ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।’
আজ শনিবার ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে। উগ্রবাদের কথা বলে তারা জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। আমাদের দায়িত্ব হবে ঠিক যেমন ‘৭১ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগ্রাম করেছিলাম, আবারও একটা ভূখণ্ডের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষুদ্র-বড় জাতির ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।’
সকল ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ও জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে রেইনবো বাংলাদেশের কথা বলা আছে। রেইনবোর মানে হল সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো হামলা, মামলা উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছে। পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে বর্তমানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সামনে এসেছে।’
ময়মনসিংহে নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য; দেশে কর্মসংস্থানের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং দলমত, ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি সবার সক্রিয় সমর্থন এবং সহযোগিতা চায়।’
সমাবেশে তারেক বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ঐক্য সমন্বিত রাখার পাশাপাশি ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদ এবং দলীয়ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রসার ঘটানো হবে। নারী উদ্যোক্তাদের সুবিধা বৃদ্ধিসহ চাকরি সহজীকরণ করা হবে।
প্রতিনিধি সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগ সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, লেখক সঞ্জীব দ্রং, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ চন্দ্র বর্মণ, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল হাজং প্রমুখ।
সমাবেশে সমতল অঞ্চলের ১২টি জেলায় বসবাসরত ৩৪টি ভাষাভাষীর জাতিগোষ্ঠী অংশ নেয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই নেতারা ময়মনসিংহে আসতে শুরু করেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে নারীদের মধ্যে ২৬টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।’
আজ শনিবার ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে। উগ্রবাদের কথা বলে তারা জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। আমাদের দায়িত্ব হবে ঠিক যেমন ‘৭১ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগ্রাম করেছিলাম, আবারও একটা ভূখণ্ডের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষুদ্র-বড় জাতির ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।’
সকল ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ও জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে রেইনবো বাংলাদেশের কথা বলা আছে। রেইনবোর মানে হল সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো হামলা, মামলা উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছে। পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে বর্তমানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সামনে এসেছে।’
ময়মনসিংহে নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য; দেশে কর্মসংস্থানের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং দলমত, ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি সবার সক্রিয় সমর্থন এবং সহযোগিতা চায়।’
সমাবেশে তারেক বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ঐক্য সমন্বিত রাখার পাশাপাশি ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদ এবং দলীয়ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের কমিটিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রসার ঘটানো হবে। নারী উদ্যোক্তাদের সুবিধা বৃদ্ধিসহ চাকরি সহজীকরণ করা হবে।
প্রতিনিধি সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগ সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, লেখক সঞ্জীব দ্রং, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ চন্দ্র বর্মণ, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল হাজং প্রমুখ।
সমাবেশে সমতল অঞ্চলের ১২টি জেলায় বসবাসরত ৩৪টি ভাষাভাষীর জাতিগোষ্ঠী অংশ নেয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই নেতারা ময়মনসিংহে আসতে শুরু করেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে নারীদের মধ্যে ২৬টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
৩ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।
ফেসবুক পোস্টে আতিকুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে জনাব নাহিদ ইসলামের জন্য শুভকামনা। দীর্ঘ ১০ মাস ২২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারী থেকে মুক্তি পেলাম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে সংগঠনের সিদ্ধান্তের পর থেকে ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনকে ইসলামি আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করার জন্য সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ব্যক্তি, পরিবার, পেশাগত দায়িত্ব সবকিছুর ঊর্ধ্বে ময়দানে ভূমিকা এবং জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা-১১ (রামপুরা-বাড্ডা-ভাটারা-হাতিরঝিল আংশিক) সংসদীয় আসনের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা এ স্বল্প সময়ে আমাকে আপনাদের আপনজন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং অভূতপূর্ব ভালোবাসায় আবদ্ধ করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন আপনাদের সবাইকে সামগ্রিক কল্যাণ দান করুন, ভালো ও নিরাপদে রাখুন।’
ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য এবং আস্থাশীল। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা একযোগে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।
ফেসবুক পোস্টে আতিকুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে জনাব নাহিদ ইসলামের জন্য শুভকামনা। দীর্ঘ ১০ মাস ২২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারী থেকে মুক্তি পেলাম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে সংগঠনের সিদ্ধান্তের পর থেকে ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনকে ইসলামি আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করার জন্য সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ব্যক্তি, পরিবার, পেশাগত দায়িত্ব সবকিছুর ঊর্ধ্বে ময়দানে ভূমিকা এবং জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা-১১ (রামপুরা-বাড্ডা-ভাটারা-হাতিরঝিল আংশিক) সংসদীয় আসনের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা এ স্বল্প সময়ে আমাকে আপনাদের আপনজন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং অভূতপূর্ব ভালোবাসায় আবদ্ধ করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন আপনাদের সবাইকে সামগ্রিক কল্যাণ দান করুন, ভালো ও নিরাপদে রাখুন।’
ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য এবং আস্থাশীল। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা একযোগে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।’
৩০ আগস্ট ২০২৫
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
৩ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আজাদ খান ভাসানী এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) পাশাপাশি দলের কৃষক উইং প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আজাদ খান লিখেছেন, ‘অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের হাত ধরে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) আমি যুক্ত হয়েছিলাম। শুরু থেকেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত লড়াইয়ের এক ধারাবাহিক অধ্যায় হিসেবে আত্মস্থ করেছি। ৫৩ বছরের পুঞ্জীভূত বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখাই ছিল আমার সেই পথচলার প্রেরণা।’
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা উল্লেখ করে আজাদ খান বলেন, ‘তার দেখানো গণমানুষনির্ভর, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদ ও বৈষম্যবিরোধী পালনবাদী রাজনীতির স্বপ্ন থেকেই প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত হই। সেই রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় দলের কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বও গ্রহণ করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বাস্তব অভিজ্ঞতায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন এখানে তার স্পষ্ট ঘাটতি আমি অনুভব করেছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত সাফল্য দেখা যায়নি। এই বাস্তবতায় বেশ কিছুদিন ধরে সরাসরি সক্রিয় না থেকেও দলটির সঠিক রাজনীতি ও সাফল্য কামনা করে গেছি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের পক্ষাবলম্বনই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই দায় ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতেই আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’
এনসিপির প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে আজাদ খান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমার এই স্বল্পকালীন পথচলায় কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। তারুণ্যের অভিযাত্রী দলটির প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা। গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে তারা যেন সঠিক পথ খুঁজে পায়—এই প্রত্যাশাই থাকল।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আজাদ খান ভাসানী এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) পাশাপাশি দলের কৃষক উইং প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আজাদ খান লিখেছেন, ‘অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের হাত ধরে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) আমি যুক্ত হয়েছিলাম। শুরু থেকেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত লড়াইয়ের এক ধারাবাহিক অধ্যায় হিসেবে আত্মস্থ করেছি। ৫৩ বছরের পুঞ্জীভূত বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখাই ছিল আমার সেই পথচলার প্রেরণা।’
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা উল্লেখ করে আজাদ খান বলেন, ‘তার দেখানো গণমানুষনির্ভর, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদ ও বৈষম্যবিরোধী পালনবাদী রাজনীতির স্বপ্ন থেকেই প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত হই। সেই রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় দলের কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বও গ্রহণ করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বাস্তব অভিজ্ঞতায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন এখানে তার স্পষ্ট ঘাটতি আমি অনুভব করেছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত সাফল্য দেখা যায়নি। এই বাস্তবতায় বেশ কিছুদিন ধরে সরাসরি সক্রিয় না থেকেও দলটির সঠিক রাজনীতি ও সাফল্য কামনা করে গেছি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের পক্ষাবলম্বনই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই দায় ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতেই আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’
এনসিপির প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে আজাদ খান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমার এই স্বল্পকালীন পথচলায় কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। তারুণ্যের অভিযাত্রী দলটির প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা। গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে তারা যেন সঠিক পথ খুঁজে পায়—এই প্রত্যাশাই থাকল।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।’
৩০ আগস্ট ২০২৫
জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
৩ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তবে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে ঝুমা জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
ঝুমা আরও লিখেছেন, ‘২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল (সোমবার) জমা দেয়ার লাস্ট ডেইট। আজ (রোববার) প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণেরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
এর আগে নির্বাচনে অংশ না নিলেও এনসিপিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন মনজিলা ঝুমা। একদিন আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই পোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার নাহিদ ইসলামের পুরোনো একটি ছবি যুক্ত করে মনজিলা ঝুমা লেখেন, ‘এই নাহিদ ইসলাম কে আমি/আমরা একা রেখে যেতে পারি না! আমাদের দলের প্রতি/জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। জুলাইয়ের সন্তানেরা কার কাছে নিরাপদ? কেউ কি বলেছে তারা বিজয়ী হলে জুলাই যোদ্ধাদের হামলা করবে না, মামলা করবে না? জনাব নাহিদের কাছে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ। পাশে আছি লিডার।’

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তবে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে ঝুমা জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
ঝুমা আরও লিখেছেন, ‘২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল (সোমবার) জমা দেয়ার লাস্ট ডেইট। আজ (রোববার) প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণেরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
এর আগে নির্বাচনে অংশ না নিলেও এনসিপিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন মনজিলা ঝুমা। একদিন আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই পোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার নাহিদ ইসলামের পুরোনো একটি ছবি যুক্ত করে মনজিলা ঝুমা লেখেন, ‘এই নাহিদ ইসলাম কে আমি/আমরা একা রেখে যেতে পারি না! আমাদের দলের প্রতি/জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। জুলাইয়ের সন্তানেরা কার কাছে নিরাপদ? কেউ কি বলেছে তারা বিজয়ী হলে জুলাই যোদ্ধাদের হামলা করবে না, মামলা করবে না? জনাব নাহিদের কাছে আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ। পাশে আছি লিডার।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।’
৩০ আগস্ট ২০২৫
জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোন দল কত আসনে লড়বে, সে ঘোষণা আসতে পারে আজ-কালের মধ্যেই।
তবে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে দল যোগ দেওয়ায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কয়েকজন নেতা। দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষে তাঁদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে আগে থেকেই ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলগুলো একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচিও পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বাঁ পাশে বসেছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ডান পাশে বসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন শরিক অন্য দলগুলোর নেতারা। তবে এনসিপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির জানান, দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে আট দলের জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের এই জোটে থাকছে।’
আসন সমঝোতার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। শিগগির আসন ঘোষণাও হবে।’
এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে এবং খেলাফত মজলিস ২৭৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, এখন দলগুলো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। তবে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে একধরনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় অংশ থাকবে জামায়াতের হাতে। বাকি আসনগুলো ৯ দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জোটে আসনের দিক থেকে বড় ভাগ পাবে এসসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, নতুন এই জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯০টি, এনসিপি ৩০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০-৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪-৫টি, খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৫টি আসনে প্রার্থী ছাড়ের আলোচনা চলছে। তবে জামায়াত বাদে অন্য দলগুলো আরও বেশি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা।
এনসিপিতে গৃহদাহ
জামায়াত ও সমমনা ৮ দলের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে এনসিপিতে। জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া ‘একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
এদিকে গতকাল রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘প্রাথমিকভাবে’ এনসিপির নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত দল থেকে অতি সম্প্রতি সরে দাঁড়ানো অন্যদের মতোই ঘোষিত আদর্শবিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘...জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তবে এর বিপরীতে নাহিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১১৪ নেতা। তাঁরা চিঠিতে জানান, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপি যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছায় কিংবা নতুন কোনো জোট গঠন করে, তবে তাতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছে এনসিপিও। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, এককভাবে নির্বাচন করব। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছি। এরপর আমরা তিন দলীয় জোট করি।’
নাহিদ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারি, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা এবং জুলাই প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি জামায়াতের জোটে যাচ্ছে জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।’
আজ সোমবার প্রার্থীদের বিষয়ে এনসিপি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে, সেখানে জোটের অন্য দলগুলো তাদের সহায়তা করবে। আর যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটের অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে এনসিপিতে বিভাজন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কি না, দলে থাকবেন কি না, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোন দল কত আসনে লড়বে, সে ঘোষণা আসতে পারে আজ-কালের মধ্যেই।
তবে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে দল যোগ দেওয়ায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কয়েকজন নেতা। দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষে তাঁদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে আগে থেকেই ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলগুলো একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচিও পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বাঁ পাশে বসেছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ডান পাশে বসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন শরিক অন্য দলগুলোর নেতারা। তবে এনসিপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির জানান, দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে আট দলের জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের এই জোটে থাকছে।’
আসন সমঝোতার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। শিগগির আসন ঘোষণাও হবে।’
এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে এবং খেলাফত মজলিস ২৭৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, এখন দলগুলো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। তবে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে একধরনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় অংশ থাকবে জামায়াতের হাতে। বাকি আসনগুলো ৯ দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জোটে আসনের দিক থেকে বড় ভাগ পাবে এসসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, নতুন এই জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯০টি, এনসিপি ৩০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০-৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪-৫টি, খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৫টি আসনে প্রার্থী ছাড়ের আলোচনা চলছে। তবে জামায়াত বাদে অন্য দলগুলো আরও বেশি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা।
এনসিপিতে গৃহদাহ
জামায়াত ও সমমনা ৮ দলের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে এনসিপিতে। জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া ‘একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
এদিকে গতকাল রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘প্রাথমিকভাবে’ এনসিপির নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত দল থেকে অতি সম্প্রতি সরে দাঁড়ানো অন্যদের মতোই ঘোষিত আদর্শবিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘...জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তবে এর বিপরীতে নাহিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১১৪ নেতা। তাঁরা চিঠিতে জানান, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপি যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছায় কিংবা নতুন কোনো জোট গঠন করে, তবে তাতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছে এনসিপিও। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, এককভাবে নির্বাচন করব। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছি। এরপর আমরা তিন দলীয় জোট করি।’
নাহিদ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারি, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা এবং জুলাই প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি জামায়াতের জোটে যাচ্ছে জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।’
আজ সোমবার প্রার্থীদের বিষয়ে এনসিপি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে, সেখানে জোটের অন্য দলগুলো তাদের সহায়তা করবে। আর যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটের অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে এনসিপিতে বিভাজন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কি না, দলে থাকবেন কি না, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।’
৩০ আগস্ট ২০২৫
জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে
এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এনসিপিতে তার স্পষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লিখেছেন,‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল।’
৩ ঘণ্টা আগে