Ajker Patrika

পুরনো মামলায় নতুন কৌশলে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১৭: ৩৫
পুরনো মামলায় নতুন কৌশলে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতারা

ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে সহিংস হয়ে উঠেছিল হেফাজতে ইসলাম। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় তাণ্ডব চালায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের আটজন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারের সূত্রপাত মোদিবিরোধী তাণ্ডব থেকে হলেও সেই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।      

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা হেফাজতের চলমান তাণ্ডবের ঘটনায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর দেখা যাচ্ছে এই নেতাদের বিরুদ্ধে আগেরও একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।   

সর্বশেষ রোববার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রিসোর্ট কাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ তাঁকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের মামলা  এবং পল্টন থানায় সম্প্রতি নাশকতার মামলায় তা‌কে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের আবেদন করবেন তারা।

শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব জালাল উদ্দিন ও বিকেলে বারিধারা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদেরও শাপলা চত্বরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দু’জনকেই রোববার আদালতে হাজিরের পর সাত দিন করে রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।    

এর আগে শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা জুবায়েরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার মতিঝিল থানা পুলিশ মাওলানা জুবায়েরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামুনুলসহ হেফাজত ইসলামের প্রথম সারির আট নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম সারি নেতাদের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালে অর্থাৎ আট বছর আগে করা ‘সরকার উৎখাতে’   উসকানি দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। চলমান ঘটনায় প্রথম ১১ এপ্রিল র‍্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম  ইসলামাবাদীকে। তাকে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশের মামলার ১৫৭ নম্বর আসামি হিসেবে আটক দেখানো হয়। যদিও বলা হয়েছে, মোদিবিরোধী নাশকতার বিষয়ে পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রোববার তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আজিজুল হককে।     

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সেসব মামলার দ্রুত তদন্ত শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছি। 

একই মামলায় ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহকে ও ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে ১১ এপ্রিল আটক করে র‍্যাব। তাকে অবশ্য নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়।  

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সমস্ত বিচারাধীন মামলার তদন্ত ত্বরান্বিত করছি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছি।  

জানা যায়, হেফাজতকে কোণঠাসা করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নতুন এই কৌশল নিয়েছে। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে সহসাই তারা কারামুক্ত হতে পারবেন না তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব, তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সারজিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশে স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাঁকে স্বাগত জানাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা। স্বাগতম।’

১৭ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে বিমান থেকে নামেন তারেক রহমান। এরপর ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালি পায়ে বাগানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন তারেক রহমান, হাতে নিলেন মাটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৯
খালি পায়ে বাগানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন তারেক রহমান, হাতে নিলেন মাটি

বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই জুতা খুলে মাটিতে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করেছেন তারেক রহমান। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরের বাগানে তিনি খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১২টা ৩১ মিনিটে জুতা-মোজা খুলে মাটিতে দাঁড়ান তারেক রহমান। এরপর ডান হাতে এক টুকরো মাটি তুলে নেন তিনি। এরপর জুতা পায়ে দিয়ে তাঁর জন্য নির্ধারিত বাসে উঠে পূর্বাচলে স্থাপিত সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে: আব্দুল কাদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন আব্দুল কাদের।

ফেসবুক পোস্টে আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামায়াতের সাথেই সরাসরি জোট বাঁধতেছে। সারাদেশে মানুষের, নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। আর এরই মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’

আব্দুল কাদের আরও লিখেছেন, ‘জামাতের থেকে এনসিপি চেয়েছিল ৫০ আসন, দর কষাকষির সর্বশেষ পর্যায়ে সেটা ৩০ আসনে গিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। জোটের শর্ত অনুযায়ী এনসিপি বাকি ২৭০ আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারবে না, সেগুলাতে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে এনসিপি। জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। সমঝোতার ৩০ আসনে কারা কারা চূড়ান্ত হবেন সেই দায়িত্ব জামায়াতের পক্ষ থেকে এনসিপির একজনকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি হচ্ছেন জামায়াতের অন্যতম আস্থাভাজন, নাসীরউদ্দিন পাটওয়ারী আর জামায়াতের দিক থেকে থাকবেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই দুইজন মিলেই এনসিপির ৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। ছোটন গং-এর সাথে নাহিদ ইসলামের আরও এক ধাপ আগানো সমঝোতা হয়েছে। ছোটন গং জানিয়েছে, পশ্চিমারা প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে জামায়াতকে চায় না। সেই হিসেবে নির্বাচনে জিতলে নাহিদ ইসলাম হবেন প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে নাহিদ হবে বিরোধীদলীয় নেতা।’

সবশেষে এই জুলাই যোদ্ধা লিখেছেন, ‘এতো এতো তরুণ নিজের গোছানো ক্যারিয়ার, পরিবার পরিজন বাদ দিয়ে দেশের হাল ধরতে এসেছিল, একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল, স্বপ্ন দেখেছিল; নাহিদ ইসলামরা গতকাল রাতে গিয়ে সেই স্বপ্নকে মাটিচাপা দিয়ে এসেছেন!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে এল জেবুও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে এসেছে তাঁর পোষা বিড়াল জেবুও। তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে এক বিশেষ ধরনের খাঁচায় করে জেবুকে আনা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অফিশিয়াল ভেরিফায়েড পেজ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে জেবুর সঙ্গে খুনসুটি ও আদুরে মুহূর্তের ছবি একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে। এসব ছবি নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং প্রাণীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রশংসিত হয়।

তারেক রহমান নিজেও তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে জেবুর সঙ্গে কাটানো কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত শেয়ার করেছেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠে বিড়াল জেবু।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান জানান, বিড়ালটি মূলত তাঁর মেয়ের হলেও এখন পরিবারের সবারই প্রিয়। সে সাক্ষাৎকারেই তিনি পোষা বিড়ালটির নাম ‘জেবু’ বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও মানবিক দায়িত্বের বিষয়েও নিজের মতামত তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, তাই তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি সম্মান ও যত্ন নেওয়া মানুষের দায়িত্ব। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরা এবং তার সঙ্গে পোষা বিড়াল জেবুর আগমন—দুটিই সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন মাত্রার আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত