ঝালকাঠি প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’
আজ শুক্রবার ঝালকাঠির ফাতেমা কনভেনশন সেন্টারে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচন নাও করতে পারি। কারণ, আপনারা দেখেছেন, বর্তমানে সচিবালয়ে ডিসি ভাগাভাগি চলছে, এসপি ভাগাভাগি চলছে। বড় বড় রাজনৈতিক দল গনিমতের মাল হিসেবে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ কর্মকর্তাদের ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। অথচ তারা হচ্ছে খেলার রেফারি। তাদের প্লেয়ার বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে।’
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কেও আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলছি। আপনারা দেখেছেন, নির্বাচন কমিশন একধরনের ব্যক্তিগত ইচ্ছানির্ভর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যেমন–প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে তাদের কোনো নীতিমালা নেই। কোন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হবে, সেটারও কোনো নীতিমালা নেই। কেন আলু-মুলা যুক্ত করা হয়েছে, তারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। আবার কেন শাপলা কলি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেটাও নীতিমালাবহির্ভূত। অর্থাৎ তারা যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবেই করছে।’
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যেসব লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আমরা জেনেছি, নির্বাচন কমিশনের দেড় কোটি মৃত ভোটার রয়েছে। তাদের আমরা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে “কবর থেকে উঠে ভোট দিতে” দেখেছি।
‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করা এখন অপ্রাসঙ্গিক। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তা এক টেবিলে বসে আলোচনা করা সম্ভব। আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই। যদি থাকত, তবে ৫ আগস্ট তারা পালিয়ে গেল কেন? তখন তো কেউ প্রতিহত করার সাহস করেনি। সুতরাং, তাদের কোনো জনসমর্থন নেই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যারা জিহ্বা, লেখনী ও মিডিয়ার শক্তি দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বৈধতা দিয়েছে, আপনারা দেখেছেন, আগে যদি কোনো ছাত্রদল বা শিবির নেতাকে গুম, হত্যা বা গ্রেপ্তার করা হতো, তখন মিডিয়ায় প্রচার করা হতো যে “তিন শিবিরকর্মী পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে’’। যারা তাদের এই বৈধতা দিয়েছে, তারাই এখন আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে চায়।’
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, ২০২৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে—এই বক্তব্য যারা উৎপাদন করেছে, তারাই এখন টকশোতে এসে ‘নরমালাইজ’ করছে। তারা তখন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল, কিন্তু এখন তারা আবির্ভূত হয়েছে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, লেখক অথবা সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে।
এ সময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, বরিশাল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক পলাশ, জাতীয় শ্রমিক শক্তির সংগঠক নাজমুল ইসলাম টিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’
আজ শুক্রবার ঝালকাঠির ফাতেমা কনভেনশন সেন্টারে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচন নাও করতে পারি। কারণ, আপনারা দেখেছেন, বর্তমানে সচিবালয়ে ডিসি ভাগাভাগি চলছে, এসপি ভাগাভাগি চলছে। বড় বড় রাজনৈতিক দল গনিমতের মাল হিসেবে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ কর্মকর্তাদের ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। অথচ তারা হচ্ছে খেলার রেফারি। তাদের প্লেয়ার বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে।’
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কেও আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলছি। আপনারা দেখেছেন, নির্বাচন কমিশন একধরনের ব্যক্তিগত ইচ্ছানির্ভর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যেমন–প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে তাদের কোনো নীতিমালা নেই। কোন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হবে, সেটারও কোনো নীতিমালা নেই। কেন আলু-মুলা যুক্ত করা হয়েছে, তারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। আবার কেন শাপলা কলি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেটাও নীতিমালাবহির্ভূত। অর্থাৎ তারা যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবেই করছে।’
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যেসব লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আমরা জেনেছি, নির্বাচন কমিশনের দেড় কোটি মৃত ভোটার রয়েছে। তাদের আমরা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে “কবর থেকে উঠে ভোট দিতে” দেখেছি।
‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করা এখন অপ্রাসঙ্গিক। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তা এক টেবিলে বসে আলোচনা করা সম্ভব। আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই। যদি থাকত, তবে ৫ আগস্ট তারা পালিয়ে গেল কেন? তখন তো কেউ প্রতিহত করার সাহস করেনি। সুতরাং, তাদের কোনো জনসমর্থন নেই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যারা জিহ্বা, লেখনী ও মিডিয়ার শক্তি দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বৈধতা দিয়েছে, আপনারা দেখেছেন, আগে যদি কোনো ছাত্রদল বা শিবির নেতাকে গুম, হত্যা বা গ্রেপ্তার করা হতো, তখন মিডিয়ায় প্রচার করা হতো যে “তিন শিবিরকর্মী পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে’’। যারা তাদের এই বৈধতা দিয়েছে, তারাই এখন আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে চায়।’
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, ২০২৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে—এই বক্তব্য যারা উৎপাদন করেছে, তারাই এখন টকশোতে এসে ‘নরমালাইজ’ করছে। তারা তখন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল, কিন্তু এখন তারা আবির্ভূত হয়েছে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, লেখক অথবা সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে।
এ সময় এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, বরিশাল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক পলাশ, জাতীয় শ্রমিক শক্তির সংগঠক নাজমুল ইসলাম টিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওসমান হাদি ভাই সংশ্লিষ্ট সকল পোস্ট, ভিডিওতে স্ট্রাইক এবং সংঘবদ্ধ রিপোর্ট করে আমার অফিশিয়াল পেজটি (৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ার) রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে লিংক শেয়ার করে তাঁর পেজটির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে। বিশেষ করে ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া তিনটি ভিডিওতেই কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন এবং পরে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া পোস্ট, ছবি ও ভিডিওতে অব্যাহত রিপোর্ট ও স্ট্রাইকের কারণে অনেকের আইডি ও পেজে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্র্রধান উপদেষ্টার পেজে হাদি-সংশ্লিষ্ট সব ভিডিও সংঘবদ্ধ রিপোর্ট ও কপিরাইট ক্লেইম করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকের আইডি ও পেজে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে একজন লিখেছেন, তাঁর প্রোফাইল থেকেও হাদি-সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও রিমুভ করা হয়েছে।

সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওসমান হাদি ভাই সংশ্লিষ্ট সকল পোস্ট, ভিডিওতে স্ট্রাইক এবং সংঘবদ্ধ রিপোর্ট করে আমার অফিশিয়াল পেজটি (৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ার) রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে লিংক শেয়ার করে তাঁর পেজটির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে। বিশেষ করে ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া তিনটি ভিডিওতেই কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন এবং পরে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া পোস্ট, ছবি ও ভিডিওতে অব্যাহত রিপোর্ট ও স্ট্রাইকের কারণে অনেকের আইডি ও পেজে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্র্রধান উপদেষ্টার পেজে হাদি-সংশ্লিষ্ট সব ভিডিও সংঘবদ্ধ রিপোর্ট ও কপিরাইট ক্লেইম করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকের আইডি ও পেজে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে একজন লিখেছেন, তাঁর প্রোফাইল থেকেও হাদি-সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও রিমুভ করা হয়েছে।

‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’
৩১ অক্টোবর ২০২৫
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’
৩১ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও ছিলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল বিএনপি বা চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে গতকাল দেশে ফেরেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যোগ দেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট সড়ক) বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে। সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে বহনকারী বাস এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় বিশ্রাম শেষে ডা. জুবাইদা রহমানও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার পাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারেক রহমান গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে ওই বাসে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বরে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সড়কের দুই পাশে সমবেত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, তারেক রহমান সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
তারেক রহমানদের বহনকারী বাস রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছায়।

দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও ছিলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল বিএনপি বা চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে গতকাল দেশে ফেরেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যোগ দেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট সড়ক) বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে। সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে বহনকারী বাস এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় বিশ্রাম শেষে ডা. জুবাইদা রহমানও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার পাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারেক রহমান গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে ওই বাসে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বরে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সড়কের দুই পাশে সমবেত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, তারেক রহমান সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
তারেক রহমানদের বহনকারী বাস রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছায়।

‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’
৩১ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় জামায়াত এনসিপিকে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে, নাকি মিত্রতা শুধুই নির্বাচনী সমঝোতার পর্যায়ে থাকবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
দল দুটি যখন নির্বাচনে এক হয়ে লড়ার আলাপ করছে, তখন অসন্তোষের সুর বাজছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলেছেন, এনসিপিকে খুব বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়নি বিএনপি। তা ছাড়া তারা গণভোট ও সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণভোটে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোট প্রশ্নে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান একই।
এর বাইরে মূলত দুটি কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে এনসিপি। এর একটি হলো, প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং অন্যটি নির্বাচনী তহবিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফান্ডিং একটা বড় বিষয়। জামায়াত এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আর প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সংসদে এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, অন্য দলের সঙ্গেও চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।’
তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার আলোচনার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে এনসিপি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বুধবার রাতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত আটটায় শুরু হয় এই বৈঠক। চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। নির্বাহী কাউন্সিলের অর্ধশতাধিক সদস্যের মধ্যে ৩০-৩৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, সেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপি কী কী সুবিধা পাবে, কোন দল কোন কোন আসনে ছাড় দেবে, সার্বিক বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে জামায়াতের বিপক্ষে থাকা বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ডা. তাজনূভা জাবীন, সামান্তা শারমিনের মতো নারী সদস্যরাও ওই বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে থাকা অন্তত দুজন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান।
তবে অনেকেই শর্ত সাপেক্ষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, একাত্তরে জামায়াতের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা, অন্য দলের মধ্যে ঢুকে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করা—এসব শর্ত মেনে নিলে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতগুলো আসনে তারা ছাড় দেবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সাবেক নেতা। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ফেসবুক পোস্টে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এনসিপি। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া জামায়াত জিতলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় নেতা করা হবে এমন আলাপ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন হওয়া তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে চলছে ভাঙনের সুর। জোটের সদস্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের একমাত্র সূত্র ও শর্ত ছিল বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বাংলাদেশের পন্থার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি। এই শর্তে একবার জোট গঠনের আলাপ স্থগিতও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই শর্ত নিশ্চিত করেই জোট তৈরি হয়। কাজেই জোটের কোনো সঙ্গী যদি বিএনপি বা জামায়াত বা উভয়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার বা জোটের সংলাপে যুক্ত হয়, তারা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভাবা হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় জামায়াত এনসিপিকে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে, নাকি মিত্রতা শুধুই নির্বাচনী সমঝোতার পর্যায়ে থাকবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
দল দুটি যখন নির্বাচনে এক হয়ে লড়ার আলাপ করছে, তখন অসন্তোষের সুর বাজছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলেছেন, এনসিপিকে খুব বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়নি বিএনপি। তা ছাড়া তারা গণভোট ও সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণভোটে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোট প্রশ্নে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান একই।
এর বাইরে মূলত দুটি কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে এনসিপি। এর একটি হলো, প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং অন্যটি নির্বাচনী তহবিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফান্ডিং একটা বড় বিষয়। জামায়াত এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আর প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সংসদে এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, অন্য দলের সঙ্গেও চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।’
তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার আলোচনার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে এনসিপি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বুধবার রাতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত আটটায় শুরু হয় এই বৈঠক। চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। নির্বাহী কাউন্সিলের অর্ধশতাধিক সদস্যের মধ্যে ৩০-৩৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, সেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপি কী কী সুবিধা পাবে, কোন দল কোন কোন আসনে ছাড় দেবে, সার্বিক বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে জামায়াতের বিপক্ষে থাকা বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ডা. তাজনূভা জাবীন, সামান্তা শারমিনের মতো নারী সদস্যরাও ওই বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে থাকা অন্তত দুজন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান।
তবে অনেকেই শর্ত সাপেক্ষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, একাত্তরে জামায়াতের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা, অন্য দলের মধ্যে ঢুকে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করা—এসব শর্ত মেনে নিলে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতগুলো আসনে তারা ছাড় দেবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সাবেক নেতা। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ফেসবুক পোস্টে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এনসিপি। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া জামায়াত জিতলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় নেতা করা হবে এমন আলাপ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন হওয়া তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে চলছে ভাঙনের সুর। জোটের সদস্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের একমাত্র সূত্র ও শর্ত ছিল বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বাংলাদেশের পন্থার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি। এই শর্তে একবার জোট গঠনের আলাপ স্থগিতও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই শর্ত নিশ্চিত করেই জোট তৈরি হয়। কাজেই জোটের কোনো সঙ্গী যদি বিএনপি বা জামায়াত বা উভয়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার বা জোটের সংলাপে যুক্ত হয়, তারা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভাবা হবে।

‘আমরা ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সংস্কারের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা সরকার গঠন করতে পারব।’
৩১ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে