি ছয়। দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২* করেন তুষার ইমরান। লক্ষ্য তাড়ায় শাহরিয়ার নাফিস ৩৬ এবং তালহা জুবায়ের ২৬* রান করলেও ১০০ রানের বেশি তুলতে পারেনি মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বধীন শহীদ জুয়েল একাদশ।
বিজয় দিবসের এই খেলায় জয় পরাজয়টাই বড় কিছু নয়, বিজয়ের আনন্দে ডুবে খেলাটাই আসল। দুই দলের ক্রিকেটাররা সেই চেষ্টাই করেছেন।

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার...
৬ ঘণ্টা আগে
গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।
মিনি নিলাম থেকে চমক উপহার দিয়ে কলকাতা যেসব ক্রিকেটারকে দলে টেনেছে মোস্তাফিজুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশিদের মধ্যে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ রুপিতে এই পেসারকে নিয়েছে শাহরুখ খানের দল। কাটার মাস্টারকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কলকাতা। নিজেদের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মোস্তাফিজের কাটার দেখতে মুখিয়ে আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
মোস্তাফিজকে নিয়ে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দুটি পোস্ট করেছে কলকাতা। একটি পোস্টে বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ছবিসহ টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাপশনে কলকাতা লিখেছে, ‘মাঠ প্রস্তুত, সুইং (কাটার) নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। ফিজকে তার কাজটি করতে দেওয়ার সময় এসেছে।’
আরেকটি পোস্টে মোস্তাফিজকে নিয়ে কিছুটা রসিকতা করেছে কলকাতা। সামনে বিরিয়ানির থালা নিয়ে বসে থাকা বাঁ হাতি পেসারের একটি ছবি পোস্ট করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ক্যাপশনে বাংলায় লিখেছে, ‘মোস্তাফিজের সুইং এখন ইডেনে।’
২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। সে আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। কলকাতা আইপিএলের তাঁর ষষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। বোলিং গড় ২৮.৪৪ এবং স্ট্রাইকরেট ৮.১৩।

সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে ২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে অংশ নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চেয়ে তাই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জন্য ভালো খেলোয়াড় কেনার সুযোগ বেশি ছিল। সে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে কলকাতা। স্কোয়াডে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে তারা।
মিনি নিলাম থেকে চমক উপহার দিয়ে কলকাতা যেসব ক্রিকেটারকে দলে টেনেছে মোস্তাফিজুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশিদের মধ্যে রেকর্ড ৯ কোটি ২০ রুপিতে এই পেসারকে নিয়েছে শাহরুখ খানের দল। কাটার মাস্টারকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কলকাতা। নিজেদের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মোস্তাফিজের কাটার দেখতে মুখিয়ে আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
মোস্তাফিজকে নিয়ে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দুটি পোস্ট করেছে কলকাতা। একটি পোস্টে বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ছবিসহ টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাপশনে কলকাতা লিখেছে, ‘মাঠ প্রস্তুত, সুইং (কাটার) নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। ফিজকে তার কাজটি করতে দেওয়ার সময় এসেছে।’
আরেকটি পোস্টে মোস্তাফিজকে নিয়ে কিছুটা রসিকতা করেছে কলকাতা। সামনে বিরিয়ানির থালা নিয়ে বসে থাকা বাঁ হাতি পেসারের একটি ছবি পোস্ট করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ক্যাপশনে বাংলায় লিখেছে, ‘মোস্তাফিজের সুইং এখন ইডেনে।’
২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। সে আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন। কলকাতা আইপিএলের তাঁর ষষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। বোলিং গড় ২৮.৪৪ এবং স্ট্রাইকরেট ৮.১৩।

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে যতটা হাইপ—ইন্টার মিলান ঠিক বিপরীত মেরুতে। নিভৃতে যেন বাধা ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে ছুটছে সিমোন ইনজাঘির ‘আন্ডাররেটেড মাস্টারপিস’। যারা ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইন্টারের খেলা দেখেন তাঁরা হয়তো ইনজাঘির মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল স্কালোনিরও মাঝে মাঝে সমন্বয়ও খুঁজে পেতে পারেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়ও। এখানেই শেষ নয় গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল উসমান দেম্বেলের বড় ভূমিকা। তাই আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ তথা ফিফার...
৬ ঘণ্টা আগে
গত জুনে পাকিস্তান টেস্ট দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পান আজহার মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি ছিল আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ মানেই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল এবং শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সালে প্রথম হওয়া এই ক্রিকেট ম্যাচ প্রতিটি বিজয় দিবসেই দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা। নিয়ম মেনে এবারও হয়েছে এই ম্যাচের আড়ালে
৮ ঘণ্টা আগে