আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতেন, তাঁরা মূলত ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতেন। নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার দায় থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশীদার হতেন এবং ছাত্রলীগের সংস্কৃতিই চর্চা করতেন।
আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন কল দিয়ে তদবিরও করেছিলেন।
যাঁদের বিষয়ে অভিযোগ
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন:
মাজেদুর রহমান (বিজয় একাত্তর হল) : ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে রাতভর মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। আবদুল কাদেরের দাবি, তিনি একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে জানতেন মাজেদুর ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে ‘ভয়ংকর নিপীড়ক’ হয়ে ওঠেন।
মুসাদ্দিক বিল্লাহ (ঢাবি ছাত্রলীগ দপ্তর সম্পাদক) : ২০১৭-১৮ সেশনের এই নেতাকে আবদুল কাদের তাঁর জেলার বলে উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার জামায়াতপন্থী এবং তিনি নিজেও শিবিরের সাথী ছিলেন। তবে ‘পদ-পদবির জন্য তিনি কট্টর ছাত্রলীগ’ হয়ে ওঠেন এবং পূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পান।
আফজালুন নাঈম (জসীমউদ্দীন হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের। তিনি উল্লেখ করেন, এই নাঈম এখন জামায়াত-শিবিরের ‘আইকন’ শিশির মনিরের বিশেষ সহকারী।
ইলিয়াস হোসাইন (মুজিব হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই নেতা জুনিয়রদের কাছে ‘ত্রাসের নাম’ ছিলেন। মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চাপ দিতেন, গেস্টরুমে ‘অসহ্য মেন্টাল টর্চার’ করতেন এবং ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর এই ইলিয়াস ‘শিবিরের বড় নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং এখন শিবিরের ‘ইমামদের’ সঙ্গে চলাফেরা করেন।
মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল (মুহসীন হল) : ২০১৭ সালে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হলছাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ ছাত্রলীগ নেতার একজন। আবদুল কাদেরের দাবি, শাহাদাত ‘শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত’ ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পর সাদিক কায়েম শাহাদাতকে নিয়ে পোস্টকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তদবির করেন।
হাসানুল বান্না (জহুরুল হক হল) : ২০২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থীকে আবদুল কাদের ‘গুপ্ত শিবির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে থেকে ‘তেলবাজি ও চাটুকারিতায় অনন্য’ ছিল। ৫ আগস্টের পর বান্না শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন এবং এখন শিবিরের জহুরুল হক হল শাখার ‘বড় নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
রায়হান উদ্দিন (স্যার এ এফ রহমান হল) : ২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং হল ক্যান্ডিডেটের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’ ছিলেন। আবদুল কাদেরের দাবি, এই রায়হান ৫ আগস্টের পর শিবিরের ‘বড় নেতা’ হিসেবে হাজির হয়েছেন এবং তার আগের ফেসবুক আইডি মুছে ফেলেছেন।
হাসান সাঈদী (বিজয় একাত্তর হল) : আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই সাঈদী শিবিরের সাথী ছিলেন এবং পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজেকে ‘লীগার’ প্রমাণ করতে তিনি ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নেন এবং কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে ‘সাঈদ’ রাখেন। অবশেষে তিনি একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হন। আবদুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, সাঈদীসহ কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখেছিলেন, যার জন্য তিনি গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, শিবিরের কৌশলগত জায়গা থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের বড় পদ নিতেন। হল ক্যান্ডিডেট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাঁদের ছাত্রলীগের স্টাইল অনুসরণ করতে হতো। শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ তাঁরা ‘একিনের’ সঙ্গে করতেন, যার উদ্দেশ্য ছিল পদ পাওয়া।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটি হয় শিবিরের ‘প্রেসক্রিপশনে’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীকালে ‘ছায়া প্রশাসন’ হিসেবে কাজ করে এবং ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়, যেখানে তারা নিজেদের ‘সাথী ভাইদের’ তালিকার বাইরে রাখে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মাহিম সরকার ও আরমান হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই দুই মামলার বাদীর সঙ্গে শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তদবির করেন। আরমান পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যাঁদের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন, তাঁরা শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শিবিরের প্রতিক্রিয়া
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি ফেসবুকে যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়। মামলার বিষয়ে আমি আরমানকে মেসেজ দিয়েছিলাম খোঁজ নিয়ে দেখতে, যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই ‘তদবির-কাণ্ডের’ কারণে জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায়নি। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে। শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতা-কর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করেনি। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত এক যুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাদবরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!’
পোস্টের সঙ্গে সাদিক কায়েম যে মামলার বিষয়ে বাদীর কাছে তদবির করেছেন, সেই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন আবদুল কাদের। এ ছাড়া কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, ‘পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে আছে। কিছু ঘটনার নিউজ আছে।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতেন, তাঁরা মূলত ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতেন। নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার দায় থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশীদার হতেন এবং ছাত্রলীগের সংস্কৃতিই চর্চা করতেন।
আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন কল দিয়ে তদবিরও করেছিলেন।
যাঁদের বিষয়ে অভিযোগ
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন:
মাজেদুর রহমান (বিজয় একাত্তর হল) : ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে রাতভর মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। আবদুল কাদেরের দাবি, তিনি একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে জানতেন মাজেদুর ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে ‘ভয়ংকর নিপীড়ক’ হয়ে ওঠেন।
মুসাদ্দিক বিল্লাহ (ঢাবি ছাত্রলীগ দপ্তর সম্পাদক) : ২০১৭-১৮ সেশনের এই নেতাকে আবদুল কাদের তাঁর জেলার বলে উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার জামায়াতপন্থী এবং তিনি নিজেও শিবিরের সাথী ছিলেন। তবে ‘পদ-পদবির জন্য তিনি কট্টর ছাত্রলীগ’ হয়ে ওঠেন এবং পূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পান।
আফজালুন নাঈম (জসীমউদ্দীন হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের। তিনি উল্লেখ করেন, এই নাঈম এখন জামায়াত-শিবিরের ‘আইকন’ শিশির মনিরের বিশেষ সহকারী।
ইলিয়াস হোসাইন (মুজিব হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই নেতা জুনিয়রদের কাছে ‘ত্রাসের নাম’ ছিলেন। মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চাপ দিতেন, গেস্টরুমে ‘অসহ্য মেন্টাল টর্চার’ করতেন এবং ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর এই ইলিয়াস ‘শিবিরের বড় নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং এখন শিবিরের ‘ইমামদের’ সঙ্গে চলাফেরা করেন।
মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল (মুহসীন হল) : ২০১৭ সালে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হলছাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ ছাত্রলীগ নেতার একজন। আবদুল কাদেরের দাবি, শাহাদাত ‘শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত’ ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পর সাদিক কায়েম শাহাদাতকে নিয়ে পোস্টকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তদবির করেন।
হাসানুল বান্না (জহুরুল হক হল) : ২০২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থীকে আবদুল কাদের ‘গুপ্ত শিবির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে থেকে ‘তেলবাজি ও চাটুকারিতায় অনন্য’ ছিল। ৫ আগস্টের পর বান্না শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন এবং এখন শিবিরের জহুরুল হক হল শাখার ‘বড় নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
রায়হান উদ্দিন (স্যার এ এফ রহমান হল) : ২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং হল ক্যান্ডিডেটের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’ ছিলেন। আবদুল কাদেরের দাবি, এই রায়হান ৫ আগস্টের পর শিবিরের ‘বড় নেতা’ হিসেবে হাজির হয়েছেন এবং তার আগের ফেসবুক আইডি মুছে ফেলেছেন।
হাসান সাঈদী (বিজয় একাত্তর হল) : আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই সাঈদী শিবিরের সাথী ছিলেন এবং পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজেকে ‘লীগার’ প্রমাণ করতে তিনি ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নেন এবং কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে ‘সাঈদ’ রাখেন। অবশেষে তিনি একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হন। আবদুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, সাঈদীসহ কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখেছিলেন, যার জন্য তিনি গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, শিবিরের কৌশলগত জায়গা থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের বড় পদ নিতেন। হল ক্যান্ডিডেট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাঁদের ছাত্রলীগের স্টাইল অনুসরণ করতে হতো। শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ তাঁরা ‘একিনের’ সঙ্গে করতেন, যার উদ্দেশ্য ছিল পদ পাওয়া।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটি হয় শিবিরের ‘প্রেসক্রিপশনে’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীকালে ‘ছায়া প্রশাসন’ হিসেবে কাজ করে এবং ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়, যেখানে তারা নিজেদের ‘সাথী ভাইদের’ তালিকার বাইরে রাখে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মাহিম সরকার ও আরমান হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই দুই মামলার বাদীর সঙ্গে শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তদবির করেন। আরমান পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যাঁদের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন, তাঁরা শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শিবিরের প্রতিক্রিয়া
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি ফেসবুকে যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়। মামলার বিষয়ে আমি আরমানকে মেসেজ দিয়েছিলাম খোঁজ নিয়ে দেখতে, যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই ‘তদবির-কাণ্ডের’ কারণে জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায়নি। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে। শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতা-কর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করেনি। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত এক যুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাদবরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!’
পোস্টের সঙ্গে সাদিক কায়েম যে মামলার বিষয়ে বাদীর কাছে তদবির করেছেন, সেই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন আবদুল কাদের। এ ছাড়া কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, ‘পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে আছে। কিছু ঘটনার নিউজ আছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতেন, তাঁরা মূলত ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতেন। নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার দায় থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশীদার হতেন এবং ছাত্রলীগের সংস্কৃতিই চর্চা করতেন।
আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন কল দিয়ে তদবিরও করেছিলেন।
যাঁদের বিষয়ে অভিযোগ
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন:
মাজেদুর রহমান (বিজয় একাত্তর হল) : ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে রাতভর মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। আবদুল কাদেরের দাবি, তিনি একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে জানতেন মাজেদুর ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে ‘ভয়ংকর নিপীড়ক’ হয়ে ওঠেন।
মুসাদ্দিক বিল্লাহ (ঢাবি ছাত্রলীগ দপ্তর সম্পাদক) : ২০১৭-১৮ সেশনের এই নেতাকে আবদুল কাদের তাঁর জেলার বলে উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার জামায়াতপন্থী এবং তিনি নিজেও শিবিরের সাথী ছিলেন। তবে ‘পদ-পদবির জন্য তিনি কট্টর ছাত্রলীগ’ হয়ে ওঠেন এবং পূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পান।
আফজালুন নাঈম (জসীমউদ্দীন হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের। তিনি উল্লেখ করেন, এই নাঈম এখন জামায়াত-শিবিরের ‘আইকন’ শিশির মনিরের বিশেষ সহকারী।
ইলিয়াস হোসাইন (মুজিব হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই নেতা জুনিয়রদের কাছে ‘ত্রাসের নাম’ ছিলেন। মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চাপ দিতেন, গেস্টরুমে ‘অসহ্য মেন্টাল টর্চার’ করতেন এবং ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর এই ইলিয়াস ‘শিবিরের বড় নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং এখন শিবিরের ‘ইমামদের’ সঙ্গে চলাফেরা করেন।
মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল (মুহসীন হল) : ২০১৭ সালে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হলছাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ ছাত্রলীগ নেতার একজন। আবদুল কাদেরের দাবি, শাহাদাত ‘শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত’ ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পর সাদিক কায়েম শাহাদাতকে নিয়ে পোস্টকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তদবির করেন।
হাসানুল বান্না (জহুরুল হক হল) : ২০২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থীকে আবদুল কাদের ‘গুপ্ত শিবির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে থেকে ‘তেলবাজি ও চাটুকারিতায় অনন্য’ ছিল। ৫ আগস্টের পর বান্না শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন এবং এখন শিবিরের জহুরুল হক হল শাখার ‘বড় নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
রায়হান উদ্দিন (স্যার এ এফ রহমান হল) : ২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং হল ক্যান্ডিডেটের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’ ছিলেন। আবদুল কাদেরের দাবি, এই রায়হান ৫ আগস্টের পর শিবিরের ‘বড় নেতা’ হিসেবে হাজির হয়েছেন এবং তার আগের ফেসবুক আইডি মুছে ফেলেছেন।
হাসান সাঈদী (বিজয় একাত্তর হল) : আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই সাঈদী শিবিরের সাথী ছিলেন এবং পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজেকে ‘লীগার’ প্রমাণ করতে তিনি ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নেন এবং কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে ‘সাঈদ’ রাখেন। অবশেষে তিনি একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হন। আবদুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, সাঈদীসহ কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখেছিলেন, যার জন্য তিনি গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, শিবিরের কৌশলগত জায়গা থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের বড় পদ নিতেন। হল ক্যান্ডিডেট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাঁদের ছাত্রলীগের স্টাইল অনুসরণ করতে হতো। শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ তাঁরা ‘একিনের’ সঙ্গে করতেন, যার উদ্দেশ্য ছিল পদ পাওয়া।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটি হয় শিবিরের ‘প্রেসক্রিপশনে’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীকালে ‘ছায়া প্রশাসন’ হিসেবে কাজ করে এবং ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়, যেখানে তারা নিজেদের ‘সাথী ভাইদের’ তালিকার বাইরে রাখে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মাহিম সরকার ও আরমান হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই দুই মামলার বাদীর সঙ্গে শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তদবির করেন। আরমান পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যাঁদের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন, তাঁরা শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শিবিরের প্রতিক্রিয়া
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি ফেসবুকে যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়। মামলার বিষয়ে আমি আরমানকে মেসেজ দিয়েছিলাম খোঁজ নিয়ে দেখতে, যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই ‘তদবির-কাণ্ডের’ কারণে জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায়নি। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে। শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতা-কর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করেনি। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত এক যুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাদবরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!’
পোস্টের সঙ্গে সাদিক কায়েম যে মামলার বিষয়ে বাদীর কাছে তদবির করেছেন, সেই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন আবদুল কাদের। এ ছাড়া কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, ‘পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে আছে। কিছু ঘটনার নিউজ আছে।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতেন, তাঁরা মূলত ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতেন। নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার দায় থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশীদার হতেন এবং ছাত্রলীগের সংস্কৃতিই চর্চা করতেন।
আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন কল দিয়ে তদবিরও করেছিলেন।
যাঁদের বিষয়ে অভিযোগ
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন:
মাজেদুর রহমান (বিজয় একাত্তর হল) : ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে রাতভর মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। আবদুল কাদেরের দাবি, তিনি একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে জানতেন মাজেদুর ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে ‘ভয়ংকর নিপীড়ক’ হয়ে ওঠেন।
মুসাদ্দিক বিল্লাহ (ঢাবি ছাত্রলীগ দপ্তর সম্পাদক) : ২০১৭-১৮ সেশনের এই নেতাকে আবদুল কাদের তাঁর জেলার বলে উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার জামায়াতপন্থী এবং তিনি নিজেও শিবিরের সাথী ছিলেন। তবে ‘পদ-পদবির জন্য তিনি কট্টর ছাত্রলীগ’ হয়ে ওঠেন এবং পূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পান।
আফজালুন নাঈম (জসীমউদ্দীন হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের। তিনি উল্লেখ করেন, এই নাঈম এখন জামায়াত-শিবিরের ‘আইকন’ শিশির মনিরের বিশেষ সহকারী।
ইলিয়াস হোসাইন (মুজিব হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই নেতা জুনিয়রদের কাছে ‘ত্রাসের নাম’ ছিলেন। মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চাপ দিতেন, গেস্টরুমে ‘অসহ্য মেন্টাল টর্চার’ করতেন এবং ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর এই ইলিয়াস ‘শিবিরের বড় নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং এখন শিবিরের ‘ইমামদের’ সঙ্গে চলাফেরা করেন।
মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল (মুহসীন হল) : ২০১৭ সালে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হলছাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ ছাত্রলীগ নেতার একজন। আবদুল কাদেরের দাবি, শাহাদাত ‘শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত’ ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পর সাদিক কায়েম শাহাদাতকে নিয়ে পোস্টকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তদবির করেন।
হাসানুল বান্না (জহুরুল হক হল) : ২০২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থীকে আবদুল কাদের ‘গুপ্ত শিবির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে থেকে ‘তেলবাজি ও চাটুকারিতায় অনন্য’ ছিল। ৫ আগস্টের পর বান্না শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন এবং এখন শিবিরের জহুরুল হক হল শাখার ‘বড় নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
রায়হান উদ্দিন (স্যার এ এফ রহমান হল) : ২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং হল ক্যান্ডিডেটের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’ ছিলেন। আবদুল কাদেরের দাবি, এই রায়হান ৫ আগস্টের পর শিবিরের ‘বড় নেতা’ হিসেবে হাজির হয়েছেন এবং তার আগের ফেসবুক আইডি মুছে ফেলেছেন।
হাসান সাঈদী (বিজয় একাত্তর হল) : আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই সাঈদী শিবিরের সাথী ছিলেন এবং পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজেকে ‘লীগার’ প্রমাণ করতে তিনি ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নেন এবং কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে ‘সাঈদ’ রাখেন। অবশেষে তিনি একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হন। আবদুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, সাঈদীসহ কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখেছিলেন, যার জন্য তিনি গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, শিবিরের কৌশলগত জায়গা থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের বড় পদ নিতেন। হল ক্যান্ডিডেট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাঁদের ছাত্রলীগের স্টাইল অনুসরণ করতে হতো। শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ তাঁরা ‘একিনের’ সঙ্গে করতেন, যার উদ্দেশ্য ছিল পদ পাওয়া।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটি হয় শিবিরের ‘প্রেসক্রিপশনে’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীকালে ‘ছায়া প্রশাসন’ হিসেবে কাজ করে এবং ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়, যেখানে তারা নিজেদের ‘সাথী ভাইদের’ তালিকার বাইরে রাখে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মাহিম সরকার ও আরমান হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই দুই মামলার বাদীর সঙ্গে শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তদবির করেন। আরমান পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যাঁদের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন, তাঁরা শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শিবিরের প্রতিক্রিয়া
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি ফেসবুকে যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়। মামলার বিষয়ে আমি আরমানকে মেসেজ দিয়েছিলাম খোঁজ নিয়ে দেখতে, যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই ‘তদবির-কাণ্ডের’ কারণে জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায়নি। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে। শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতা-কর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করেনি। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত এক যুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাদবরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!’
পোস্টের সঙ্গে সাদিক কায়েম যে মামলার বিষয়ে বাদীর কাছে তদবির করেছেন, সেই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন আবদুল কাদের। এ ছাড়া কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, ‘পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে আছে। কিছু ঘটনার নিউজ আছে।’

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে