Ajker Patrika

নির্বাচনে কারিগরি ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না: ডা. শফিকুর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

‘আগামীর নির্বাচনে কোনো ধরনের কারিগরি ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো আনুকূল্য চাই না। কিন্তু কমিশন যদি কারও প্রতি আনুকূল্য দেখায় তবে সেটি বরদাশত করা হবে না।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত যুব ম্যারাথন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

কালো টাকায় কেউ মানুষকে কেনার চেষ্টা করলে মানুষ মুখে ছাই মেরে দেবে মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জাতিকে কেউ কালো টাকায় কিনতে পারবে না।’

পুরোনো ব্যবস্থার রাজনীতি ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘যেই রাজনীতি হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে, মামলাবাজদের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি-অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে।’

তিনি বলেন, ‘যারা ৭০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বৈষম্যহীন শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর তাঁরা ক্ষমতায় বসে তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিলেন। তাঁরা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন, সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। রক্ষী বাহিনী গঠন করে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছিলেন, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হয়েছিল।’

বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের ছেলেরা ব্যাংক ডাকাতি করেছিল। বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর দান করা খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ লুট করা হয়েছিল। তাদের সাড়ে চার বছরের দুঃশাসন মানুষকে বিদ্রোহী করে তুলেছিল। কে তাদের হত্যা করেছিল?—একাত্তরের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় বীরদের হাতেই তারা হত্যার শিকার হয়েছিল। কেন হত্যার শিকার হয়েছে সেই উত্তর আওয়ামী লীগকেই খুঁজতে হবে।’

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘৭২-এর ১০ জানুয়ারি, ৯৬-এর ১০ জানুয়ারি, ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি তারা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। ’৯৬ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় আসার আগে অতীতে তাদের দল যেই খুন করেছে, জুলুম করেছে তা স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। জনগণ সরল বিশ্বাসে তাদের ক্ষমতায় বসানোর পর তারা আবার নিজের রূপে ফিরে আসে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে গিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল— তার দলের একজন মারা গেলে ১০ জনকে হত্যা করা হবে। একজন প্রধানমন্ত্রী কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এমনটা বলতে পারে। সেই সময় তারা মানুষকে হত্যা করে খালে-বিলে লাশ ফেলেছে।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন তারা পলাতক থেকেই চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। তাদের টার্গেট এখন এ দেশের তরুণ ও বিপ্লবীরা। সেই টার্গেটের অংশ হিসেবে তারা জুলাইয়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টা করেছে।’

আওয়ামী লীগ ভেবেছে ওসমান হাদিকে শেষ করতে পারলে কিংবা কয়েকজন বিপ্লবীকে শেষ করতে পারলে তারা সফল হবে। কিন্তু না! বিপ্লবীর সংখ্যা তারা কমাতে পারবে না। বরং ক্রমেই বিপ্লবী তরুণদের সংখ্যা বাড়বে। তরুণেরা আওয়ামী লীগের সকল অপশক্তি রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।—বলেন জামায়াতের আমির।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে, ডা. শফিকুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে যুব ম্যারাথন উদ্বোধন করেন। ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে শাহবাগ-সায়েন্স ল্যাব হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ: জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়েছে। আজ থেকে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২-এর চেয়ারপারসনের অফিসসংলগ্ন বিএনপির নতুন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। মোট ১১টি প্রতিযোগিতার বিষয় রেখে এ কর্মসূচি আয়োজন করেছে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে মাহদী আমিন বলেন, দেশের স্বার্থে, দেশের সার্বভৌমত্বে এবং জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন নিশ্চিত করা আগামীতে বিএনপির রাজনীতির একটি মৌলিক প্রতিপালক। এই লক্ষ্য সামনে রেখে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপি একটি জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু করছে। বিএনপির আয়োজনে জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হলো, যা চলবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা জানান, দেশ এবং বিদেশের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এই সময়ের মধ্যে দেশ গড়ার প্রত্যয়, তাদের পরিকল্পনা, প্রত্যাশা এবং ভাবনাচিন্তা জমা দিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীরা এক মিনিটের রিল ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইনে তা সাবমিট করতে পারবেন। রিলের কনটেন্ট হতে পারে স্যাটায়ার, গান, সংলাপ, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন, কিংবা কয়েকটি ছবি বা আর্টের সমন্বয়। ভিডিওর মাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা, নতুন ভাবনা, বিস্তারিত পরিকল্পনা কিংবা ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবেন প্রতিযোগীরা।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১১টি থিম আইডেনটিফাই করা হয়েছে, যা মূলত দেশ গড়ার পরিকল্পনার শীর্ষ কর্মসূচির তালিকার আলোকে তৈরি। “ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, পরিবেশ, ক্রীড়া, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মান, প্রবাসীদের জন্য কল্যাণ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ ও প্রধান টপিক হিসেবে আমি যেমন দেশ চাই।” প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রতিটি মানুষকে দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করার সুযোগ করে দেওয়া এবং গণমানুষের ভাবনা ও পরিকল্পনাগুলোকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত করা।

ছয়টি ধাপের কথা উল্লেখ করে মাহদী আমিন বলেন, ‘দেশ গঠনে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার ভাবনা এক মিনিটের রিলের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। যেকোনো অংশগ্রহণকারী চাইলে তাঁদের ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা টিকটক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল থেকে রিলটি পোস্ট করতে পারবেন। ক্যাপশনে বাংলাদেশ ফার্স্ট হ্যাশট্যাগটি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অফিশিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তৈরি করা ইভেন্টে গিয়ে তাঁদের পোস্টটি শেয়ার করতে হবে।’

দুটি ধাপে কনটেন্টগুলো মূল্যায়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রিল মূল্যায়ন করা হবে দুটি ধাপে। প্রথমত, ৩০ শতাংশ জনমতের ওপর ভিত্তি করে (সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্ট) এবং দ্বিতীয়ত, ৭০ শতাংশ একটি জুরিবোর্ড দ্বারা যেটি অংশগ্রহণকারীদের বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা, সৃজনশীলতার ও সামাজিক প্রভাবের ওপর নির্ভর করবে। কোনো প্রশ্ন বা বিভ্রান্তি থাকলে হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে বলে জানায় তিনি।

মাহদী আমিন জানায়, এই কর্মসূচির সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মেধাভিত্তিক শীর্ষ ১০ জন বিজয়ীকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একান্ত আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে যে বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে চাওয়া হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার, বাক্‌স্বাধীনতা, আইনের অনুসরণ, সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দীন হায়দার, চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ড. সাইমুম পারভেজ এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ভারত স্বাধীনতাযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই ভারত ১৯৭১ সালে এ দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ভারত আমাদের স্বাধীনতা নয়, বরং পাকিস্তানের সাথে ১৯৬৫ সালে যুদ্ধে লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আমাদের সহযোগিতা করেছিল।’

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জামায়াত আয়োজিত ম্যারাথন-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘ভারত আমাদের স্বাধীনতা নয়, বরং পাকিস্তানের সাথে ১৯৬৫ সালে যুদ্ধে লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আমাদের সহযোগিতা করেছিল। তারা আমাদের দেশের স্বাধীনতার-সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি না দিয়ে আওয়ামী-বাকশালীদের মাধ্যমে দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে সে অবস্থার অবসান হয়েছে।’

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের ভুলের স্বীকৃতি দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মনোভাব ও তাদের এ দেশীয় এজেন্টদের কারণে আমরা বিজয়ের স্বাদ পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারিনি এবং আমাদের স্বাধীনতাও সুরক্ষিত হয়নি।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল যোগ করেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, পাক বাহিনী সেদিন আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ না ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জগজিৎ সিং আরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক জেনারেল এ জি ওসমানী ছিলেন অনুপস্থিত। কেন অনুপস্থিত ছিলেন সে প্রশ্নের আজও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই পাক বাহিনীর আত্মসমর্থন ভারতীয় বাহিনীর কাছে বিবেচনায় প্রতিবেশী দেশটি ১৬ ডিসেম্বরকে তাদের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। এর মাধ্যমে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে।’

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দীন মানিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জ-৫

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বিএনপির প্রার্থী বললেন—বাধ্য হয়েছি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন মাসুদ।

মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘পারিবারিক এবং নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। সব কথা হয়তো এখানে বলা যাবে না। কিন্তু, আমি বাধ্য হয়েছি। আমি আমার নেতা-কর্মী ও আমার শহর বন্দরের বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই আসনে যিনিই নির্বাচন করবেন, তাঁর পক্ষে আমার সমর্থন থাকবে।’

এ সময় সংবাদকর্মীরা কারণ বলার জন্য পীড়াপীড়ি করলেও তিনি কৌশলী উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আমার এই সিদ্ধান্তে নেতা-কর্মীরা সবাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সঙ্গে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না—সেই কারণে সরে যাচ্ছি। এখানে ব্যক্তিগত বিষয় আছে, যা বলতে পারছি না। বা দল থেকে এই আসনে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিয়ে দিচ্ছে, এমনও না। আমি ব্যক্তিগতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এক সময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। নগরীর একটি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিও ছিলেন। পরে ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করেন, ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বও দেন। তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

একাত্তরের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিতে চায়: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মহান বিজয় দিবসে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহান বিজয় দিবসে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

একাত্তরের স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এ জন্য এ দিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের দিনে আমি আমার দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি।’

তারেক রহমান দেশে ফিরলে গণতন্ত্রের লড়াই বেগবান হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনি আজকে নির্বাসিত অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন। আমরা আশা করছি, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে আসবেন। তাঁর দেশে আসা যেন গণতন্ত্রের সংগ্রাম-লড়াইকে আরও বেগমবান করে সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন সেই মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তাঁর রোগমুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তালার কাছে দোয়া চাচ্ছি।’

এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত