নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইশতেহার পাঠ করেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই ইশতেহার মূলত আগামী বাংলাদেশের কাঠামোগত রূপরেখা, যার ভিত্তিতে এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনীতি পরিচালনা করবে।
এ সময় নাহিদ বলেন, ‘আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের ডাক দিয়েছিলাম। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে সে ব্যবস্থা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম, কেবল শাসক বদল নয়, শাসনব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি মিলবে না। আমরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এনসিপি গঠন করেছি সেই পরিবর্তনের পথ তৈরির জন্য। ২৪ দফা বাস্তবায়নই আমাদের সে পথের রূপরেখা।’
এনসিপির ইশতেহারে প্রথম দফায় একটি নতুন সংবিধান রচনার মধ্য দিয়ে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জুলাই গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ আওয়ামী লীগের সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে এনসিপি।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় যথাক্রমে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারের পঞ্চম দফায় যেকোনো দুর্নীতির দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি। এ লক্ষ্যে সরকারের যেকোনো দাপ্তরিক দুর্নীতির তথ্য প্রকাশকারী ব্যক্তিকে বিশেষ আইনি সুরক্ষা দিতে ‘হুইসেলব্লোয়ার প্রটেকশন’ আইন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান সব আইনি কাঠামোর যথাযথ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবার ও সমাজে দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ তৈরি ও সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষা কারিকুলামে আমূল পরিবর্তন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশেষ কর্মসূচি চালুর কথা বলেছে দলটি।
ইশতেহারের ষষ্ঠ দফায় জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঔপনিবেশিক আমলের ১৮৬১ ও ১৮৯৮ সালের পুলিশ আইন যুগোপযোগী করা, একটি স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠন, র্যাব বিলুপ্ত করা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যবহার বন্ধ করতে সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি।
ইশতেহারের অন্য দফাগুলোয় সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন; জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার; স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ; সর্বজনীন স্বাস্থ্য; জাতি গঠনে শিক্ষানীতি; গবেষণা উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব; ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্তার মর্যাদা; নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন; মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি; তারুণ্য ও কর্মসংস্থান; বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি; টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব; শ্রমিক-কৃষকের অধিকার; জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা; নগরায়ণ, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা; জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা; প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার; বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি সমস্যা সমাধানের রাজনীতি। আমরা এমন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ব, যেখানে টাকার অভাবে কেউ মরবে না। তরুণদের স্বপ্নকে দমিয়ে না রেখে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে খুনি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। আমরা রাজপথ ছেড়ে যাইনি, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।’
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘লড়াই জারি রাখুন। কোনো টাকাপয়সা, তদবির, টেন্ডারবাজি ছাড়া যদি লড়াই জারি রাখতে পারেন, তাহলে এই শহীদ মিনার থেকে ইনশাল্লাহ আমরা সরকার গঠন করব।’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—কেউ যদি ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, তাহলে পিছু হটবেন না। আমরা জানি, এলাকায় এলাকায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাটুরিয়া এনসিপির নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ যদি চোখ তুলে তাকায়, তাহলে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পক্ষে আজ সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচার চাইতে এসেছি, আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি। আমরা মুজিববাদী সংবিধান ছুড়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।’
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আর বিভাজনের রাজনীতি দেখতে চাই না। জুলাই সনদের প্রতিটি কথা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদকে কোনো সাধারণ কাগজে পরিণত হতে দেব না। জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই সনদ অন্তর্বর্তী সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণকে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে।’
সমাবেশ ঘিরে গত শনিবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শহীদ মিনারের আশপাশে এসে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মূল বেদির দুই পাশে এলইডি স্ক্রিনে আন্দোলনের তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়। সমাবেশস্থলে ছিল লাল কার্পেট, নেতাদের জন্য তাঁবু, মোবাইল টয়লেট, মেডিকেল বুথ, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। পুলিশের ডগ স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট এবং বাড়তি টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন এবং এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রার’ সমাপ্তি ঘোষণা হয়।

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইশতেহার পাঠ করেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই ইশতেহার মূলত আগামী বাংলাদেশের কাঠামোগত রূপরেখা, যার ভিত্তিতে এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনীতি পরিচালনা করবে।
এ সময় নাহিদ বলেন, ‘আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের ডাক দিয়েছিলাম। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে সে ব্যবস্থা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম, কেবল শাসক বদল নয়, শাসনব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি মিলবে না। আমরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এনসিপি গঠন করেছি সেই পরিবর্তনের পথ তৈরির জন্য। ২৪ দফা বাস্তবায়নই আমাদের সে পথের রূপরেখা।’
এনসিপির ইশতেহারে প্রথম দফায় একটি নতুন সংবিধান রচনার মধ্য দিয়ে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জুলাই গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ আওয়ামী লীগের সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে এনসিপি।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় যথাক্রমে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারের পঞ্চম দফায় যেকোনো দুর্নীতির দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি। এ লক্ষ্যে সরকারের যেকোনো দাপ্তরিক দুর্নীতির তথ্য প্রকাশকারী ব্যক্তিকে বিশেষ আইনি সুরক্ষা দিতে ‘হুইসেলব্লোয়ার প্রটেকশন’ আইন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান সব আইনি কাঠামোর যথাযথ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবার ও সমাজে দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ তৈরি ও সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষা কারিকুলামে আমূল পরিবর্তন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশেষ কর্মসূচি চালুর কথা বলেছে দলটি।
ইশতেহারের ষষ্ঠ দফায় জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঔপনিবেশিক আমলের ১৮৬১ ও ১৮৯৮ সালের পুলিশ আইন যুগোপযোগী করা, একটি স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠন, র্যাব বিলুপ্ত করা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যবহার বন্ধ করতে সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি।
ইশতেহারের অন্য দফাগুলোয় সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন; জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার; স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ; সর্বজনীন স্বাস্থ্য; জাতি গঠনে শিক্ষানীতি; গবেষণা উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব; ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্তার মর্যাদা; নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন; মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি; তারুণ্য ও কর্মসংস্থান; বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি; টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব; শ্রমিক-কৃষকের অধিকার; জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা; নগরায়ণ, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা; জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা; প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার; বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি সমস্যা সমাধানের রাজনীতি। আমরা এমন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ব, যেখানে টাকার অভাবে কেউ মরবে না। তরুণদের স্বপ্নকে দমিয়ে না রেখে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে খুনি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। আমরা রাজপথ ছেড়ে যাইনি, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।’
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘লড়াই জারি রাখুন। কোনো টাকাপয়সা, তদবির, টেন্ডারবাজি ছাড়া যদি লড়াই জারি রাখতে পারেন, তাহলে এই শহীদ মিনার থেকে ইনশাল্লাহ আমরা সরকার গঠন করব।’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—কেউ যদি ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, তাহলে পিছু হটবেন না। আমরা জানি, এলাকায় এলাকায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাটুরিয়া এনসিপির নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ যদি চোখ তুলে তাকায়, তাহলে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পক্ষে আজ সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচার চাইতে এসেছি, আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি। আমরা মুজিববাদী সংবিধান ছুড়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।’
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আর বিভাজনের রাজনীতি দেখতে চাই না। জুলাই সনদের প্রতিটি কথা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদকে কোনো সাধারণ কাগজে পরিণত হতে দেব না। জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই সনদ অন্তর্বর্তী সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণকে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে।’
সমাবেশ ঘিরে গত শনিবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শহীদ মিনারের আশপাশে এসে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মূল বেদির দুই পাশে এলইডি স্ক্রিনে আন্দোলনের তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়। সমাবেশস্থলে ছিল লাল কার্পেট, নেতাদের জন্য তাঁবু, মোবাইল টয়লেট, মেডিকেল বুথ, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। পুলিশের ডগ স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট এবং বাড়তি টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন এবং এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রার’ সমাপ্তি ঘোষণা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইশতেহার পাঠ করেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই ইশতেহার মূলত আগামী বাংলাদেশের কাঠামোগত রূপরেখা, যার ভিত্তিতে এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনীতি পরিচালনা করবে।
এ সময় নাহিদ বলেন, ‘আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের ডাক দিয়েছিলাম। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে সে ব্যবস্থা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম, কেবল শাসক বদল নয়, শাসনব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি মিলবে না। আমরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এনসিপি গঠন করেছি সেই পরিবর্তনের পথ তৈরির জন্য। ২৪ দফা বাস্তবায়নই আমাদের সে পথের রূপরেখা।’
এনসিপির ইশতেহারে প্রথম দফায় একটি নতুন সংবিধান রচনার মধ্য দিয়ে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জুলাই গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ আওয়ামী লীগের সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে এনসিপি।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় যথাক্রমে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারের পঞ্চম দফায় যেকোনো দুর্নীতির দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি। এ লক্ষ্যে সরকারের যেকোনো দাপ্তরিক দুর্নীতির তথ্য প্রকাশকারী ব্যক্তিকে বিশেষ আইনি সুরক্ষা দিতে ‘হুইসেলব্লোয়ার প্রটেকশন’ আইন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান সব আইনি কাঠামোর যথাযথ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবার ও সমাজে দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ তৈরি ও সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষা কারিকুলামে আমূল পরিবর্তন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশেষ কর্মসূচি চালুর কথা বলেছে দলটি।
ইশতেহারের ষষ্ঠ দফায় জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঔপনিবেশিক আমলের ১৮৬১ ও ১৮৯৮ সালের পুলিশ আইন যুগোপযোগী করা, একটি স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠন, র্যাব বিলুপ্ত করা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যবহার বন্ধ করতে সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি।
ইশতেহারের অন্য দফাগুলোয় সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন; জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার; স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ; সর্বজনীন স্বাস্থ্য; জাতি গঠনে শিক্ষানীতি; গবেষণা উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব; ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্তার মর্যাদা; নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন; মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি; তারুণ্য ও কর্মসংস্থান; বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি; টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব; শ্রমিক-কৃষকের অধিকার; জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা; নগরায়ণ, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা; জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা; প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার; বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি সমস্যা সমাধানের রাজনীতি। আমরা এমন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ব, যেখানে টাকার অভাবে কেউ মরবে না। তরুণদের স্বপ্নকে দমিয়ে না রেখে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে খুনি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। আমরা রাজপথ ছেড়ে যাইনি, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।’
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘লড়াই জারি রাখুন। কোনো টাকাপয়সা, তদবির, টেন্ডারবাজি ছাড়া যদি লড়াই জারি রাখতে পারেন, তাহলে এই শহীদ মিনার থেকে ইনশাল্লাহ আমরা সরকার গঠন করব।’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—কেউ যদি ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, তাহলে পিছু হটবেন না। আমরা জানি, এলাকায় এলাকায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাটুরিয়া এনসিপির নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ যদি চোখ তুলে তাকায়, তাহলে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পক্ষে আজ সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচার চাইতে এসেছি, আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি। আমরা মুজিববাদী সংবিধান ছুড়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।’
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আর বিভাজনের রাজনীতি দেখতে চাই না। জুলাই সনদের প্রতিটি কথা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদকে কোনো সাধারণ কাগজে পরিণত হতে দেব না। জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই সনদ অন্তর্বর্তী সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণকে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে।’
সমাবেশ ঘিরে গত শনিবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শহীদ মিনারের আশপাশে এসে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মূল বেদির দুই পাশে এলইডি স্ক্রিনে আন্দোলনের তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়। সমাবেশস্থলে ছিল লাল কার্পেট, নেতাদের জন্য তাঁবু, মোবাইল টয়লেট, মেডিকেল বুথ, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। পুলিশের ডগ স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট এবং বাড়তি টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন এবং এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রার’ সমাপ্তি ঘোষণা হয়।

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইশতেহার পাঠ করেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এই ইশতেহার মূলত আগামী বাংলাদেশের কাঠামোগত রূপরেখা, যার ভিত্তিতে এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনীতি পরিচালনা করবে।
এ সময় নাহিদ বলেন, ‘আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের ডাক দিয়েছিলাম। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে সে ব্যবস্থা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম, কেবল শাসক বদল নয়, শাসনব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি মিলবে না। আমরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এনসিপি গঠন করেছি সেই পরিবর্তনের পথ তৈরির জন্য। ২৪ দফা বাস্তবায়নই আমাদের সে পথের রূপরেখা।’
এনসিপির ইশতেহারে প্রথম দফায় একটি নতুন সংবিধান রচনার মধ্য দিয়ে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জুলাই গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ আওয়ামী লীগের সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে এনসিপি।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় যথাক্রমে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারের পঞ্চম দফায় যেকোনো দুর্নীতির দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি। এ লক্ষ্যে সরকারের যেকোনো দাপ্তরিক দুর্নীতির তথ্য প্রকাশকারী ব্যক্তিকে বিশেষ আইনি সুরক্ষা দিতে ‘হুইসেলব্লোয়ার প্রটেকশন’ আইন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান সব আইনি কাঠামোর যথাযথ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবার ও সমাজে দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ তৈরি ও সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষা কারিকুলামে আমূল পরিবর্তন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশেষ কর্মসূচি চালুর কথা বলেছে দলটি।
ইশতেহারের ষষ্ঠ দফায় জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঔপনিবেশিক আমলের ১৮৬১ ও ১৮৯৮ সালের পুলিশ আইন যুগোপযোগী করা, একটি স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠন, র্যাব বিলুপ্ত করা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যবহার বন্ধ করতে সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনসিপি।
ইশতেহারের অন্য দফাগুলোয় সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন; জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার; স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ; সর্বজনীন স্বাস্থ্য; জাতি গঠনে শিক্ষানীতি; গবেষণা উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব; ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্তার মর্যাদা; নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন; মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি; তারুণ্য ও কর্মসংস্থান; বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি; টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব; শ্রমিক-কৃষকের অধিকার; জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা; নগরায়ণ, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা; জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা; প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার; বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি সমস্যা সমাধানের রাজনীতি। আমরা এমন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ব, যেখানে টাকার অভাবে কেউ মরবে না। তরুণদের স্বপ্নকে দমিয়ে না রেখে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে খুনি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। আমরা রাজপথ ছেড়ে যাইনি, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।’
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘লড়াই জারি রাখুন। কোনো টাকাপয়সা, তদবির, টেন্ডারবাজি ছাড়া যদি লড়াই জারি রাখতে পারেন, তাহলে এই শহীদ মিনার থেকে ইনশাল্লাহ আমরা সরকার গঠন করব।’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—কেউ যদি ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, তাহলে পিছু হটবেন না। আমরা জানি, এলাকায় এলাকায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাটুরিয়া এনসিপির নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ যদি চোখ তুলে তাকায়, তাহলে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পক্ষে আজ সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচার চাইতে এসেছি, আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি। আমরা মুজিববাদী সংবিধান ছুড়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।’
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আর বিভাজনের রাজনীতি দেখতে চাই না। জুলাই সনদের প্রতিটি কথা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদকে কোনো সাধারণ কাগজে পরিণত হতে দেব না। জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই সনদ অন্তর্বর্তী সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণকে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে।’
সমাবেশ ঘিরে গত শনিবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শহীদ মিনারের আশপাশে এসে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মূল বেদির দুই পাশে এলইডি স্ক্রিনে আন্দোলনের তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়। সমাবেশস্থলে ছিল লাল কার্পেট, নেতাদের জন্য তাঁবু, মোবাইল টয়লেট, মেডিকেল বুথ, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। পুলিশের ডগ স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট এবং বাড়তি টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সমাবেশ থেকে এক দফা আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন এবং এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রার’ সমাপ্তি ঘোষণা হয়।

কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটিই শুধু নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থাও।
আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।’
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটিই শুধু নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থাও।
আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।’
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
০৩ আগস্ট ২০২৫
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন জুবাইদা রহমান। বেলা পৌনে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জুবাইদা রহমান বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন জুবাইদা রহমান। বেলা পৌনে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জুবাইদা রহমান বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
০৩ আগস্ট ২০২৫
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৪ ঘণ্টা আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
এর আগে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে এসেছিলেন জোবাইদা রহমান। এক মাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ৫ জুন আবারো লন্ডন ফিরে যান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে। সর্বশেষ বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আগামী রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।
খালেদা জিয়ার ১৪ জন সফরসঙ্গী
পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন তালুকদার, চিকিৎসক নুরুদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদের রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী) ও রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।
জোবাইদা রহমানেরও এই তালিকায় সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই ১২ দিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
এর আগে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে এসেছিলেন জোবাইদা রহমান। এক মাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ৫ জুন আবারো লন্ডন ফিরে যান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে। সর্বশেষ বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আগামী রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।
খালেদা জিয়ার ১৪ জন সফরসঙ্গী
পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন তালুকদার, চিকিৎসক নুরুদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদের রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী) ও রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।
জোবাইদা রহমানেরও এই তালিকায় সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই ১২ দিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
০৩ আগস্ট ২০২৫
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
আজ সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনো না পৌঁছানোয় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
আজ সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনো না পৌঁছানোয় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
০৩ আগস্ট ২০২৫
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
৪ ঘণ্টা আগে