নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সুফল জনগণ ভোগ করতে হলে আগে উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ‘ফ্যাসিস্টমুক্ত’ করার কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিস্টদের (বিচারপতি) বহাল রেখে যতই আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা করি না কেন, এর সুবিধাভোগী এরাই (ফ্যাসিস্টরা) হবে। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, ফ্যাসিস্টমুক্ত হতে হবে উচ্চ এবং নিম্ন আদালত। তারপরে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে কার্যকর হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের নবম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলে সালাহউদ্দিন আহমেদ।
উচ্চ এবং নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের মুক্ত করা বিষয়ে সাহলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিকসহ সমাজের সমস্ত শ্রেণি পেশার মানুষকে তারা অবৈধভাবে সাজা দিয়েছে। সেই ফ্যাসিস্টদেরকে যেন আমরা রক্ষা না করি, আমরা চাই উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে যাতে ফ্যাসিস্টের দোসরেরা না থাকে।’
ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখন যাদের বিরুদ্ধে বদলি, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এটা যথেষ্ট নয়। তাদের অপরাধের জন্য নির্দিষ্ট করে শুধু চাকরি গেলে হবে না, অপরাধের জন্য তাদের বিচারও করতে হবে। যদি আমরা সেটি নিশ্চিত করতে পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কার্যকর হবে, তা ছাড়া উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিস্টদেরকে বহাল রেখে যতই আমরা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা করি না কেন, সেটার সুবিধা এরাই ভোগ করবে। এদের মাধ্যমে যদি বিচার ব্যবস্থা কার্যকর হয়, যতই আমরা কড়া আইন করি এটার অপব্যবহার তারাই করবে এবং এখনই করছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, জেলা পর্যায়ে থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যারা দোসর ছিল, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সব তো ১.২ তে বেল (জামিন) হয়ে যাচ্ছে। এসব কারা করছে, করছে তো এই ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা।’
ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ গুলো বিভাগগুলোতে স্থাপনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা চাই বিচারিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছোক। সে জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ গুলো বিভাগীয় শহরে স্থাপন হোক এটা আমরা চাই। তবে সে ক্ষেত্রে আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে তার অনুমতি বা পরামর্শের কথা আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করের এটি করা যায়। এভাবেই যদি জাতীয় সনদ সৃষ্টি হয় সেখানে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি। এটা সবার মঙ্গল এবং সুবিধার জন্য আমরা বলেছি।’
বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে একমত পোষণ করার বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা এই সময়ে এসে সংবিধানে এমন কিছু পরিবর্তন করতে পারব না, যে পরিবর্তন পরবর্তীতে টিকবে না। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এখন যে পর্যায়ে আছি, এখানে জনগণ ও রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দায় অনেক বেশি। আমরা এখানেই রাজনৈতিকভাবে মতামত দিচ্ছি না, জনগণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য সার্বিকভাবে মতামত দিচ্ছি। এখানে কোনোভাবেই রাজনৈতিক বিবেচনা থাকার কথা না।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিগত সময় দেখেছি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার যথেষ্ট অপব্যবহার হয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ বড় বড় অপরাধ করা আসামিদের ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞের একটা উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশে এটার মাধ্যমে আলোচনায় আসছে এই ক্ষমতাটা রাষ্ট্রপতির হাতে এভাবে অবারিত থাকা উচিত কি না। সেই সেন্টিমেন্ট এর সঙ্গে একমত পোষণ করে, আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমতা প্রয়োগের একটা বিধান আনা যায় কি না এবং কে আইনি একটা পরামর্শ সভা বা বোর্ড রাখা যায় কি না, এ ছাড়া এর সঙ্গে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় কি না, কি পদ্ধতি অনুসরণ অনুসরণ করেই ক্ষমা প্রদর্শনীর বিষয়টি করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছি, রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাটা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।’
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সুফল জনগণ ভোগ করতে হলে আগে উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ‘ফ্যাসিস্টমুক্ত’ করার কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিস্টদের (বিচারপতি) বহাল রেখে যতই আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা করি না কেন, এর সুবিধাভোগী এরাই (ফ্যাসিস্টরা) হবে। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, ফ্যাসিস্টমুক্ত হতে হবে উচ্চ এবং নিম্ন আদালত। তারপরে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে কার্যকর হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের নবম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলে সালাহউদ্দিন আহমেদ।
উচ্চ এবং নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের মুক্ত করা বিষয়ে সাহলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিকসহ সমাজের সমস্ত শ্রেণি পেশার মানুষকে তারা অবৈধভাবে সাজা দিয়েছে। সেই ফ্যাসিস্টদেরকে যেন আমরা রক্ষা না করি, আমরা চাই উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে যাতে ফ্যাসিস্টের দোসরেরা না থাকে।’
ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখন যাদের বিরুদ্ধে বদলি, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এটা যথেষ্ট নয়। তাদের অপরাধের জন্য নির্দিষ্ট করে শুধু চাকরি গেলে হবে না, অপরাধের জন্য তাদের বিচারও করতে হবে। যদি আমরা সেটি নিশ্চিত করতে পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কার্যকর হবে, তা ছাড়া উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিস্টদেরকে বহাল রেখে যতই আমরা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা করি না কেন, সেটার সুবিধা এরাই ভোগ করবে। এদের মাধ্যমে যদি বিচার ব্যবস্থা কার্যকর হয়, যতই আমরা কড়া আইন করি এটার অপব্যবহার তারাই করবে এবং এখনই করছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, জেলা পর্যায়ে থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যারা দোসর ছিল, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সব তো ১.২ তে বেল (জামিন) হয়ে যাচ্ছে। এসব কারা করছে, করছে তো এই ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা।’
ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ গুলো বিভাগগুলোতে স্থাপনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা চাই বিচারিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছোক। সে জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ গুলো বিভাগীয় শহরে স্থাপন হোক এটা আমরা চাই। তবে সে ক্ষেত্রে আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে তার অনুমতি বা পরামর্শের কথা আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করের এটি করা যায়। এভাবেই যদি জাতীয় সনদ সৃষ্টি হয় সেখানে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি। এটা সবার মঙ্গল এবং সুবিধার জন্য আমরা বলেছি।’
বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে একমত পোষণ করার বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা এই সময়ে এসে সংবিধানে এমন কিছু পরিবর্তন করতে পারব না, যে পরিবর্তন পরবর্তীতে টিকবে না। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এখন যে পর্যায়ে আছি, এখানে জনগণ ও রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দায় অনেক বেশি। আমরা এখানেই রাজনৈতিকভাবে মতামত দিচ্ছি না, জনগণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য সার্বিকভাবে মতামত দিচ্ছি। এখানে কোনোভাবেই রাজনৈতিক বিবেচনা থাকার কথা না।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিগত সময় দেখেছি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার যথেষ্ট অপব্যবহার হয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ বড় বড় অপরাধ করা আসামিদের ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞের একটা উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশে এটার মাধ্যমে আলোচনায় আসছে এই ক্ষমতাটা রাষ্ট্রপতির হাতে এভাবে অবারিত থাকা উচিত কি না। সেই সেন্টিমেন্ট এর সঙ্গে একমত পোষণ করে, আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমতা প্রয়োগের একটা বিধান আনা যায় কি না এবং কে আইনি একটা পরামর্শ সভা বা বোর্ড রাখা যায় কি না, এ ছাড়া এর সঙ্গে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় কি না, কি পদ্ধতি অনুসরণ অনুসরণ করেই ক্ষমা প্রদর্শনীর বিষয়টি করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছি, রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাটা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।’
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ অনুষ্ঠানে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও গোলাম মোহাম্মদ কাদের বর্জন করেছিলেন। তখন সরকার জি এম কাদেরকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ইচ্ছা করলে ২-৪ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারতেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের মঙ্গলের জন্যই দেশকে দ্রুত নির্বাচনের ট্র্যাকে ওঠাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে ও একই থানার দুটি মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানোর নানা ধরনের যে ষড়যন্ত্র, সেটা করতে দেওয়া হবে না।’ আজ বুধবার দুপুরে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার মগাছড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রিজভী। তিনি সেখানে জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা...
১১ ঘণ্টা আগে