Ajker Patrika

সংকট থেকে উত্তরণে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারসহ ৬ প্রস্তাব কামাল হোসেনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৪: ৫৪
সংকট থেকে উত্তরণে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারসহ ৬ প্রস্তাব কামাল হোসেনের

দেশের সব সমস্যা ছাপিয়ে বর্তমানে জাতির জন্য গণতন্ত্রহীনতা সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এই সংকট থেকে উত্তরণে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনসহ ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। 

প্রস্তাব তুলে ধরে কামাল হোসেন বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। ব্যক্তি, সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় বাধা দেওয়া যাবে না।’ 

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন সরকার বাধ্য থাকবে। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’ 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার স্বার্থে অবিলম্বে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন করতে চায়। অথচ এই স্বাধীন রাষ্ট্রে জনগণের মৌলিক ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজ সংগ্রাম করতে হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’ 

জাতি ও রাষ্ট্র এখন একটি সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বিচারহীনতা, ধনবৈষম্য, কালোটাকা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, সামাজিক নিরাপত্তা, বাক-ব্যক্তির স্বাধীনতা ইত্যাদি প্রশ্নে কোনো সমাধান আজও হয়নি। বরং গণতন্ত্রহীনতা, কর্তৃত্ববাদ, অবাধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার, অর্থনীতিতে সিন্ডিকেট, কালো আইন জারি ইত্যাদির ফলে সর্বত্র একটা ভয়ের সংস্কৃতি কাজ করছে।’ 

গণফোরাম সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায় জানিয়ে গণফোরামের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এমন জাতীয় সংসদ চাই, যা জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে; এমন নির্বাহী বিভাগ চাই যারা, জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করবে; এমন বিচার বিভাগ চাই, যারা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। এর জন্য দরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক একটি নির্বাচিত সরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে ঘোড়ার গাড়িতে করে ৩০০ ফুটের দিকে যাত্রা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে ঘোড়ার গাড়িতে করে ৩০০ ফুটের দিকে যাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে ঘোড়ার গাড়িতে করে ৩০০ ফুটের দিকে যাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘোড়ার গাড়িতে করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকার ৩০০ ফিটের দিকে যাত্রা করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহর নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে শাহবাগ-বাংলামোটর হয়ে কারওয়ান বাজার থেকে ৩০০ ফিটের দিকে যাত্রা করেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে ৩০০ ফিটের দিকে যাত্রা করতে দেখা গেছে।

ঘোড়ার গাড়ি
ঘোড়ার গাড়ি

আবু নাসের রহমাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান দীর্ঘ বছর পরে দেশে ফিরেছেন এ জন্য আমরা সবচেয়ে খুশি আজকের দিনে। আজ বরিশাল থেকে রওনা হয়েছি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে। ঢাকা থেকে প্রায় তিন শতাধিক রিকশায় করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য যাত্রা করেছি।’

লাল মিয়া নামে একজন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বরিশাল থেকে সোজা ঢাকায় এসেছি। পরে আমরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছি।’ মো. ইব্রাহিম এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি যে তারেক রহমান আজ দেশে এসেছেন। আমরা ৩০০ ফিটের দিকে রওনা হয়েছি।’

মো. জাকির হোসেন নামে অপর এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে বরিশাল থেকে আমরা এসেছি। আবু নাসেরের নেতৃত্বে আমাদের এই যাত্রা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব, তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সারজিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশে স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাঁকে স্বাগত জানাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা। স্বাগতম।’

১৭ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে বিমান থেকে নামেন তারেক রহমান। এরপর ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালি পায়ে বাগানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন তারেক রহমান, হাতে নিলেন মাটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৯
খালি পায়ে বাগানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন তারেক রহমান, হাতে নিলেন মাটি

বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই জুতা খুলে মাটিতে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করেছেন তারেক রহমান। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরের বাগানে তিনি খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১২টা ৩১ মিনিটে জুতা-মোজা খুলে মাটিতে দাঁড়ান তারেক রহমান। এরপর ডান হাতে এক টুকরো মাটি তুলে নেন তিনি। এরপর জুতা পায়ে দিয়ে তাঁর জন্য নির্ধারিত বাসে উঠে পূর্বাচলে স্থাপিত সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে: আব্দুল কাদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন আব্দুল কাদের।

ফেসবুক পোস্টে আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামায়াতের সাথেই সরাসরি জোট বাঁধতেছে। সারাদেশে মানুষের, নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। আর এরই মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’

আব্দুল কাদের আরও লিখেছেন, ‘জামাতের থেকে এনসিপি চেয়েছিল ৫০ আসন, দর কষাকষির সর্বশেষ পর্যায়ে সেটা ৩০ আসনে গিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। জোটের শর্ত অনুযায়ী এনসিপি বাকি ২৭০ আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারবে না, সেগুলাতে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে এনসিপি। জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। সমঝোতার ৩০ আসনে কারা কারা চূড়ান্ত হবেন সেই দায়িত্ব জামায়াতের পক্ষ থেকে এনসিপির একজনকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি হচ্ছেন জামায়াতের অন্যতম আস্থাভাজন, নাসীরউদ্দিন পাটওয়ারী আর জামায়াতের দিক থেকে থাকবেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই দুইজন মিলেই এনসিপির ৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। ছোটন গং-এর সাথে নাহিদ ইসলামের আরও এক ধাপ আগানো সমঝোতা হয়েছে। ছোটন গং জানিয়েছে, পশ্চিমারা প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে জামায়াতকে চায় না। সেই হিসেবে নির্বাচনে জিতলে নাহিদ ইসলাম হবেন প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে নাহিদ হবে বিরোধীদলীয় নেতা।’

সবশেষে এই জুলাই যোদ্ধা লিখেছেন, ‘এতো এতো তরুণ নিজের গোছানো ক্যারিয়ার, পরিবার পরিজন বাদ দিয়ে দেশের হাল ধরতে এসেছিল, একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল, স্বপ্ন দেখেছিল; নাহিদ ইসলামরা গতকাল রাতে গিয়ে সেই স্বপ্নকে মাটিচাপা দিয়ে এসেছেন!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত