নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির চ্যালেঞ্জ: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এ সময় মাফিয়াদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির পরিবর্তে দেশ বদলের নির্বাচনে পরিণত করার কথাও জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন যে, যাঁরা নির্বাচন করতে চান, তাঁদের অস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা দেওয়া হবে। সাধারণত নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং বৈধ অস্ত্রও থানায় জমা দিতে বলা হয়। প্রার্থী ও নেতাদের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে ১০-১৫ বা ২০ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলে প্রার্থীরা বন্দুক ঘাড়ে করে নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হবেন, যা খুবই ভয়াবহ চিন্তা ও আফ্রিকায় যেভাবে যুদ্ধ চলে, তারই নামান্তর। এই খবরটাও আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি দেশে প্রায় ‘‘আফ্রিকান সিনড্রোম’’ বা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘যেখানে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেখানে আমরাই, যাঁরা রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী হবেন, তাঁদের বন্দুক ঘাড়ে করে নিয়ে দেশব্যাপী তাঁদেরকে এখন যোগাযোগ করতে হবে, গণসংযোগ করতে হবে, নির্বাচনে তাদেরকে পাহারা বসাতে হবে তাদের নিরাপত্তা বা ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য; এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি আজকে দাবি করতে চাই, অবিলম্বে এই হঠকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আপনি প্রত্যাহার করুন। বরং সরকারের উচিত হবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কার্যকর, দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘একদিকে সেনাবাহিনী ভোটকেন্দ্রের মধ্যে পাহারা দিচ্ছে, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এক লাখ সেনাবাহিনী-পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থারা আর অন্যদিকে প্রার্থীরা বন্দুকবাজ, তাঁরা সশস্ত্র প্রহরা নিয়ে দেশব্যাপী ঘুরবেন। তার মানে এটা প্রায় একটা আফ্রিকান সিনড্রোম হওয়ার জায়গা। আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে আমরা এই ধরনের একটা জিনিস দেখি। যেখানে পদে পদে মৃত্যু, পদে পদে সংঘাত, পদে পদে সেখানে বন্দুকের লড়াই। আপনারা (সরকার) কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, চিন্তা করুন।’
কোনোভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনস্তাত্ত্বিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা করা মানে হচ্ছে, ভোটারদের পরোক্ষভাবে অনুৎসাহিত করা। ভোটাররা এ রকম একটা আধা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ বোধ করবে না। তখন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দূরের কথা, একটা সাধারণ ভালো নির্বাচন করা যাবে কি না, সেটাও সন্দেহ। সুতরাং, নতুন একটা তাৎপর্যে বাংলাদেশ হাজির হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না। আপনাদের অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল পদক্ষেপ, আত্মঘাতী পদক্ষেপের জন্য অনেকগুলো বড় সংকট তৈরি হতে পারে। সে জন্য বলব—চলেন, আমরা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিই।’

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির চ্যালেঞ্জ: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এ সময় মাফিয়াদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির পরিবর্তে দেশ বদলের নির্বাচনে পরিণত করার কথাও জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন যে, যাঁরা নির্বাচন করতে চান, তাঁদের অস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা দেওয়া হবে। সাধারণত নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং বৈধ অস্ত্রও থানায় জমা দিতে বলা হয়। প্রার্থী ও নেতাদের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে ১০-১৫ বা ২০ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলে প্রার্থীরা বন্দুক ঘাড়ে করে নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হবেন, যা খুবই ভয়াবহ চিন্তা ও আফ্রিকায় যেভাবে যুদ্ধ চলে, তারই নামান্তর। এই খবরটাও আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি দেশে প্রায় ‘‘আফ্রিকান সিনড্রোম’’ বা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘যেখানে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেখানে আমরাই, যাঁরা রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী হবেন, তাঁদের বন্দুক ঘাড়ে করে নিয়ে দেশব্যাপী তাঁদেরকে এখন যোগাযোগ করতে হবে, গণসংযোগ করতে হবে, নির্বাচনে তাদেরকে পাহারা বসাতে হবে তাদের নিরাপত্তা বা ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য; এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি আজকে দাবি করতে চাই, অবিলম্বে এই হঠকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আপনি প্রত্যাহার করুন। বরং সরকারের উচিত হবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কার্যকর, দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘একদিকে সেনাবাহিনী ভোটকেন্দ্রের মধ্যে পাহারা দিচ্ছে, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এক লাখ সেনাবাহিনী-পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থারা আর অন্যদিকে প্রার্থীরা বন্দুকবাজ, তাঁরা সশস্ত্র প্রহরা নিয়ে দেশব্যাপী ঘুরবেন। তার মানে এটা প্রায় একটা আফ্রিকান সিনড্রোম হওয়ার জায়গা। আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে আমরা এই ধরনের একটা জিনিস দেখি। যেখানে পদে পদে মৃত্যু, পদে পদে সংঘাত, পদে পদে সেখানে বন্দুকের লড়াই। আপনারা (সরকার) কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, চিন্তা করুন।’
কোনোভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনস্তাত্ত্বিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা করা মানে হচ্ছে, ভোটারদের পরোক্ষভাবে অনুৎসাহিত করা। ভোটাররা এ রকম একটা আধা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ বোধ করবে না। তখন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দূরের কথা, একটা সাধারণ ভালো নির্বাচন করা যাবে কি না, সেটাও সন্দেহ। সুতরাং, নতুন একটা তাৎপর্যে বাংলাদেশ হাজির হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না। আপনাদের অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল পদক্ষেপ, আত্মঘাতী পদক্ষেপের জন্য অনেকগুলো বড় সংকট তৈরি হতে পারে। সে জন্য বলব—চলেন, আমরা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিই।’

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২৮ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যার যেখানে অবদান, সেটিকে কোনোভাবেই খাটো করা সমীচীন হবে না। যার যার অবদানকে স্বীকৃতি দিলে এ দেশে জ্ঞানী ও বীরদের জন্ম হবে। আর যদি অবদানকে অস্বীকার করা হয়, জ্ঞানের আত্মহত্যা হবে এবং এ দেশে মায়ের কোলে আর কোনো বীরের জন্ম হবে না। এ জন্য আমরা আমাদের বীরদের আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলকানা কোনো চিন্তা করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। অতীত একটি গতিশীল জাতির পরিচয় কখনো বহন করে না। আমরা নিজেদের এই জাতিকে বিভক্ত দেখতে চাই না। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের জাতির ওপরে বাহির থেকে কেউ এসে খবরদারি করুক, আমরা এটিও চাই না। কেউ দাদাগিরি করুক, এটা আমরা বরদাশত করব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই না, তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে এবং মৃত্যুর দরজায় চলে যাবে। তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে, এটাও আমরা চাই না। বরং এ রকম দুঃসাহস যাতে কেউ না দেখাতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
হাদি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে জাতি আহত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধান হাদি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন, এই বক্তব্য আমিসহ সবাইকে আহত করেছে। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা উনাকে দিতে হবে। জাতির মনে আপনি যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনার এই বক্তব্য জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব— আপনারা পদত্যাগ নয়; বরং দায়িত্ব পালনের যোগ্য, এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনে রাখবেন, ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে।’
জাতি একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জাতিকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের নতুন করে তোয়াজ করে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান, আপনারা চিহ্নিত হয়ে গেছেন। আপনারা এত দিন বর্ণচোরা ছিলেন, এখন আপনাদের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেদের সংশোধন করুন, অনুতপ্ত হন, ক্ষমা চান এবং এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।’
বিএনপির উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক বন্ধু সংগঠন ঘোষণা করেছে— তারা যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আগামীতে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বে। কিন্তু, কোনো কোনো দলকে তারা নিবে না। আর আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ব। আমরা সরকারে আসার জন্য তাদেরকেও আহ্বান জানাব। আমরা চাই, সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখুক।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আসবেন, তাঁদের প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিচার বিভাগের ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত যত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাঁরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী হবেন। এই তিন বিষয়ে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যার যেখানে অবদান, সেটিকে কোনোভাবেই খাটো করা সমীচীন হবে না। যার যার অবদানকে স্বীকৃতি দিলে এ দেশে জ্ঞানী ও বীরদের জন্ম হবে। আর যদি অবদানকে অস্বীকার করা হয়, জ্ঞানের আত্মহত্যা হবে এবং এ দেশে মায়ের কোলে আর কোনো বীরের জন্ম হবে না। এ জন্য আমরা আমাদের বীরদের আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলকানা কোনো চিন্তা করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। অতীত একটি গতিশীল জাতির পরিচয় কখনো বহন করে না। আমরা নিজেদের এই জাতিকে বিভক্ত দেখতে চাই না। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের জাতির ওপরে বাহির থেকে কেউ এসে খবরদারি করুক, আমরা এটিও চাই না। কেউ দাদাগিরি করুক, এটা আমরা বরদাশত করব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই না, তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে এবং মৃত্যুর দরজায় চলে যাবে। তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে, এটাও আমরা চাই না। বরং এ রকম দুঃসাহস যাতে কেউ না দেখাতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
হাদি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে জাতি আহত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধান হাদি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন, এই বক্তব্য আমিসহ সবাইকে আহত করেছে। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা উনাকে দিতে হবে। জাতির মনে আপনি যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনার এই বক্তব্য জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব— আপনারা পদত্যাগ নয়; বরং দায়িত্ব পালনের যোগ্য, এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনে রাখবেন, ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে।’
জাতি একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জাতিকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের নতুন করে তোয়াজ করে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান, আপনারা চিহ্নিত হয়ে গেছেন। আপনারা এত দিন বর্ণচোরা ছিলেন, এখন আপনাদের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেদের সংশোধন করুন, অনুতপ্ত হন, ক্ষমা চান এবং এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।’
বিএনপির উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক বন্ধু সংগঠন ঘোষণা করেছে— তারা যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আগামীতে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বে। কিন্তু, কোনো কোনো দলকে তারা নিবে না। আর আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ব। আমরা সরকারে আসার জন্য তাদেরকেও আহ্বান জানাব। আমরা চাই, সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখুক।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আসবেন, তাঁদের প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিচার বিভাগের ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত যত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাঁরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী হবেন। এই তিন বিষয়ে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওসমান হাদি ভাইয়ের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। আমরা আশা করব, অবিলম্বে তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তাঁর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন আমরা ছয় মাস ধরে করে যাচ্ছি।’
এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। কিন্তু এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকভাবে এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়নি।
নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সঙ্গে। কিন্তু এখন খুনিকে ধরতে পারে না। ডিপ-স্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। একাত্তর সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল, এখনো চলছে। কাল (বিজয় দিবসে) উৎসব করতে নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে, আগের মতো হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারচুপি করবে; সেটি আমরা ভুল প্রমাণ করব। ভারতকে এটি মাথায় রাখতে হবে। ভারতকে সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্ক রাখতে হবে।’
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শুধু হাদির প্রয়োজনে নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভারতের দালালদের হাতে তুলে দেব না। শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িত সব খুনিকে হস্তান্তর করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওসমান হাদি ভাইয়ের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। আমরা আশা করব, অবিলম্বে তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তাঁর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন আমরা ছয় মাস ধরে করে যাচ্ছি।’
এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। কিন্তু এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকভাবে এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়নি।
নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সঙ্গে। কিন্তু এখন খুনিকে ধরতে পারে না। ডিপ-স্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। একাত্তর সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল, এখনো চলছে। কাল (বিজয় দিবসে) উৎসব করতে নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে, আগের মতো হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারচুপি করবে; সেটি আমরা ভুল প্রমাণ করব। ভারতকে এটি মাথায় রাখতে হবে। ভারতকে সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্ক রাখতে হবে।’
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শুধু হাদির প্রয়োজনে নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভারতের দালালদের হাতে তুলে দেব না। শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িত সব খুনিকে হস্তান্তর করতে হবে।’

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২৮ মিনিট আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
একই সঙ্গে যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে নিজে থেকে সব ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলারও অভয় দিয়েছেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ৯০-এ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জনতার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, নগরে, বাজারে, মহল্লায়, অলিগলিতে, রাজপথে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিজয়ের ক্ষণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। মানুষের জয়-পরাজয়, জীবন-মৃত্যু সবকিছু আল্লাহর হাতে নির্ধারিত। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি, ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেবল একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের নির্বাচন নয়’—এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িত। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং সম্ভাবনার প্রশ্ন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সাক্ষী, কারণে-অকারণে শর্তের পর শর্ত জুড়ে দিয়ে, নানা অজুহাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একটি চক্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বারবার নানা রকম বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো চলছে ক্ষেত্রবিশেষে। সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি ব্যর্থ করা যায়, কারা তাহলে খুশি হবে? নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বহাল রাখা গেলে কারা লাভবান হবে? দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কাদের লাভ? এসব প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে আছে। স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের শত্রুরা ঘাপটি মেরে আছে এসব প্রশ্নের উত্তরে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের রূপ-রং, চেহারা হয়তো পাল্টেছে, কিন্তু চরিত্র একদমই পাল্টায়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে তাদের দলীয় ইতিহাসে পরিণত করেছিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে। পরাজিত চক্রকে মোকাবিলায় প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বদলে বিজয়ের সফলতা প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বনির্ভরসমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হোক এবারের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
একই সঙ্গে যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে নিজে থেকে সব ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলারও অভয় দিয়েছেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ৯০-এ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জনতার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, নগরে, বাজারে, মহল্লায়, অলিগলিতে, রাজপথে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিজয়ের ক্ষণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। মানুষের জয়-পরাজয়, জীবন-মৃত্যু সবকিছু আল্লাহর হাতে নির্ধারিত। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি, ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেবল একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের নির্বাচন নয়’—এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িত। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং সম্ভাবনার প্রশ্ন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সাক্ষী, কারণে-অকারণে শর্তের পর শর্ত জুড়ে দিয়ে, নানা অজুহাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একটি চক্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বারবার নানা রকম বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো চলছে ক্ষেত্রবিশেষে। সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি ব্যর্থ করা যায়, কারা তাহলে খুশি হবে? নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বহাল রাখা গেলে কারা লাভবান হবে? দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কাদের লাভ? এসব প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে আছে। স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের শত্রুরা ঘাপটি মেরে আছে এসব প্রশ্নের উত্তরে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের রূপ-রং, চেহারা হয়তো পাল্টেছে, কিন্তু চরিত্র একদমই পাল্টায়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে তাদের দলীয় ইতিহাসে পরিণত করেছিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে। পরাজিত চক্রকে মোকাবিলায় প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বদলে বিজয়ের সফলতা প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বনির্ভরসমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হোক এবারের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২৮ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে তাদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণের ভোটে আমরা যদি নির্বাচিত হয়ে আসি, তাহলে আমরা নিশ্চিত করব যে, জুলাই যোদ্ধা সবাইকে আমরা নিরাপত্তা দেব।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আসন্ন নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে উদার গণতান্ত্রিক একটা বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করব নাকি একটা পশ্চাৎপদ বাংলাদেশের দিকে ফিরে যাব—এই নির্বাচনে সেই সিদ্ধান্ত হবে।’
একটি রাজনৈতিক দলের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দলটি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজকে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিভিন্ন রকম ধোঁয়া তুলে, মিথ্যা কথা বলে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মী, আমাদের সন্তান হাদির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আক্রমণকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, সে আওয়ামী লীগের একজন সন্ত্রাসী। আজকে কেন স্লোগান দেয় তারা যে—বিএনপিকে জবাব দিতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে তারা একটা হীন উদ্দেশ্যে চিহ্নিত করতে চায়।’
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে সামনে রেখে জেগে ওঠারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখে আমাদের নেতা আসছেন। সেদিন সমগ্র বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে জাতীয়তাবাদের পতাকে তুলে ধরব। তারেক রহমান দেশে আসছেন। আসুন, আমরা সবাই জেগে উঠি দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে তাদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণের ভোটে আমরা যদি নির্বাচিত হয়ে আসি, তাহলে আমরা নিশ্চিত করব যে, জুলাই যোদ্ধা সবাইকে আমরা নিরাপত্তা দেব।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আসন্ন নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে উদার গণতান্ত্রিক একটা বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করব নাকি একটা পশ্চাৎপদ বাংলাদেশের দিকে ফিরে যাব—এই নির্বাচনে সেই সিদ্ধান্ত হবে।’
একটি রাজনৈতিক দলের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দলটি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজকে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিভিন্ন রকম ধোঁয়া তুলে, মিথ্যা কথা বলে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মী, আমাদের সন্তান হাদির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আক্রমণকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, সে আওয়ামী লীগের একজন সন্ত্রাসী। আজকে কেন স্লোগান দেয় তারা যে—বিএনপিকে জবাব দিতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে তারা একটা হীন উদ্দেশ্যে চিহ্নিত করতে চায়।’
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে সামনে রেখে জেগে ওঠারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখে আমাদের নেতা আসছেন। সেদিন সমগ্র বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে জাতীয়তাবাদের পতাকে তুলে ধরব। তারেক রহমান দেশে আসছেন। আসুন, আমরা সবাই জেগে উঠি দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২৮ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
১ ঘণ্টা আগে