Ajker Patrika

খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না গণঅধিকার পরিষদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মানে তাঁর নির্বাচনী আসনগুলোতে কোনো প্রার্থী দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থী ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রথম দফায় ৫০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর আজ দ্বিতীয় দফায় ১৫০ আসনে প্রার্থী করেছে গণঅধিকার পরিষদ। প্রার্থী ঘোষণাকালে রাশেদ খান বলেন, এ দফায় আরও ১৫০ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২০০ আসনে নির্বাচনী প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। পরের দফায় আরও ১০০ প্রার্থীসহ মোট ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মানে তাঁর নির্বাচনী তিন আসনে কোনো প্রার্থী দেওয়া হবে না বলে জানান রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সম্মানে দিনাজপুর-৩ আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না গণঅধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে তিনি যেসব আসন থেকে নির্বাচন করবেন, সেখানেও কোনো প্রার্থী দেওয়া হবে না।’

নির্বাচনি জোটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই নির্বাচনী জোটের প্রাথমিক আলোচনা চলছে। তবে কোনোটাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। জোট হলে আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থিতা দেওয়া হবে।’

একই দিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে দলটির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আগে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

সরকারের উদ্দেশ্যে দলের মুখপাত্র রাশেদ খান বলেন, ‘এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য যে ধরনের পরিবেশ তৈরি করা দরকার, সে ধরনের পরিবেশ তৈরি করেন এবং প্রত্যেকটা দল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে দলগুলোর সাথে আপনারা কথা বলেন।’

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে রাশেদ বলেন, ‘আপনারা এলাকায় যান, কাজ করেন, মানুষের কাছে যান। আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রত্যেকটা দলকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকারকে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের সেরা পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা বা জোটে যাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার দিবাগত রাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আখতারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

জামায়াতের সঙ্গে জোট বা সমঝোতার ব্যাখ্যা দিয়ে আখতার বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির সাথেই অন্য দলগুলোর মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হতো। সেখানে সংস্কারের পয়েন্টগুলোতে ন্যাচারালি (স্বাভাবিকভাবেই) এনসিপি, জামায়াত এবং অন্য দলগুলো একমত হয়েছে।

সে ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়, দেশটাকে নতুন করে গড়া, নতুনভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য যে রাজনীতি, সে রাজনীতির প্রতি যে কমিটমেন্ট সেটাকেই নির্বাচনী রাজনীতিতে জোটের বা সমঝোতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধানতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে এটাকে মূল্যায়ন করছি।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে এনসিপির অনেক নেতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ নেতা এই জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আপত্তি জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’ করা ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বলল বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’ করা ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বলল বিএনপি

ওসমান হাদির কবর জিয়ারতে যাওয়ার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে এ কে এম শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

আজ শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি বিষয়টি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পুলিশ এ কে এম শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

বিএনপি মনে করে, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আর তাই বিএনপি গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপি এ-ও বিশ্বাস করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটা মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার, যা ব্যক্তিকে নির্ভয়ে নিজের চিন্তা, মতামত ও বিশ্বাস প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়।

সুতরাং বিএনপি মনে করে, নিজের মতপ্রকাশের কারণে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক হয়নি। তাই অবিলম্বে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আজ শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান তিনি।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না। উনি জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।’

এদিকে দেশে ফেরার পর শনিবার রাতে দ্বিতীয়বারের মতো খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আসেন তাঁর বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান হাসপাতাল ছাড়লে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মায়ের পাশে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তারেক রহমান। চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। খালেদা জিয়াকে দোয়ায় রাখার জন্য দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান। চিকিৎসকসহ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সবাইকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’

হাসপাতালের চিকিৎসা যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য দলের নেতা-কর্মীদের কাছেও আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আমি কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৯
গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর দেশের মাটিতে পা রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেদিন তিনি জনসমাবেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, ‘উই হ্যাভ আ প্ল্যান’। কথাটি চুম্বকের মতোই আকর্ষণ করেছিল তাঁর প্রতীক্ষিতদের। তবে আজ শনিবার তারেক রহমান বিষয়টি আবার সামনে এনে বলেছেন, ‘আমি কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি।’

বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এমনটি বলেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রিয় বাংলাদেশের বন্ধুরা, বোনেরা ও ভাইয়েরা, গত বৃহস্পতিবার দিনটা সারা জীবনের জন্য আমার হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি। আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল, আর লাখো মানুষের দোয়া—এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না। সবার প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।

এই ফিরে আসা নিয়ে আমার ও পরিবারের মনে যে ভালোবাসা আর সম্মান কাজ করছে, তা শুধু কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যাঁরা সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের পাশে ছিলেন, কখনো আশা হারাননি, আপনাদের সাহস আমাকে প্রতিনিয়ত শক্তি জোগায়। নাগরিক সমাজের মানুষজন, তরুণেরা, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিক—সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের ধন্যবাদ। আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।

এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত দায়িত্বশীলতা ও যত্নের সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর যাঁরা আমার ফিরে আসার সময় নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেছেন, সেই সঙ্গে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই সদস্যদের সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।

আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতাদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা আমার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন। গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান এবং জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দেওয়া—এসব ভাবনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির আশাবাদ এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকেও আমি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব পরামর্শ আমি বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি; যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রত্যেক মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে, আর প্রতিটি শিশু আশার আলো নিয়ে বড় হবে।’

এই পরিকল্পনা সব বাংলাদেশির জন্য। একটি ঐক্যবদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতো বাংলাদেশের জন্য। দেশে ফিরে আসার সময় আমাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সব সময় তাঁর রহমতে রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত