Ajker Patrika

খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরলে নিজের সন্তান ভূমিষ্ঠের চেয়ে বেশি আনন্দ হবে: ফরহাদ ইকবাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার সকাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মঙ্গলবার সকাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরলে নিজের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার চেয়ে বেশি আনন্দ হবে বলে মন্তব্য করেছেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। আজ মঙ্গলবার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের নিচে নেতা-কর্মীসহ অবস্থান নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘আমার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমি যে আনন্দ পেয়েছিলাম, তারচেয়ে অনেক আনন্দ হবে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে।’

এ সময় এভারকেয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল। দুপুর ১২টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সার্বিক অবস্থা নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। পরে বিকেলের দিকে বিএনপির আরও নেতা-কর্মী ও সমর্থক হাসপাতালের সামনে জড়ো হন।

ফরহাদ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) যদি আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, আমার মনে হয় যে, এর সুখ আর শান্তি ঈদের চাঁদের মতো হবে। আমরা চাই যে, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুন। আয়ু নিয়ে হলেও বেঁচে থাকুক। কারণ, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থে তাঁকে আজ প্রয়োজন। তিনি যে কষ্ট করেছেন, যে নির্যাতিত হয়েছেন, ছেলেহারা, বাড়িহারা, সন্তানহারা, নাতি-নাতনিহারা, আমরা চাই যে, তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসুন। এরচেয়ে সুখের আর কিছু নাই।’

এ মুহূর্তে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলে কী বলতে চাইবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হলে শুধু একটাই কথা বলব যে—‘‘বেঁচে থাকো মা, বেঁচে ওঠো মা। আপনাকে বাংলাদেশের প্রয়োজন। আপনি আমাদের জন্য যে ত্যাগ করেছেন, শুধু দলের জন্য না, দেশের জন্যও। আজকে আপনি দেশের অভিভাবক। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে যখন দেশ নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, তখন আপনি জেগে ওঠুন। আপনাকে অনেক প্রয়োজন। আল্লাহর রহমতে আপনি জেগে ওঠুন।’

উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৃণমূলের অহংকার এবং সারা দেশের আপসহীন নেত্রী। গতকালকে তাঁর খারাপ অবস্থা শোনার পরে যখন শুনলাম তিনি আইসিইউতে আছেন, তখন রাতে ঘুমাতে পারিনি। এ জন্য ছুটে চলে এসেছি।’

বসুন্ধরা থেকে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভালো কার্যক্রম শুনে আমি বিএনপি করি। তাঁর সংকটাপন্নর কথা শুনে আমি সকাল ও রাতে দুই-তিনবার করে আসছি। বড় নেতারা যখন বক্তব্য দেন যে তিনি ভালো আছেন, তখন এই কথা শুনলে ভালো লাগে। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে শুনছি, তাঁর অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। এমন কথা যখনই শুনি, খারাপ লাগে, তখন ছুটে আসি। দোয়া করি যেন উনি দেশের ক্রান্তিকালে দ্রুত সুস্থ হযে ওঠেন।’

উত্তর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য শোহেলি পারভীন শিখা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসি। তিনি নিবিড় পরিচর্যায় আছেন শুনেছি। কিন্তু গতকাল রাত থেকে সঠিক তথ্য নিতে পারছি না, কোনো খবর পাচ্ছি না। এই জন্য গতকাল রাত থেকে ঘুম নেই। তিনি ভালো আছেন নাকি খারাপ আছেন, সেটাও জানতে পারছি না। কোনো খবরই পাচ্ছি না। এ জন্য আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়েই চলে আসছি উনার খবর জানতে। আল্লাহ যেন উনাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ