Ajker Patrika

১৩ দিন পরেও বিএনপির শূন্য কার্যালয় পাহারায় অর্ধশত পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৩ দিন পরেও বিএনপির শূন্য কার্যালয় পাহারায় অর্ধশত পুলিশ

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ফাঁকা। গত ১৩ দিনে বিএনপি অফিসের আশপাশে দলটির কোনো নেতা-কর্মীদের আসতে দেখা যায়নি। শূন্য কার্যালয়টি ঘিরে রেখেছে অর্ধশত পুলিশ। 

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, কার্যালয়টি ব্যবহার করতে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধা বা নিষেধ নেই। বিএনপির নেতা–কর্মীরাই আসছে না। তবে বিএনপির দাবি, পুলিশ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে, তাই তাঁরা অফিসে ফিরতে পারছেন না। 

আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের নয় সদস্যের একটি দল কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। এ ছাড়া ফটকের দুই পাশে দুই ভাগ হয়ে ১৭ জন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। কার্যালয়ের মূল ফটকে একটি তালা ঝুলছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে অফিসটি পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। তবে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

গত ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ করে দেয় ডিএমপি। ঘটনার পরপরই সড়কটির নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড়ে তারকাটার ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। অফিসের সামনে টানা তিন দিন আলামত সংগ্রহের (ক্রাইম সিন) জন্য সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে পল্টন থানা। এ সময় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের চলাচলও নিষিদ্ধ করে পুলিশ। 

ক্রাইম সিন সরিয়ে নেওয়ার পর কার্যালয়ের স্কাউট ভবনের পাশের লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তবে অপর লেন বন্ধ ছিল। গত মঙ্গলবার সড়কটির দুপাশের লেন দিয়েই গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তবে কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কড়াকড়ি অবস্থান রয়েছে। কার্যালয়ের সামনে এখনো ইটের টুকরো ও ছেড়ে কাগজের দৃশ্য গত ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের কথাই মনে করিয়ে দেয়। 

গতকাল শনিবার নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, নয়াপল্টনের দুই সড়কে প্রাইভেট কার, সিএনজি ও রিকশা চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও চাপ অনেক কম। তবে আশপাশের কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নয়া পল্টনের সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল করছে। কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। 

বিএনপির নেতা-কর্মীরা ওই সংঘর্ষের পর আর কার্যালয়টিতে প্রবেশের চেষ্টা করেননি। পুলিশ এ জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের দায় করেছেন। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরাপত্তার জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এটা শুধু বিএনপি পার্টি অফিসে নয়। আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনেও আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর অফিসগুলোর সামনে সব সময় পুলিশ পাহারায় থাকে। 

ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসা-যাওয়ায় আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তারাই আসেন না। হয়তো তাঁরা মামলার ভয়ে আসেন না। 

তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, পুলিশ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে। দলটির কাছে কোনো চাবি নেই। কার্যালয় থেকে অফিস সহকারীদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। পুরো নিয়ন্ত্রণ পুলিশের কাছে। তাই সেখানে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা আপত্তিকর। সরকার যেভাবে অন্যান্য জায়গায় অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে, এখানেও সেই একই রকম আচরণ করছে।’ 

গত ২৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। পুলিশ হত্যাসহ গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ঘটনায় ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ৩৮টি থানায় ১১৭টি মামলা হয়েছে। এ সকল মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা ও সারা দেশে অসংখ্য কর্মীরা কারাগারে রয়েছেন। 

ওই সংঘর্ষের পর বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো এক দফা দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। হরতালের পরদিন ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি ও অন্য বিরোধী দলগুলো। এরপর ৩ ও ৪ নভেম্বর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই অবরোধ শেষ হলে ৭ নভেম্বর বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় দলগুলো। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দফায় আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর ফের ৪৮ ঘণ্টা টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জাইমা রহমানের সেলফিতে দেখা যাচ্ছে ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি। ছবি: ফেসবুক
জাইমা রহমানের সেলফিতে দেখা যাচ্ছে ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি। ছবি: ফেসবুক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।

জাইমা রহমানের শেয়ার করা সেই সেলফিতে দেখা যায় তিনি ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজে তাঁর আসনের পাশেই রেখেছেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন ভারতীয় অনুবাদক অনুরাভা সিনহা।

পেঙ্গুইন মূলত একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা। কিন্তু ব্যবসায়িক ও ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তারা ভারত থেকে বই মুদ্রণ ও সরবরাহ করে থাকে।

আলোচিত এই সংকলনটি মূলত বাংলা সাহিত্যের এক শতাব্দীর সেরা ছোটগল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদ। সংকলনটিতে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা উঠে এসেছে। এতে স্থান পেয়েছে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগ এবং সামাজিক বাস্তবতার নিখুঁত চিত্র।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত ধরে বাংলায় ছোটগল্পের আগমন ঘটেছিল এবং বাঙালি লেখকেরা দ্রুতই এই শিল্পরূপটিকে আপন করে নিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর মধ্যে অসংখ্য সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রসারের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গল্পগুলো পরম আগ্রহে পড়তে শুরু করে।

লেখকেরা তাঁদের সময়ের অস্থিরতাকে ধারণ করে এক প্রচণ্ড প্রাণশক্তি নিয়ে শব্দের এই ক্ষুধার প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন। এই গল্পগুলোতে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় সংঘাত, পিতৃতন্ত্র, দেশভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এই পরিবর্তনশীল ভৌগোলিক সীমানার মাঝে লেখকরাও অন্তর্মুখী হয়েছেন, নতুন সাহিত্যশৈলী উদ্ভাবন করেছেন এবং সামাজিক বাস্তববাদ, রাজনৈতিক কথাসাহিত্য ও অন্তরঙ্গ পারিবারিক আখ্যানের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করেছেন।

ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো এই সংকলনটি এক শতাব্দীর অসাধারণ সব গল্পকে একত্রিত করেছে। গোপনে মাছ খাওয়া এক নারী থেকে শুরু করে এক বয়স্ক ফুটবলারের দুঃখ, মধ্যবিত্ত ইউনিয়ন প্রতিনিধির উদ্বেগ থেকে পরশপাথর খুঁজে পাওয়া এক আইনজীবী—এটি এমন এক সংগ্রহ যা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা ও আনন্দকে শিল্পে রূপ দেওয়ার মহিমা প্রচার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রথমেই তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাসায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা ও জাইমা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান তাদের গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে নেমে দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর লাল-সবুজ রঙের বাসে চড়ে সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।

তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমান বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ও সিএসএফ প্রটোকলে বাসায় উদ্দেশে রওনা হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, গণপরিবহনশূন্য মহাসড়ক

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৪
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহাসড়কটিতে যান চলাচল শূন্য করা হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর হয়ে খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সড়ক পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকতে দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে গণপরিবহন চলাচল তো দূরের কথা, কোনো মোটরসাইকেলও চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার জসীমউদ্‌দীন সড়কে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। তাদের সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব।

এ ছাড়া বিমানবন্দরসহ এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। শুধু বিমানবন্দরেই নয়, বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে কয়েক হাত পরপরই রয়েছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সশস্ত্র সদস্যরা। রয়েছেন বিবিজি ও র‍্যাবের সদস্যরাও।

জসীমউদ্‌দীনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সড়কটিতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা সংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই হেঁটে যাচ্ছেন।

সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তারা জানান, গণপরিবহন তো দূরের কথা, মোটরসাইকেলও সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছেন, তাঁদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না হলে অন্যত্র মোটরসাইকেল রেখে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রথম সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী বিমান। সেখান থেকে বিমানে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে ৩০০ ফুট সড়কের সংবর্ধনা মঞ্চে যোগ দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত