আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
তারেক রহমান বলেছেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
বিএনপির কার্যত প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমি মনে করি, আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।’
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হবে—দেশত্যাগ করে যেখানে শেখ হাসিনা রয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারেক রহমানেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি এখন সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছেন।
তারেক রহমান ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
এনসিপি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, ভবিষ্যৎ তাদেরই।’
তারেক রহমান ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কিছু দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ই-বে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, যা শেখ হাসিনার সময়কার ‘একপেশে’ সম্পর্ককে পুনর্গঠন করবে।
বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আসলে এক তিক্ত পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবদ্ধ। শেখ হাসিনা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যিনি ১৯৭৫ সালে সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন। তারেক রহমানের বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানও ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হন। তাঁর মৃত্যুর পর তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন বিএনপির নেতৃত্ব দেন।
৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিশোধের এই চক্র ভাঙবে। এরই মধ্যে বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিশোধের সঙ্গে জড়িত সাত হাজার সদস্যকে শাস্তি দিয়েছে বা বহিষ্কার করেছে।
তবে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দেননি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?’
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।
তবে বিএনপির আগের শাসনামলে টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
২০০৮ সালে ফাঁস হওয়া এক মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় তারেক রহমানকে বলা হয়েছিল ‘লুটতরাজ ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’। যেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি ‘প্রকাশ্যে ও নিয়মিত ঘুষ দাবির জন্য কুখ্যাত’।
দলীয় অতীত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান স্বীকার করেন, যেকোনো সরকারেরই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে তিনি বিএনপির দুর্নীতি দমনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপিই বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছিল।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া বর্ণনাই ওই মার্কিন তারবার্তার ভিত্তি তৈরি করেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে করা সব মামলা এখন প্রত্যাহার হয়েছে।’
অন্যদিকে ছাত্রনেতৃত্বাধীন এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন সম্পূর্ণ মুক্ত ও নিরপেক্ষ না-ও হতে পারে। কারণ, বিএনপি এরই মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্র দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি আমাদের জন্য একেবারেই সুখকর নয়।
ঢাকার রাস্তাজুড়ে এখন পোস্টার ও ব্যানারে তারেক রহমানের মুখ ভাসছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
তারেক রহমান বলেছেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
বিএনপির কার্যত প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমি মনে করি, আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।’
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হবে—দেশত্যাগ করে যেখানে শেখ হাসিনা রয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারেক রহমানেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি এখন সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছেন।
তারেক রহমান ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
এনসিপি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, ভবিষ্যৎ তাদেরই।’
তারেক রহমান ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কিছু দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ই-বে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, যা শেখ হাসিনার সময়কার ‘একপেশে’ সম্পর্ককে পুনর্গঠন করবে।
বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আসলে এক তিক্ত পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবদ্ধ। শেখ হাসিনা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যিনি ১৯৭৫ সালে সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন। তারেক রহমানের বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানও ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হন। তাঁর মৃত্যুর পর তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন বিএনপির নেতৃত্ব দেন।
৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিশোধের এই চক্র ভাঙবে। এরই মধ্যে বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিশোধের সঙ্গে জড়িত সাত হাজার সদস্যকে শাস্তি দিয়েছে বা বহিষ্কার করেছে।
তবে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দেননি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?’
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।
তবে বিএনপির আগের শাসনামলে টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
২০০৮ সালে ফাঁস হওয়া এক মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় তারেক রহমানকে বলা হয়েছিল ‘লুটতরাজ ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’। যেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি ‘প্রকাশ্যে ও নিয়মিত ঘুষ দাবির জন্য কুখ্যাত’।
দলীয় অতীত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান স্বীকার করেন, যেকোনো সরকারেরই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে তিনি বিএনপির দুর্নীতি দমনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপিই বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছিল।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া বর্ণনাই ওই মার্কিন তারবার্তার ভিত্তি তৈরি করেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে করা সব মামলা এখন প্রত্যাহার হয়েছে।’
অন্যদিকে ছাত্রনেতৃত্বাধীন এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন সম্পূর্ণ মুক্ত ও নিরপেক্ষ না-ও হতে পারে। কারণ, বিএনপি এরই মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্র দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি আমাদের জন্য একেবারেই সুখকর নয়।
ঢাকার রাস্তাজুড়ে এখন পোস্টার ও ব্যানারে তারেক রহমানের মুখ ভাসছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
তারেক রহমান বলেছেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
বিএনপির কার্যত প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমি মনে করি, আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।’
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হবে—দেশত্যাগ করে যেখানে শেখ হাসিনা রয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারেক রহমানেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি এখন সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছেন।
তারেক রহমান ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
এনসিপি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, ভবিষ্যৎ তাদেরই।’
তারেক রহমান ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কিছু দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ই-বে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, যা শেখ হাসিনার সময়কার ‘একপেশে’ সম্পর্ককে পুনর্গঠন করবে।
বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আসলে এক তিক্ত পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবদ্ধ। শেখ হাসিনা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যিনি ১৯৭৫ সালে সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন। তারেক রহমানের বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানও ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হন। তাঁর মৃত্যুর পর তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন বিএনপির নেতৃত্ব দেন।
৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিশোধের এই চক্র ভাঙবে। এরই মধ্যে বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিশোধের সঙ্গে জড়িত সাত হাজার সদস্যকে শাস্তি দিয়েছে বা বহিষ্কার করেছে।
তবে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দেননি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?’
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।
তবে বিএনপির আগের শাসনামলে টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
২০০৮ সালে ফাঁস হওয়া এক মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় তারেক রহমানকে বলা হয়েছিল ‘লুটতরাজ ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’। যেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি ‘প্রকাশ্যে ও নিয়মিত ঘুষ দাবির জন্য কুখ্যাত’।
দলীয় অতীত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান স্বীকার করেন, যেকোনো সরকারেরই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে তিনি বিএনপির দুর্নীতি দমনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপিই বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছিল।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া বর্ণনাই ওই মার্কিন তারবার্তার ভিত্তি তৈরি করেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে করা সব মামলা এখন প্রত্যাহার হয়েছে।’
অন্যদিকে ছাত্রনেতৃত্বাধীন এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন সম্পূর্ণ মুক্ত ও নিরপেক্ষ না-ও হতে পারে। কারণ, বিএনপি এরই মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্র দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি আমাদের জন্য একেবারেই সুখকর নয়।
ঢাকার রাস্তাজুড়ে এখন পোস্টার ও ব্যানারে তারেক রহমানের মুখ ভাসছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
তারেক রহমান বলেছেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
বিএনপির কার্যত প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমি মনে করি, আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।’
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হবে—দেশত্যাগ করে যেখানে শেখ হাসিনা রয়েছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারেক রহমানেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি এখন সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছেন।
তারেক রহমান ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
এনসিপি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, ভবিষ্যৎ তাদেরই।’
তারেক রহমান ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কিছু দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ই-বে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, যা শেখ হাসিনার সময়কার ‘একপেশে’ সম্পর্ককে পুনর্গঠন করবে।
বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আসলে এক তিক্ত পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবদ্ধ। শেখ হাসিনা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যিনি ১৯৭৫ সালে সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন। তারেক রহমানের বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানও ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হন। তাঁর মৃত্যুর পর তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন বিএনপির নেতৃত্ব দেন।
৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিশোধের এই চক্র ভাঙবে। এরই মধ্যে বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিশোধের সঙ্গে জড়িত সাত হাজার সদস্যকে শাস্তি দিয়েছে বা বহিষ্কার করেছে।
তবে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দেননি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?’
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।
তবে বিএনপির আগের শাসনামলে টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
২০০৮ সালে ফাঁস হওয়া এক মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় তারেক রহমানকে বলা হয়েছিল ‘লুটতরাজ ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’। যেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি ‘প্রকাশ্যে ও নিয়মিত ঘুষ দাবির জন্য কুখ্যাত’।
দলীয় অতীত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান স্বীকার করেন, যেকোনো সরকারেরই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে তিনি বিএনপির দুর্নীতি দমনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপিই বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছিল।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া বর্ণনাই ওই মার্কিন তারবার্তার ভিত্তি তৈরি করেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে করা সব মামলা এখন প্রত্যাহার হয়েছে।’
অন্যদিকে ছাত্রনেতৃত্বাধীন এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন সম্পূর্ণ মুক্ত ও নিরপেক্ষ না-ও হতে পারে। কারণ, বিএনপি এরই মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্র দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি আমাদের জন্য একেবারেই সুখকর নয়।
ঢাকার রাস্তাজুড়ে এখন পোস্টার ও ব্যানারে তারেক রহমানের মুখ ভাসছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।
২ মিনিট আগে
ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।
৮ মিনিট আগে
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
২০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-৮ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আসনে আমাদের গণতন্ত্রের প্রথম শহিদ হয়েছে শরিফ ওসমান হাদি। তবে শুধু ওসমান হাদিই নয়, এখানে সাম্য হত্যাকাণ্ডও হয়েছিল। আমরা এই দুই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমার ওপর একটি গুরুদায়িত্ব পড়েছে যে, শহিদ ওসমান হাদির যে পথ, সেই পথকে এই আসনে এবং পুরো বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে। এটিও বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ, যাতে আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ঠিক থাকে। আমি জোট থেকে এই আসনে প্রার্থী হয়েছি। আমরা দুর্নীতি, ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আজাদি স্লোগান নিয়ে ইনশাআল্লাহ মাঠে থাকব। যাতে আমরা বাংলাদেশে ঢাকা-৮ আসনকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বানাতে পারি সেই যাত্রা আমাদের অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মান্নান তালুকদার (মাহিন), সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রিন্স এবং এনসিপির উত্তরার সাত থানার প্রধান সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারীরা।
ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও দক্ষিণখান। ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে মতিঝিল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-৮ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আসনে আমাদের গণতন্ত্রের প্রথম শহিদ হয়েছে শরিফ ওসমান হাদি। তবে শুধু ওসমান হাদিই নয়, এখানে সাম্য হত্যাকাণ্ডও হয়েছিল। আমরা এই দুই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমার ওপর একটি গুরুদায়িত্ব পড়েছে যে, শহিদ ওসমান হাদির যে পথ, সেই পথকে এই আসনে এবং পুরো বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে। এটিও বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ, যাতে আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ঠিক থাকে। আমি জোট থেকে এই আসনে প্রার্থী হয়েছি। আমরা দুর্নীতি, ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আজাদি স্লোগান নিয়ে ইনশাআল্লাহ মাঠে থাকব। যাতে আমরা বাংলাদেশে ঢাকা-৮ আসনকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বানাতে পারি সেই যাত্রা আমাদের অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মান্নান তালুকদার (মাহিন), সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রিন্স এবং এনসিপির উত্তরার সাত থানার প্রধান সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারীরা।
ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও দক্ষিণখান। ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে মতিঝিল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।
৮ মিনিট আগে
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
২০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। এ লক্ষ্যে প্রথমে খিলগাঁওয়ে একটি ও পরে বাসাবোতে আরেকটি বুথ চালু করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে খিলগাঁওয়ের বুথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একদিনেই ৪ হাজার ৬৯৩ জনের বেশি স্বাক্ষর পেয়েছেন তারা। সেই স্বাক্ষর নিয়ে সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা গেছেন তাসনিম জারা।
আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য তাকে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে। ঢাকা-৯ আসনের ভোটার অনুপাতে কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৯৩ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল জারার।
জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জোট করার পর দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তাসনিম জারা।

ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। এ লক্ষ্যে প্রথমে খিলগাঁওয়ে একটি ও পরে বাসাবোতে আরেকটি বুথ চালু করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে খিলগাঁওয়ের বুথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একদিনেই ৪ হাজার ৬৯৩ জনের বেশি স্বাক্ষর পেয়েছেন তারা। সেই স্বাক্ষর নিয়ে সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা গেছেন তাসনিম জারা।
আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য তাকে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে। ঢাকা-৯ আসনের ভোটার অনুপাতে কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৯৩ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল জারার।
জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জোট করার পর দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তাসনিম জারা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।
২ মিনিট আগে
নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।
৮ মিনিট আগে
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
২০ মিনিট আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

এবারের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি একা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিনের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহের বলেন, এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আসন লাভ করে সরকার গঠন করবে। এ দেশের মানুষ জানে, একটি দল সরকার পরিচালনার সময় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্ষমতা থাকাকালে তারা ব্যাপক লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, এ দেশের জনগণ চায় নতুন নেতৃত্ব। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাহের বলেন, ‘আমি আশা করব, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সবাই যাতে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে, সরকার সেই ব্যবস্থাই করবে।’
বিএনপির নাম উচ্চারণ না করে তাহের বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কারা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত ছিল, জনগণ সবই জানে। তাই আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি, জনগণ এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটকে ভোট দেবে এবং আমরা সরকার গঠন করব।’
এ সময় তাঁর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি একা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিনের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহের বলেন, এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আসন লাভ করে সরকার গঠন করবে। এ দেশের মানুষ জানে, একটি দল সরকার পরিচালনার সময় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্ষমতা থাকাকালে তারা ব্যাপক লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, এ দেশের জনগণ চায় নতুন নেতৃত্ব। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাহের বলেন, ‘আমি আশা করব, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সবাই যাতে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে, সরকার সেই ব্যবস্থাই করবে।’
বিএনপির নাম উচ্চারণ না করে তাহের বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কারা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত ছিল, জনগণ সবই জানে। তাই আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি, জনগণ এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটকে ভোট দেবে এবং আমরা সরকার গঠন করব।’
এ সময় তাঁর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।
২ মিনিট আগে
ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
৬ মিনিট আগে
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
২০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ। তাঁরা দুজনেই আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ১৩১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টির (একাংশ) ও জেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। সেখানে দলটির থেকে পক্ষ বলা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় তাঁদের নেতাদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন দিলেও মামলার আসামি হয়ে তাঁরা নির্বাচন করতে চান না। এ জন্য সরকারের কাছে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তাঁরা।
জাতীয় পার্টি ও জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ আসনে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে জেপির চেয়ারম্যান ও জোটের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ঢাকা-১০, হাওলাদারের স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ সোমবার শেষ সময়ে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নামে সাত-আটটি মামলা আছে, সেগুলো প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন অংশ নেব না। কারণ, মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে হয়রানির আশঙ্কা আছে। আবার নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও নেই। প্রচারে নামলে নানান অভিযোগ তুলে হামলাও হতে পারে। এসব কিছু বিবেচনা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সমীচীন হবে না। তাই মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না।’ স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নাও নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান রুহুল আমিন হাওলাদার।
ঢাকা-১০ ও গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দিচ্ছেন না কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতগুলো মামলা মাথায় নিয়ে কেমনে নির্বাচন করতে যাব? পুলিশ তো বলবে আপনার নামে মামলা আছে, চলেন। হা-পা বেঁধে তো নির্বাচন করা যায় না।’
কাজী ফিরোজ রশিদ আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের পক্ষে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছি। টেলিভিশনে ফাটিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা দিল। এটা হয়? আমরা নির্বাচনে যাব, সেটা তারা চায় না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসুক কেউ চাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনে যাব কীভাবে? এ কারণে মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না।’

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা ও মামলা প্রত্যাহার না করায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ। তাঁরা দুজনেই আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ১৩১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টির (একাংশ) ও জেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। সেখানে দলটির থেকে পক্ষ বলা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় তাঁদের নেতাদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন দিলেও মামলার আসামি হয়ে তাঁরা নির্বাচন করতে চান না। এ জন্য সরকারের কাছে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তাঁরা।
জাতীয় পার্টি ও জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ আসনে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে জেপির চেয়ারম্যান ও জোটের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ঢাকা-১০, হাওলাদারের স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ সোমবার শেষ সময়ে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নামে সাত-আটটি মামলা আছে, সেগুলো প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন অংশ নেব না। কারণ, মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে হয়রানির আশঙ্কা আছে। আবার নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও নেই। প্রচারে নামলে নানান অভিযোগ তুলে হামলাও হতে পারে। এসব কিছু বিবেচনা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সমীচীন হবে না। তাই মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না।’ স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নাও নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান রুহুল আমিন হাওলাদার।
ঢাকা-১০ ও গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দিচ্ছেন না কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতগুলো মামলা মাথায় নিয়ে কেমনে নির্বাচন করতে যাব? পুলিশ তো বলবে আপনার নামে মামলা আছে, চলেন। হা-পা বেঁধে তো নির্বাচন করা যায় না।’
কাজী ফিরোজ রশিদ আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের পক্ষে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছি। টেলিভিশনে ফাটিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা দিল। এটা হয়? আমরা নির্বাচনে যাব, সেটা তারা চায় না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসুক কেউ চাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনে যাব কীভাবে? এ কারণে মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন...
০৬ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি।
২ মিনিট আগে
ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ডা. তাসনিম জারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডা. তাসনিম জারার জন্য ৪ হাজার ৬৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না। আর জুলাই যোদ্ধারা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্র হয়েছে। এসব কারণে এবারের নির্বাচনে বিএনপি কার্যত একা হয়ে পড়েছে।
৮ মিনিট আগে