রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সভা, সমাবেশ, আলোচনায় এই তিন ইস্যুতে দূরত্ব-অনৈক্য বোঝা গেলেও ভেতরে-ভেতরে রয়েছে অন্য হিসাব-নিকাশ। জামায়াত ও এনসিপির একাংশ মনে করছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপি পুরো ফায়দা পাবে। বর্তমানে প্রশাসনসহ বড় সব জায়গায় জামায়াত ও এনসিপির মতাদর্শীরা আছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবকিছু বদলে দেবে। এই আশঙ্কা থেকে দল দুটি সংস্কার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করতে চাইছে। এতে নির্বাচন বিলম্বিত হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি বুঝে বিএনপি যেকোনোভাবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। বিলম্বের আশঙ্কাকে তারা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। এই তিন দলের এমন অবস্থানে মাঠে নামতে পারে জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই অংশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। ইসি আজ বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও সারছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের একটি আবহ তৈরির অবস্থা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব-অনৈক্য সব সম্ভাবনাকে অনিশ্চয়তার পথে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য দূর করার চেষ্টা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও। তারা দফায় দফায় সংলাপ করেছেন দলগুলোর সঙ্গে। দূরত্ব কমিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আবারও সংলাপে বসবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আন্দোলন-সংগ্রামে একত্রে থেকেছেন, এটা অব্যাহত রাখুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় আছি। সেটা শুধু সরকার হিসেবে না, সবাই। বাংলাদেশে রাজনীতির একটি অন্তর্বর্তী পরিস্থিতিতে ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতার জায়গাটা ধরে রাখা দরকার। কেননা পরাজিত শক্তিরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে, সেটা যেন না নিতে পারে, সে জন্য রাজনীতিবিদদের সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।’
জামায়াতের দ্বিধা, সংশয়: জামায়াতে ইসলামী স্পষ্টই বলেছে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। দলটি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দাবিও জানাচ্ছে। এগুলোসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে দলটি মিছিল, সমাবেশও করছে। রাজপথে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকার, বিএনপিসহ সংশ্লিষ্টদের বার্তা দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে জামায়াত। প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জামায়াত-সমর্থিত ব্যক্তিরা ভালো অবস্থায় রয়েছেন। ১৬টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সমর্থিত ব্যক্তি উপাচার্য হয়েছেন। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়েও একই অবস্থা। দলটির আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপি বেশি আসন পাবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের এই ‘শক্তি’ ভেঙে দেবে। অভ্যুত্থানের সব অর্জন নষ্ট করে দেবে। এ কারণে দলটি বুঝে-শুনে নির্বাচনে যেতে চায়।
অবশ্য জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জামায়াতের আপত্তি নেই। তবে নির্বাচনের বড় প্রস্তুতিমূলক কাজ সংস্কার। সেটিকে চূড়ান্ত করতে হবে, সংস্কারের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন করার। নির্বাচনের ঘোষণা তিনি দিয়েছেন, তার আগে তো সংস্কার হতে হবে। সেটি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।
এনসিপি সংস্কারের পক্ষে অনড়: সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের গড়া দল এনসিপি সংস্কারের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র ছয় মাসে দলটি খুব গুছিয়েও উঠতে পারেনি। দলটির বেশির ভাগ নেতাই গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া সংসদ নির্বাচন চান না। তাঁরা পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইন ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে। এসব দাবি পূরণ হলে তাঁরা নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলছেন। সব শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনসিপি এখনো গোছাতে পারেনি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এনসিপির মধ্যে একাধিক ধারা রয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতাদের একটি অংশ নির্বাচনের পক্ষে। তাঁরা রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করতে নির্বাচনে যেতে চান। তবে দলের বেশির ভাগ নেতাই প্রথমে জাতীয় নির্বাচনের বিপক্ষে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না। আমাদের দাবি জনগণের দাবি। সেটা নিয়েই জনগণের কাছে যাব। নতুন সংবিধান, সংস্কার ও বিচারের দাবির সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে আমরা এগিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের নিয়ে যদি কোনো পক্ষ কিংবা সরকারও কোনো চিন্তাভাবনা করে, জনগণ তা রুখে দেবে।
জি এম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির দুই অংশের কার্যক্রমকেই সন্দেহের চোখে দেখছে জামায়াত ও এনসিপি। দল দুটি মনে করছে, সংস্কার, জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতি নিয়ে তাদের অনড় অবস্থানের সুযোগ নিয়ে একটি পক্ষ নিজেদের পাল্লা ভারী করতে জাপার দুই অংশকে মাঠে নামাতে পারে। জাপা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনেও নামতে পারে। কারণ, অতীতে দলটি বিএনপি, জামায়াতসহ অধিকাংশ দলের বর্জন করা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের আমলের নির্বাচনকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছিল।
জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও তিন ইস্যুতে তাঁরা অনড় থাকলে জাপা আবার তুরুপের তাস হতে পারে। যাতে এবার লাভবান হবে বিএনপি। এ জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে পর্দার অন্তরালে জাপাকে একটি পক্ষ বানানোর আয়োজন চলছে বলে তাঁরা সন্দেহ ও আশঙ্কা করছেন।
বিএনপির সামনে চাপ: দীর্ঘ দেড় দশকের ক্ষমতার খরা কাটাতে চায় বিএনপি। দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এ ব্যাপারে চাপ রয়েছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই হারাতে চায় না বিএনপি; যে কারণে সাবধানে পা ফেলে অগ্রসর হচ্ছে দলটি। বিএনপি মনে করে, তাদের চাপে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। আজ ওই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। কিন্তু এরপরও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না বিএনপিতে। এর কারণ আরেক পক্ষের অনড় অবস্থান।
বিএনপি স্পষ্টই বলছে, তারা পিআর পদ্ধতিতে নেই। উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাবকে সংবিধানবহির্ভূত বলছে। এসব ক্ষেত্রে জামায়াত-এনসিপির অবস্থান বিএনপিকে কঠিন সমীকরণে নিয়ে যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপির অনিশ্চয়তার কথা এসেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেও। গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আজকে কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলে চলেছে। এগুলো নিয়ে তারা হুমকি দিচ্ছে, কথা বলছেন, অত্যন্ত জোরেশোরে হুমকি দিচ্ছেন। আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন করছেন এটা?’ তিনি বলেন, ‘সরকারের ভেতরে একটা মহল, তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে, যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, তারা যেন আসতে না পারে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে। জুলাই সনদ, সংস্কার এসব নিয়ে জটিলতা না বাড়িয়ে সরকার যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়; যাতে দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হলে বিএনপিকেই এগিয়ে এসে অন্য দলগুলোকে ভরসা দিতে হবে, আস্থায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপির উচিত আন্তরিকতার সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্বেগ চিহ্নিত করা এবং তাদের আশ্বস্ত করা যে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে তারা কোনো অবিচার করবে না কিংবা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করবে না। দলগুলোকে আস্থা ও নিশ্চয়তা দেওয়া গেলে অন্যরা বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারবে। তবে তিনি বলেন, কিছু দল যদি ভিন্ন উদ্দেশ্যে নির্বাচন ঠেকাতে চায়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষে সমন্বয় করা সম্ভব নয়। সেটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
নির্বাচনের চেষ্টায় সরকার: দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে। এ জন্য প্রকাশ্য ও অন্তরালে বৈঠক চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বদলে এখন শর্ত মুখ্য হয়ে উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানকে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য কমিশনের বিভিন্ন রকম চেষ্টা ও তৎপরতা চলমান আছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, নির্বাচন না হলে শুধু বিএনপি নয়, জামায়াত ও এনসিপিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে জনগণের মধ্যে হতাশা জন্মাবে।
দলগুলো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় অবস্থান তুলে ধরছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে সবাই একমত হয়ে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে; যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত হবে।’

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সভা, সমাবেশ, আলোচনায় এই তিন ইস্যুতে দূরত্ব-অনৈক্য বোঝা গেলেও ভেতরে-ভেতরে রয়েছে অন্য হিসাব-নিকাশ। জামায়াত ও এনসিপির একাংশ মনে করছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপি পুরো ফায়দা পাবে। বর্তমানে প্রশাসনসহ বড় সব জায়গায় জামায়াত ও এনসিপির মতাদর্শীরা আছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবকিছু বদলে দেবে। এই আশঙ্কা থেকে দল দুটি সংস্কার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করতে চাইছে। এতে নির্বাচন বিলম্বিত হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি বুঝে বিএনপি যেকোনোভাবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। বিলম্বের আশঙ্কাকে তারা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। এই তিন দলের এমন অবস্থানে মাঠে নামতে পারে জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই অংশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। ইসি আজ বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও সারছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের একটি আবহ তৈরির অবস্থা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব-অনৈক্য সব সম্ভাবনাকে অনিশ্চয়তার পথে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য দূর করার চেষ্টা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও। তারা দফায় দফায় সংলাপ করেছেন দলগুলোর সঙ্গে। দূরত্ব কমিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আবারও সংলাপে বসবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আন্দোলন-সংগ্রামে একত্রে থেকেছেন, এটা অব্যাহত রাখুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় আছি। সেটা শুধু সরকার হিসেবে না, সবাই। বাংলাদেশে রাজনীতির একটি অন্তর্বর্তী পরিস্থিতিতে ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতার জায়গাটা ধরে রাখা দরকার। কেননা পরাজিত শক্তিরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে, সেটা যেন না নিতে পারে, সে জন্য রাজনীতিবিদদের সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।’
জামায়াতের দ্বিধা, সংশয়: জামায়াতে ইসলামী স্পষ্টই বলেছে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। দলটি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দাবিও জানাচ্ছে। এগুলোসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে দলটি মিছিল, সমাবেশও করছে। রাজপথে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকার, বিএনপিসহ সংশ্লিষ্টদের বার্তা দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে জামায়াত। প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জামায়াত-সমর্থিত ব্যক্তিরা ভালো অবস্থায় রয়েছেন। ১৬টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সমর্থিত ব্যক্তি উপাচার্য হয়েছেন। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়েও একই অবস্থা। দলটির আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপি বেশি আসন পাবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের এই ‘শক্তি’ ভেঙে দেবে। অভ্যুত্থানের সব অর্জন নষ্ট করে দেবে। এ কারণে দলটি বুঝে-শুনে নির্বাচনে যেতে চায়।
অবশ্য জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জামায়াতের আপত্তি নেই। তবে নির্বাচনের বড় প্রস্তুতিমূলক কাজ সংস্কার। সেটিকে চূড়ান্ত করতে হবে, সংস্কারের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন করার। নির্বাচনের ঘোষণা তিনি দিয়েছেন, তার আগে তো সংস্কার হতে হবে। সেটি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।
এনসিপি সংস্কারের পক্ষে অনড়: সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের গড়া দল এনসিপি সংস্কারের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র ছয় মাসে দলটি খুব গুছিয়েও উঠতে পারেনি। দলটির বেশির ভাগ নেতাই গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া সংসদ নির্বাচন চান না। তাঁরা পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইন ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে। এসব দাবি পূরণ হলে তাঁরা নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলছেন। সব শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনসিপি এখনো গোছাতে পারেনি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এনসিপির মধ্যে একাধিক ধারা রয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতাদের একটি অংশ নির্বাচনের পক্ষে। তাঁরা রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করতে নির্বাচনে যেতে চান। তবে দলের বেশির ভাগ নেতাই প্রথমে জাতীয় নির্বাচনের বিপক্ষে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না। আমাদের দাবি জনগণের দাবি। সেটা নিয়েই জনগণের কাছে যাব। নতুন সংবিধান, সংস্কার ও বিচারের দাবির সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে আমরা এগিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের নিয়ে যদি কোনো পক্ষ কিংবা সরকারও কোনো চিন্তাভাবনা করে, জনগণ তা রুখে দেবে।
জি এম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির দুই অংশের কার্যক্রমকেই সন্দেহের চোখে দেখছে জামায়াত ও এনসিপি। দল দুটি মনে করছে, সংস্কার, জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতি নিয়ে তাদের অনড় অবস্থানের সুযোগ নিয়ে একটি পক্ষ নিজেদের পাল্লা ভারী করতে জাপার দুই অংশকে মাঠে নামাতে পারে। জাপা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনেও নামতে পারে। কারণ, অতীতে দলটি বিএনপি, জামায়াতসহ অধিকাংশ দলের বর্জন করা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের আমলের নির্বাচনকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছিল।
জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও তিন ইস্যুতে তাঁরা অনড় থাকলে জাপা আবার তুরুপের তাস হতে পারে। যাতে এবার লাভবান হবে বিএনপি। এ জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে পর্দার অন্তরালে জাপাকে একটি পক্ষ বানানোর আয়োজন চলছে বলে তাঁরা সন্দেহ ও আশঙ্কা করছেন।
বিএনপির সামনে চাপ: দীর্ঘ দেড় দশকের ক্ষমতার খরা কাটাতে চায় বিএনপি। দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এ ব্যাপারে চাপ রয়েছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই হারাতে চায় না বিএনপি; যে কারণে সাবধানে পা ফেলে অগ্রসর হচ্ছে দলটি। বিএনপি মনে করে, তাদের চাপে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। আজ ওই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। কিন্তু এরপরও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না বিএনপিতে। এর কারণ আরেক পক্ষের অনড় অবস্থান।
বিএনপি স্পষ্টই বলছে, তারা পিআর পদ্ধতিতে নেই। উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাবকে সংবিধানবহির্ভূত বলছে। এসব ক্ষেত্রে জামায়াত-এনসিপির অবস্থান বিএনপিকে কঠিন সমীকরণে নিয়ে যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপির অনিশ্চয়তার কথা এসেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেও। গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আজকে কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলে চলেছে। এগুলো নিয়ে তারা হুমকি দিচ্ছে, কথা বলছেন, অত্যন্ত জোরেশোরে হুমকি দিচ্ছেন। আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন করছেন এটা?’ তিনি বলেন, ‘সরকারের ভেতরে একটা মহল, তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে, যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, তারা যেন আসতে না পারে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে। জুলাই সনদ, সংস্কার এসব নিয়ে জটিলতা না বাড়িয়ে সরকার যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়; যাতে দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হলে বিএনপিকেই এগিয়ে এসে অন্য দলগুলোকে ভরসা দিতে হবে, আস্থায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপির উচিত আন্তরিকতার সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্বেগ চিহ্নিত করা এবং তাদের আশ্বস্ত করা যে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে তারা কোনো অবিচার করবে না কিংবা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করবে না। দলগুলোকে আস্থা ও নিশ্চয়তা দেওয়া গেলে অন্যরা বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারবে। তবে তিনি বলেন, কিছু দল যদি ভিন্ন উদ্দেশ্যে নির্বাচন ঠেকাতে চায়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষে সমন্বয় করা সম্ভব নয়। সেটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
নির্বাচনের চেষ্টায় সরকার: দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে। এ জন্য প্রকাশ্য ও অন্তরালে বৈঠক চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বদলে এখন শর্ত মুখ্য হয়ে উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানকে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য কমিশনের বিভিন্ন রকম চেষ্টা ও তৎপরতা চলমান আছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, নির্বাচন না হলে শুধু বিএনপি নয়, জামায়াত ও এনসিপিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে জনগণের মধ্যে হতাশা জন্মাবে।
দলগুলো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় অবস্থান তুলে ধরছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে সবাই একমত হয়ে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে; যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে থাকা এই তরুণ নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের। সে আমলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয় পাঁচটি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ বছরে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয় আরও ৩২টি মামলা।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে থাকা এই তরুণ নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিবৃতিতে আরিফ সোহেল এনসিপির বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং গণমানুষের প্রকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যেতে প্রথাগত রাজনীতির বাইরে গিয়ে পুনরায় জনগণের কাতারে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি এনসিপি নেতাদের ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
২০১৭ সাল থেকে বিপ্লবী ধারণা নিয়ে একটি গ্রুপে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করা আরিফ সোহেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ‘বৈপ্লবিক’ রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ ও পরে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, তখন তিনি ও তাঁর সহযোদ্ধারা নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।
আরিফ সোহেল তাঁর বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট একটি পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ক্ষেত্র তৈরি হলেও আমলাতন্ত্র ও বৈদেশিক শক্তির ষড়যন্ত্রে পরিস্থিতি ‘নেগোশিয়েটেড সেটেলমেন্ট’ বা আপস-রফার দিকে গড়ায়।
পদত্যাগের প্রধান কারণ হিসেবে আরিফ সোহেল এনসিপির বর্তমান অবস্থানকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী গণসংগ্রামের উদর থেকে প্রসব হওয়া নতুন গণরাজনীতি ও তৃতীয় শক্তিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির বাতাবরণে সংগঠিত করা সম্ভব হয়নি।’
তাঁর মতে, জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে যে ‘রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী’ তৈরি হয়েছিল, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এনসিপি ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে বিভাজন আবার ফিরে এসেছে এবং ফ্যাসিবাদের দোসররা রাষ্ট্রকে পুনরায় গণবিরোধী করার সুযোগ পাচ্ছে।
পুরোনো ধারার দলগুলোর কঠোর সমালোচনা করে ওই ফেসবুক পোস্টে আরিফ সোহেল বলেন, ‘প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ক্ষমতার কুরসীটাই প্রধান। রাষ্ট্রের চরিত্র যতো গণবিরোধীই থাকুক না কেন, তাতে এদের কিছুই আসে যায় না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত পুরোনো দলগুলোর সাথে আপসরফা করে পুরানো ক্ষমতার রাজনীতিতেই প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে, যা জুলাইয়ের গণশক্তির আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আরিফ সোহেল তাঁর পূর্বতন সহকর্মীদের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তিনি ও তাঁর কমরেডরা এখন থেকে প্রথাগত সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে সরাসরি সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করবেন।
বিবৃতির শেষে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও শুভেচ্ছা কামনা করে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে থাকা এই তরুণ নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিবৃতিতে আরিফ সোহেল এনসিপির বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং গণমানুষের প্রকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যেতে প্রথাগত রাজনীতির বাইরে গিয়ে পুনরায় জনগণের কাতারে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি এনসিপি নেতাদের ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
২০১৭ সাল থেকে বিপ্লবী ধারণা নিয়ে একটি গ্রুপে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করা আরিফ সোহেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ‘বৈপ্লবিক’ রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ ও পরে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, তখন তিনি ও তাঁর সহযোদ্ধারা নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।
আরিফ সোহেল তাঁর বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট একটি পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ক্ষেত্র তৈরি হলেও আমলাতন্ত্র ও বৈদেশিক শক্তির ষড়যন্ত্রে পরিস্থিতি ‘নেগোশিয়েটেড সেটেলমেন্ট’ বা আপস-রফার দিকে গড়ায়।
পদত্যাগের প্রধান কারণ হিসেবে আরিফ সোহেল এনসিপির বর্তমান অবস্থানকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী গণসংগ্রামের উদর থেকে প্রসব হওয়া নতুন গণরাজনীতি ও তৃতীয় শক্তিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির বাতাবরণে সংগঠিত করা সম্ভব হয়নি।’
তাঁর মতে, জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে যে ‘রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী’ তৈরি হয়েছিল, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এনসিপি ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে বিভাজন আবার ফিরে এসেছে এবং ফ্যাসিবাদের দোসররা রাষ্ট্রকে পুনরায় গণবিরোধী করার সুযোগ পাচ্ছে।
পুরোনো ধারার দলগুলোর কঠোর সমালোচনা করে ওই ফেসবুক পোস্টে আরিফ সোহেল বলেন, ‘প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ক্ষমতার কুরসীটাই প্রধান। রাষ্ট্রের চরিত্র যতো গণবিরোধীই থাকুক না কেন, তাতে এদের কিছুই আসে যায় না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত পুরোনো দলগুলোর সাথে আপসরফা করে পুরানো ক্ষমতার রাজনীতিতেই প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে, যা জুলাইয়ের গণশক্তির আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আরিফ সোহেল তাঁর পূর্বতন সহকর্মীদের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তিনি ও তাঁর কমরেডরা এখন থেকে প্রথাগত সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে সরাসরি সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করবেন।
বিবৃতির শেষে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও শুভেচ্ছা কামনা করে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে
২৮ আগস্ট ২০২৫
২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের। সে আমলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয় পাঁচটি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ বছরে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয় আরও ৩২টি মামলা।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...
৪ ঘণ্টা আগেআশরাফ-উল-আলম

২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের। সে আমলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয় পাঁচটি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ বছরে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয় আরও ৩২টি মামলা। মোট ৩৭টি মামলার আসামি ছিলেন বিএনপির এই আপসহীন নেত্রী; যার একটিতেও পলাতক ছিলেন না তিনি।
এ বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল ইসলাম সেদিন এ রায় দেন। এর মধ্য দিয়ে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ৩৭টি মামলা থেকে খালাস ও অব্যাহতি পান তিনি।
দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়াকে প্রায় দুই বছর কারাভোগ করতে হয়। বাকি মামলাগুলোয় জামিন নেন তিনি। প্রত্যেকটি মামলায় হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লড়তে থাকেন। কোনো মামলায় পলাতক থাকেননি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাজাপ্রাপ্ত দুই মামলায় রাষ্ট্রপতি তাঁকে ক্ষমা ঘোষণা করেন। তা সত্ত্বেও তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যান। আপিল আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে ওই দুই মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
২০০৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে ৩৭টি মামলার মুখোমুখি করা হয়। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত তাঁকে সাজা দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়ার মামলা নিষ্পত্তি হতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলার সব কটি নিষ্পত্তি হয়।
এ বছরের ১৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে বেকসুর খালাস দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিলেও গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। এর আগে তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাজধানীর দারুস সালাম থানার ছয়টি ও যাত্রাবাড়ী থানার তিন মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট।
নাশকতার এক মামলায় গত ২২ জানুয়ারি কুমিল্লার একটি আদালত খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেন। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন আদালতে থাকা পাঁচটি মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঢাকার আদালতে করা রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলার কার্যক্রম গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট বাতিল করে দেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থাকা কয়েকটি মামলা থেকেও খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিভিন্ন সময়ে।
২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও ২০১৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রথমে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন খালেদা জিয়া। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতালে রাখা হয়।
দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় কার্যত কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তবে এটিও পুরোপুরি মুক্তি নয়, আইনি শর্তে বলতে গেলে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত তাঁকে রাজনৈতিকভাবে বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছিল।

২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের। সে আমলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয় পাঁচটি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ বছরে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয় আরও ৩২টি মামলা। মোট ৩৭টি মামলার আসামি ছিলেন বিএনপির এই আপসহীন নেত্রী; যার একটিতেও পলাতক ছিলেন না তিনি।
এ বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া খালাস পান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল ইসলাম সেদিন এ রায় দেন। এর মধ্য দিয়ে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ৩৭টি মামলা থেকে খালাস ও অব্যাহতি পান তিনি।
দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়াকে প্রায় দুই বছর কারাভোগ করতে হয়। বাকি মামলাগুলোয় জামিন নেন তিনি। প্রত্যেকটি মামলায় হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লড়তে থাকেন। কোনো মামলায় পলাতক থাকেননি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাজাপ্রাপ্ত দুই মামলায় রাষ্ট্রপতি তাঁকে ক্ষমা ঘোষণা করেন। তা সত্ত্বেও তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যান। আপিল আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে ওই দুই মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
২০০৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে ৩৭টি মামলার মুখোমুখি করা হয়। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত তাঁকে সাজা দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়ার মামলা নিষ্পত্তি হতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলার সব কটি নিষ্পত্তি হয়।
এ বছরের ১৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে বেকসুর খালাস দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিলেও গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। এর আগে তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাজধানীর দারুস সালাম থানার ছয়টি ও যাত্রাবাড়ী থানার তিন মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট।
নাশকতার এক মামলায় গত ২২ জানুয়ারি কুমিল্লার একটি আদালত খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেন। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন আদালতে থাকা পাঁচটি মামলায় খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঢাকার আদালতে করা রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলার কার্যক্রম গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট বাতিল করে দেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থাকা কয়েকটি মামলা থেকেও খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিভিন্ন সময়ে।
২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও ২০১৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রথমে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন খালেদা জিয়া। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতালে রাখা হয়।
দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় কার্যত কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তবে এটিও পুরোপুরি মুক্তি নয়, আইনি শর্তে বলতে গেলে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত তাঁকে রাজনৈতিকভাবে বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছিল।

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে
২৮ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে থাকা এই তরুণ নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন। এই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য।’
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
তিনি লিখেছেন, ‘অনেকের কাছে তিনি ছিলেন দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী; অনেকের কাছে গণতন্ত্রের মা, বাংলাদেশের মা। আজ দেশ গভীরভাবে শোকাহত এমন একজন পথপ্রদর্শককে হারিয়ে, যিনি দেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় অনিঃশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
একজন মমতাময়ী মা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে খালেদা জিয়ার অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। আজীবন লড়েছেন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে; নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ত্যাগ ও সংগ্রামে ভাস্বর হয়েও, তিনি ছিলেন পরিবারের সত্যিকারের অভিভাবক; এমন একজন আলোকবর্তিকা যাঁর অপরিসীম ভালোবাসা আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়েও শক্তি ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সর্বোচ্চ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও যন্ত্রণা, একাকিত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেও তিনি অদম্য সাহস, সহানুভূতি ও দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝে।’
খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দেশের জন্য তিনি হারিয়েছেন স্বামী, হারিয়েছেন সন্তান। তাই এই দেশ, এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব। তিনি রেখে গেছেন জনসেবা, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন। তাঁর প্রতি দেশবাসীর আবেগ, ভালোবাসা ও বৈশ্বিক শ্রদ্ধায় আমি ও আমার পরিবার চিরকৃতজ্ঞ।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন। এই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য।’
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
তিনি লিখেছেন, ‘অনেকের কাছে তিনি ছিলেন দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী; অনেকের কাছে গণতন্ত্রের মা, বাংলাদেশের মা। আজ দেশ গভীরভাবে শোকাহত এমন একজন পথপ্রদর্শককে হারিয়ে, যিনি দেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় অনিঃশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
একজন মমতাময়ী মা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে খালেদা জিয়ার অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। আজীবন লড়েছেন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে; নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ত্যাগ ও সংগ্রামে ভাস্বর হয়েও, তিনি ছিলেন পরিবারের সত্যিকারের অভিভাবক; এমন একজন আলোকবর্তিকা যাঁর অপরিসীম ভালোবাসা আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়েও শক্তি ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সর্বোচ্চ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও যন্ত্রণা, একাকিত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেও তিনি অদম্য সাহস, সহানুভূতি ও দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝে।’
খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দেশের জন্য তিনি হারিয়েছেন স্বামী, হারিয়েছেন সন্তান। তাই এই দেশ, এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব। তিনি রেখে গেছেন জনসেবা, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন। তাঁর প্রতি দেশবাসীর আবেগ, ভালোবাসা ও বৈশ্বিক শ্রদ্ধায় আমি ও আমার পরিবার চিরকৃতজ্ঞ।’

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে
২৮ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে থাকা এই তরুণ নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের। সে আমলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয় পাঁচটি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ বছরে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয় আরও ৩২টি মামলা।
২ ঘণ্টা আগে
মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঈন খান এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য।
মঈন খান আরও বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই দেশে নারী শিক্ষার জন্য সবার আগে কথা বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঈন খান এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য।
মঈন খান আরও বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই দেশে নারী শিক্ষার জন্য সবার আগে কথা বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে।

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে
২৮ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আরিফ সোহেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনটির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদে থাকা এই তরুণ নেতা ফেসবুকে দীর্ঘ এক বিবৃতির মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের। সে আমলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয় পাঁচটি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ বছরে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হয় আরও ৩২টি মামলা।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন।
৪ ঘণ্টা আগে