Ajker Patrika

নির্বাচন জড়িয়ে যাচ্ছে অনৈক্যের জালে

  • তিন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির দূরত্ব কমছে না।
  • রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমাতে সচেষ্ট জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
  • দলগুলোকে এক থাকার আহ্বান আলী রীয়াজের।
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ২৯
নির্বাচন জড়িয়ে যাচ্ছে অনৈক্যের জালে

সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমছেই না। প্রধান এই তিন ইস্যুতে বিএনপির বিপরীত অবস্থান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলগুলোর এই অনড় অবস্থানে অনৈক্যের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সভা, সমাবেশ, আলোচনায় এই তিন ইস্যুতে দূরত্ব-অনৈক্য বোঝা গেলেও ভেতরে-ভেতরে রয়েছে অন্য হিসাব-নিকাশ। জামায়াত ও এনসিপির একাংশ মনে করছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপি পুরো ফায়দা পাবে। বর্তমানে প্রশাসনসহ বড় সব জায়গায় জামায়াত ও এনসিপির মতাদর্শীরা আছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবকিছু বদলে দেবে। এই আশঙ্কা থেকে দল দুটি সংস্কার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করতে চাইছে। এতে নির্বাচন বিলম্বিত হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি বুঝে বিএনপি যেকোনোভাবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। বিলম্বের আশঙ্কাকে তারা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। এই তিন দলের এমন অবস্থানে মাঠে নামতে পারে জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই অংশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। ইসি আজ বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও সারছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের একটি আবহ তৈরির অবস্থা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব-অনৈক্য সব সম্ভাবনাকে অনিশ্চয়তার পথে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।

রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য দূর করার চেষ্টা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও। তারা দফায় দফায় সংলাপ করেছেন দলগুলোর সঙ্গে। দূরত্ব কমিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আবারও সংলাপে বসবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আন্দোলন-সংগ্রামে একত্রে থেকেছেন, এটা অব্যাহত রাখুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় আছি। সেটা শুধু সরকার হিসেবে না, সবাই। বাংলাদেশে রাজনীতির একটি অন্তর্বর্তী পরিস্থিতিতে ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতার জায়গাটা ধরে রাখা দরকার। কেননা পরাজিত শক্তিরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে, সেটা যেন না নিতে পারে, সে জন্য রাজনীতিবিদদের সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।’

জামায়াতের দ্বিধা, সংশয়: জামায়াতে ইসলামী স্পষ্টই বলেছে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। দলটি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দাবিও জানাচ্ছে। এগুলোসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে দলটি মিছিল, সমাবেশও করছে। রাজপথে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকার, বিএনপিসহ সংশ্লিষ্টদের বার্তা দিচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে জামায়াত। প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জামায়াত-সমর্থিত ব্যক্তিরা ভালো অবস্থায় রয়েছেন। ১৬টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সমর্থিত ব্যক্তি উপাচার্য হয়েছেন। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়েও একই অবস্থা। দলটির আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপি বেশি আসন পাবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের এই ‘শক্তি’ ভেঙে দেবে। অভ্যুত্থানের সব অর্জন নষ্ট করে দেবে। এ কারণে দলটি বুঝে-শুনে নির্বাচনে যেতে চায়।

অবশ্য জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জামায়াতের আপত্তি নেই। তবে নির্বাচনের বড় প্রস্তুতিমূলক কাজ সংস্কার। সেটিকে চূড়ান্ত করতে হবে, সংস্কারের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন করার। নির্বাচনের ঘোষণা তিনি দিয়েছেন, তার আগে তো সংস্কার হতে হবে। সেটি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।

এনসিপি সংস্কারের পক্ষে অনড়: সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের গড়া দল এনসিপি সংস্কারের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র ছয় মাসে দলটি খুব গুছিয়েও উঠতে পারেনি। দলটির বেশির ভাগ নেতাই গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া সংসদ নির্বাচন চান না। তাঁরা পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইন ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে। এসব দাবি পূরণ হলে তাঁরা নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলছেন। সব শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনসিপি এখনো গোছাতে পারেনি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এনসিপির মধ্যে একাধিক ধারা রয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতাদের একটি অংশ নির্বাচনের পক্ষে। তাঁরা রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করতে নির্বাচনে যেতে চান। তবে দলের বেশির ভাগ নেতাই প্রথমে জাতীয় নির্বাচনের বিপক্ষে।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না। আমাদের দাবি জনগণের দাবি। সেটা নিয়েই জনগণের কাছে যাব। নতুন সংবিধান, সংস্কার ও বিচারের দাবির সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে আমরা এগিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের নিয়ে যদি কোনো পক্ষ কিংবা সরকারও কোনো চিন্তাভাবনা করে, জনগণ তা রুখে দেবে।

জি এম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির দুই অংশের কার্যক্রমকেই সন্দেহের চোখে দেখছে জামায়াত ও এনসিপি। দল দুটি মনে করছে, সংস্কার, জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতি নিয়ে তাদের অনড় অবস্থানের সুযোগ নিয়ে একটি পক্ষ নিজেদের পাল্লা ভারী করতে জাপার দুই অংশকে মাঠে নামাতে পারে। জাপা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনেও নামতে পারে। কারণ, অতীতে দলটি বিএনপি, জামায়াতসহ অধিকাংশ দলের বর্জন করা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের আমলের নির্বাচনকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছিল।

জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও তিন ইস্যুতে তাঁরা অনড় থাকলে জাপা আবার তুরুপের তাস হতে পারে। যাতে এবার লাভবান হবে বিএনপি। এ জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে পর্দার অন্তরালে জাপাকে একটি পক্ষ বানানোর আয়োজন চলছে বলে তাঁরা সন্দেহ ও আশঙ্কা করছেন।

বিএনপির সামনে চাপ: দীর্ঘ দেড় দশকের ক্ষমতার খরা কাটাতে চায় বিএনপি। দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এ ব্যাপারে চাপ রয়েছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই হারাতে চায় না বিএনপি; যে কারণে সাবধানে পা ফেলে অগ্রসর হচ্ছে দলটি। বিএনপি মনে করে, তাদের চাপে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। আজ ওই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। কিন্তু এরপরও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না বিএনপিতে। এর কারণ আরেক পক্ষের অনড় অবস্থান।

বিএনপি স্পষ্টই বলছে, তারা পিআর পদ্ধতিতে নেই। উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের প্রস্তাবকে সংবিধানবহির্ভূত বলছে। এসব ক্ষেত্রে জামায়াত-এনসিপির অবস্থান বিএনপিকে কঠিন সমীকরণে নিয়ে যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপির অনিশ্চয়তার কথা এসেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেও। গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আজকে কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলে চলেছে। এগুলো নিয়ে তারা হুমকি দিচ্ছে, কথা বলছেন, অত্যন্ত জোরেশোরে হুমকি দিচ্ছেন। আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন করছেন এটা?’ তিনি বলেন, ‘সরকারের ভেতরে একটা মহল, তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে, যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, তারা যেন আসতে না পারে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে। জুলাই সনদ, সংস্কার এসব নিয়ে জটিলতা না বাড়িয়ে সরকার যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়; যাতে দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হলে বিএনপিকেই এগিয়ে এসে অন্য দলগুলোকে ভরসা দিতে হবে, আস্থায় আনতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপির উচিত আন্তরিকতার সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্বেগ চিহ্নিত করা এবং তাদের আশ্বস্ত করা যে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে তারা কোনো অবিচার করবে না কিংবা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করবে না। দলগুলোকে আস্থা ও নিশ্চয়তা দেওয়া গেলে অন্যরা বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারবে। তবে তিনি বলেন, কিছু দল যদি ভিন্ন উদ্দেশ্যে নির্বাচন ঠেকাতে চায়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষে সমন্বয় করা সম্ভব নয়। সেটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।

নির্বাচনের চেষ্টায় সরকার: দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে। এ জন্য প্রকাশ্য ও অন্তরালে বৈঠক চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বদলে এখন শর্ত মুখ্য হয়ে উঠেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানকে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য কমিশনের বিভিন্ন রকম চেষ্টা ও তৎপরতা চলমান আছে।

পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, নির্বাচন না হলে শুধু বিএনপি নয়, জামায়াত ও এনসিপিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে জনগণের মধ্যে হতাশা জন্মাবে।

দলগুলো পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় অবস্থান তুলে ধরছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে সবাই একমত হয়ে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে; যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৯
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ: জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়েছে। আজ থেকে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২-এর চেয়ারপারসনের অফিসসংলগ্ন বিএনপির নতুন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। মোট ১১টি প্রতিযোগিতার বিষয় রেখে এ কর্মসূচি আয়োজন করেছে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে মাহদী আমিন বলেন, দেশের স্বার্থে, দেশের সার্বভৌমত্বে এবং জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন নিশ্চিত করা আগামীতে বিএনপির রাজনীতির একটি মৌলিক প্রতিপালক। এই লক্ষ্য সামনে রেখে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপি একটি জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু করছে। বিএনপির আয়োজনে জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হলো, যা চলবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা জানান, দেশ এবং বিদেশের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এই সময়ের মধ্যে দেশ গড়ার প্রত্যয়, তাদের পরিকল্পনা, প্রত্যাশা এবং ভাবনাচিন্তা জমা দিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীরা এক মিনিটের রিল ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইনে তা সাবমিট করতে পারবেন। রিলের কনটেন্ট হতে পারে স্যাটায়ার, গান, সংলাপ, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন, কিংবা কয়েকটি ছবি বা আর্টের সমন্বয়। ভিডিওর মাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা, নতুন ভাবনা, বিস্তারিত পরিকল্পনা কিংবা ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবেন প্রতিযোগীরা।

মাহদী আমিন আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১১টি থিম আইডেনটিফাই করা হয়েছে, যা মূলত দেশ গড়ার পরিকল্পনার শীর্ষ কর্মসূচির তালিকার আলোকে তৈরি। “ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, পরিবেশ, ক্রীড়া, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মান, প্রবাসীদের জন্য কল্যাণ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ ও প্রধান টপিক হিসেবে আমি যেমন দেশ চাই।” প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রতিটি মানুষকে দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করার সুযোগ করে দেওয়া এবং গণমানুষের ভাবনা ও পরিকল্পনাগুলোকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত করা।

ছয়টি ধাপের কথা উল্লেখ করে মাহদী আমিন বলেন, ‘দেশ গঠনে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার ভাবনা এক মিনিটের রিলের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। যেকোনো অংশগ্রহণকারী চাইলে তাঁদের ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা টিকটক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিজের প্রোফাইল থেকে রিলটি পোস্ট করতে পারবেন। ক্যাপশনে বাংলাদেশ ফার্স্ট হ্যাশট্যাগটি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অফিশিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তৈরি করা ইভেন্টে গিয়ে তাঁদের পোস্টটি শেয়ার করতে হবে।’

দুটি ধাপে কনটেন্টগুলো মূল্যায়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রিল মূল্যায়ন করা হবে দুটি ধাপে। প্রথমত, ৩০ শতাংশ জনমতের ওপর ভিত্তি করে (সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্ট) এবং দ্বিতীয়ত, ৭০ শতাংশ একটি জুরিবোর্ড দ্বারা যেটি অংশগ্রহণকারীদের বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা, সৃজনশীলতার ও সামাজিক প্রভাবের ওপর নির্ভর করবে। কোনো প্রশ্ন বা বিভ্রান্তি থাকলে হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে বলে জানায় তিনি।

মাহদী আমিন জানায়, এই কর্মসূচির সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মেধাভিত্তিক শীর্ষ ১০ জন বিজয়ীকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একান্ত আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে যে বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে চাওয়া হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার, বাক্‌স্বাধীনতা, আইনের অনুসরণ, সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দীন হায়দার, চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ড. সাইমুম পারভেজ এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ভারত স্বাধীনতাযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই ভারত ১৯৭১ সালে এ দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ভারত আমাদের স্বাধীনতা নয়, বরং পাকিস্তানের সাথে ১৯৬৫ সালে যুদ্ধে লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আমাদের সহযোগিতা করেছিল।’

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জামায়াত আয়োজিত ম্যারাথন-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘ভারত আমাদের স্বাধীনতা নয়, বরং পাকিস্তানের সাথে ১৯৬৫ সালে যুদ্ধে লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আমাদের সহযোগিতা করেছিল। তারা আমাদের দেশের স্বাধীনতার-সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি না দিয়ে আওয়ামী-বাকশালীদের মাধ্যমে দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে সে অবস্থার অবসান হয়েছে।’

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের ভুলের স্বীকৃতি দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মনোভাব ও তাদের এ দেশীয় এজেন্টদের কারণে আমরা বিজয়ের স্বাদ পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারিনি এবং আমাদের স্বাধীনতাও সুরক্ষিত হয়নি।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল যোগ করেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, পাক বাহিনী সেদিন আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ না ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জগজিৎ সিং আরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক জেনারেল এ জি ওসমানী ছিলেন অনুপস্থিত। কেন অনুপস্থিত ছিলেন সে প্রশ্নের আজও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই পাক বাহিনীর আত্মসমর্থন ভারতীয় বাহিনীর কাছে বিবেচনায় প্রতিবেশী দেশটি ১৬ ডিসেম্বরকে তাদের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। এর মাধ্যমে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে।’

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দীন মানিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জ-৫

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বিএনপির প্রার্থী বললেন—বাধ্য হয়েছি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন মাসুদ।

মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘পারিবারিক এবং নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। সব কথা হয়তো এখানে বলা যাবে না। কিন্তু, আমি বাধ্য হয়েছি। আমি আমার নেতা-কর্মী ও আমার শহর বন্দরের বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই আসনে যিনিই নির্বাচন করবেন, তাঁর পক্ষে আমার সমর্থন থাকবে।’

এ সময় সংবাদকর্মীরা কারণ বলার জন্য পীড়াপীড়ি করলেও তিনি কৌশলী উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আমার এই সিদ্ধান্তে নেতা-কর্মীরা সবাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সঙ্গে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না—সেই কারণে সরে যাচ্ছি। এখানে ব্যক্তিগত বিষয় আছে, যা বলতে পারছি না। বা দল থেকে এই আসনে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিয়ে দিচ্ছে, এমনও না। আমি ব্যক্তিগতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এক সময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। নগরীর একটি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিও ছিলেন। পরে ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করেন, ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বও দেন। তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

একাত্তরের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিতে চায়: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মহান বিজয় দিবসে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহান বিজয় দিবসে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

একাত্তরের স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এ জন্য এ দিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের দিনে আমি আমার দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি।’

তারেক রহমান দেশে ফিরলে গণতন্ত্রের লড়াই বেগবান হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনি আজকে নির্বাসিত অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন। আমরা আশা করছি, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে আসবেন। তাঁর দেশে আসা যেন গণতন্ত্রের সংগ্রাম-লড়াইকে আরও বেগমবান করে সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন সেই মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তাঁর রোগমুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তালার কাছে দোয়া চাচ্ছি।’

এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত